ঋণের বোঝায় জর্জরিত ছিল জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। বিশ্লেষকদের মতে, এর মূল কারণ ছিল মাত্রাতিরিক্ত অনিয়ম-দুর্নীতি এবং অযৌক্তিক প্রকল্প গ্রহণ। সরকারি তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুন পর্যন্ত সরকারের দেশি-বিদেশি মোট ঋণের স্থিতি ছিল ১৮ লাখ ৩২ হাজার ২৮২ কোটি টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের ট্রেজারি ও ঋণব্যবস্থাপনা শাখা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সরকারি ঋণের এ হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
উল্লিখিত ঋণের মধ্যে সরকার দেশীয় উৎস থেকে নিয়েছে ১০ লাখ ২০ হাজার ২০৫ কোটি, আর বিদেশি উৎস থেকে নিয়েছে ৮ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দুই মাস আগে এ ছিল দেশের ওপর চেপে থাকা ঋণের বোঝার চিত্র।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিপুল অঙ্কের সরকারি ঋণের এ পরিস্থিতি মুদ্রাস্ফীতিকে উসকে দিচ্ছে এবং সামাজিক সুরক্ষা খাতে ব্যয় সংকুচিত করছে। ফলে সমাজে বৈষম্য আরও প্রকট হয়ে উঠছে। এটি দেশের সার্বিক উন্নয়ন এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের হিসাব অনুযায়ী টাকার অঙ্কে মোট দেশজ উৎপাদনের ৩৬ দশমিক ৩০ শতাংশই ঋণের অর্থ। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ২০ দশমিক ২১ শতাংশ এবং বাকি ১৬ দশমিক ০৯ শতাংশ বিদেশি ঋণ। এর আগে ৩০ জুন পর্যন্ত হিসাবে ২০২৩ সালে ঋণের স্থিতি ছিল ৯ লাখ ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৩১৩ কোটি, ২০২২ সালে ছিল ১৩ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৩ কোটি এবং ২০২১ সালে ১১ লাখ ৪৪ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা।
অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা অবশ্য দাবি করেছেন, ঋণের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হলেও তা আশঙ্কাজনক নয়। এটি আইএমএফের মানদণ্ড ৪০ শতাংশের নিচেই রয়েছে।
আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার সময় দেশি-বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ২ লাখ ৭৬ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। ওই সময় বিদেশি ঋণের স্থিতি বেশি ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনের শেষদিকে এসে তা উল্টে যায়। এ সময়ে অবশ্য মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকারও বাড়ে। ২০২৪ সালের জুনের শেষে শুধু ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নেওয়া ঋণের অঙ্ক ছিল ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা। বাকি ঋণ নেওয়া হয়েছে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের বিপরীতে। এ ছাড়া সঞ্চয়পত্র ও সাধারণ ভবিষ্য তহবিলের বিপরীতেও রয়েছে বড় অঙ্কের ঋণ।
ঋণের বোঝায় জর্জরিত ছিল জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। বিশ্লেষকদের মতে, এর মূল কারণ ছিল মাত্রাতিরিক্ত অনিয়ম-দুর্নীতি এবং অযৌক্তিক প্রকল্প গ্রহণ। সরকারি তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুন পর্যন্ত সরকারের দেশি-বিদেশি মোট ঋণের স্থিতি ছিল ১৮ লাখ ৩২ হাজার ২৮২ কোটি টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের ট্রেজারি ও ঋণব্যবস্থাপনা শাখা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সরকারি ঋণের এ হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
উল্লিখিত ঋণের মধ্যে সরকার দেশীয় উৎস থেকে নিয়েছে ১০ লাখ ২০ হাজার ২০৫ কোটি, আর বিদেশি উৎস থেকে নিয়েছে ৮ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দুই মাস আগে এ ছিল দেশের ওপর চেপে থাকা ঋণের বোঝার চিত্র।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিপুল অঙ্কের সরকারি ঋণের এ পরিস্থিতি মুদ্রাস্ফীতিকে উসকে দিচ্ছে এবং সামাজিক সুরক্ষা খাতে ব্যয় সংকুচিত করছে। ফলে সমাজে বৈষম্য আরও প্রকট হয়ে উঠছে। এটি দেশের সার্বিক উন্নয়ন এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের হিসাব অনুযায়ী টাকার অঙ্কে মোট দেশজ উৎপাদনের ৩৬ দশমিক ৩০ শতাংশই ঋণের অর্থ। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ২০ দশমিক ২১ শতাংশ এবং বাকি ১৬ দশমিক ০৯ শতাংশ বিদেশি ঋণ। এর আগে ৩০ জুন পর্যন্ত হিসাবে ২০২৩ সালে ঋণের স্থিতি ছিল ৯ লাখ ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৩১৩ কোটি, ২০২২ সালে ছিল ১৩ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৩ কোটি এবং ২০২১ সালে ১১ লাখ ৪৪ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা।
অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা অবশ্য দাবি করেছেন, ঋণের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হলেও তা আশঙ্কাজনক নয়। এটি আইএমএফের মানদণ্ড ৪০ শতাংশের নিচেই রয়েছে।
আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার সময় দেশি-বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ২ লাখ ৭৬ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। ওই সময় বিদেশি ঋণের স্থিতি বেশি ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনের শেষদিকে এসে তা উল্টে যায়। এ সময়ে অবশ্য মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকারও বাড়ে। ২০২৪ সালের জুনের শেষে শুধু ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নেওয়া ঋণের অঙ্ক ছিল ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা। বাকি ঋণ নেওয়া হয়েছে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের বিপরীতে। এ ছাড়া সঞ্চয়পত্র ও সাধারণ ভবিষ্য তহবিলের বিপরীতেও রয়েছে বড় অঙ্কের ঋণ।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশকে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির আওতায় মোট ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়ে সম্মতি দিয়েছে। আইএমএফ বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে এই অর্থ জুন মাসেই একসঙ্গে ছাড় হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
৩৯ মিনিট আগেসংবাদ সম্মেলনে গভর্নর আশ্বস্ত করে বলেন, রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয়ের (রেমিট্যান্স) উচ্চ প্রবাহ থাকায় বাজারভিত্তিক মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় ডলারের দর উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে না। এই পদক্ষেপের ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যবস্থাপনা আরও কার্যকর হবে এবং দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হবে।
১ ঘণ্টা আগেসিগারেটের বর্তমান কর চার স্তর কমিয়ে তিন স্তরে নামানো এবং প্রতি শলাকার দাম কমপক্ষে ৯ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করেছেন অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা। উন্নয়ন সমন্বয়ের আয়োজনে ‘বাংলাদেশে সিগারেটের করকাঠামো পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক সেমিনারে তাঁরা বলেন, জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সিগারেটের করকাঠামো ঢেলে সাজানো...
২ ঘণ্টা আগেদেশের বিভিন্ন কর অঞ্চল ও কাস্টমস হাউসে কলম বিরতি চলছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে সরেজমিনে দেখা যায়, কর্মকর্তারা যথারীতি দপ্তরে এসেছেন। তবে কোনো দাপ্তরিক কাজ করছেন না তাঁরা। কেবল বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এনবিআরের কর, শুল্ক ও মূসক নীতি বিভাগের কর্মকর্তারা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে