Ajker Patrika

সুষম বাজেট চান ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৪ এপ্রিল ২০২৩, ১৭: ৪০
সুষম বাজেট চান ব্যবসায়ীরা

ব্যবসায়ীরা কর ও ভ্যাট দিতে নানা জটিলতার শিকার হচ্ছেন। কর আদায়ের নামে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা হয়রানি করছেন। এ জন্য কর ও ভ্যাটে সহজ পদ্ধতির দরকার, যাতে হয়রানি কমে আসে। পাশাপাশি ব্যবসা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য কর ও ভ্যাটে বিশেষ সুবিধা দিতে হবে। তা না হলে ব্যবসায়ীদের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। আর বেসরকারি খাতে সুবিধা না বাড়ালে কর্মসংস্থান সৃষ্টি বাধাগ্রস্ত হবে, যা উন্নয়নের অন্তরায়ে পরিণত হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি (এফবিসিসিআই) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) যৌথভাবে আয়োজিত বাজেট পরামর্শক সভায় ব্যবসায়ীরা এসব দাবি তুলে ধরেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে ব্যবসায়ীরা চ্যালেঞ্জের মধ্যে সময় পার করছেন। এ জন্য করপোরেট কর কমাতে হবে। আর সরকারের আয় বৃদ্ধির জন্য কর ও ভ্যাটের আওতা বাড়াতে হবে। এমনকি উপজেলা পর্যন্ত ভ্যাট অফিসের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা যেতে পারে। পাশাপাশি ভ্যাট আইন সহজ করতে হবে, যাতে মানুষ উৎসাহ পায়। এ ছাড়া আগাম করের জন্য শিল্প উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পায়। এ জন্য আগাম কর প্রত্যাহার করতে হবে।

মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে সরবরাহের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রদানের বিধান রয়েছে, যা ব্যবসার খরচ বহনের ক্ষেত্রে বোঝা হয়ে যায়। পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে ভ্যাট কমিয়ে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে।  

বারভিডার সাবেক সভাপতি আব্দুল হক বলেন, ‘বর্তমানে ডলার সংকট চলছে। এ অবস্থায় আমাদের টিকে থাকা কঠিন। সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে কোনোভাবে বডিযুক্ত গাড়ি আমদানি না হয়। গাড়ি আমদানিতে কর কমাতে হবে।’

রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, দেশে খাদ্যের দাম বেড়েছে। তার ওপর খাবারে ভ্যাট আদায় নিয়ে জবরদস্তি অবস্থা চলছে। রেস্তোরাঁ ব্যবসার স্বার্থে ভ্যাট কমাতে হবে। তা না হলে মানুষ বড় রেস্তোরাঁয় যাবে না। একপর্যায়ে বন্ধ হবে যাবে।

বিটিএময়ের সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, দেশের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য পূরণে ব্যাকওয়ার্ড শিল্পের অবদান রয়েছে। এ খাতকে শক্তিশালী করতে বিদেশি ব্যান্ডের পণ্যের চেয়ে দেশি পণ্যে করছাড় দিতে হবে।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন মতি বলেন, বাংলাদেশের গার্মেন্টস এক্সেসরিজ উৎপাদন খাত বর্তমানে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেনটিফিকেশনের (আরএফআইডি) মতো সরবরাহ চক্রে ট্র্যাকিংয়ের কাজে ব্যবহৃত স্মার্ট পণ্য (কম্পোনেন্ট) উৎপাদন করছে। উন্নততর পণ্যের এ তালিকায় আরও যুক্ত হয়েছে পরিবেশবান্ধব পচনশীল বা বায়োডিগ্রেডেবল প্যাকেজিং। ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ এ শিল্প রপ্তানিযোগ্য পোশাক পণ্যের ৯০ শতাংশ দরকারি এক্সেসরিজ সরবরাহ করছে। এখন খাতটি বিশ্ববাজারের চাহিদা পূরণের একটি হাব হয়ে ওঠার সম্ভাবনা দেখছে। এ খাতে নতুন বিনিয়োগ আসছে। তবে কর ও ভ্যাট কমালে বিনিয়োগ সম্ভাবনা বাড়বে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফোন-ইন্টারনেট ভাতা পাচ্ছেন মাঠ প্রশাসনের সব কর্মচারী

ভাড়া বাড়িতে চলা ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

পিপির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ৪৯ জন সহকারী পিপির

জোবাইদার নিরাপত্তার নামে প্রতিবেশীদের বিরক্ত না করার নির্দেশ তারেক রহমানের

শান্ত যে কারণে টি-টোয়েন্টি দলে, মিরাজ কেন নেই

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত