আজকের পত্রিকা ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক শুল্ক চুক্তি চূড়ান্ত করার বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ বৈঠকে দুই পক্ষই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে আজ শনিবার জানানো হয়েছে, এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, আর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন দেশটির সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডান লিঞ্চ।
জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্মেলনের (আঙ্কটাড) সাবেক বাণিজ্যনীতি প্রধান ড. খলিলুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আমাদের আলোচনায় খুব ভালো অগ্রগতি হয়েছে। উভয় পক্ষই দ্রুততার সঙ্গে চুক্তিটি চূড়ান্ত করার জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে।
এই চুক্তিটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ গত ২ এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশসহ বেশ কিছু দেশের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন। যদিও পরে এই শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়, যা আগামী ৯ জুলাই শেষ হতে যাচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।
বাংলাদেশ সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি খসড়া চুক্তির প্রতিক্রিয়ায় নিজেদের পাল্টা প্রস্তাব পাঠিয়েছে। এই প্রস্তাবে বাংলাদেশ অনুরোধ করেছে, পারস্পরিক শুল্কের হার সর্বোচ্চ ১০ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখতে হবে, যা বর্তমানে কার্যকর রয়েছে। এর বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব ছিল, বাংলাদেশকে তাদের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য আইন মেনে চলতে হবে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে ঢাকা মনে করে।
শুল্কের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে, বাংলাদেশ সরকার বাণিজ্য সম্পর্ক সহজ করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে বাংলাদেশ তাদের আমদানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে। এর অংশ হিসেবে, সরকার যুক্তরাষ্ট্র থেকে উচ্চমূল্যে ৩ লাখ টন গম আমদানির জন্য সরকারি-বেসরকারি (জি টু জি) চুক্তির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ছাড়া বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় মার্কিন কোম্পানি বোয়িং থেকে বিমান কেনার পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানি প্রক্রিয়াও সহজ করা হচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পাল্টা শুল্ক নিয়ে আলোচনায় বাংলাদেশ ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও ভারতের মতো দেশগুলোর চেয়ে এগিয়ে আছে। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে গত ১২ জুন একটি গোপনীয়তা চুক্তি (নন-ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট) স্বাক্ষরিত হয়েছিল, যার শর্তাবলী প্রকাশ করা যাবে না। এরপর গত ১৭ জুন দুই দেশ একটি অনলাইন বৈঠকে পারস্পরিক শুল্ক চুক্তি নিয়ে আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
পরবর্তী একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ২৯ জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, যা এই চুক্তির প্রকৃতি ও সময় নির্ধারণে সহায়ক হবে। বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের জন্য এই চুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে, বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য।
আরও খবর পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক শুল্ক চুক্তি চূড়ান্ত করার বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ বৈঠকে দুই পক্ষই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে আজ শনিবার জানানো হয়েছে, এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, আর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন দেশটির সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডান লিঞ্চ।
জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্মেলনের (আঙ্কটাড) সাবেক বাণিজ্যনীতি প্রধান ড. খলিলুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আমাদের আলোচনায় খুব ভালো অগ্রগতি হয়েছে। উভয় পক্ষই দ্রুততার সঙ্গে চুক্তিটি চূড়ান্ত করার জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে।
এই চুক্তিটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ গত ২ এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশসহ বেশ কিছু দেশের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন। যদিও পরে এই শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়, যা আগামী ৯ জুলাই শেষ হতে যাচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।
বাংলাদেশ সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি খসড়া চুক্তির প্রতিক্রিয়ায় নিজেদের পাল্টা প্রস্তাব পাঠিয়েছে। এই প্রস্তাবে বাংলাদেশ অনুরোধ করেছে, পারস্পরিক শুল্কের হার সর্বোচ্চ ১০ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখতে হবে, যা বর্তমানে কার্যকর রয়েছে। এর বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব ছিল, বাংলাদেশকে তাদের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য আইন মেনে চলতে হবে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে ঢাকা মনে করে।
শুল্কের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে, বাংলাদেশ সরকার বাণিজ্য সম্পর্ক সহজ করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে বাংলাদেশ তাদের আমদানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে। এর অংশ হিসেবে, সরকার যুক্তরাষ্ট্র থেকে উচ্চমূল্যে ৩ লাখ টন গম আমদানির জন্য সরকারি-বেসরকারি (জি টু জি) চুক্তির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ছাড়া বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় মার্কিন কোম্পানি বোয়িং থেকে বিমান কেনার পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানি প্রক্রিয়াও সহজ করা হচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পাল্টা শুল্ক নিয়ে আলোচনায় বাংলাদেশ ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও ভারতের মতো দেশগুলোর চেয়ে এগিয়ে আছে। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে গত ১২ জুন একটি গোপনীয়তা চুক্তি (নন-ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট) স্বাক্ষরিত হয়েছিল, যার শর্তাবলী প্রকাশ করা যাবে না। এরপর গত ১৭ জুন দুই দেশ একটি অনলাইন বৈঠকে পারস্পরিক শুল্ক চুক্তি নিয়ে আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
পরবর্তী একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ২৯ জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, যা এই চুক্তির প্রকৃতি ও সময় নির্ধারণে সহায়ক হবে। বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের জন্য এই চুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে, বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য।
আরও খবর পড়ুন:
বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত আমদানির ঘোষণার দেওয়ার পরপরই ভারতে হু হু করে বাড়ছে চালের দাম। গত দু’দিনে ভারতের বাজারে চালের দাম প্রায় ১৪ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে ৫ লাখ টন চাল আমদানির ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেনিষেধাজ্ঞা শেষে গত ১ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ইলিশ ধরার মৌসুম, যা চলবে আগস্টের শেষ পর্যন্ত। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হলো—ভরা মৌসুমেও সাগর-নদী থেকে জেলেরা প্রত্যাশিত ইলিশ পাচ্ছেন না। প্রতিবছর এই সময় দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জেলেরা রুপালি ইলিশ শিকারে ব্যস্ত সময়...
১৪ ঘণ্টা আগেটেকসই কৃষি উন্নয়নের অংশ হিসেবে রংপুর অঞ্চলে ‘আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে টেকসই কৃষি উন্নয়ন’ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪২ কোটি ৯৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে রংপুর বিভাগের ৫ জেলার গ্রামীণ দারিদ্র্য কমবে, টেকসই কৃষি...
১৬ ঘণ্টা আগেব্র্যাক ব্যাংকের স্মার্ট ব্যাংকিং অ্যাপ ‘আস্থা’ সম্প্রতি ১০ লাখ গ্রাহকের মাইলফলক অর্জন করেছে। একই সঙ্গে, ২০২৫ সালের জুলাই মাসে এই অ্যাপের মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে মাসিক অ্যাপ-ভিত্তিক লেনদেনের একটি নতুন রেকর্ড।
১৬ ঘণ্টা আগে