Ajker Patrika

সংকটের অজুহাতে মাদারীপুরে মুরগির দাম বৃদ্ধি

প্রতিনিধি, মাদারীপুর
সংকটের অজুহাতে মাদারীপুরে মুরগির দাম বৃদ্ধি

রমজানকে সামনে রেখে মাদারীপুরে সব ধরনের মুরগির দাম আরেক দফা বেড়েছে। প্রায় ২ মাসের ব্যবধানে বিভিন্ন জাতের মুরগীর দাম এর আগেই বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণ হারে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে আরেক দফা দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। একই অবস্থা লাল লেয়ার মুরগির ক্ষেত্রেও। অন্যদিকে, কক মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মুরগি সংকটের অজুহাতে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে ভোক্তাদের।

পুরান বাজারের এক ব্যবসায়ী মোহাম্মাদ শহিদুল ইসলাম লস্কর বলেন, ব্রয়লার মুরগির কেজি আগে বিক্রি করেছি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। তা এখন ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাল লেয়ার মুরগি ২০০ থেকে ২৪০ টাকা, কক মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, সোনালী মুরগী ৩৫০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা কেজি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে সামনে মুরগির সরবরাহ বাড়লে দাম কমার সম্ভাবনা আছে।

কুলপদ্ধী বাজারের মুরগি বিক্রেতা বাবুল মিয়া বলেন, পুরানবাজারের চেয়ে এলাকার বাজারে দাম আরও বাড়তি। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করছি ১৬৫ টাকা কেজি, যা গেলো শুক্রবার ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায় বিক্রি করেছি। বেশি বেড়েছে লাল লেয়ারের দাম। লাল মুরগি ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। শুক্রবারও যা ২০০ থেকে ২১০ টাকা ছিল। খুচরায় দাম বাড়ানো হয়নি। এবার রোজার অনেক আগেই দাম বাড়তি। এ সময় গরুর মাংসের চাহিদা বেশি থাকে। কিন্তু গরুর মাংসের দাম অনেক বেশি হওয়ায় এবার মুরগির চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু সে তুলনায় মুরগির সরবরাহ নেই বাজারে। 

পুরান বাজারে আসা এক ক্রেতা রহিম উদ্দিন জানান, এগুলো ব্যবসায়ীদের অজুহাত। গরুর মাংস কিনে খাওয়ার সামর্থ্য নেই আমাদের। তাই বাধ্য হয়ে মুরগি কিনতে হচ্ছে। আর এ সুযোগে দাম বাড়ানো হয়েছিলো। রমজানকে সামনে রেখে আরেক দফা আবারো দাম বাড়ানো হয়েছে। যেসব ব্যবসায়ী জনগণকে জিম্মি করে অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়ায়, তাদের শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন বলেও জানান তিনি। 

মাদারীপুর পোল্ট্রি খামার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমন বেপারী বলেন, মাদারীপুরে মুরগীর বাচ্চা উৎপাদনের জন্য কোন হ্যাচারি নেই। তাই বিভিন্ন জেলা থেকে মুরগীর বাচ্চা এনে লালন পালন করে বড় করতে হয়। তাছাড়া বাজারে মুরগীর খাবারের দাম বেশি। ফলে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ার কারণে মুরগীর দামও বেড়ে যায়। এছাড়াও বাচ্চার দাম নির্ধারিত না থাকায় দামের ব্যাপারে চলছে স্বেচ্ছাচারিতা। বর্তমানে জেলায়  ব্রয়লার ৪০০টি, লেয়ার ৪০টি এবং সোনালী ৩০০টি ফার্ম রয়েছে। 

এ ব্যাপারে মাদারীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: এ কে এম আনোয়ারুল হক জানান, বাগেরহাট  সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জ থেকে মুরগি আমদানি করতে হয়। বিধায় আমদানি খরচ বাড়ে এবং করোনা প্রভাবে মুরগির সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিভিন্ন জাতের মুরগির দাম কিছুটা বেশি। তবে মাদারীপুরে মুরগির বাচ্চা উৎপাদনের জন্য হ্যাচারি বাড়ানোর উদ্দেশে উদ্যোক্তার নিয়ে নতুন প্রজেক্ট করা হবে বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত