চলতি বছরে এশিয়ার সবচেয়ে দুর্বলতম মুদ্রা হতে চলেছে পাকিস্তানি রুপি। ২০২৪ সালের প্রথমদিকেও একই অবস্থানে থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ বছর ডলারের বিপরীতে রুপির অবমূল্যায়ন হয়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সমস্যার সমাধান এখনো হয়নি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিকস টাইমস এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
লন্ডনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিএমআই আশা করছে, আগামী বছরের শেষ নাগাদ ১ ডলার সমান ৩৫০ রুপি হয়ে যাবে। তবে করাচি-ভিত্তিক ব্রোকারেজ টপলাইন সিকিউরিটিজ লিমিটেড বলছে, এটি ১ ডলার প্রতি অবমূল্যায়ন হবে ৩২৪ রুপি। এদিকে সর্বশেষ গত সোমবার ১ ডলার কিনতে ২৮৫ দশমিক ৬৪ লেগেছে।
ফিচ সলিউশন কোম্পানি বিএমআইয়ের বৈশ্বিক অর্থনীতিবিদ জন অ্যাশবার্ন বলেছেন, ‘রুপির অবমূল্যায়ন আরও হবে বলে মনে হচ্ছে।’ পাকিস্তানের উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং বাণিজ্য ঘাটতি রুপির অবমূল্যায়নের কারণ উল্লেখ করেছেন তিনি।
পাকিস্তানের উচ্চমাত্রার ঋণ পরিশোধের চাপ এবং একটি বৈদেশিক তহবিল সংকট রুপির ওপর চাপ সৃস্টি করছে। দেশটি এই বছর দেউলিয়ার দ্বারপ্রান্তে ছিল। এ ছাড়া বৈদেশিক বিনিয়োগ হ্রাস এবং এশিয়ার দ্রুততম মুদ্রাস্ফীতির হার আরও সংকটে ফেলেছে পাকিস্তানকে। রেমিট্যান্সও কমে যাওয়ায় ডলারের জন্য বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এই মাসে ৭০০ মিলিয়ন ডলার ঋণদানে সম্মত হওয়ায় দেশটি দেউলিয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে। তবে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নানা অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ থাকবে, ফলে পাকিস্তান বৈদেশিক সহায়তার ওপরই নির্ভর করবে।
ডলারের ঘাটতি
ডলারের ঘাটতিও পাকিস্তানকে অবৈধ মুদ্রা বিনিময় বাজারে নিয়ে যেতে পারে, যা গত বছর কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রমহ্রাসমান রিজার্ভ সংরক্ষণের জন্য বৈদেশিক মুদ্রার প্রবেশ সীমাবদ্ধ করার পরে উদ্ভূত হয়েছিল। গত সেপ্টেম্বরে রুপির মান রেকর্ড নিম্ন হলে সরকার অবৈধভাবে ডলার ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। এতে স্বল্পকালীন লাভের মুখ দেখেছিল পাকিস্তান সরকার।
অ্যাশবোর্ন আরও বলেন, জনগণকে দীর্ঘমেয়াদে অফিসিয়াল রেটে ডলার কিনতে রাজি করা খুব কঠিন হবে যদি অবৈধ বাজারে ডলারের মূল্য আরও বেড়ে যায়। কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নির্ধারিত মূল্যে ডলার কিনতে বাধ্য করতে পারে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে তা করতে সক্ষম হবে না।’
গোল্ডম্যান স্যাক্স গ্রুপ ইনকরপোরেশন সতর্ক করে জানায়, বাজারের ক্রমবর্ধমান সুদের খরচ এবং বাহ্যিক ভারসাম্যকে রক্ষা করতে ঋণদাতাদের সঙ্গে স্বল্পমেয়াদী চুক্তির কারণে রুপির নির্দিষ্ট মূল্যের প্রয়োজন হবে।
পাকিস্তানে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হবে। ফলে দেশটির সবচেয়ে বড় ব্রোকারেজ হাউস টপলাইন সিকিউরিটিজ আশা করছে, নতুন সরকার আগামী বছর আইএমএফের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী প্রোগ্রামে স্বাক্ষর করবে, যা রুপির অবমূল্যায়ন হ্রাস করতে পারে।
টপলাইন সিকিউরিটিজের বিশ্লেষকরা এই মাসে একটি নোটে জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বাহ্যিক অ্যাকাউন্টের দুর্বলতাগুলো শুধুমাত্র একটি নতুন এবং বৃহত্তর আইএমএফ প্রকল্পের মাধ্যমে কার্যকরভাবে সমাধান করা যেতে পারে।
চলতি বছরে এশিয়ার সবচেয়ে দুর্বলতম মুদ্রা হতে চলেছে পাকিস্তানি রুপি। ২০২৪ সালের প্রথমদিকেও একই অবস্থানে থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ বছর ডলারের বিপরীতে রুপির অবমূল্যায়ন হয়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সমস্যার সমাধান এখনো হয়নি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিকস টাইমস এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
লন্ডনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিএমআই আশা করছে, আগামী বছরের শেষ নাগাদ ১ ডলার সমান ৩৫০ রুপি হয়ে যাবে। তবে করাচি-ভিত্তিক ব্রোকারেজ টপলাইন সিকিউরিটিজ লিমিটেড বলছে, এটি ১ ডলার প্রতি অবমূল্যায়ন হবে ৩২৪ রুপি। এদিকে সর্বশেষ গত সোমবার ১ ডলার কিনতে ২৮৫ দশমিক ৬৪ লেগেছে।
ফিচ সলিউশন কোম্পানি বিএমআইয়ের বৈশ্বিক অর্থনীতিবিদ জন অ্যাশবার্ন বলেছেন, ‘রুপির অবমূল্যায়ন আরও হবে বলে মনে হচ্ছে।’ পাকিস্তানের উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং বাণিজ্য ঘাটতি রুপির অবমূল্যায়নের কারণ উল্লেখ করেছেন তিনি।
পাকিস্তানের উচ্চমাত্রার ঋণ পরিশোধের চাপ এবং একটি বৈদেশিক তহবিল সংকট রুপির ওপর চাপ সৃস্টি করছে। দেশটি এই বছর দেউলিয়ার দ্বারপ্রান্তে ছিল। এ ছাড়া বৈদেশিক বিনিয়োগ হ্রাস এবং এশিয়ার দ্রুততম মুদ্রাস্ফীতির হার আরও সংকটে ফেলেছে পাকিস্তানকে। রেমিট্যান্সও কমে যাওয়ায় ডলারের জন্য বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এই মাসে ৭০০ মিলিয়ন ডলার ঋণদানে সম্মত হওয়ায় দেশটি দেউলিয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে। তবে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নানা অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ থাকবে, ফলে পাকিস্তান বৈদেশিক সহায়তার ওপরই নির্ভর করবে।
ডলারের ঘাটতি
ডলারের ঘাটতিও পাকিস্তানকে অবৈধ মুদ্রা বিনিময় বাজারে নিয়ে যেতে পারে, যা গত বছর কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রমহ্রাসমান রিজার্ভ সংরক্ষণের জন্য বৈদেশিক মুদ্রার প্রবেশ সীমাবদ্ধ করার পরে উদ্ভূত হয়েছিল। গত সেপ্টেম্বরে রুপির মান রেকর্ড নিম্ন হলে সরকার অবৈধভাবে ডলার ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। এতে স্বল্পকালীন লাভের মুখ দেখেছিল পাকিস্তান সরকার।
অ্যাশবোর্ন আরও বলেন, জনগণকে দীর্ঘমেয়াদে অফিসিয়াল রেটে ডলার কিনতে রাজি করা খুব কঠিন হবে যদি অবৈধ বাজারে ডলারের মূল্য আরও বেড়ে যায়। কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নির্ধারিত মূল্যে ডলার কিনতে বাধ্য করতে পারে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে তা করতে সক্ষম হবে না।’
গোল্ডম্যান স্যাক্স গ্রুপ ইনকরপোরেশন সতর্ক করে জানায়, বাজারের ক্রমবর্ধমান সুদের খরচ এবং বাহ্যিক ভারসাম্যকে রক্ষা করতে ঋণদাতাদের সঙ্গে স্বল্পমেয়াদী চুক্তির কারণে রুপির নির্দিষ্ট মূল্যের প্রয়োজন হবে।
পাকিস্তানে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হবে। ফলে দেশটির সবচেয়ে বড় ব্রোকারেজ হাউস টপলাইন সিকিউরিটিজ আশা করছে, নতুন সরকার আগামী বছর আইএমএফের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী প্রোগ্রামে স্বাক্ষর করবে, যা রুপির অবমূল্যায়ন হ্রাস করতে পারে।
টপলাইন সিকিউরিটিজের বিশ্লেষকরা এই মাসে একটি নোটে জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বাহ্যিক অ্যাকাউন্টের দুর্বলতাগুলো শুধুমাত্র একটি নতুন এবং বৃহত্তর আইএমএফ প্রকল্পের মাধ্যমে কার্যকরভাবে সমাধান করা যেতে পারে।
বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত আমদানির ঘোষণার দেওয়ার পরপরই ভারতে হু হু করে বাড়ছে চালের দাম। গত দু’দিনে ভারতের বাজারে চালের দাম প্রায় ১৪ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে ৫ লাখ টন চাল আমদানির ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেনিষেধাজ্ঞা শেষে গত ১ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ইলিশ ধরার মৌসুম, যা চলবে আগস্টের শেষ পর্যন্ত। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হলো—ভরা মৌসুমেও সাগর-নদী থেকে জেলেরা প্রত্যাশিত ইলিশ পাচ্ছেন না। প্রতিবছর এই সময় দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জেলেরা রুপালি ইলিশ শিকারে ব্যস্ত সময়...
১ দিন আগেটেকসই কৃষি উন্নয়নের অংশ হিসেবে রংপুর অঞ্চলে ‘আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে টেকসই কৃষি উন্নয়ন’ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪২ কোটি ৯৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে রংপুর বিভাগের ৫ জেলার গ্রামীণ দারিদ্র্য কমবে, টেকসই কৃষি...
১ দিন আগেব্র্যাক ব্যাংকের স্মার্ট ব্যাংকিং অ্যাপ ‘আস্থা’ সম্প্রতি ১০ লাখ গ্রাহকের মাইলফলক অর্জন করেছে। একই সঙ্গে, ২০২৫ সালের জুলাই মাসে এই অ্যাপের মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে মাসিক অ্যাপ-ভিত্তিক লেনদেনের একটি নতুন রেকর্ড।
১ দিন আগে