Ajker Patrika

বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘খেয়ালিপনায়’ ডলারের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন

জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৩, ১২: ১৭
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘খেয়ালিপনায়’ ডলারের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন

নিয়ন্ত্রণহীন ডলার বাজারে ব্যাপক হযবরল দশা বিরাজ করছে। ডলারের রেট বাজারভিত্তিক ইস্যুতে রীতিমতো লুকোচুরি খেলছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা)। বাজারে ডলারের চার ধরনের ব্যাংক ঘোষিত রেটের পাশাপাশি এবং মৌখিক রেটও রয়েছে। আবার মানি চেঞ্জার্সগুলোর জন্য পৃথক রেট বেঁধে দিয়ে সেটা কম-বেশি করার মাধ্যমে বাজারভিত্তিক দেখানোর অলিখিত নির্দেশনাও দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব ভিন্ন ধরনের রেটকে বাজারভিত্তিক দাবি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আবার ব্যাংকে রেমিট্যান্স কেনার দর তুলে দিয়ে মানি চেঞ্জার্সগুলোকে দর বেঁধে দেওয়ায় হুন্ডিওয়ালারা বাড়তি সুবিধা পাবে বলে দাবি অর্থনীতিবিদদের। 

বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল বৃহস্পতিবার আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারের দাম নির্ধারণ করেছে ১১১ টাকা। বুধবারও ছিল ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। এ নিয়ে চলতি অর্থবছরে ষষ্ঠবারের মতো ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হলো। জুলাইয়ে ডলারের দাম ছিল ১০৮ টাকা ৭০ পয়সা এবং এক বছর আগে গত নভেম্বরে ছিল ১০১ টাকা ৩৮ পয়সা। 

পিআরআই নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গৃহীত নীতিমালা ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ কোনোভাবেই কাজ করছে না। ডলারের ভিন্ন রেট রয়েছে। এটাকে বাজারভিত্তিক বলাটা বাংলাদেশ ব্যাংকের খেয়ালিপনা। বেঁধে দেওয়ার রেটকে কোনোভাবে বাজারভিত্তিক বলা যায় না। আর বাজারের ভিন্ন ভিন্ন রেট থাকায় হুন্ডিওয়ালাদের নতুন সুযোগ হচ্ছে। 

বৈদেশিক মুদ্রায় কেনাবেচার সংগঠন বাফেদা নভেম্বর মাসের জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম ৫০ পয়সা বাড়িয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে রপ্তানিকারকদের থেকে প্রতি ডলার ১১০ টাকা ৫০ পয়সায় কিনে আমদানিকারকদের কাছে ১১১ টাকায় বিক্রি করবে ব্যাংকগুলো। তবে রেমিট্যান্স যত খুশি তত দরে কিনতে পারবে। বেশি দামে কিনলেও আন্তব্যাংকে ডলারের সর্বোচ্চ দর হবে ১১৪ টাকা। অক্টোবরে ১১০ টাকায় ডলার কিনে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রির সিদ্ধান্ত ছিল। 

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিল, দিলকুশা ও মালিবাগ ঘুরে দেখা গেছে, ডলারের ঘোষিত কেনার রেট ১১২ টাকা ৫০ পয়সা এবং বেচার রেট ১১৪ টাকা। কিন্তু এই রেটে ডলার মিলছে না। ডলার-খরা থাকায় বিক্রয়কর্মীরা অলস সময় পার করছেন। 

এ বিষয়ে মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব সেখ হেলাল সিকদার বলেন, ‘ডলার লেনদেনের ১১২ টাকা ৫০ পয়সা এবং ১১৪ টাকায় ডলার মেলে না। এতে ব্যবসা করা কঠিন। তবে অবৈধরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।’ 

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, ‘ডলারের সংকট নিরসনে বাংলাদেশ ব্যাংক একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে। বর্তমানে ডলারের যে ভিন্ন ভিন্ন রেট, তা বাজারভিত্তিক।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইরানের পতন হলে, এরপরই রাশিয়া—অভিমত রুশ বিশ্লেষকদের

ইসরায়েলে ২০ লাখ রুশভাষীর বাস, রাশিয়াকে তাঁদের কথা ভাবতে হয়: পুতিন

হরমুজ প্রণালিতে প্রবেশ করে ইউটার্ন নিল দুটি জাহাজ

লাইভ-২ (২৩ জুন, ২০২৫) ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কাঁপল ইসরায়েল, তেহরানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ

চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি থেকে বিদায় নিচ্ছে সাইফ পাওয়ারটেক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত