নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশ থেকে রেকর্ডসংখ্যক শ্রমিক বিদেশে গেলেও রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় আশানুরূপ বাড়েনি। ২০২৩ সালে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৯২ কোটি (২১ দশমিক ৯২ বিলিয়ন) ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা, যা তার আগের বছরের চেয়ে ৬৩ কোটি ডলার বা ২ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেশি। এর আগে ২০২২ সালে ১২ মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১২৯ কোটি (২১ দশমিক ২৯ বিলিয়ন)। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স। তার আগের বছর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এসেছিল ১৭০ কোটি ডলার। অর্থাৎ আগের বছরের একই মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৯ কোটি ডলার।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যে হারে দেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানি হচ্ছে, সে হারে রেমিট্যান্স বাড়েনি। কারণ, ডলারের দাম বেশি পাওয়া ও পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ হওয়ায় হুন্ডি বা অনানুষ্ঠানিকভাবে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত হচ্ছেন প্রবাসীরা। ফলে আশানুরূপ রেমিট্যান্স আসেনি। ১ কোটি ২০ লাখ প্রবাসীর পাঠানো কষ্টার্জিত অর্থ দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করছে। ডলারের তীব্র সংকটের কারণে এলসি খুলতে সমস্যা হচ্ছে অনেক ব্যাংকের। এমন পরিস্থিতিতে বছরের শেষ দিকে বেশি দামে রেমিট্যান্স কেনার সুযোগ দেওয়া হয়। এতে করে কিছু কিছু ব্যাংক নির্ধারিত দামের চেয়ে ১০ থেকে ১২ টাকা বেশি দিয়ে প্রবাসী আয় কিনেছে। যার কারণে বছরের শেষ সময় রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। তা না হলে এবারও প্রবাসী আয় কম হতো। ব্যাংকগুলো এখন ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা দামে প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ের ডলার কিনছে। আর আমদানিকারকদের কাছে বিক্রির ক্ষেত্রে ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম হচ্ছে ১১০ টাকা। তবে কয়েকটি ব্যাংক সংকটের কারণে রেমিট্যান্সের ডলার কিনেছে ১২৩ থেকে ১২৪ টাকা দরে।
তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২৩ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স আসে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মেতে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি, সেপ্টেম্বরে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি এবং ডিসেম্বরে ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, রেমিট্যান্স বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যার ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে। বেড়েছে রেমিট্যান্স, সামনে আরও বাড়বে। এতে রিজার্ভের উন্নতি ঘটবে। দেশ সমৃদ্ধ হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১২৯ কোটি, ২০২১ সালে ছিল ২ হাজার ২০৭ কোটি ডলার। ২০২০ সালে রেমিট্যান্স আসে ২ হাজার ১৭৪ কোটি মার্কিন ডলার। ২০১৯ সালে আসে ১ হাজার ৮৩৩ কোটি ডলার। এর আগে ২০১৮ সালে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৫৫৫ কোটি ডলার। ২০১৭ সালে ১ হাজার ৩৫৩ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। ২০১৬ সালে ছিল ১ হাজার ৩৬১ কোটি ডলার। ২০১৫ সালে এসেছে ১ হাজার ৫৩১ কোটি ডলার। আর ২০১৪ সালে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪৯২ কোটি ডলার।
দেশ থেকে রেকর্ডসংখ্যক শ্রমিক বিদেশে গেলেও রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় আশানুরূপ বাড়েনি। ২০২৩ সালে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৯২ কোটি (২১ দশমিক ৯২ বিলিয়ন) ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা, যা তার আগের বছরের চেয়ে ৬৩ কোটি ডলার বা ২ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেশি। এর আগে ২০২২ সালে ১২ মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১২৯ কোটি (২১ দশমিক ২৯ বিলিয়ন)। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স। তার আগের বছর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এসেছিল ১৭০ কোটি ডলার। অর্থাৎ আগের বছরের একই মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৯ কোটি ডলার।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যে হারে দেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানি হচ্ছে, সে হারে রেমিট্যান্স বাড়েনি। কারণ, ডলারের দাম বেশি পাওয়া ও পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ হওয়ায় হুন্ডি বা অনানুষ্ঠানিকভাবে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত হচ্ছেন প্রবাসীরা। ফলে আশানুরূপ রেমিট্যান্স আসেনি। ১ কোটি ২০ লাখ প্রবাসীর পাঠানো কষ্টার্জিত অর্থ দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করছে। ডলারের তীব্র সংকটের কারণে এলসি খুলতে সমস্যা হচ্ছে অনেক ব্যাংকের। এমন পরিস্থিতিতে বছরের শেষ দিকে বেশি দামে রেমিট্যান্স কেনার সুযোগ দেওয়া হয়। এতে করে কিছু কিছু ব্যাংক নির্ধারিত দামের চেয়ে ১০ থেকে ১২ টাকা বেশি দিয়ে প্রবাসী আয় কিনেছে। যার কারণে বছরের শেষ সময় রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। তা না হলে এবারও প্রবাসী আয় কম হতো। ব্যাংকগুলো এখন ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা দামে প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ের ডলার কিনছে। আর আমদানিকারকদের কাছে বিক্রির ক্ষেত্রে ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম হচ্ছে ১১০ টাকা। তবে কয়েকটি ব্যাংক সংকটের কারণে রেমিট্যান্সের ডলার কিনেছে ১২৩ থেকে ১২৪ টাকা দরে।
তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২৩ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স আসে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মেতে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি, সেপ্টেম্বরে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি এবং ডিসেম্বরে ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, রেমিট্যান্স বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যার ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে। বেড়েছে রেমিট্যান্স, সামনে আরও বাড়বে। এতে রিজার্ভের উন্নতি ঘটবে। দেশ সমৃদ্ধ হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১২৯ কোটি, ২০২১ সালে ছিল ২ হাজার ২০৭ কোটি ডলার। ২০২০ সালে রেমিট্যান্স আসে ২ হাজার ১৭৪ কোটি মার্কিন ডলার। ২০১৯ সালে আসে ১ হাজার ৮৩৩ কোটি ডলার। এর আগে ২০১৮ সালে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৫৫৫ কোটি ডলার। ২০১৭ সালে ১ হাজার ৩৫৩ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। ২০১৬ সালে ছিল ১ হাজার ৩৬১ কোটি ডলার। ২০১৫ সালে এসেছে ১ হাজার ৫৩১ কোটি ডলার। আর ২০১৪ সালে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪৯২ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত আমদানির ঘোষণার দেওয়ার পরপরই ভারতে হু হু করে বাড়ছে চালের দাম। গত দু’দিনে ভারতের বাজারে চালের দাম প্রায় ১৪ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে ৫ লাখ টন চাল আমদানির ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
১ দিন আগেনিষেধাজ্ঞা শেষে গত ১ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ইলিশ ধরার মৌসুম, যা চলবে আগস্টের শেষ পর্যন্ত। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হলো—ভরা মৌসুমেও সাগর-নদী থেকে জেলেরা প্রত্যাশিত ইলিশ পাচ্ছেন না। প্রতিবছর এই সময় দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জেলেরা রুপালি ইলিশ শিকারে ব্যস্ত সময়...
১ দিন আগেটেকসই কৃষি উন্নয়নের অংশ হিসেবে রংপুর অঞ্চলে ‘আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে টেকসই কৃষি উন্নয়ন’ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪২ কোটি ৯৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে রংপুর বিভাগের ৫ জেলার গ্রামীণ দারিদ্র্য কমবে, টেকসই কৃষি...
১ দিন আগেব্র্যাক ব্যাংকের স্মার্ট ব্যাংকিং অ্যাপ ‘আস্থা’ সম্প্রতি ১০ লাখ গ্রাহকের মাইলফলক অর্জন করেছে। একই সঙ্গে, ২০২৫ সালের জুলাই মাসে এই অ্যাপের মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে মাসিক অ্যাপ-ভিত্তিক লেনদেনের একটি নতুন রেকর্ড।
১ দিন আগে