আয়নাল হোসেন, ঢাকা

বন্দরে আটকে থাকা আমদানি করা পণ্যের দ্রুত খালাস নিশ্চিত করতে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসেবে আমদানি নীতি আদেশ ও বিএসটিআইয়ের বাধ্যতামূলক মান পরীক্ষাবিষয়ক বিধিমালায় সংস্কারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো বলছে, যেসব পণ্য বিগত এক দশক মানসম্মতভাবে আমদানি হয়ে আসছে, সেগুলোর জন্য ঝুঁকি বিবেচনায় দ্রুত ছাড়পত্র দেওয়ার নিয়ম তৈরি করা হচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আমদানি নীতি আদেশ, ২০২৪-২০২৭-এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। যেখানে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় তিনটি পৃথক চ্যানেল—গ্রিন, ইয়েলো ও রেড বিস্তৃতভাবে ব্যবহার করা হবে। গ্রিন চ্যানেলের আওতায় আসা পণ্য বন্দরে পৌঁছানোর পর সরাসরি ছাড় করা যাবে। ইয়েলো চ্যানেলে শর্ত সাপেক্ষে পরীক্ষা শেষে ছাড় দেওয়া হবে, আর রেড চ্যানেলের পণ্য বাধ্যতামূলক পরীক্ষার পরই ছাড় পাবে।
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অধিশাখা) মো. আব্দুর রাজ্জাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পণ্য দ্রুত ছাড়ের জন্য কিছু বিধি ও আইন সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে। এ জন্য বাণিজ্যসচিবের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক হবে। সেখানে বিভিন্ন পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হবে।’
বর্তমানে আমদানি নীতি আদেশ, ২০২১-২০২৪ অনুসারে ৭৯টি পণ্যের বিএসটিআই অনুমোদন বাধ্যতামূলক। এর মধ্যে ৩২টি খাদ্যপণ্য এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ও রাসায়নিক দ্রব্য রয়েছে। বিএসটিআই সূত্র জানায়, বৈদ্যুতিক পণ্যের পরীক্ষায় সময় বেশি লাগায় অনেক পণ্য মাসের পর মাস বন্দরে পড়ে থাকে, ফলে আমদানিকারকদের বাড়তি খরচ গুনতে হয়।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, এলইডি লাইট পরীক্ষায় ৯০ কর্মদিবস, ব্যাটারিচালিত পণ্যে ৬০ কর্মদিবস এবং বৈদ্যুতিক লাইটে ২৮ কর্মদিবস সময় লাগে। এই বিলম্ব আমদানিকারকের জন্য আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বিএসটিআই মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেম চালুর উদ্যোগ নিচ্ছি। এনবিআর এই ব্যবস্থায় ১৯টি সংস্থাকে একত্রে সমন্বয় করছে। পাশাপাশি, যেসব পণ্যের মান বিগত ১০ বছরে কখনো প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি, সেসব ক্ষেত্রে ঝুঁকি বিবেচনায় দ্রুত ছাড়ের অনুমোদন দেওয়া হবে। এ জন্য আইন ও বিধিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা হবে।’
তবে ব্যবসায়ীদের অভিজ্ঞতা বলছে, শুধু নীতিমালার সংস্কার নয়; বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আরও জরুরি। পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি হাফেজ এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘আমি ৩০-৪০ বছর ধরে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট আমদানি করছি। তবু আমাদের পণ্য কোনো কারণ ছাড়াই কাস্টমস এক মাস আটকে রেখেছে। শুধু নিয়ম নয়, বাস্তবায়নকারীদের মানসিকতার পরিবর্তনও দরকার।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বিএসটিআই সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অস্থায়ী ছাড়ের ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে, বিশেষ করে বৈদ্যুতিক পণ্যের ক্ষেত্রে। পণ্য আমদানির পর বিএসটিআই পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল না আসা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের গুদামে পণ্য পৌঁছলে সিলগালা করে রাখা হয়। পরবর্তী সময়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তা বাজারজাত করা যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাণিজ্য সহজীকরণের স্বার্থে বন্দরে সময়মতো পণ্য খালাস এখন জরুরি। অথচ বিএসটিআই পরীক্ষা, কাস্টমস-প্রক্রিয়া ও আমদানি নীতির জটিলতা একত্রে মিলে পণ্যের গতি থামিয়ে দিচ্ছে। সরকার যদি বাস্তবমুখী ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে পারে, তাহলে পণ্য খালাসে গতি ফিরবে, ব্যবসায়ী পর্যায়ে খরচ কমবে এবং ভোক্তার হাতেও পণ্য পৌঁছাবে তুলনামূলক কম দামে।

বন্দরে আটকে থাকা আমদানি করা পণ্যের দ্রুত খালাস নিশ্চিত করতে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসেবে আমদানি নীতি আদেশ ও বিএসটিআইয়ের বাধ্যতামূলক মান পরীক্ষাবিষয়ক বিধিমালায় সংস্কারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো বলছে, যেসব পণ্য বিগত এক দশক মানসম্মতভাবে আমদানি হয়ে আসছে, সেগুলোর জন্য ঝুঁকি বিবেচনায় দ্রুত ছাড়পত্র দেওয়ার নিয়ম তৈরি করা হচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আমদানি নীতি আদেশ, ২০২৪-২০২৭-এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। যেখানে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় তিনটি পৃথক চ্যানেল—গ্রিন, ইয়েলো ও রেড বিস্তৃতভাবে ব্যবহার করা হবে। গ্রিন চ্যানেলের আওতায় আসা পণ্য বন্দরে পৌঁছানোর পর সরাসরি ছাড় করা যাবে। ইয়েলো চ্যানেলে শর্ত সাপেক্ষে পরীক্ষা শেষে ছাড় দেওয়া হবে, আর রেড চ্যানেলের পণ্য বাধ্যতামূলক পরীক্ষার পরই ছাড় পাবে।
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অধিশাখা) মো. আব্দুর রাজ্জাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পণ্য দ্রুত ছাড়ের জন্য কিছু বিধি ও আইন সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে। এ জন্য বাণিজ্যসচিবের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক হবে। সেখানে বিভিন্ন পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হবে।’
বর্তমানে আমদানি নীতি আদেশ, ২০২১-২০২৪ অনুসারে ৭৯টি পণ্যের বিএসটিআই অনুমোদন বাধ্যতামূলক। এর মধ্যে ৩২টি খাদ্যপণ্য এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ও রাসায়নিক দ্রব্য রয়েছে। বিএসটিআই সূত্র জানায়, বৈদ্যুতিক পণ্যের পরীক্ষায় সময় বেশি লাগায় অনেক পণ্য মাসের পর মাস বন্দরে পড়ে থাকে, ফলে আমদানিকারকদের বাড়তি খরচ গুনতে হয়।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, এলইডি লাইট পরীক্ষায় ৯০ কর্মদিবস, ব্যাটারিচালিত পণ্যে ৬০ কর্মদিবস এবং বৈদ্যুতিক লাইটে ২৮ কর্মদিবস সময় লাগে। এই বিলম্ব আমদানিকারকের জন্য আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বিএসটিআই মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেম চালুর উদ্যোগ নিচ্ছি। এনবিআর এই ব্যবস্থায় ১৯টি সংস্থাকে একত্রে সমন্বয় করছে। পাশাপাশি, যেসব পণ্যের মান বিগত ১০ বছরে কখনো প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি, সেসব ক্ষেত্রে ঝুঁকি বিবেচনায় দ্রুত ছাড়ের অনুমোদন দেওয়া হবে। এ জন্য আইন ও বিধিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা হবে।’
তবে ব্যবসায়ীদের অভিজ্ঞতা বলছে, শুধু নীতিমালার সংস্কার নয়; বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আরও জরুরি। পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি হাফেজ এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘আমি ৩০-৪০ বছর ধরে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট আমদানি করছি। তবু আমাদের পণ্য কোনো কারণ ছাড়াই কাস্টমস এক মাস আটকে রেখেছে। শুধু নিয়ম নয়, বাস্তবায়নকারীদের মানসিকতার পরিবর্তনও দরকার।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বিএসটিআই সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অস্থায়ী ছাড়ের ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে, বিশেষ করে বৈদ্যুতিক পণ্যের ক্ষেত্রে। পণ্য আমদানির পর বিএসটিআই পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল না আসা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের গুদামে পণ্য পৌঁছলে সিলগালা করে রাখা হয়। পরবর্তী সময়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তা বাজারজাত করা যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাণিজ্য সহজীকরণের স্বার্থে বন্দরে সময়মতো পণ্য খালাস এখন জরুরি। অথচ বিএসটিআই পরীক্ষা, কাস্টমস-প্রক্রিয়া ও আমদানি নীতির জটিলতা একত্রে মিলে পণ্যের গতি থামিয়ে দিচ্ছে। সরকার যদি বাস্তবমুখী ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে পারে, তাহলে পণ্য খালাসে গতি ফিরবে, ব্যবসায়ী পর্যায়ে খরচ কমবে এবং ভোক্তার হাতেও পণ্য পৌঁছাবে তুলনামূলক কম দামে।
আয়নাল হোসেন, ঢাকা

বন্দরে আটকে থাকা আমদানি করা পণ্যের দ্রুত খালাস নিশ্চিত করতে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসেবে আমদানি নীতি আদেশ ও বিএসটিআইয়ের বাধ্যতামূলক মান পরীক্ষাবিষয়ক বিধিমালায় সংস্কারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো বলছে, যেসব পণ্য বিগত এক দশক মানসম্মতভাবে আমদানি হয়ে আসছে, সেগুলোর জন্য ঝুঁকি বিবেচনায় দ্রুত ছাড়পত্র দেওয়ার নিয়ম তৈরি করা হচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আমদানি নীতি আদেশ, ২০২৪-২০২৭-এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। যেখানে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় তিনটি পৃথক চ্যানেল—গ্রিন, ইয়েলো ও রেড বিস্তৃতভাবে ব্যবহার করা হবে। গ্রিন চ্যানেলের আওতায় আসা পণ্য বন্দরে পৌঁছানোর পর সরাসরি ছাড় করা যাবে। ইয়েলো চ্যানেলে শর্ত সাপেক্ষে পরীক্ষা শেষে ছাড় দেওয়া হবে, আর রেড চ্যানেলের পণ্য বাধ্যতামূলক পরীক্ষার পরই ছাড় পাবে।
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অধিশাখা) মো. আব্দুর রাজ্জাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পণ্য দ্রুত ছাড়ের জন্য কিছু বিধি ও আইন সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে। এ জন্য বাণিজ্যসচিবের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক হবে। সেখানে বিভিন্ন পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হবে।’
বর্তমানে আমদানি নীতি আদেশ, ২০২১-২০২৪ অনুসারে ৭৯টি পণ্যের বিএসটিআই অনুমোদন বাধ্যতামূলক। এর মধ্যে ৩২টি খাদ্যপণ্য এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ও রাসায়নিক দ্রব্য রয়েছে। বিএসটিআই সূত্র জানায়, বৈদ্যুতিক পণ্যের পরীক্ষায় সময় বেশি লাগায় অনেক পণ্য মাসের পর মাস বন্দরে পড়ে থাকে, ফলে আমদানিকারকদের বাড়তি খরচ গুনতে হয়।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, এলইডি লাইট পরীক্ষায় ৯০ কর্মদিবস, ব্যাটারিচালিত পণ্যে ৬০ কর্মদিবস এবং বৈদ্যুতিক লাইটে ২৮ কর্মদিবস সময় লাগে। এই বিলম্ব আমদানিকারকের জন্য আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বিএসটিআই মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেম চালুর উদ্যোগ নিচ্ছি। এনবিআর এই ব্যবস্থায় ১৯টি সংস্থাকে একত্রে সমন্বয় করছে। পাশাপাশি, যেসব পণ্যের মান বিগত ১০ বছরে কখনো প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি, সেসব ক্ষেত্রে ঝুঁকি বিবেচনায় দ্রুত ছাড়ের অনুমোদন দেওয়া হবে। এ জন্য আইন ও বিধিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা হবে।’
তবে ব্যবসায়ীদের অভিজ্ঞতা বলছে, শুধু নীতিমালার সংস্কার নয়; বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আরও জরুরি। পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি হাফেজ এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘আমি ৩০-৪০ বছর ধরে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট আমদানি করছি। তবু আমাদের পণ্য কোনো কারণ ছাড়াই কাস্টমস এক মাস আটকে রেখেছে। শুধু নিয়ম নয়, বাস্তবায়নকারীদের মানসিকতার পরিবর্তনও দরকার।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বিএসটিআই সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অস্থায়ী ছাড়ের ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে, বিশেষ করে বৈদ্যুতিক পণ্যের ক্ষেত্রে। পণ্য আমদানির পর বিএসটিআই পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল না আসা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের গুদামে পণ্য পৌঁছলে সিলগালা করে রাখা হয়। পরবর্তী সময়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তা বাজারজাত করা যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাণিজ্য সহজীকরণের স্বার্থে বন্দরে সময়মতো পণ্য খালাস এখন জরুরি। অথচ বিএসটিআই পরীক্ষা, কাস্টমস-প্রক্রিয়া ও আমদানি নীতির জটিলতা একত্রে মিলে পণ্যের গতি থামিয়ে দিচ্ছে। সরকার যদি বাস্তবমুখী ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে পারে, তাহলে পণ্য খালাসে গতি ফিরবে, ব্যবসায়ী পর্যায়ে খরচ কমবে এবং ভোক্তার হাতেও পণ্য পৌঁছাবে তুলনামূলক কম দামে।

বন্দরে আটকে থাকা আমদানি করা পণ্যের দ্রুত খালাস নিশ্চিত করতে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসেবে আমদানি নীতি আদেশ ও বিএসটিআইয়ের বাধ্যতামূলক মান পরীক্ষাবিষয়ক বিধিমালায় সংস্কারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো বলছে, যেসব পণ্য বিগত এক দশক মানসম্মতভাবে আমদানি হয়ে আসছে, সেগুলোর জন্য ঝুঁকি বিবেচনায় দ্রুত ছাড়পত্র দেওয়ার নিয়ম তৈরি করা হচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আমদানি নীতি আদেশ, ২০২৪-২০২৭-এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। যেখানে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় তিনটি পৃথক চ্যানেল—গ্রিন, ইয়েলো ও রেড বিস্তৃতভাবে ব্যবহার করা হবে। গ্রিন চ্যানেলের আওতায় আসা পণ্য বন্দরে পৌঁছানোর পর সরাসরি ছাড় করা যাবে। ইয়েলো চ্যানেলে শর্ত সাপেক্ষে পরীক্ষা শেষে ছাড় দেওয়া হবে, আর রেড চ্যানেলের পণ্য বাধ্যতামূলক পরীক্ষার পরই ছাড় পাবে।
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অধিশাখা) মো. আব্দুর রাজ্জাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পণ্য দ্রুত ছাড়ের জন্য কিছু বিধি ও আইন সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে। এ জন্য বাণিজ্যসচিবের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক হবে। সেখানে বিভিন্ন পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হবে।’
বর্তমানে আমদানি নীতি আদেশ, ২০২১-২০২৪ অনুসারে ৭৯টি পণ্যের বিএসটিআই অনুমোদন বাধ্যতামূলক। এর মধ্যে ৩২টি খাদ্যপণ্য এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ও রাসায়নিক দ্রব্য রয়েছে। বিএসটিআই সূত্র জানায়, বৈদ্যুতিক পণ্যের পরীক্ষায় সময় বেশি লাগায় অনেক পণ্য মাসের পর মাস বন্দরে পড়ে থাকে, ফলে আমদানিকারকদের বাড়তি খরচ গুনতে হয়।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, এলইডি লাইট পরীক্ষায় ৯০ কর্মদিবস, ব্যাটারিচালিত পণ্যে ৬০ কর্মদিবস এবং বৈদ্যুতিক লাইটে ২৮ কর্মদিবস সময় লাগে। এই বিলম্ব আমদানিকারকের জন্য আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বিএসটিআই মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেম চালুর উদ্যোগ নিচ্ছি। এনবিআর এই ব্যবস্থায় ১৯টি সংস্থাকে একত্রে সমন্বয় করছে। পাশাপাশি, যেসব পণ্যের মান বিগত ১০ বছরে কখনো প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি, সেসব ক্ষেত্রে ঝুঁকি বিবেচনায় দ্রুত ছাড়ের অনুমোদন দেওয়া হবে। এ জন্য আইন ও বিধিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা হবে।’
তবে ব্যবসায়ীদের অভিজ্ঞতা বলছে, শুধু নীতিমালার সংস্কার নয়; বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আরও জরুরি। পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি হাফেজ এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘আমি ৩০-৪০ বছর ধরে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট আমদানি করছি। তবু আমাদের পণ্য কোনো কারণ ছাড়াই কাস্টমস এক মাস আটকে রেখেছে। শুধু নিয়ম নয়, বাস্তবায়নকারীদের মানসিকতার পরিবর্তনও দরকার।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বিএসটিআই সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অস্থায়ী ছাড়ের ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে, বিশেষ করে বৈদ্যুতিক পণ্যের ক্ষেত্রে। পণ্য আমদানির পর বিএসটিআই পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল না আসা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের গুদামে পণ্য পৌঁছলে সিলগালা করে রাখা হয়। পরবর্তী সময়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তা বাজারজাত করা যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাণিজ্য সহজীকরণের স্বার্থে বন্দরে সময়মতো পণ্য খালাস এখন জরুরি। অথচ বিএসটিআই পরীক্ষা, কাস্টমস-প্রক্রিয়া ও আমদানি নীতির জটিলতা একত্রে মিলে পণ্যের গতি থামিয়ে দিচ্ছে। সরকার যদি বাস্তবমুখী ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে পারে, তাহলে পণ্য খালাসে গতি ফিরবে, ব্যবসায়ী পর্যায়ে খরচ কমবে এবং ভোক্তার হাতেও পণ্য পৌঁছাবে তুলনামূলক কম দামে।

দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে...
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
১১ ঘণ্টা আগে
সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
১২ ঘণ্টা আগে
পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ...
১২ ঘণ্টা আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে না কোনো শাখা, অবকাঠামো বা এটিএম বুথ; গ্রাহকেরা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেই ২৪ ঘণ্টায় যেকোনো সময় পাবেন সব ধরনের ব্যাংকিং সেবা।
নতুন যুগের আবেদনকারীরা
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে ব্রিটিশ বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, ডিজিটাল ব্যাংকিং অব ভুটান-ডিকে, আমার ডিজিটাল ব্যাংক-২২ এমএফআই, ৩৬ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, বুস্ট-রবি, আমার ব্যাংক (প্রস্তাবিত), অ্যাপ ব্যাংক-ফার্মারস, নোভা ডিজিটাল ব্যাংক (বাংলালিংক ও স্কয়ার), মৈত্রী ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, উপকারী ডিজিটাল ব্যাংক, মুনাফা ইসলামী ডিজিটাল ব্যাংক-আকিজ এবং বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক। আবেদনের শেষ সময় ২ নভেম্বর পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে এই ১২ প্রতিষ্ঠানের আবেদন জমা পড়েছে।
মূলধনে বড় শর্ত
২০২৩ সালের ১৪ জুন প্রণীত বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, একটি ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য ন্যূনতম ৩০০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোম্পানি আইন অনুসারে পরিচালিত হতে হবে এবং প্রচলিত ব্যাংকের মতোই সিআরআর (নগদ জমা অনুপাত) ও এসএলআর (বিধিবদ্ধ জমা অনুপাত) বজায় রাখতে হবে।
এই ব্যাংকগুলো বড় বা মাঝারি শিল্পে ঋণ দিতে পারবে না এবং কোনো ধরনের ঋণপত্র (এলসি) খুলতেও পারবে না। কেবল ক্ষুদ্রঋণ, খুচরা পর্যায়ের লেনদেন এবং ডিজিটাল সেবা প্রদানের সুযোগ থাকবে। অনুমোদনের পাঁচ বছরের মধ্যে আইপিও আনতে হবে, যার পরিমাণ উদ্যোক্তাদের প্রাথমিক বিনিয়োগের সমান হতে হবে।
অ্যাপেই পুরো ব্যাংকিং
প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকগুলো হবে সম্পূর্ণ অ্যাপনির্ভর। কোনো শাখা বা এটিএম থাকবে না; বরং গ্রাহকেরা ভার্চুয়াল কার্ড, কিউআর কোড এবং মোবাইল লেনদেনের মাধ্যমে সব সেবা নিতে পারবেন। প্লাস্টিক কার্ডের পরিবর্তে সব লেনদেন হবে ডিজিটাল উপায়ে। গ্রাহকেরা অন্য ব্যাংকের এটিএম বা এজেন্ট সেবা ব্যবহার করতে পারবেন। সব সেবা পরিচালিত হবে বাংলাদেশ পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম রেগুলেশন, ২০১৪-এর আওতায়; যা ডিজিটাল লেনদেনে নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে।
যোগ্যতার কঠোর মানদণ্ড
কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপি ব্যক্তি বা তাঁর পরিবারের সদস্য এই ডিজিটাল ব্যাংকের উদ্যোক্তা হতে পারবেন না। ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হতে ব্যাংকিং পেশায় অন্তত ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া পর্ষদের অন্তত ৫০ শতাংশ সদস্যকে প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং, সাইবার নিরাপত্তা ও উদীয়মান প্রযুক্তি বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে।
ক্যাশলেস সমাজের পথে
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘ডিজিটাল ব্যাংকের লক্ষ্য হলো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়া।’ তিনি জানান, এসব ব্যাংক আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এবং ক্যাশলেস সমাজ গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
যাচাইয়ের পর অনুমোদন
প্রাথমিকভাবে আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর টেকনিক্যাল ও বিজনেস কমিটি নম্বরের ভিত্তিতে যোগ্য প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করবে। নির্ধারিত মানদণ্ডে উত্তীর্ণরা ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ পেয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবে। চূড়ান্ত সনদ পাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে নতুন বছরের প্রথমে শুরু হতে পারে তাদের অপারেশনাল কার্যক্রম।
চ্যালেঞ্জ এখন দক্ষতার
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘প্রথাগত ব্যাংকে ডিজিটাল সেবা হালনাগাদ রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই স্বতন্ত্র ও পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক সময়ের দাবি। তবে এই ব্যাংক পরিচালনায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে দক্ষ জনবল পাওয়া, পাশাপাশি তথ্য-উপাত্ত ব্যবস্থাপনা, জনসচেতনতা ও বিপণন কৌশল তথা নিয়ন্ত্রণ কাঠামো শক্ত রাখা।’

দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে না কোনো শাখা, অবকাঠামো বা এটিএম বুথ; গ্রাহকেরা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেই ২৪ ঘণ্টায় যেকোনো সময় পাবেন সব ধরনের ব্যাংকিং সেবা।
নতুন যুগের আবেদনকারীরা
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে ব্রিটিশ বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, ডিজিটাল ব্যাংকিং অব ভুটান-ডিকে, আমার ডিজিটাল ব্যাংক-২২ এমএফআই, ৩৬ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, বুস্ট-রবি, আমার ব্যাংক (প্রস্তাবিত), অ্যাপ ব্যাংক-ফার্মারস, নোভা ডিজিটাল ব্যাংক (বাংলালিংক ও স্কয়ার), মৈত্রী ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, উপকারী ডিজিটাল ব্যাংক, মুনাফা ইসলামী ডিজিটাল ব্যাংক-আকিজ এবং বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক। আবেদনের শেষ সময় ২ নভেম্বর পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে এই ১২ প্রতিষ্ঠানের আবেদন জমা পড়েছে।
মূলধনে বড় শর্ত
২০২৩ সালের ১৪ জুন প্রণীত বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, একটি ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য ন্যূনতম ৩০০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোম্পানি আইন অনুসারে পরিচালিত হতে হবে এবং প্রচলিত ব্যাংকের মতোই সিআরআর (নগদ জমা অনুপাত) ও এসএলআর (বিধিবদ্ধ জমা অনুপাত) বজায় রাখতে হবে।
এই ব্যাংকগুলো বড় বা মাঝারি শিল্পে ঋণ দিতে পারবে না এবং কোনো ধরনের ঋণপত্র (এলসি) খুলতেও পারবে না। কেবল ক্ষুদ্রঋণ, খুচরা পর্যায়ের লেনদেন এবং ডিজিটাল সেবা প্রদানের সুযোগ থাকবে। অনুমোদনের পাঁচ বছরের মধ্যে আইপিও আনতে হবে, যার পরিমাণ উদ্যোক্তাদের প্রাথমিক বিনিয়োগের সমান হতে হবে।
অ্যাপেই পুরো ব্যাংকিং
প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকগুলো হবে সম্পূর্ণ অ্যাপনির্ভর। কোনো শাখা বা এটিএম থাকবে না; বরং গ্রাহকেরা ভার্চুয়াল কার্ড, কিউআর কোড এবং মোবাইল লেনদেনের মাধ্যমে সব সেবা নিতে পারবেন। প্লাস্টিক কার্ডের পরিবর্তে সব লেনদেন হবে ডিজিটাল উপায়ে। গ্রাহকেরা অন্য ব্যাংকের এটিএম বা এজেন্ট সেবা ব্যবহার করতে পারবেন। সব সেবা পরিচালিত হবে বাংলাদেশ পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম রেগুলেশন, ২০১৪-এর আওতায়; যা ডিজিটাল লেনদেনে নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে।
যোগ্যতার কঠোর মানদণ্ড
কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপি ব্যক্তি বা তাঁর পরিবারের সদস্য এই ডিজিটাল ব্যাংকের উদ্যোক্তা হতে পারবেন না। ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হতে ব্যাংকিং পেশায় অন্তত ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া পর্ষদের অন্তত ৫০ শতাংশ সদস্যকে প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং, সাইবার নিরাপত্তা ও উদীয়মান প্রযুক্তি বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে।
ক্যাশলেস সমাজের পথে
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘ডিজিটাল ব্যাংকের লক্ষ্য হলো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়া।’ তিনি জানান, এসব ব্যাংক আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এবং ক্যাশলেস সমাজ গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
যাচাইয়ের পর অনুমোদন
প্রাথমিকভাবে আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর টেকনিক্যাল ও বিজনেস কমিটি নম্বরের ভিত্তিতে যোগ্য প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করবে। নির্ধারিত মানদণ্ডে উত্তীর্ণরা ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ পেয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবে। চূড়ান্ত সনদ পাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে নতুন বছরের প্রথমে শুরু হতে পারে তাদের অপারেশনাল কার্যক্রম।
চ্যালেঞ্জ এখন দক্ষতার
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘প্রথাগত ব্যাংকে ডিজিটাল সেবা হালনাগাদ রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই স্বতন্ত্র ও পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক সময়ের দাবি। তবে এই ব্যাংক পরিচালনায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে দক্ষ জনবল পাওয়া, পাশাপাশি তথ্য-উপাত্ত ব্যবস্থাপনা, জনসচেতনতা ও বিপণন কৌশল তথা নিয়ন্ত্রণ কাঠামো শক্ত রাখা।’

বন্দরে আটকে থাকা আমদানি করা পণ্যের দ্রুত খালাস নিশ্চিত করতে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসেবে আমদানি নীতি আদেশ ও বিএসটিআইয়ের বাধ্যতামূলক মান পরীক্ষাবিষয়ক বিধিমালায় সংস্কারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো বলছে, যেসব পণ্য বিগত এক দশক মানসম্মতভাবে আমদানি...
০২ জুলাই ২০২৫
দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
১১ ঘণ্টা আগে
সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
১২ ঘণ্টা আগে
পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ...
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
এ বছর প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, জার্মানি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১০টি দেশ থেকে ৪৫ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
এরা মূলত ফ্যাব্রিক মিল (ডেনিম ও নন-ডেনিম), গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক, সুতা উৎপাদক, ওয়াশিং ও লন্ড্রি, অ্যাকসেসরিজ ও ট্রিমস, কেমিক্যালস, মেশিনারি বা প্রযুক্তি এবং লজিস্টিকস ক্যাটাগরিতে পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে।

দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
এ বছর প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, জার্মানি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১০টি দেশ থেকে ৪৫ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
এরা মূলত ফ্যাব্রিক মিল (ডেনিম ও নন-ডেনিম), গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক, সুতা উৎপাদক, ওয়াশিং ও লন্ড্রি, অ্যাকসেসরিজ ও ট্রিমস, কেমিক্যালস, মেশিনারি বা প্রযুক্তি এবং লজিস্টিকস ক্যাটাগরিতে পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে।

বন্দরে আটকে থাকা আমদানি করা পণ্যের দ্রুত খালাস নিশ্চিত করতে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসেবে আমদানি নীতি আদেশ ও বিএসটিআইয়ের বাধ্যতামূলক মান পরীক্ষাবিষয়ক বিধিমালায় সংস্কারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো বলছে, যেসব পণ্য বিগত এক দশক মানসম্মতভাবে আমদানি...
০২ জুলাই ২০২৫
দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে...
৮ ঘণ্টা আগে
সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
১২ ঘণ্টা আগে
পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ...
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
আজ মঙ্গলবার সংস্থার চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৮০ তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিএসইসি জানায়, ‘আইএফআইসি গ্যারান্টিড শ্রীপুর টাউনশীপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড’ শীর্ষক ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অভিহিত মূল্যের ও ১ হাজার কোটি টাকা ইস্যু মূল্যের বন্ডটির জামিনদার (গ্যারান্টার) হিসেবে আইএফআইসি ব্যাংক এবং অ্যাডভাইজার ও অ্যারেঞ্জার হিসেবে আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড দায়িত্ব পালন করেছে। আইএফআইসি ব্যাংক ওই বন্ড ইস্যু করেনি। মূলত রিয়েল এস্টেট কোম্পানি শ্রীপুর টাউনশীপ লিমিটেড (এসটিএল) ওই বন্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেছে। কিন্তু বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে বন্ডের নাম হিসেবে ‘আইএফআইসি আমার বন্ড’ নামটি ব্যবহার করা হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীকে ধারণা দেয় যে, এ বন্ড আইএফআইসি ব্যাংক ইস্যু করেছে; কিন্তু ব্যাংকটি ছিল মূলত বন্ডটির জামিনদার। এভাবে বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা হয়।
বিএসইসি এও জানায়, এর আগে ৯৬৫ তম কমিশন সভায় ওই বন্ডের অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। একই অপরাধে এবার ব্যাংকের তৎকালীন এমডি শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কমিশন।

সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
আজ মঙ্গলবার সংস্থার চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৮০ তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিএসইসি জানায়, ‘আইএফআইসি গ্যারান্টিড শ্রীপুর টাউনশীপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড’ শীর্ষক ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অভিহিত মূল্যের ও ১ হাজার কোটি টাকা ইস্যু মূল্যের বন্ডটির জামিনদার (গ্যারান্টার) হিসেবে আইএফআইসি ব্যাংক এবং অ্যাডভাইজার ও অ্যারেঞ্জার হিসেবে আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড দায়িত্ব পালন করেছে। আইএফআইসি ব্যাংক ওই বন্ড ইস্যু করেনি। মূলত রিয়েল এস্টেট কোম্পানি শ্রীপুর টাউনশীপ লিমিটেড (এসটিএল) ওই বন্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেছে। কিন্তু বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে বন্ডের নাম হিসেবে ‘আইএফআইসি আমার বন্ড’ নামটি ব্যবহার করা হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীকে ধারণা দেয় যে, এ বন্ড আইএফআইসি ব্যাংক ইস্যু করেছে; কিন্তু ব্যাংকটি ছিল মূলত বন্ডটির জামিনদার। এভাবে বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা হয়।
বিএসইসি এও জানায়, এর আগে ৯৬৫ তম কমিশন সভায় ওই বন্ডের অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। একই অপরাধে এবার ব্যাংকের তৎকালীন এমডি শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কমিশন।

বন্দরে আটকে থাকা আমদানি করা পণ্যের দ্রুত খালাস নিশ্চিত করতে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসেবে আমদানি নীতি আদেশ ও বিএসটিআইয়ের বাধ্যতামূলক মান পরীক্ষাবিষয়ক বিধিমালায় সংস্কারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো বলছে, যেসব পণ্য বিগত এক দশক মানসম্মতভাবে আমদানি...
০২ জুলাই ২০২৫
দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে...
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
১১ ঘণ্টা আগে
পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ...
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় মার্কিন তুলা রপ্তানিকারক সংগঠন কটন ইউএসএর এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি তুলে ধরে বিজিএমইএ। বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকে মার্কিন তুলার ব্যবহার বৃদ্ধি এবং ঘোষিত শুল্ক সুবিধা বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান ও পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা। মার্কিন প্রতিনিধিদলে ছিলেন ইকমের লি ইন, কারগিলের ক্রিস্টা রিকম্যান, এলডিসির ডিয়েগো লোজাদা, ওলাম এগ্রির ওয়েসলি রেন্টজ, ক্যারোলিনা কটন গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েন বোসম্যানসহ আরও অনেকে।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নতুন শুল্কছাড় বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের জন্য এক বড় সুযোগ। কিন্তু এই সুবিধা কার্যকরভাবে পেতে কারখানাগুলোকে কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে, সে বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যাখ্যা পাওয়া গেলে উদ্যোক্তারা প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
মাহমুদ হাসান খান বলেন, বর্তমানে আমদানি করা তুলার প্রায় ১০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে, যা দ্বিগুণ বা ৩ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। তবে এ জন্য প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ও সুচিন্তিত কৌশলগত পদক্ষেপ। মার্কিন তুলার উচ্চ গুণগত মান ও তুলনামূলক সুবিধার বিষয়ে গবেষণা করে সুতা উৎপাদনকারীদের তথ্য সরবরাহ করা হলে তাঁরা আমদানি বাড়াতে উৎসাহিত হবেন।

পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় মার্কিন তুলা রপ্তানিকারক সংগঠন কটন ইউএসএর এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি তুলে ধরে বিজিএমইএ। বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকে মার্কিন তুলার ব্যবহার বৃদ্ধি এবং ঘোষিত শুল্ক সুবিধা বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান ও পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা। মার্কিন প্রতিনিধিদলে ছিলেন ইকমের লি ইন, কারগিলের ক্রিস্টা রিকম্যান, এলডিসির ডিয়েগো লোজাদা, ওলাম এগ্রির ওয়েসলি রেন্টজ, ক্যারোলিনা কটন গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েন বোসম্যানসহ আরও অনেকে।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নতুন শুল্কছাড় বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের জন্য এক বড় সুযোগ। কিন্তু এই সুবিধা কার্যকরভাবে পেতে কারখানাগুলোকে কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে, সে বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যাখ্যা পাওয়া গেলে উদ্যোক্তারা প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
মাহমুদ হাসান খান বলেন, বর্তমানে আমদানি করা তুলার প্রায় ১০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে, যা দ্বিগুণ বা ৩ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। তবে এ জন্য প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ও সুচিন্তিত কৌশলগত পদক্ষেপ। মার্কিন তুলার উচ্চ গুণগত মান ও তুলনামূলক সুবিধার বিষয়ে গবেষণা করে সুতা উৎপাদনকারীদের তথ্য সরবরাহ করা হলে তাঁরা আমদানি বাড়াতে উৎসাহিত হবেন।

বন্দরে আটকে থাকা আমদানি করা পণ্যের দ্রুত খালাস নিশ্চিত করতে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসেবে আমদানি নীতি আদেশ ও বিএসটিআইয়ের বাধ্যতামূলক মান পরীক্ষাবিষয়ক বিধিমালায় সংস্কারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো বলছে, যেসব পণ্য বিগত এক দশক মানসম্মতভাবে আমদানি...
০২ জুলাই ২০২৫
দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে...
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
১১ ঘণ্টা আগে
সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
১২ ঘণ্টা আগে