
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডির কার্যক্রম বন্ধ করার পরিকল্পনা করছেন। এরই মধ্যে কয়েক হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করেছেন। বৈদেশিক সহায়তার বন্ধেরও ঘোষণা দিয়েছেন। বৈদেশিক সহায়তা উন্নয়ন, বৈশ্বিক বৈষম্য, নিরাপত্তা উদ্বেগ এবং চীনের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ ইত্যাদি বিষয়ে বিতর্কের কেন্দ্রে এখন ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ।
এতদিন এসব উন্নয়ন সহায়তা সুবিধাভোগী দেশগুলোর কতটা উপকারে এসেছে, বিশেষত দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর উন্নয়নে এই সহায়তার অবদান কেমন, তা খতিয়ে দেখেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান অস্ট্রেলিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির মতে, উন্নয়নের উৎস অনেক। সরকারি উন্নয়ন সহায়তা (ওডিএ) এতে একটি ভূমিকা রাখলেও কার্যকর শাসনব্যবস্থা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) অবশ্যই অপরিহার্য, তবে বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো অর্থের (রেমিট্যান্স) পরিমাণ এখন ওডিএ ও এফডিএ—এর সম্মিলিত পরিমাণের চেয়েও বেশি!
রেমিট্যান্স প্রবাহের ক্ষেত্রে ভারত শীর্ষে। ২০২৪ সালে দেশটি ১২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে। যেখানে পাকিস্তান ৩৬ বিলিয়ন ডলার ও বাংলাদেশ ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে যথাক্রমে পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। তবে জিডিপির অনুপাতে হিসাব করলে, রেমিট্যান্স প্রবাহে নেপাল বিশ্বে ষষ্ঠ। কারণ, দেশটির রেমিট্যান্সের পরিমাণ মোট জিডিপির ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো রেমিট্যান্স থেকে যে বিপুল অর্থ পায়, তা তাদের বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনে এবং দাতাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের প্রভাব থেকে কিছুটা সুরক্ষা দেয়। আসলে অর্থনীতিবিদেরা সম্প্রতি দীর্ঘমেয়াদি এক উল্টো সম্পর্ক চিহ্নিত করেছেন, তাঁরা দেখেছেন, বিদেশি সাহায্য ও রেমিট্যান্স একে অপরের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ, একটির প্রবৃদ্ধি আরেকটির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেয়।
তবে রেমিট্যান্স সব সমস্যার সমাধান নয়। নেপালের তথ্য–উপাত্ত দেখায়, রেমিট্যান্সের অর্থ সামঞ্জস্যহীনভাবে ছেলেদের শিক্ষার জন্য ব্যয় করা হয়, মেয়েদের শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টি করে এবং লিঙ্গবৈষম্যের ধারা আরও দৃঢ় করে। প্রবাসীদের অর্থ পাঠানোর ব্যয় নিয়েও সমালোচনা আছে। বিশ্বব্যাংক ও অভিবাসী অধিকার সংরক্ষণকারী সংগঠনগুলো এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ২০২৪ সালে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন ও মানিগ্রামের মতো বৈশ্বিক অর্থ স্থানান্তরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে রেমিট্যান্সের মোট অর্থের ৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ কেটে নিয়েছে।
এ পর্যন্ত অর্থনীতিবিদেরা মূলত স্থূল অর্থনৈতিক সূচকের ওপর গুরুত্ব দিলেও, এসব সূচক দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় মানব অভিজ্ঞতার পূর্ণাঙ্গ পরিধি তুলে ধরা সম্ভব নয়। ১৯৯০ সাল থেকে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) প্রতি বছর ‘মানব উন্নয়ন’ বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। এই প্রতিবেদন তাদের নির্ধারিত ‘মানব উন্নয়ন সূচক’ (এইচডিআই) অনুযায়ী পরিমাপ করা হয়।
নিচের গ্রাফটিতে ১৯৯০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পাঁচটি প্রধান দক্ষিণ এশীয় দেশের মানব উন্নয়নের প্রবণতা অস্ট্রেলিয়া এবং বৈশ্বিক গড়ের সঙ্গে তুলনা করে দেখানো হয়েছে:

এই গ্রাফ থেকে স্পষ্ট যে, দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে মানব উন্নয়নের স্তর একরকম নয়। এ ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কা সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। বর্তমানে দেশটি ১৯২টি দেশের মধ্যে ৭৮ তম অবস্থানে আছে। যেখানে দেশটির এইচডিআই স্কোর শূন্য দশমিক ৭৮, যা বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে বেশি এবং জাতিসংঘের শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী এটি ‘উচ্চ মানব উন্নয়ন’ স্তরে পড়ে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশেষভাবে লক্ষণীয়। ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হলেও বাংলাদেশ এই সূচকে ভারতের চেয়ে বেশ এগিয়ে। বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল—এই তিনটি দেশ জাতিসংঘের শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী ‘মাঝারি মানব উন্নয়ন’ স্তরে। এ অঞ্চলে পাকিস্তান সবচেয়ে পিছিয়ে। দেশটি বর্তমানে বিশ্বে ১৬৪ তম অবস্থানে রয়েছে এবং জাতিসংঘের মতে, ‘নিম্ন মানব উন্নয়ন’ স্তরে পড়েছে। পাকিস্তানের এ দুর্বল অবস্থান আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে যখন দেখা যায়, গত বিশ বছরে দেশটি মার্কিন সরকারের কাছ থেকে সরাসরি ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা পেয়েছে। এটি আরও নিশ্চিত করে যে, বৈদেশিক সহায়তা ও উন্নয়নের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত জটিল।
বিদেশি সাহায্য ও উন্নয়নের বহুমুখী সম্পর্ককে তুলে ধরার জন্য নিচের গ্রাফটিতে দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচটি প্রধান দেশের প্রধান সূচকগুলো তুলে ধরা হয়েছে:

জিডিপির শতাংশ হিসেবে সরকারি উন্নয়ন সহায়তা (ওডিএ) এবং মাথাপিছু সরকারি উন্নয়ন সহায়তা উভয়ই ‘সহায়তা নির্ভরতা’ পরিমাপের সূচক। এই নির্ভরতা সুশাসনকে দুর্বল করতে পারে এবং উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
এই ছকের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ ও নেপাল সহায়তা নির্ভরতার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। তবে সহায়তা নির্ভরতাই একমাত্র বিবেচ্য বিষয় নয়—দীর্ঘদিনের গৃহযুদ্ধ, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও দুর্নীতির পরও উভয় দেশ উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে।
এ ছাড়া, ছকটি দেখায় যে—ভারত খুবই সামান্য সরকারি উন্নয়ন সহায়তা গ্রহণ করে, যা দেশটির শক্তিশালী অর্থনৈতিক অবস্থানের প্রতিফলন। বাস্তবিক অর্থে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত নিজেই সরকারি উন্নয়ন সহায়তার দাতা হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায়। ২০০০ সাল থেকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, শ্রীলঙ্কায় ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং নেপালে ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা পাঠিয়েছে।
ভারতের অর্থনীতি দ্রুত বড় হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের অনুমান অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে দেশটির প্রবৃদ্ধি হবে ৭ শতাংশ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০২৭ সালে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে এবং জাপান ও জার্মানিকে ছাড়িয়ে যাবে। তবে এই সমৃদ্ধি সাধারণ মানুষের মধ্যে সমানভাবে বণ্টিত হচ্ছে না।
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুসারে, অস্ট্রেলিয়ার গিনি সহগ (শূন্য দশমিক ৩৪৩) ভারতের চেয়ে বেশি (শূন্য দশমিক ৩২৮)। গিনি সহগ হলো অসমতার একটি পরিমাপক, যা ০ থেকে ১—এর মধ্যে পরিমাপ করা হয়। এখানে ০ সম্পূর্ণ সমতা নির্দেশ করে, আর ১ চরম বৈষম্য বোঝায়। তবে এই সূচক বাস্তব অবস্থার পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরে না।
ইউরোপীয় গবেষণা কাউন্সিল, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও দাতব্য সংস্থাগুলোর অর্থায়নে পরিচালিত ওয়ার্ল্ড ইনইকুয়ালিটি ল্যাব তাদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে আরও সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেছে। নিচের সারণিতে ১৯৫০ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মোট আয়ের মধ্যে শীর্ষ ১০ শতাংশ এবং নিম্ন ৫০ শতাংশ জনগোষ্ঠীর অংশীদারত্বের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে:

ভারতে শীর্ষ আয়ের ১০ শতাংশ মানুষ (সবুজ রেখায় চিত্রিত) ১৯৯১ সালের অর্থনৈতিক উদারীকরণের পর থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করেছে। আয়ের এই কেন্দ্রীভবন অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় বেশ স্পষ্ট। ২০২১ সালে, অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ ১০ শতাংশ আয়কারীরা মোট আয়ের ৩৩ দশমিক ৬ শতাংশ অর্জন করেছে, যেখানে ভারতে এই হার ছিল ৫৭ দশমিক ১ শতাংশ।
লিঙ্গবৈষম্যের ক্ষেত্রে, ভারত প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্টে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়ন ও রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্ব গড়ের ওপরে অবস্থান করছে এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক গড়ের সমান। এরপর নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভুটানের অবস্থান। এসব দেশ স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক গড়ের সমান পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। তবে রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বৈশ্বিক গড়ের নিচে এসব দেশ। আঞ্চলিকভাবে ভারত পঞ্চম স্থানে এবং বৈশ্বিকভাবে ১৪২টি দেশের মধ্যে ১২৯তম স্থানে।
এই ধরনের সূচক সামগ্রিক চিত্র বোঝার জন্য সহায়ক হলেও বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা যথাযথভাবে তুলে ধরতে ব্যর্থ। স্বাতি নারায়ণের বই ‘আন–ইকুয়াল’–এ উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের দরিদ্রতম রাজ্য বিহারের নারীরা প্রতি বেলার খাবারের সময় সবার শেষে খেতে বসেন এবং সাধারণত সবচেয়ে কম পরিমাণে খাবার গ্রহণ করেন। এর ফলে বিহারের ৪০ শতাংশ নারী অপুষ্টিতে ভুগছেন এবং ৬০ শতাংশ রক্তস্বল্পতায় আক্রান্ত। ভারতের গ্রামীণ অঞ্চলের ৪০ শতাংশ বাড়িতে শৌচাগার নেই, ফলে খোলা স্থানে মলত্যাগ সাধারণ ঘটনা, যা নারীদের জন্য বিশেষভাবে সমস্যাজনক। অথচ বাংলাদেশে, এমনকি সবচেয়ে প্রত্যন্ত এলাকাতেও, এমন অমর্যাদাকর টয়লেট ব্যবস্থার কোনো অস্তিত্ব নেই।
দক্ষিণ এশিয়ার এই বৈচিত্র্যপূর্ণ উন্নয়নধারার ব্যাখ্যা কী? স্বাতি নারায়ণের মতে, উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে এমন ‘অসমতার ফাঁদ’ তৈরি হয়েছে। জাত, ধর্ম ও লিঙ্গবৈষম্য এই ফাঁদকে শক্তিশালী করেছে। অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কা এবং ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালা ও তামিলনাড়ুতে ব্যাপক ভূমি সংস্কার, সমন্বিত সামাজিক কল্যাণ কর্মসূচি, নারীবাদী সংগঠন এবং প্রগতিশীল সামাজিক আন্দোলন সামাজিক বৈষম্য হ্রাসে সহায়ক হয়েছে।
বাংলাদেশ ও নেপালের ক্ষেত্রে, আশ্চর্যজনকভাবে, গৃহযুদ্ধ ও মানুষের বাস্তুচ্যুতি শ্রেণিভিত্তিক বাধাগুলো ভেঙে দিয়েছে, যার ফলে সামাজিক গতিশীলতা বেড়েছে এবং তুলনামূলকভাবে সাম্যভিত্তিক সমাজ গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশে নারীদের উন্নতির প্রধান কারণ হলো ক্ষুদ্রঋণের সুযোগ এবং তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মসংস্থান।
ভারতের অধিকাংশ অঞ্চলে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে, কেবল দক্ষিণের রাজ্যগুলো ব্যতিক্রম। স্বাতি নারায়ণের মতে, এর জন্য দায়ী হলো ‘রাষ্ট্র ধারণার অনুপস্থিতি’, জনসেবার প্রতি অবহেলা, অপর্যাপ্ত ভূমি সংস্কার এবং ব্যাপক জাতিভিত্তিক ও ধর্মীয় বৈষম্য। ২০২৩ সালে নরেন্দ্র মোদি ‘বিকশিত ভারত–২০৪৭’ পরিকল্পনার ঘোষণা দেন। যার লক্ষ্য হলো ভারতের স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তির সময় দেশটিকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করা। এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে উন্নয়ন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সামাজিক অগ্রগতি, সুশাসন ও স্থায়িত্বশীলতার ক্ষেত্রে ‘বহুগুণ অগ্রগতি’ প্রয়োজন বলে মোদি স্বীকার করেছেন। তবে এই পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় অনুপস্থিত—ভারতে বিদ্যমান বিশাল সামাজিক বৈষম্যের স্বীকৃতি এবং তা দূর করার প্রতিশ্রুতি।
দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নয়নের অনেক সফল উদাহরণ রয়েছে। শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, নেপাল এবং ভারতের কেরালায় উন্নয়নের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। অথচ ভারতের অধিকাংশ অঞ্চল বিপুল হারে জিডিপি বৃদ্ধির পরও পিছিয়ে আছে। অপরদিকে, পাকিস্তানের উন্নয়ন এখনো স্থবির।
অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য ম্যান্ডারিন থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডির কার্যক্রম বন্ধ করার পরিকল্পনা করছেন। এরই মধ্যে কয়েক হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করেছেন। বৈদেশিক সহায়তার বন্ধেরও ঘোষণা দিয়েছেন। বৈদেশিক সহায়তা উন্নয়ন, বৈশ্বিক বৈষম্য, নিরাপত্তা উদ্বেগ এবং চীনের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ ইত্যাদি বিষয়ে বিতর্কের কেন্দ্রে এখন ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ।
এতদিন এসব উন্নয়ন সহায়তা সুবিধাভোগী দেশগুলোর কতটা উপকারে এসেছে, বিশেষত দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর উন্নয়নে এই সহায়তার অবদান কেমন, তা খতিয়ে দেখেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান অস্ট্রেলিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির মতে, উন্নয়নের উৎস অনেক। সরকারি উন্নয়ন সহায়তা (ওডিএ) এতে একটি ভূমিকা রাখলেও কার্যকর শাসনব্যবস্থা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) অবশ্যই অপরিহার্য, তবে বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো অর্থের (রেমিট্যান্স) পরিমাণ এখন ওডিএ ও এফডিএ—এর সম্মিলিত পরিমাণের চেয়েও বেশি!
রেমিট্যান্স প্রবাহের ক্ষেত্রে ভারত শীর্ষে। ২০২৪ সালে দেশটি ১২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে। যেখানে পাকিস্তান ৩৬ বিলিয়ন ডলার ও বাংলাদেশ ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে যথাক্রমে পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। তবে জিডিপির অনুপাতে হিসাব করলে, রেমিট্যান্স প্রবাহে নেপাল বিশ্বে ষষ্ঠ। কারণ, দেশটির রেমিট্যান্সের পরিমাণ মোট জিডিপির ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো রেমিট্যান্স থেকে যে বিপুল অর্থ পায়, তা তাদের বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনে এবং দাতাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের প্রভাব থেকে কিছুটা সুরক্ষা দেয়। আসলে অর্থনীতিবিদেরা সম্প্রতি দীর্ঘমেয়াদি এক উল্টো সম্পর্ক চিহ্নিত করেছেন, তাঁরা দেখেছেন, বিদেশি সাহায্য ও রেমিট্যান্স একে অপরের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ, একটির প্রবৃদ্ধি আরেকটির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেয়।
তবে রেমিট্যান্স সব সমস্যার সমাধান নয়। নেপালের তথ্য–উপাত্ত দেখায়, রেমিট্যান্সের অর্থ সামঞ্জস্যহীনভাবে ছেলেদের শিক্ষার জন্য ব্যয় করা হয়, মেয়েদের শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টি করে এবং লিঙ্গবৈষম্যের ধারা আরও দৃঢ় করে। প্রবাসীদের অর্থ পাঠানোর ব্যয় নিয়েও সমালোচনা আছে। বিশ্বব্যাংক ও অভিবাসী অধিকার সংরক্ষণকারী সংগঠনগুলো এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ২০২৪ সালে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন ও মানিগ্রামের মতো বৈশ্বিক অর্থ স্থানান্তরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে রেমিট্যান্সের মোট অর্থের ৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ কেটে নিয়েছে।
এ পর্যন্ত অর্থনীতিবিদেরা মূলত স্থূল অর্থনৈতিক সূচকের ওপর গুরুত্ব দিলেও, এসব সূচক দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় মানব অভিজ্ঞতার পূর্ণাঙ্গ পরিধি তুলে ধরা সম্ভব নয়। ১৯৯০ সাল থেকে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) প্রতি বছর ‘মানব উন্নয়ন’ বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। এই প্রতিবেদন তাদের নির্ধারিত ‘মানব উন্নয়ন সূচক’ (এইচডিআই) অনুযায়ী পরিমাপ করা হয়।
নিচের গ্রাফটিতে ১৯৯০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পাঁচটি প্রধান দক্ষিণ এশীয় দেশের মানব উন্নয়নের প্রবণতা অস্ট্রেলিয়া এবং বৈশ্বিক গড়ের সঙ্গে তুলনা করে দেখানো হয়েছে:

এই গ্রাফ থেকে স্পষ্ট যে, দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে মানব উন্নয়নের স্তর একরকম নয়। এ ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কা সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। বর্তমানে দেশটি ১৯২টি দেশের মধ্যে ৭৮ তম অবস্থানে আছে। যেখানে দেশটির এইচডিআই স্কোর শূন্য দশমিক ৭৮, যা বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে বেশি এবং জাতিসংঘের শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী এটি ‘উচ্চ মানব উন্নয়ন’ স্তরে পড়ে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশেষভাবে লক্ষণীয়। ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হলেও বাংলাদেশ এই সূচকে ভারতের চেয়ে বেশ এগিয়ে। বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল—এই তিনটি দেশ জাতিসংঘের শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী ‘মাঝারি মানব উন্নয়ন’ স্তরে। এ অঞ্চলে পাকিস্তান সবচেয়ে পিছিয়ে। দেশটি বর্তমানে বিশ্বে ১৬৪ তম অবস্থানে রয়েছে এবং জাতিসংঘের মতে, ‘নিম্ন মানব উন্নয়ন’ স্তরে পড়েছে। পাকিস্তানের এ দুর্বল অবস্থান আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে যখন দেখা যায়, গত বিশ বছরে দেশটি মার্কিন সরকারের কাছ থেকে সরাসরি ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা পেয়েছে। এটি আরও নিশ্চিত করে যে, বৈদেশিক সহায়তা ও উন্নয়নের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত জটিল।
বিদেশি সাহায্য ও উন্নয়নের বহুমুখী সম্পর্ককে তুলে ধরার জন্য নিচের গ্রাফটিতে দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচটি প্রধান দেশের প্রধান সূচকগুলো তুলে ধরা হয়েছে:

জিডিপির শতাংশ হিসেবে সরকারি উন্নয়ন সহায়তা (ওডিএ) এবং মাথাপিছু সরকারি উন্নয়ন সহায়তা উভয়ই ‘সহায়তা নির্ভরতা’ পরিমাপের সূচক। এই নির্ভরতা সুশাসনকে দুর্বল করতে পারে এবং উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
এই ছকের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ ও নেপাল সহায়তা নির্ভরতার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। তবে সহায়তা নির্ভরতাই একমাত্র বিবেচ্য বিষয় নয়—দীর্ঘদিনের গৃহযুদ্ধ, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও দুর্নীতির পরও উভয় দেশ উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে।
এ ছাড়া, ছকটি দেখায় যে—ভারত খুবই সামান্য সরকারি উন্নয়ন সহায়তা গ্রহণ করে, যা দেশটির শক্তিশালী অর্থনৈতিক অবস্থানের প্রতিফলন। বাস্তবিক অর্থে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত নিজেই সরকারি উন্নয়ন সহায়তার দাতা হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায়। ২০০০ সাল থেকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, শ্রীলঙ্কায় ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং নেপালে ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা পাঠিয়েছে।
ভারতের অর্থনীতি দ্রুত বড় হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের অনুমান অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে দেশটির প্রবৃদ্ধি হবে ৭ শতাংশ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০২৭ সালে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে এবং জাপান ও জার্মানিকে ছাড়িয়ে যাবে। তবে এই সমৃদ্ধি সাধারণ মানুষের মধ্যে সমানভাবে বণ্টিত হচ্ছে না।
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুসারে, অস্ট্রেলিয়ার গিনি সহগ (শূন্য দশমিক ৩৪৩) ভারতের চেয়ে বেশি (শূন্য দশমিক ৩২৮)। গিনি সহগ হলো অসমতার একটি পরিমাপক, যা ০ থেকে ১—এর মধ্যে পরিমাপ করা হয়। এখানে ০ সম্পূর্ণ সমতা নির্দেশ করে, আর ১ চরম বৈষম্য বোঝায়। তবে এই সূচক বাস্তব অবস্থার পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরে না।
ইউরোপীয় গবেষণা কাউন্সিল, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও দাতব্য সংস্থাগুলোর অর্থায়নে পরিচালিত ওয়ার্ল্ড ইনইকুয়ালিটি ল্যাব তাদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে আরও সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেছে। নিচের সারণিতে ১৯৫০ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মোট আয়ের মধ্যে শীর্ষ ১০ শতাংশ এবং নিম্ন ৫০ শতাংশ জনগোষ্ঠীর অংশীদারত্বের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে:

ভারতে শীর্ষ আয়ের ১০ শতাংশ মানুষ (সবুজ রেখায় চিত্রিত) ১৯৯১ সালের অর্থনৈতিক উদারীকরণের পর থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করেছে। আয়ের এই কেন্দ্রীভবন অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় বেশ স্পষ্ট। ২০২১ সালে, অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ ১০ শতাংশ আয়কারীরা মোট আয়ের ৩৩ দশমিক ৬ শতাংশ অর্জন করেছে, যেখানে ভারতে এই হার ছিল ৫৭ দশমিক ১ শতাংশ।
লিঙ্গবৈষম্যের ক্ষেত্রে, ভারত প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্টে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়ন ও রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্ব গড়ের ওপরে অবস্থান করছে এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক গড়ের সমান। এরপর নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভুটানের অবস্থান। এসব দেশ স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক গড়ের সমান পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। তবে রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বৈশ্বিক গড়ের নিচে এসব দেশ। আঞ্চলিকভাবে ভারত পঞ্চম স্থানে এবং বৈশ্বিকভাবে ১৪২টি দেশের মধ্যে ১২৯তম স্থানে।
এই ধরনের সূচক সামগ্রিক চিত্র বোঝার জন্য সহায়ক হলেও বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা যথাযথভাবে তুলে ধরতে ব্যর্থ। স্বাতি নারায়ণের বই ‘আন–ইকুয়াল’–এ উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের দরিদ্রতম রাজ্য বিহারের নারীরা প্রতি বেলার খাবারের সময় সবার শেষে খেতে বসেন এবং সাধারণত সবচেয়ে কম পরিমাণে খাবার গ্রহণ করেন। এর ফলে বিহারের ৪০ শতাংশ নারী অপুষ্টিতে ভুগছেন এবং ৬০ শতাংশ রক্তস্বল্পতায় আক্রান্ত। ভারতের গ্রামীণ অঞ্চলের ৪০ শতাংশ বাড়িতে শৌচাগার নেই, ফলে খোলা স্থানে মলত্যাগ সাধারণ ঘটনা, যা নারীদের জন্য বিশেষভাবে সমস্যাজনক। অথচ বাংলাদেশে, এমনকি সবচেয়ে প্রত্যন্ত এলাকাতেও, এমন অমর্যাদাকর টয়লেট ব্যবস্থার কোনো অস্তিত্ব নেই।
দক্ষিণ এশিয়ার এই বৈচিত্র্যপূর্ণ উন্নয়নধারার ব্যাখ্যা কী? স্বাতি নারায়ণের মতে, উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে এমন ‘অসমতার ফাঁদ’ তৈরি হয়েছে। জাত, ধর্ম ও লিঙ্গবৈষম্য এই ফাঁদকে শক্তিশালী করেছে। অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কা এবং ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালা ও তামিলনাড়ুতে ব্যাপক ভূমি সংস্কার, সমন্বিত সামাজিক কল্যাণ কর্মসূচি, নারীবাদী সংগঠন এবং প্রগতিশীল সামাজিক আন্দোলন সামাজিক বৈষম্য হ্রাসে সহায়ক হয়েছে।
বাংলাদেশ ও নেপালের ক্ষেত্রে, আশ্চর্যজনকভাবে, গৃহযুদ্ধ ও মানুষের বাস্তুচ্যুতি শ্রেণিভিত্তিক বাধাগুলো ভেঙে দিয়েছে, যার ফলে সামাজিক গতিশীলতা বেড়েছে এবং তুলনামূলকভাবে সাম্যভিত্তিক সমাজ গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশে নারীদের উন্নতির প্রধান কারণ হলো ক্ষুদ্রঋণের সুযোগ এবং তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মসংস্থান।
ভারতের অধিকাংশ অঞ্চলে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে, কেবল দক্ষিণের রাজ্যগুলো ব্যতিক্রম। স্বাতি নারায়ণের মতে, এর জন্য দায়ী হলো ‘রাষ্ট্র ধারণার অনুপস্থিতি’, জনসেবার প্রতি অবহেলা, অপর্যাপ্ত ভূমি সংস্কার এবং ব্যাপক জাতিভিত্তিক ও ধর্মীয় বৈষম্য। ২০২৩ সালে নরেন্দ্র মোদি ‘বিকশিত ভারত–২০৪৭’ পরিকল্পনার ঘোষণা দেন। যার লক্ষ্য হলো ভারতের স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তির সময় দেশটিকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করা। এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে উন্নয়ন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সামাজিক অগ্রগতি, সুশাসন ও স্থায়িত্বশীলতার ক্ষেত্রে ‘বহুগুণ অগ্রগতি’ প্রয়োজন বলে মোদি স্বীকার করেছেন। তবে এই পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় অনুপস্থিত—ভারতে বিদ্যমান বিশাল সামাজিক বৈষম্যের স্বীকৃতি এবং তা দূর করার প্রতিশ্রুতি।
দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নয়নের অনেক সফল উদাহরণ রয়েছে। শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, নেপাল এবং ভারতের কেরালায় উন্নয়নের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। অথচ ভারতের অধিকাংশ অঞ্চল বিপুল হারে জিডিপি বৃদ্ধির পরও পিছিয়ে আছে। অপরদিকে, পাকিস্তানের উন্নয়ন এখনো স্থবির।
অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য ম্যান্ডারিন থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক প্রভাব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল। ঢাকায় সফররত সংস্থাটির সদস্যরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে না।
১১ মিনিট আগে
কয়েক দিন চড়া থাকার পর রাজধানীর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমেছে। তবে পাইকারি বাজারে দেখা গেছে ওঠানামা। সকালে কিছুটা বেড়েছে, বিকেলে আবার নেমেছে।
১৪ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপার জন্য নির্বাচন কমিশন রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম) থেকে ৯১৪ দশমিক ০০৯ টন কাগজ কিনছে। এর আর্থিক মূল্য প্রায় ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে সরবরাহ সম্পন্ন হয়েছে ১৭৮ দশমিক ০০৯
১৭ মিনিট আগে
দেশের সবগুলো ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই দেওয়া যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক প্রভাব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল। ঢাকায় সফররত সংস্থাটির সদস্যরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে না। তাদের পর্যবেক্ষণে, ব্যাংক লাইসেন্স বিতরণ থেকে শুরু করে খেলাপি ঋণকে ‘নীতি-সুবিধা’র আড়ালে বৈধ করা পর্যন্ত প্রতিটি স্তরেই প্রভাবশালী গোষ্ঠীর ছায়া স্পষ্ট, যা দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি ও গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠছে।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত একাধিক বৈঠকে আইএমএফ মিশনের সদস্যরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। বৈঠকে প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিগত স্বায়ত্তশাসন এবং স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বাস্তব পরিস্থিতি।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, আইএমএফ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রশ্ন তোলে। তাদের মতে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত প্রভাব বিস্তার করছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংক অনুমোদন, প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া এবং নিয়মের ফাঁকে খেলাপি ঋণ বৈধ করার প্রবণতাকেই আইএমএফ বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের স্থিতিশীলতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য বড় বাধা হিসেবে দেখছে।
আইএমএফ প্রতিনিধিরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় একটি স্বাধীন কেন্দ্রীয় ব্যাংক অপরিহার্য। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা এখন প্রায় নামমাত্র হয়ে পড়েছে। ফলে আর্থিক শৃঙ্খলা ও নীতিগত স্বচ্ছতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি।
তাঁরা সতর্ক করেছেন, ব্যাংক খাতের এ কাঠামোগত দুর্বলতা ভবিষ্যতে রিজার্ভ ব্যবস্থাপনা, মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন এবং ঋণ নিয়ন্ত্রণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। প্রতিনিধিদল ইঙ্গিত দিয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারকে তারা চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় পরবর্তী কিস্তি ছাড়ের অন্যতম পূর্বশর্ত হিসেবে বিবেচনা করছে।
বৈঠকে আইএমএফ সদস্যরা অভিযোগ করেন, ২০০৯ সালে যেখানে খেলাপি ঋণ ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা, সেটি এখন দাঁড়িয়েছে প্রায় পৌনে ৭ লাখ কোটিতে। অথচ এত দিন সরকারি পরিসংখ্যানে এটি দেখানো হতো মাত্র ২ লাখ কোটি টাকার মতো। সুদের হার ৯ শতাংশে বেঁধে রাখার নীতিকে তাঁরা ‘অবৈধ অর্থ পাচারে প্রণোদনা’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। প্রতিনিধিদল জানায়, রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী কিছু গোষ্ঠী নাম-বেনামে ঋণ নিয়ে সেই অর্থ ডলার ক্রয়ে ব্যবহার করে বিদেশে পাচার করেছে। ফলে ২০২১ সালের মহামারিকালে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ নেমে এসেছে ২০ বিলিয়নের ঘরে।
বৈঠকে আরও জানানো হয়, কিছু দুর্বল ব্যাংক কোনো কার্যকর তদারকি ছাড়াই প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে। এ অবস্থায় আইএমএফ ব্যাংক খাতের ঝুঁকি মোকাবিলায় কঠোর জামানত ব্যবস্থা ও স্বচ্ছ তদারকি কাঠামো প্রবর্তনের পরামর্শ দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, আইএমএফ মিশনের নিয়মিত পরিদর্শন চলছে। তারা মূলত ঋণ কর্মসূচির শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি যাচাই করছে। কিছু ইস্যুতে তাদের উদ্বেগ থাকলেও সার্বিকভাবে তারা অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক প্রভাব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল। ঢাকায় সফররত সংস্থাটির সদস্যরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে না। তাদের পর্যবেক্ষণে, ব্যাংক লাইসেন্স বিতরণ থেকে শুরু করে খেলাপি ঋণকে ‘নীতি-সুবিধা’র আড়ালে বৈধ করা পর্যন্ত প্রতিটি স্তরেই প্রভাবশালী গোষ্ঠীর ছায়া স্পষ্ট, যা দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি ও গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠছে।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত একাধিক বৈঠকে আইএমএফ মিশনের সদস্যরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। বৈঠকে প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিগত স্বায়ত্তশাসন এবং স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বাস্তব পরিস্থিতি।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, আইএমএফ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রশ্ন তোলে। তাদের মতে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত প্রভাব বিস্তার করছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংক অনুমোদন, প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া এবং নিয়মের ফাঁকে খেলাপি ঋণ বৈধ করার প্রবণতাকেই আইএমএফ বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের স্থিতিশীলতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য বড় বাধা হিসেবে দেখছে।
আইএমএফ প্রতিনিধিরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় একটি স্বাধীন কেন্দ্রীয় ব্যাংক অপরিহার্য। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা এখন প্রায় নামমাত্র হয়ে পড়েছে। ফলে আর্থিক শৃঙ্খলা ও নীতিগত স্বচ্ছতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি।
তাঁরা সতর্ক করেছেন, ব্যাংক খাতের এ কাঠামোগত দুর্বলতা ভবিষ্যতে রিজার্ভ ব্যবস্থাপনা, মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন এবং ঋণ নিয়ন্ত্রণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। প্রতিনিধিদল ইঙ্গিত দিয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারকে তারা চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় পরবর্তী কিস্তি ছাড়ের অন্যতম পূর্বশর্ত হিসেবে বিবেচনা করছে।
বৈঠকে আইএমএফ সদস্যরা অভিযোগ করেন, ২০০৯ সালে যেখানে খেলাপি ঋণ ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা, সেটি এখন দাঁড়িয়েছে প্রায় পৌনে ৭ লাখ কোটিতে। অথচ এত দিন সরকারি পরিসংখ্যানে এটি দেখানো হতো মাত্র ২ লাখ কোটি টাকার মতো। সুদের হার ৯ শতাংশে বেঁধে রাখার নীতিকে তাঁরা ‘অবৈধ অর্থ পাচারে প্রণোদনা’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। প্রতিনিধিদল জানায়, রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী কিছু গোষ্ঠী নাম-বেনামে ঋণ নিয়ে সেই অর্থ ডলার ক্রয়ে ব্যবহার করে বিদেশে পাচার করেছে। ফলে ২০২১ সালের মহামারিকালে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ নেমে এসেছে ২০ বিলিয়নের ঘরে।
বৈঠকে আরও জানানো হয়, কিছু দুর্বল ব্যাংক কোনো কার্যকর তদারকি ছাড়াই প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে। এ অবস্থায় আইএমএফ ব্যাংক খাতের ঝুঁকি মোকাবিলায় কঠোর জামানত ব্যবস্থা ও স্বচ্ছ তদারকি কাঠামো প্রবর্তনের পরামর্শ দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, আইএমএফ মিশনের নিয়মিত পরিদর্শন চলছে। তারা মূলত ঋণ কর্মসূচির শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি যাচাই করছে। কিছু ইস্যুতে তাদের উদ্বেগ থাকলেও সার্বিকভাবে তারা অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট।

রেমিট্যান্স সব সমস্যার সমাধান নয়। নেপালের তথ্য–উপাত্ত দেখায়, রেমিট্যান্সের অর্থ সামঞ্জস্যহীনভাবে ছেলেদের শিক্ষার জন্য ব্যয় করা হয়, মেয়েদের শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টি করে এবং লিঙ্গবৈষম্যের ধারা আরও দৃঢ় করে। প্রবাসীদের অর্থ পাঠানোর ব্যয় নিয়েও সমালোচনা আছে...
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
কয়েক দিন চড়া থাকার পর রাজধানীর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমেছে। তবে পাইকারি বাজারে দেখা গেছে ওঠানামা। সকালে কিছুটা বেড়েছে, বিকেলে আবার নেমেছে।
১৪ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপার জন্য নির্বাচন কমিশন রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম) থেকে ৯১৪ দশমিক ০০৯ টন কাগজ কিনছে। এর আর্থিক মূল্য প্রায় ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে সরবরাহ সম্পন্ন হয়েছে ১৭৮ দশমিক ০০৯
১৭ মিনিট আগে
দেশের সবগুলো ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই দেওয়া যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কয়েক দিন চড়া থাকার পর রাজধানীর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমেছে। তবে পাইকারি বাজারে দেখা গেছে ওঠানামা। সকালে কিছুটা বেড়েছে, বিকেলে আবার নেমেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বিক্রেতা ও ব্যাপারীরা দোলাচলে আছেন। সরকারের আমদানির ঘোষণা এবং নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম কমার আশঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা। ফলে কেউ মজুত পেঁয়াজ দ্রুত বিক্রি করতে চাইছেন, আবার কেউ আশা করছেন দাম বাড়বে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা বাজারের আগোরায় দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ১১৫ টাকায়, পাশের কাঁচাবাজারে দাম ছিল ১১৫-১২০ টাকার মধ্যে। আগের দিন এসব বাজারে দাম ছিল ১২০-১২৫ টাকা।
তবে কোনো কোনো বাজারে ১১০ টাকায়ও পেঁয়াজ মিলছে। মুগদা বাজারের বিক্রেতা কাউসার বলেন, ‘গত রোববার পাইকারিতে ৯৫ টাকায় কিনেছি। পরিবহন খরচ, কুলি খরচ, নষ্টের ঝুঁকি ও সামান্য মুনাফা যোগ করে ১১০ টাকায় বিক্রি করছি।’
শ্যামবাজারে সকালে ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ১০৫, মাঝারি মানের ১০২ এবং ছোট পেঁয়াজ ৯৮-১০০ টাকায়। তবে দুপুরের পর দাম কমে যথাক্রমে ১০০-৯৮ এবং ৯৬-৯৭ টাকায় নেমেছে। আগের দিন এই বাজারে দাম ছিল ৯৭-৯৮, ৯৫-৯৬ এবং ৯২-৯৩ টাকা।
রাজধানীর প্রায় সব বাজারে নতুন মৌসুমের মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। পাতাসহ এসব পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৭০-৮০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, খেতের পেঁয়াজ ঘন হয়ে গেলে কৃষকেরা কিছু তুলে ফেলেন, যাতে বাকি গাছগুলো দ্রুত বড় হয় এবং কৃষক কিছু আয়ও পান। ভালো দাম পেয়ে কৃষকেরা এখন বেশি করে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আনছেন।

কয়েক দিন চড়া থাকার পর রাজধানীর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমেছে। তবে পাইকারি বাজারে দেখা গেছে ওঠানামা। সকালে কিছুটা বেড়েছে, বিকেলে আবার নেমেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বিক্রেতা ও ব্যাপারীরা দোলাচলে আছেন। সরকারের আমদানির ঘোষণা এবং নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম কমার আশঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা। ফলে কেউ মজুত পেঁয়াজ দ্রুত বিক্রি করতে চাইছেন, আবার কেউ আশা করছেন দাম বাড়বে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা বাজারের আগোরায় দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ১১৫ টাকায়, পাশের কাঁচাবাজারে দাম ছিল ১১৫-১২০ টাকার মধ্যে। আগের দিন এসব বাজারে দাম ছিল ১২০-১২৫ টাকা।
তবে কোনো কোনো বাজারে ১১০ টাকায়ও পেঁয়াজ মিলছে। মুগদা বাজারের বিক্রেতা কাউসার বলেন, ‘গত রোববার পাইকারিতে ৯৫ টাকায় কিনেছি। পরিবহন খরচ, কুলি খরচ, নষ্টের ঝুঁকি ও সামান্য মুনাফা যোগ করে ১১০ টাকায় বিক্রি করছি।’
শ্যামবাজারে সকালে ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ১০৫, মাঝারি মানের ১০২ এবং ছোট পেঁয়াজ ৯৮-১০০ টাকায়। তবে দুপুরের পর দাম কমে যথাক্রমে ১০০-৯৮ এবং ৯৬-৯৭ টাকায় নেমেছে। আগের দিন এই বাজারে দাম ছিল ৯৭-৯৮, ৯৫-৯৬ এবং ৯২-৯৩ টাকা।
রাজধানীর প্রায় সব বাজারে নতুন মৌসুমের মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। পাতাসহ এসব পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৭০-৮০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, খেতের পেঁয়াজ ঘন হয়ে গেলে কৃষকেরা কিছু তুলে ফেলেন, যাতে বাকি গাছগুলো দ্রুত বড় হয় এবং কৃষক কিছু আয়ও পান। ভালো দাম পেয়ে কৃষকেরা এখন বেশি করে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আনছেন।

রেমিট্যান্স সব সমস্যার সমাধান নয়। নেপালের তথ্য–উপাত্ত দেখায়, রেমিট্যান্সের অর্থ সামঞ্জস্যহীনভাবে ছেলেদের শিক্ষার জন্য ব্যয় করা হয়, মেয়েদের শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টি করে এবং লিঙ্গবৈষম্যের ধারা আরও দৃঢ় করে। প্রবাসীদের অর্থ পাঠানোর ব্যয় নিয়েও সমালোচনা আছে...
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক প্রভাব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল। ঢাকায় সফররত সংস্থাটির সদস্যরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে না।
১১ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপার জন্য নির্বাচন কমিশন রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম) থেকে ৯১৪ দশমিক ০০৯ টন কাগজ কিনছে। এর আর্থিক মূল্য প্রায় ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে সরবরাহ সম্পন্ন হয়েছে ১৭৮ দশমিক ০০৯
১৭ মিনিট আগে
দেশের সবগুলো ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই দেওয়া যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
৬ ঘণ্টা আগে৯১৪ টনের ক্রয়াদেশ ইসির
কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপার জন্য নির্বাচন কমিশন রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম) থেকে ৯১৪ দশমিক ০০৯ টন কাগজ কিনছে। এর আর্থিক মূল্য প্রায় ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে সরবরাহ সম্পন্ন হয়েছে ১৭৮ দশমিক ০০৯ টন কাগজ, অবশিষ্ট ৭৩৬ টন ধাপে ধাপে উৎপাদন করে ২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ্ গতকাল সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে নির্বাচন কমিশনের জন্য রঙিন (সবুজ, গোলাপি, এজুরলেইড) ও বাদামি সালফেট কাগজের মোট ৯১৪ টন ব্যালট ছাপার কাগজের অর্ডার এসেছে। ব্যালট ছাপার জন্য এসব বিশেষ কাগজের মান, ঘনত্ব ও টেক্সচার নিয়ে মিলের প্রযুক্তিবিদেরা ইতিমধ্যে নির্দিষ্ট মান নিশ্চিত করেছেন।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিস (বিএসও), বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয় এবং কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকেও এখন পর্যন্ত প্রায় ২,৮৯৪ টন কাগজের অর্ডার পেয়েছে কেপিএম, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৩৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। ৮ নভেম্বর পর্যন্ত আমরা ৯২৩ টন কাগজ সরবরাহ করেছি।’
কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে মিলটির বার্ষিক কাগজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩,৫০০ টন, যার সম্ভাব্য বাজারদর ৪০-৪৫ কোটি টাকা। ৯ নভেম্বর পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে ১,০৯৩ টন কাগজ এবং উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
কাপ্তাইয়ের এই কর্ণফুলী পেপার মিলস দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিল্পপ্রতিষ্ঠান। ১৯৫৩ সালে স্থাপিত এ মিলটি দীর্ঘদিন ধরে সরকারি দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকারি পরীক্ষার উত্তরপত্র ছাপানোসহ বিভিন্ন জাতীয় প্রয়োজনে কাগজ সরবরাহ করে আসছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যন্ত্রপাতি সংস্কার, উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ব্যবস্থাপনা দক্ষতা উন্নয়নের ফলে মিলটির উৎপাদন আগের তুলনায় অনেক স্থিতিশীল হয়েছে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপার জন্য নির্বাচন কমিশন রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম) থেকে ৯১৪ দশমিক ০০৯ টন কাগজ কিনছে। এর আর্থিক মূল্য প্রায় ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে সরবরাহ সম্পন্ন হয়েছে ১৭৮ দশমিক ০০৯ টন কাগজ, অবশিষ্ট ৭৩৬ টন ধাপে ধাপে উৎপাদন করে ২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ্ গতকাল সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে নির্বাচন কমিশনের জন্য রঙিন (সবুজ, গোলাপি, এজুরলেইড) ও বাদামি সালফেট কাগজের মোট ৯১৪ টন ব্যালট ছাপার কাগজের অর্ডার এসেছে। ব্যালট ছাপার জন্য এসব বিশেষ কাগজের মান, ঘনত্ব ও টেক্সচার নিয়ে মিলের প্রযুক্তিবিদেরা ইতিমধ্যে নির্দিষ্ট মান নিশ্চিত করেছেন।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিস (বিএসও), বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয় এবং কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকেও এখন পর্যন্ত প্রায় ২,৮৯৪ টন কাগজের অর্ডার পেয়েছে কেপিএম, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৩৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। ৮ নভেম্বর পর্যন্ত আমরা ৯২৩ টন কাগজ সরবরাহ করেছি।’
কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে মিলটির বার্ষিক কাগজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩,৫০০ টন, যার সম্ভাব্য বাজারদর ৪০-৪৫ কোটি টাকা। ৯ নভেম্বর পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে ১,০৯৩ টন কাগজ এবং উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
কাপ্তাইয়ের এই কর্ণফুলী পেপার মিলস দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিল্পপ্রতিষ্ঠান। ১৯৫৩ সালে স্থাপিত এ মিলটি দীর্ঘদিন ধরে সরকারি দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকারি পরীক্ষার উত্তরপত্র ছাপানোসহ বিভিন্ন জাতীয় প্রয়োজনে কাগজ সরবরাহ করে আসছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যন্ত্রপাতি সংস্কার, উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ব্যবস্থাপনা দক্ষতা উন্নয়নের ফলে মিলটির উৎপাদন আগের তুলনায় অনেক স্থিতিশীল হয়েছে।

রেমিট্যান্স সব সমস্যার সমাধান নয়। নেপালের তথ্য–উপাত্ত দেখায়, রেমিট্যান্সের অর্থ সামঞ্জস্যহীনভাবে ছেলেদের শিক্ষার জন্য ব্যয় করা হয়, মেয়েদের শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টি করে এবং লিঙ্গবৈষম্যের ধারা আরও দৃঢ় করে। প্রবাসীদের অর্থ পাঠানোর ব্যয় নিয়েও সমালোচনা আছে...
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক প্রভাব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল। ঢাকায় সফররত সংস্থাটির সদস্যরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে না।
১১ মিনিট আগে
কয়েক দিন চড়া থাকার পর রাজধানীর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমেছে। তবে পাইকারি বাজারে দেখা গেছে ওঠানামা। সকালে কিছুটা বেড়েছে, বিকেলে আবার নেমেছে।
১৪ মিনিট আগে
দেশের সবগুলো ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই দেওয়া যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের সব ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই দেওয়া যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
বর্তমানে বাংলাদেশে ১২টি ক্যাডেট কলেজ রয়েছে, যার মধ্যে ৯টি ছেলেদের ও তিনটি মেয়েদের জন্য। ইতিমধ্যে এসব ক্যাডেট কলেজের ভর্তি আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়া চলবে আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সব ক্যাডেট কলেজে যেকোনো আবেদনকারী নগদের মাধ্যমে ভর্তি আবেদন ফি দিতে পারবে কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই। তা ছাড়া নগদের এই ভর্তি ফির চার্জবিহীন পেমেন্ট সুবিধার ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য ভর্তিপ্রক্রিয়া এখন আরও সহজ ও সাশ্রয়ী হয়েছে।
আবেদনকারী বা অভিভাবকেরা ক্যাডেট কলেজের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট
অথবা https://cadetcollegeadmission.army.mil.bd/ -এ গিয়ে অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন
করে ফি পরিশোধ করতে পারবে।
‘Apply Now/Sign Up’-এ ক্লিক করে নাম, মোবাইল নম্বর, পাসওয়ার্ড, ই-মেইল অ্যাড্রেস, জন্মতারিখসহ প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। এরপর ‘User ID’ ও ‘Password’ দিয়ে লগইন করে ‘Payment’ অপশন থেকে ‘Nagad’ নির্বাচন করে দুই হাজার টাকা আবেদন ফি তাৎক্ষণিক পরিশোধ করা যাবে। নগদ ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে এই ফি প্রদানে কোনো সার্ভিস চার্জ বা ট্রানজেকশন ফি প্রযোজ্য হবে না। পেমেন্ট সফলভাবে সম্পন্ন হলে আবেদনকারীর মোবাইলে সঙ্গে সঙ্গে একটি এসএমএস নিশ্চিতকরণ বার্তা পাঠানো হবে।
ক্যাডেট কলেজ ভর্তি ফি সম্পূর্ণ চার্জমুক্ত করার বিষয়ে নগদের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মোহাম্মদ শাহীন সরওয়ার ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা নগদের মাধ্যমে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি ফি প্রদান সম্পূর্ণ চার্জমুক্ত করেছি, যাতে সারা দেশের যেকোনো স্থান থেকে অভিভাবকেরা সহজে, দ্রুত ও সবচেয়ে কম খরচে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারে। শিক্ষাসংক্রান্ত যেকোনো ডিজিটাল পেমেন্ট আরও সহজ করতে নগদ বরাবরই কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত রাখবে।’
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল আর্থিক সেবা নগদের মাধ্যমে বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তি ও টিউশন ফি দিচ্ছে। এই সুবিধা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য দ্রুত, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য পেমেন্ট সলিউশন হিসেবে কাজ করছে।

দেশের সব ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই দেওয়া যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
বর্তমানে বাংলাদেশে ১২টি ক্যাডেট কলেজ রয়েছে, যার মধ্যে ৯টি ছেলেদের ও তিনটি মেয়েদের জন্য। ইতিমধ্যে এসব ক্যাডেট কলেজের ভর্তি আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়া চলবে আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সব ক্যাডেট কলেজে যেকোনো আবেদনকারী নগদের মাধ্যমে ভর্তি আবেদন ফি দিতে পারবে কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই। তা ছাড়া নগদের এই ভর্তি ফির চার্জবিহীন পেমেন্ট সুবিধার ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য ভর্তিপ্রক্রিয়া এখন আরও সহজ ও সাশ্রয়ী হয়েছে।
আবেদনকারী বা অভিভাবকেরা ক্যাডেট কলেজের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট
অথবা https://cadetcollegeadmission.army.mil.bd/ -এ গিয়ে অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন
করে ফি পরিশোধ করতে পারবে।
‘Apply Now/Sign Up’-এ ক্লিক করে নাম, মোবাইল নম্বর, পাসওয়ার্ড, ই-মেইল অ্যাড্রেস, জন্মতারিখসহ প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। এরপর ‘User ID’ ও ‘Password’ দিয়ে লগইন করে ‘Payment’ অপশন থেকে ‘Nagad’ নির্বাচন করে দুই হাজার টাকা আবেদন ফি তাৎক্ষণিক পরিশোধ করা যাবে। নগদ ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে এই ফি প্রদানে কোনো সার্ভিস চার্জ বা ট্রানজেকশন ফি প্রযোজ্য হবে না। পেমেন্ট সফলভাবে সম্পন্ন হলে আবেদনকারীর মোবাইলে সঙ্গে সঙ্গে একটি এসএমএস নিশ্চিতকরণ বার্তা পাঠানো হবে।
ক্যাডেট কলেজ ভর্তি ফি সম্পূর্ণ চার্জমুক্ত করার বিষয়ে নগদের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মোহাম্মদ শাহীন সরওয়ার ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা নগদের মাধ্যমে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি ফি প্রদান সম্পূর্ণ চার্জমুক্ত করেছি, যাতে সারা দেশের যেকোনো স্থান থেকে অভিভাবকেরা সহজে, দ্রুত ও সবচেয়ে কম খরচে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারে। শিক্ষাসংক্রান্ত যেকোনো ডিজিটাল পেমেন্ট আরও সহজ করতে নগদ বরাবরই কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত রাখবে।’
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল আর্থিক সেবা নগদের মাধ্যমে বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তি ও টিউশন ফি দিচ্ছে। এই সুবিধা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য দ্রুত, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য পেমেন্ট সলিউশন হিসেবে কাজ করছে।

রেমিট্যান্স সব সমস্যার সমাধান নয়। নেপালের তথ্য–উপাত্ত দেখায়, রেমিট্যান্সের অর্থ সামঞ্জস্যহীনভাবে ছেলেদের শিক্ষার জন্য ব্যয় করা হয়, মেয়েদের শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টি করে এবং লিঙ্গবৈষম্যের ধারা আরও দৃঢ় করে। প্রবাসীদের অর্থ পাঠানোর ব্যয় নিয়েও সমালোচনা আছে...
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক প্রভাব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল। ঢাকায় সফররত সংস্থাটির সদস্যরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে না।
১১ মিনিট আগে
কয়েক দিন চড়া থাকার পর রাজধানীর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমেছে। তবে পাইকারি বাজারে দেখা গেছে ওঠানামা। সকালে কিছুটা বেড়েছে, বিকেলে আবার নেমেছে।
১৪ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপার জন্য নির্বাচন কমিশন রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম) থেকে ৯১৪ দশমিক ০০৯ টন কাগজ কিনছে। এর আর্থিক মূল্য প্রায় ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে সরবরাহ সম্পন্ন হয়েছে ১৭৮ দশমিক ০০৯
১৭ মিনিট আগে