Ajker Patrika

ক্রিপটোর বাজারে কেন আবার ধস নেমেছে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: এএফপি
ছবি: এএফপি

ক্রিপটোকারেন্সি বাজারে গত ছয় সপ্তাহে এক ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি বাজারমূল্য উড়ে গেছে। বিষয়টি অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি এই বাজারের নতুনদেরও চরম হতাশার মুখে ফেলেছে। এমনিতেই অস্থিরতার জন্য কুখ্যাত ক্রিপটো বাজার, কিন্তু এবার পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সিএনএন বলেছে—গত অক্টোবরের শুরুর দিকে বিটকয়েনের দাম যখন ইতিহাসের সর্বোচ্চ ১ লাখ ২৬ হাজার ডলারে পৌঁছায়, তখন অনেকেই ভেবেছিলেন বাজার আরও ঊর্ধ্বমুখী হবে। কিন্তু এরপর থেকেই শুরু হয় দ্রুত পতন!

গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিটকয়েনের মূল্য কমে ৮১ হাজার ডলারেরও নিচে নেমে যায়। তবে সপ্তাহান্তে সামান্য ঘুরে দাঁড়িয়েছে এই বাজার। সোমবার (২৪ নভেম্বর) ৮৮ হাজার ডলারের ওপরে উঠে আসে এই মূল্য।

তারপরও বিশ্লেষকদের মতে, ক্রিপটোর দাম এখনো সামগ্রিকভাবে নিম্নমুখী। এই মাসটি ক্রিপটোর ইতিহাসে অন্যতম খারাপ সময় হিসেবে দাঁড়িয়েছে। ডয়চে ব্যাংকের বিশ্লেষকদের মতে, এবারের ধস আগের ধসগুলোর মতো শুধু খুচরা বিনিয়োগকারীদের জল্পনা থেকে তৈরি হয়নি। বরং এবার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ, নীতিনির্ধারকদের সিদ্ধান্ত এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে।

এই ধসের অন্যতম বড় কারণ হলো মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানো নিয়ে অনিশ্চয়তা। প্রযুক্তি শেয়ার ও ডিজিটাল অ্যাসেট—উভয়ই সুদের হারের পরিবর্তনে অত্যন্ত সংবেদনশীল। বিনিয়োগকারীরা এখন দ্বিধায় আছেন—ফেড কি দ্রুত সুদ কমাবে, নাকি পরিস্থিতি আরও কঠোর হবে? পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে সম্ভাব্য বুদ্‌বুদ ফেটে যাওয়ার আশঙ্কাও বাজারে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে।

এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ১০ অক্টোবরের আকস্মিক ‘ফ্ল্যাশ ক্র্যাশ’। সেদিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের ইঙ্গিত দিলে বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অতিমাত্রায় লিভারেজ নেওয়া বিনিয়োগকারীদের অবস্থান স্বয়ংক্রিয়ভাবে লিকুইডেট হতে থাকে। একদিনেই বাজার থেকে উবে যায় ১৯ বিলিয়ন ডলার। অনেক বিনিয়োগকারী তখনই বাজার ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন, যার ফলে পতন আরও বেড়ে যায়।

আরেকটি বিষয় হলো—গত বছর অনুমোদিত স্পট বিটকয়েন ফান্ডের মাধ্যমে মূলধারার বিনিয়োগকারীদের বিশাল অর্থপ্রবাহ ঘটেছিল। তাঁরা ক্রিপটোর ভাবধারায় আস্থাশীল নন; বরং এটিকে শেয়ার বা অন্যান্য উচ্চ ঝুঁকির সম্পদের মতোই দেখেন। ফলে সামান্য অস্থিরতাতেই তাঁরা বাজার থেকে সরে যান, যা চাপ আরও বাড়িয়ে দেয়।

‘ইন্টারঅ্যাকটিভ ব্রোকার্স’ এর প্রধান কৌশলবিদ স্টিভ সসনিক বলেন, ‘বিটকয়েন এখন মূলধারার বিনিয়োগকারীদের হাতে, আর তারা এটাকে সাধারণ ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ হিসেবেই দেখছেন।’ তাই বাজারে অস্থিরতা আরও কিছুদিন থাকতে পারে—এমন ইঙ্গিতই দিচ্ছে বর্তমান পরিস্থিতি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...