রোকন উদ্দিন, ঢাকা

ডলার-সংকটে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি ব্যাহত হচ্ছিল আগে থেকেই। ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সমস্যাও। জুলাই অভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যুক্ত হয়েছে নতুন সমস্যা—ব্যাংকঋণের সুদহার বৃদ্ধি ও শ্রমিক অসন্তোষ। সব মিলিয়ে চতুর্মুখী সংকটে পড়েছে দেশের উৎপাদন খাত। এতে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন, বাড়ছে বন্ধ কারখানার সংখ্যাও। শিল্পমালিকদের আশঙ্কা, এই সংকট দীর্ঘায়িত হলে তা রপ্তানি খাতে যেমন নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, তেমনি বাড়াবে বেকারত্বের হার।
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেন, জ্বালানি সংকট, ব্যাংকঋণের সুদহার বৃদ্ধি, শ্রমিক অসন্তোষে কারখানা বন্ধ হওয়া এবং এনবিআর কর্তৃক এইচএস কোড জটিলতাসহ নানা কারণে শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। উৎপাদন ব্যাহত হলে তার প্রভাব অন্যান্য খাতেও পড়ে। বিশেষ করে সেবা খাত ও কৃষি খাতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে।
দেশের রপ্তানি আয়ের বেশির ভাগই আসে তৈরি পোশাক থেকে। সম্প্রতি শ্রমিক অসন্তোষ বেড়েছে খাতটিতে। গাজীপুর, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জসহ শিল্প-অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকায় কোনো না কোনো কারখানায় ঘটছে শ্রমিকদের বিক্ষোভ। শ্রমিক অসন্তোষে গতকাল সোমবার পর্যন্ত পোশাক খাতের ৩৩-৩৫টি কারখানা বন্ধ ছিল বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের শুরুতেও দেশে তৈরি পোশাক খাতে ১৬টি কারখানা বন্ধ বা ছুটি ঘোষণা করে উৎপাদন বন্ধ রেখেছিল। সর্বশেষ গতকাল পর্যন্ত এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩টিতে। এর মধ্যে ৩২টি কারখানাই গাজীপুর ও ময়মনসিংহ এলাকায় অবস্থিত।
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ৮ হাজার থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা করার পর অনেক কারখানা চাপে পড়ে যায়। কারখানাগুলো শ্রমিকদের বেতন দিতে হিমশিম খায়। এতে কয়েক মাসের বেতন বকেয়া পড়ে। এসব কারখানার শ্রমিকেরা আন্দোলনে গেলে অনেক মালিক কারখানা বন্ধ করে দেন। এ ছাড়া যেসব কারখানা নিয়মিত বেতন পরিশোধ করে আসছে, সেখানকার ক্যাজুয়াল শ্রমিকেরা চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে আন্দোলনে নামেন। ফলে ধীরে ধীরে বাড়ছে আন্দোলন। গতকালও নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের অনেক এলাকায় রাস্তা বন্ধ করে শ্রমিকেরা আন্দোলন করেন।
পোশাক খাতে আন্দোলন চলতে থাকলে আরও অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে রপ্তানি আয়ে ধাক্কা লাগার আশঙ্কা করছেন শিল্পমালিকেরা। সর্বশেষ অক্টোবর মাসে ৪১৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যার ৮১ শতাংশ এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। মাসটিতে ৩২৯ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাস জুলাই-অক্টোবরে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলমান অবস্থা বিরাজ করলে এই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা কষ্টকর হবে।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এত শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির জন্য কোনো যুক্তি খুঁজে পাইনি এবং এটি টিকবে কি না সন্দেহ আছে।
শুধু তৈরি পোশাক নয়, অন্যান্য খাতেও উল্লেখযোগ্য কারখানা বন্ধের মুখে পড়েছিল। এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও কারখানাগুলো পরিপূর্ণ উৎপাদনে যেতে পারছে না। খাতসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগের তুলনায় উৎপাদন কমে গেছে ১২ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত।
গাজীপুরের প্যাকেজিং খাতের কারখানা এক্সক্লুসিভ ক্যানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ নাসির তিনি বলেন, ‘ইউনিলিভার, বার্জার, রেকিট বেনকিজারের মতো আমাদের বড় ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো ১২ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত প্যাকেজিং পণ্য কেনা কমিয়ে দিয়েছে। কারণ, তাদের উৎপাদন কমে যাওয়ায় প্যাকেজিং পণ্যের চাহিদাও কমে গেছে। এতে আমাদের ১৫-১৭ শতাংশ উৎপাদন কমেছে।’
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নানা সমস্যায় আছে চামড়া খাতও। এ খাতের অনেক ট্যানারি বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এত দিন যাঁরা ব্যাংকঋণ নিয়ে কোনোরকমে উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছিলেন, তাঁরা এখন উৎপাদন বন্ধ করার কথা ভাবছেন। এ জন্য কেমিক্যালসহ বিভিন্ন কাঁচামাল আমদানি জটিলতাকে দায়ী করছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যানুযায়ী, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি গত অক্টোবরে ১ শতাংশ কমেছে। তবে অর্থবছরের প্রথম চার মাসের তথ্য হিসাবে নিলে এখাতে পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। এ সময়ে ৩৭ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩৪ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ফিনিশ লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি ও আনোয়ার ট্যানারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ দিলজাহান ভূঁইয়া বলেন, ‘চামড়া খাত বহু বছর ধরে অবহেলিত। পরিবেশ সনদ না থাকায় আমাদের একমাত্র বাজার চীন। বড় কয়েকটা ছাড়া অন্য কারখানাগুলোর প্রায় সবাই এ বাজারের ওপর নির্ভর করে উৎপাদন টিকিয়ে রেখেছিল। কিন্তু এখন ব্যাংকঋণের সুদহার বৃদ্ধি ও ডলার-সংকটে পড়ে প্রয়োজনীয় কেমিক্যাল আমদানি করতে পারছেন না অনেকে। তাই ৪০-৫০টি কারখানা মাঝেমধ্যে উৎপাদন বন্ধ রাখছে।’
নতুন পরিস্থিতিতে শ্রমিক অসন্তোষ বিরাজ করছে ঔষধ শিল্প খাতেও। শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে ঔষধ শিল্প খাতের ১৬টি কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি পূরণ করে কারখানাগুলো চালু করলেও সমস্যা শেষ হয়নি। ডলার-সংকট, ব্যাংক সুদহার বৃদ্ধি ও বিদ্যুৎ-সংকটে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়েছে।
বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির মহাসচিব এস এম শফিউজ্জামান বলেন, ‘ডলার-সংকট অনেক দিন ধরেই চলছে, তার ওপর বিদ্যুৎ-সমস্যা ও ব্যাংকঋণের সুদহার বৃদ্ধি আমাদের উৎপাদন খরচ অনেকাংশে বাড়িয়েছে। কারণ, মাঝেমধ্যে আমাদের ৪-৫ ঘণ্টা জেনারেটর চালিয়ে উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হয়।’
রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) নির্বাহী পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ আবু ইউসুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের দেশে ব্যবসার খরচ এমনিতেই অনেক বেশি। সরকার মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে ব্যাংক সুদহার বাড়িয়েছে, এটা সাময়িক হওয়া উচিত। শুধু সুদাহারের ওপর নির্ভর না করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের অন্যান্য টুলস ব্যবহার করে দ্রুত বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ ছাড়া শ্রমিক অসন্তোষের পেছনের কারণগুলো সরকারকে খুঁজে বের করে দ্রুত সমাধান করতে হবে।’

ডলার-সংকটে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি ব্যাহত হচ্ছিল আগে থেকেই। ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সমস্যাও। জুলাই অভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যুক্ত হয়েছে নতুন সমস্যা—ব্যাংকঋণের সুদহার বৃদ্ধি ও শ্রমিক অসন্তোষ। সব মিলিয়ে চতুর্মুখী সংকটে পড়েছে দেশের উৎপাদন খাত। এতে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন, বাড়ছে বন্ধ কারখানার সংখ্যাও। শিল্পমালিকদের আশঙ্কা, এই সংকট দীর্ঘায়িত হলে তা রপ্তানি খাতে যেমন নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, তেমনি বাড়াবে বেকারত্বের হার।
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেন, জ্বালানি সংকট, ব্যাংকঋণের সুদহার বৃদ্ধি, শ্রমিক অসন্তোষে কারখানা বন্ধ হওয়া এবং এনবিআর কর্তৃক এইচএস কোড জটিলতাসহ নানা কারণে শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। উৎপাদন ব্যাহত হলে তার প্রভাব অন্যান্য খাতেও পড়ে। বিশেষ করে সেবা খাত ও কৃষি খাতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে।
দেশের রপ্তানি আয়ের বেশির ভাগই আসে তৈরি পোশাক থেকে। সম্প্রতি শ্রমিক অসন্তোষ বেড়েছে খাতটিতে। গাজীপুর, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জসহ শিল্প-অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকায় কোনো না কোনো কারখানায় ঘটছে শ্রমিকদের বিক্ষোভ। শ্রমিক অসন্তোষে গতকাল সোমবার পর্যন্ত পোশাক খাতের ৩৩-৩৫টি কারখানা বন্ধ ছিল বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের শুরুতেও দেশে তৈরি পোশাক খাতে ১৬টি কারখানা বন্ধ বা ছুটি ঘোষণা করে উৎপাদন বন্ধ রেখেছিল। সর্বশেষ গতকাল পর্যন্ত এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩টিতে। এর মধ্যে ৩২টি কারখানাই গাজীপুর ও ময়মনসিংহ এলাকায় অবস্থিত।
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ৮ হাজার থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা করার পর অনেক কারখানা চাপে পড়ে যায়। কারখানাগুলো শ্রমিকদের বেতন দিতে হিমশিম খায়। এতে কয়েক মাসের বেতন বকেয়া পড়ে। এসব কারখানার শ্রমিকেরা আন্দোলনে গেলে অনেক মালিক কারখানা বন্ধ করে দেন। এ ছাড়া যেসব কারখানা নিয়মিত বেতন পরিশোধ করে আসছে, সেখানকার ক্যাজুয়াল শ্রমিকেরা চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে আন্দোলনে নামেন। ফলে ধীরে ধীরে বাড়ছে আন্দোলন। গতকালও নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের অনেক এলাকায় রাস্তা বন্ধ করে শ্রমিকেরা আন্দোলন করেন।
পোশাক খাতে আন্দোলন চলতে থাকলে আরও অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে রপ্তানি আয়ে ধাক্কা লাগার আশঙ্কা করছেন শিল্পমালিকেরা। সর্বশেষ অক্টোবর মাসে ৪১৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যার ৮১ শতাংশ এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। মাসটিতে ৩২৯ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাস জুলাই-অক্টোবরে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলমান অবস্থা বিরাজ করলে এই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা কষ্টকর হবে।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এত শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির জন্য কোনো যুক্তি খুঁজে পাইনি এবং এটি টিকবে কি না সন্দেহ আছে।
শুধু তৈরি পোশাক নয়, অন্যান্য খাতেও উল্লেখযোগ্য কারখানা বন্ধের মুখে পড়েছিল। এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও কারখানাগুলো পরিপূর্ণ উৎপাদনে যেতে পারছে না। খাতসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগের তুলনায় উৎপাদন কমে গেছে ১২ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত।
গাজীপুরের প্যাকেজিং খাতের কারখানা এক্সক্লুসিভ ক্যানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ নাসির তিনি বলেন, ‘ইউনিলিভার, বার্জার, রেকিট বেনকিজারের মতো আমাদের বড় ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো ১২ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত প্যাকেজিং পণ্য কেনা কমিয়ে দিয়েছে। কারণ, তাদের উৎপাদন কমে যাওয়ায় প্যাকেজিং পণ্যের চাহিদাও কমে গেছে। এতে আমাদের ১৫-১৭ শতাংশ উৎপাদন কমেছে।’
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নানা সমস্যায় আছে চামড়া খাতও। এ খাতের অনেক ট্যানারি বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এত দিন যাঁরা ব্যাংকঋণ নিয়ে কোনোরকমে উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছিলেন, তাঁরা এখন উৎপাদন বন্ধ করার কথা ভাবছেন। এ জন্য কেমিক্যালসহ বিভিন্ন কাঁচামাল আমদানি জটিলতাকে দায়ী করছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যানুযায়ী, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি গত অক্টোবরে ১ শতাংশ কমেছে। তবে অর্থবছরের প্রথম চার মাসের তথ্য হিসাবে নিলে এখাতে পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। এ সময়ে ৩৭ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩৪ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ফিনিশ লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি ও আনোয়ার ট্যানারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ দিলজাহান ভূঁইয়া বলেন, ‘চামড়া খাত বহু বছর ধরে অবহেলিত। পরিবেশ সনদ না থাকায় আমাদের একমাত্র বাজার চীন। বড় কয়েকটা ছাড়া অন্য কারখানাগুলোর প্রায় সবাই এ বাজারের ওপর নির্ভর করে উৎপাদন টিকিয়ে রেখেছিল। কিন্তু এখন ব্যাংকঋণের সুদহার বৃদ্ধি ও ডলার-সংকটে পড়ে প্রয়োজনীয় কেমিক্যাল আমদানি করতে পারছেন না অনেকে। তাই ৪০-৫০টি কারখানা মাঝেমধ্যে উৎপাদন বন্ধ রাখছে।’
নতুন পরিস্থিতিতে শ্রমিক অসন্তোষ বিরাজ করছে ঔষধ শিল্প খাতেও। শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে ঔষধ শিল্প খাতের ১৬টি কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি পূরণ করে কারখানাগুলো চালু করলেও সমস্যা শেষ হয়নি। ডলার-সংকট, ব্যাংক সুদহার বৃদ্ধি ও বিদ্যুৎ-সংকটে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়েছে।
বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির মহাসচিব এস এম শফিউজ্জামান বলেন, ‘ডলার-সংকট অনেক দিন ধরেই চলছে, তার ওপর বিদ্যুৎ-সমস্যা ও ব্যাংকঋণের সুদহার বৃদ্ধি আমাদের উৎপাদন খরচ অনেকাংশে বাড়িয়েছে। কারণ, মাঝেমধ্যে আমাদের ৪-৫ ঘণ্টা জেনারেটর চালিয়ে উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হয়।’
রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) নির্বাহী পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ আবু ইউসুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের দেশে ব্যবসার খরচ এমনিতেই অনেক বেশি। সরকার মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে ব্যাংক সুদহার বাড়িয়েছে, এটা সাময়িক হওয়া উচিত। শুধু সুদাহারের ওপর নির্ভর না করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের অন্যান্য টুলস ব্যবহার করে দ্রুত বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ ছাড়া শ্রমিক অসন্তোষের পেছনের কারণগুলো সরকারকে খুঁজে বের করে দ্রুত সমাধান করতে হবে।’
রোকন উদ্দিন, ঢাকা

ডলার-সংকটে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি ব্যাহত হচ্ছিল আগে থেকেই। ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সমস্যাও। জুলাই অভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যুক্ত হয়েছে নতুন সমস্যা—ব্যাংকঋণের সুদহার বৃদ্ধি ও শ্রমিক অসন্তোষ। সব মিলিয়ে চতুর্মুখী সংকটে পড়েছে দেশের উৎপাদন খাত। এতে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন, বাড়ছে বন্ধ কারখানার সংখ্যাও। শিল্পমালিকদের আশঙ্কা, এই সংকট দীর্ঘায়িত হলে তা রপ্তানি খাতে যেমন নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, তেমনি বাড়াবে বেকারত্বের হার।
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেন, জ্বালানি সংকট, ব্যাংকঋণের সুদহার বৃদ্ধি, শ্রমিক অসন্তোষে কারখানা বন্ধ হওয়া এবং এনবিআর কর্তৃক এইচএস কোড জটিলতাসহ নানা কারণে শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। উৎপাদন ব্যাহত হলে তার প্রভাব অন্যান্য খাতেও পড়ে। বিশেষ করে সেবা খাত ও কৃষি খাতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে।
দেশের রপ্তানি আয়ের বেশির ভাগই আসে তৈরি পোশাক থেকে। সম্প্রতি শ্রমিক অসন্তোষ বেড়েছে খাতটিতে। গাজীপুর, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জসহ শিল্প-অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকায় কোনো না কোনো কারখানায় ঘটছে শ্রমিকদের বিক্ষোভ। শ্রমিক অসন্তোষে গতকাল সোমবার পর্যন্ত পোশাক খাতের ৩৩-৩৫টি কারখানা বন্ধ ছিল বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের শুরুতেও দেশে তৈরি পোশাক খাতে ১৬টি কারখানা বন্ধ বা ছুটি ঘোষণা করে উৎপাদন বন্ধ রেখেছিল। সর্বশেষ গতকাল পর্যন্ত এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩টিতে। এর মধ্যে ৩২টি কারখানাই গাজীপুর ও ময়মনসিংহ এলাকায় অবস্থিত।
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ৮ হাজার থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা করার পর অনেক কারখানা চাপে পড়ে যায়। কারখানাগুলো শ্রমিকদের বেতন দিতে হিমশিম খায়। এতে কয়েক মাসের বেতন বকেয়া পড়ে। এসব কারখানার শ্রমিকেরা আন্দোলনে গেলে অনেক মালিক কারখানা বন্ধ করে দেন। এ ছাড়া যেসব কারখানা নিয়মিত বেতন পরিশোধ করে আসছে, সেখানকার ক্যাজুয়াল শ্রমিকেরা চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে আন্দোলনে নামেন। ফলে ধীরে ধীরে বাড়ছে আন্দোলন। গতকালও নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের অনেক এলাকায় রাস্তা বন্ধ করে শ্রমিকেরা আন্দোলন করেন।
পোশাক খাতে আন্দোলন চলতে থাকলে আরও অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে রপ্তানি আয়ে ধাক্কা লাগার আশঙ্কা করছেন শিল্পমালিকেরা। সর্বশেষ অক্টোবর মাসে ৪১৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যার ৮১ শতাংশ এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। মাসটিতে ৩২৯ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাস জুলাই-অক্টোবরে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলমান অবস্থা বিরাজ করলে এই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা কষ্টকর হবে।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এত শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির জন্য কোনো যুক্তি খুঁজে পাইনি এবং এটি টিকবে কি না সন্দেহ আছে।
শুধু তৈরি পোশাক নয়, অন্যান্য খাতেও উল্লেখযোগ্য কারখানা বন্ধের মুখে পড়েছিল। এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও কারখানাগুলো পরিপূর্ণ উৎপাদনে যেতে পারছে না। খাতসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগের তুলনায় উৎপাদন কমে গেছে ১২ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত।
গাজীপুরের প্যাকেজিং খাতের কারখানা এক্সক্লুসিভ ক্যানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ নাসির তিনি বলেন, ‘ইউনিলিভার, বার্জার, রেকিট বেনকিজারের মতো আমাদের বড় ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো ১২ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত প্যাকেজিং পণ্য কেনা কমিয়ে দিয়েছে। কারণ, তাদের উৎপাদন কমে যাওয়ায় প্যাকেজিং পণ্যের চাহিদাও কমে গেছে। এতে আমাদের ১৫-১৭ শতাংশ উৎপাদন কমেছে।’
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নানা সমস্যায় আছে চামড়া খাতও। এ খাতের অনেক ট্যানারি বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এত দিন যাঁরা ব্যাংকঋণ নিয়ে কোনোরকমে উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছিলেন, তাঁরা এখন উৎপাদন বন্ধ করার কথা ভাবছেন। এ জন্য কেমিক্যালসহ বিভিন্ন কাঁচামাল আমদানি জটিলতাকে দায়ী করছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যানুযায়ী, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি গত অক্টোবরে ১ শতাংশ কমেছে। তবে অর্থবছরের প্রথম চার মাসের তথ্য হিসাবে নিলে এখাতে পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। এ সময়ে ৩৭ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩৪ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ফিনিশ লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি ও আনোয়ার ট্যানারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ দিলজাহান ভূঁইয়া বলেন, ‘চামড়া খাত বহু বছর ধরে অবহেলিত। পরিবেশ সনদ না থাকায় আমাদের একমাত্র বাজার চীন। বড় কয়েকটা ছাড়া অন্য কারখানাগুলোর প্রায় সবাই এ বাজারের ওপর নির্ভর করে উৎপাদন টিকিয়ে রেখেছিল। কিন্তু এখন ব্যাংকঋণের সুদহার বৃদ্ধি ও ডলার-সংকটে পড়ে প্রয়োজনীয় কেমিক্যাল আমদানি করতে পারছেন না অনেকে। তাই ৪০-৫০টি কারখানা মাঝেমধ্যে উৎপাদন বন্ধ রাখছে।’
নতুন পরিস্থিতিতে শ্রমিক অসন্তোষ বিরাজ করছে ঔষধ শিল্প খাতেও। শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে ঔষধ শিল্প খাতের ১৬টি কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি পূরণ করে কারখানাগুলো চালু করলেও সমস্যা শেষ হয়নি। ডলার-সংকট, ব্যাংক সুদহার বৃদ্ধি ও বিদ্যুৎ-সংকটে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়েছে।
বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির মহাসচিব এস এম শফিউজ্জামান বলেন, ‘ডলার-সংকট অনেক দিন ধরেই চলছে, তার ওপর বিদ্যুৎ-সমস্যা ও ব্যাংকঋণের সুদহার বৃদ্ধি আমাদের উৎপাদন খরচ অনেকাংশে বাড়িয়েছে। কারণ, মাঝেমধ্যে আমাদের ৪-৫ ঘণ্টা জেনারেটর চালিয়ে উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হয়।’
রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) নির্বাহী পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ আবু ইউসুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের দেশে ব্যবসার খরচ এমনিতেই অনেক বেশি। সরকার মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে ব্যাংক সুদহার বাড়িয়েছে, এটা সাময়িক হওয়া উচিত। শুধু সুদাহারের ওপর নির্ভর না করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের অন্যান্য টুলস ব্যবহার করে দ্রুত বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ ছাড়া শ্রমিক অসন্তোষের পেছনের কারণগুলো সরকারকে খুঁজে বের করে দ্রুত সমাধান করতে হবে।’

ডলার-সংকটে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি ব্যাহত হচ্ছিল আগে থেকেই। ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সমস্যাও। জুলাই অভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যুক্ত হয়েছে নতুন সমস্যা—ব্যাংকঋণের সুদহার বৃদ্ধি ও শ্রমিক অসন্তোষ। সব মিলিয়ে চতুর্মুখী সংকটে পড়েছে দেশের উৎপাদন খাত। এতে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন, বাড়ছে বন্ধ কারখানার সংখ্যাও। শিল্পমালিকদের আশঙ্কা, এই সংকট দীর্ঘায়িত হলে তা রপ্তানি খাতে যেমন নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, তেমনি বাড়াবে বেকারত্বের হার।
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেন, জ্বালানি সংকট, ব্যাংকঋণের সুদহার বৃদ্ধি, শ্রমিক অসন্তোষে কারখানা বন্ধ হওয়া এবং এনবিআর কর্তৃক এইচএস কোড জটিলতাসহ নানা কারণে শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। উৎপাদন ব্যাহত হলে তার প্রভাব অন্যান্য খাতেও পড়ে। বিশেষ করে সেবা খাত ও কৃষি খাতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে।
দেশের রপ্তানি আয়ের বেশির ভাগই আসে তৈরি পোশাক থেকে। সম্প্রতি শ্রমিক অসন্তোষ বেড়েছে খাতটিতে। গাজীপুর, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জসহ শিল্প-অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকায় কোনো না কোনো কারখানায় ঘটছে শ্রমিকদের বিক্ষোভ। শ্রমিক অসন্তোষে গতকাল সোমবার পর্যন্ত পোশাক খাতের ৩৩-৩৫টি কারখানা বন্ধ ছিল বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের শুরুতেও দেশে তৈরি পোশাক খাতে ১৬টি কারখানা বন্ধ বা ছুটি ঘোষণা করে উৎপাদন বন্ধ রেখেছিল। সর্বশেষ গতকাল পর্যন্ত এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩টিতে। এর মধ্যে ৩২টি কারখানাই গাজীপুর ও ময়মনসিংহ এলাকায় অবস্থিত।
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ৮ হাজার থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা করার পর অনেক কারখানা চাপে পড়ে যায়। কারখানাগুলো শ্রমিকদের বেতন দিতে হিমশিম খায়। এতে কয়েক মাসের বেতন বকেয়া পড়ে। এসব কারখানার শ্রমিকেরা আন্দোলনে গেলে অনেক মালিক কারখানা বন্ধ করে দেন। এ ছাড়া যেসব কারখানা নিয়মিত বেতন পরিশোধ করে আসছে, সেখানকার ক্যাজুয়াল শ্রমিকেরা চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে আন্দোলনে নামেন। ফলে ধীরে ধীরে বাড়ছে আন্দোলন। গতকালও নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের অনেক এলাকায় রাস্তা বন্ধ করে শ্রমিকেরা আন্দোলন করেন।
পোশাক খাতে আন্দোলন চলতে থাকলে আরও অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে রপ্তানি আয়ে ধাক্কা লাগার আশঙ্কা করছেন শিল্পমালিকেরা। সর্বশেষ অক্টোবর মাসে ৪১৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যার ৮১ শতাংশ এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। মাসটিতে ৩২৯ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাস জুলাই-অক্টোবরে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলমান অবস্থা বিরাজ করলে এই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা কষ্টকর হবে।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এত শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির জন্য কোনো যুক্তি খুঁজে পাইনি এবং এটি টিকবে কি না সন্দেহ আছে।
শুধু তৈরি পোশাক নয়, অন্যান্য খাতেও উল্লেখযোগ্য কারখানা বন্ধের মুখে পড়েছিল। এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও কারখানাগুলো পরিপূর্ণ উৎপাদনে যেতে পারছে না। খাতসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগের তুলনায় উৎপাদন কমে গেছে ১২ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত।
গাজীপুরের প্যাকেজিং খাতের কারখানা এক্সক্লুসিভ ক্যানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ নাসির তিনি বলেন, ‘ইউনিলিভার, বার্জার, রেকিট বেনকিজারের মতো আমাদের বড় ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো ১২ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত প্যাকেজিং পণ্য কেনা কমিয়ে দিয়েছে। কারণ, তাদের উৎপাদন কমে যাওয়ায় প্যাকেজিং পণ্যের চাহিদাও কমে গেছে। এতে আমাদের ১৫-১৭ শতাংশ উৎপাদন কমেছে।’
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নানা সমস্যায় আছে চামড়া খাতও। এ খাতের অনেক ট্যানারি বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এত দিন যাঁরা ব্যাংকঋণ নিয়ে কোনোরকমে উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছিলেন, তাঁরা এখন উৎপাদন বন্ধ করার কথা ভাবছেন। এ জন্য কেমিক্যালসহ বিভিন্ন কাঁচামাল আমদানি জটিলতাকে দায়ী করছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যানুযায়ী, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি গত অক্টোবরে ১ শতাংশ কমেছে। তবে অর্থবছরের প্রথম চার মাসের তথ্য হিসাবে নিলে এখাতে পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। এ সময়ে ৩৭ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩৪ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ফিনিশ লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি ও আনোয়ার ট্যানারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ দিলজাহান ভূঁইয়া বলেন, ‘চামড়া খাত বহু বছর ধরে অবহেলিত। পরিবেশ সনদ না থাকায় আমাদের একমাত্র বাজার চীন। বড় কয়েকটা ছাড়া অন্য কারখানাগুলোর প্রায় সবাই এ বাজারের ওপর নির্ভর করে উৎপাদন টিকিয়ে রেখেছিল। কিন্তু এখন ব্যাংকঋণের সুদহার বৃদ্ধি ও ডলার-সংকটে পড়ে প্রয়োজনীয় কেমিক্যাল আমদানি করতে পারছেন না অনেকে। তাই ৪০-৫০টি কারখানা মাঝেমধ্যে উৎপাদন বন্ধ রাখছে।’
নতুন পরিস্থিতিতে শ্রমিক অসন্তোষ বিরাজ করছে ঔষধ শিল্প খাতেও। শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে ঔষধ শিল্প খাতের ১৬টি কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি পূরণ করে কারখানাগুলো চালু করলেও সমস্যা শেষ হয়নি। ডলার-সংকট, ব্যাংক সুদহার বৃদ্ধি ও বিদ্যুৎ-সংকটে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়েছে।
বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির মহাসচিব এস এম শফিউজ্জামান বলেন, ‘ডলার-সংকট অনেক দিন ধরেই চলছে, তার ওপর বিদ্যুৎ-সমস্যা ও ব্যাংকঋণের সুদহার বৃদ্ধি আমাদের উৎপাদন খরচ অনেকাংশে বাড়িয়েছে। কারণ, মাঝেমধ্যে আমাদের ৪-৫ ঘণ্টা জেনারেটর চালিয়ে উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হয়।’
রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) নির্বাহী পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ আবু ইউসুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের দেশে ব্যবসার খরচ এমনিতেই অনেক বেশি। সরকার মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে ব্যাংক সুদহার বাড়িয়েছে, এটা সাময়িক হওয়া উচিত। শুধু সুদাহারের ওপর নির্ভর না করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের অন্যান্য টুলস ব্যবহার করে দ্রুত বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ ছাড়া শ্রমিক অসন্তোষের পেছনের কারণগুলো সরকারকে খুঁজে বের করে দ্রুত সমাধান করতে হবে।’

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
২০ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
২ দিন আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
২ দিন আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সহজীকরণে এনবিআরের উদ্যোগে ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সহযোগিতায় ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটস্থ কার্যালয়ে ‘হেল্পডেস্ক’ চালু করা হয়েছে।
রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এ ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের হেল্পডেস্ক থেকে আগামী শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হবে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সহজীকরণে এনবিআরের উদ্যোগে ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সহযোগিতায় ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটস্থ কার্যালয়ে ‘হেল্পডেস্ক’ চালু করা হয়েছে।
রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এ ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের হেল্পডেস্ক থেকে আগামী শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হবে।

ডলার-সংকটে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি ব্যাহত হচ্ছিল আগে থেকেই। ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সমস্যাও। জুলাই অভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যুক্ত হয়েছে নতুন সমস্যা—ব্যাংকঋণের সুদহার বৃদ্ধি ও শ্রমিক অসন্তোষ। সব মিলিয়ে চতুর্মুখী সংকটে পড়েছে দেশের উৎপাদন খাত। এতে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন, বাড়ছে বন্ধ ক
১২ নভেম্বর ২০২৪
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
২ দিন আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
২ দিন আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে বিমানবন্দরের বাইরে অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো ব্যবস্থা চালুর দাবি জোরালো হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো অপারেশন চালু না হলে যেকোনো সংকটে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
অফডক হলো বন্দর বা বিমানবন্দরের মূল এলাকার বাইরে অবস্থিত এমন নির্ধারিত স্থাপনা, যেখানে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের খালাস, সংরক্ষণ, পরীক্ষা ও হ্যান্ডলিং করা হয়। সহজভাবে বলা যায়, বন্দরের ভেতরে সব কাজ না করে বন্দরের বাইরে আলাদা জায়গায় কার্গোর কাজ করা, এটাই অফডক।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মতো আকাশপথেও অফডক ব্যবস্থা চালু করা যায় বলে মনে করেন নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং সেবা মূলত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা খুবই সীমিত। অনেক সময় পণ্য খালাসে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়। এতে রপ্তানি ও আমদানি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েন।
অফডক চালু হলে এ ধরনের জটিলতা থাকবে না জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এতে পণ্য খালাস দ্রুত হবে এবং সামগ্রিকভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও সহজ ও গতিশীল হবে।
অফডক দরকার কেন
সংশ্লিষ্টরা জানান, অফডক ব্যবস্থা চালু হলে বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক অপারেটর থাকবে। ফলে কার্গো আমদানি-রপ্তানি পরিবহনে টার্মিনাল হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং, স্ক্যানিং চার্জসহ অন্যান্য ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে সেবার মানও বাড়বে।
তথ্যমতে, বর্তমানে আকাশপথে প্রতি কেজি পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ২৬ টাকা সার্ভিস চার্জ নেয় বিমান বাংলাদেশ ও সিভিল এভিয়েশন। একই সেবা পেতে ব্যাংককে প্রতি কেজিতে ৬.৪২ টাকা, কলকাতায় ৪.৮৮ টাকা এবং দিল্লিতে ৬.১০ টাকা দিতে হয়। এতে করে আকাশপথে পণ্য পরিবহন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেশে এয়ার কার্গো অপারেশনে অফডক পদ্ধতি চালু হলে অধিকতর কার্গো নিরাপত্তার সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। ইলেকট্রনিক কার্গো ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইসিটিএস) চালু হবে। ফলে সহজে কার্গোর অবস্থান জানা যাবে। দ্রুত পণ্য খালাসে সুবিধা পাবে এবং জট কমবে। ওষুধের কাঁচামাল, জরুরি গার্মেন্টস পণ্যের নমুনাসহ আনুষঙ্গিক পণ্য সহজে পরিবহন করা যাবে। এতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত হবে।
ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। বিশ্বের অনেক দেশে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন সিঙ্গাপুর, দুবাই, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, জাপান, ভারত, হংকং, ইউএসএ। সেখানে এই ব্যবস্থার ফলে কার্গো পরিবহনে সময়ের সাশ্রয় ও পণ্য খালাসে জটিলতা নেই বললেই চলে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে এবং তা সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একই ধরনের ব্যবস্থা ঢাকার বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় চালু করা গেলে আকাশপথে পণ্য পরিবহন আরও সহজ হবে।
এদিকে এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়ন চেয়ে ২৩ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, ঢাকা বিমানবন্দর এবং এর আশপাশে অফডক সুবিধা চালু হলে আমদানি প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং রপ্তানির গতি বাড়বে। তবে অফডকের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কম খরচে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে স্পষ্ট শর্ত থাকা প্রয়োজন।
বিজিএমইএ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তাই অফডক ব্যবস্থায় বিমানের সঙ্গে সমন্বয় ও চুক্তির বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্ট থাকা জরুরি।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, অফডক চালু হলে ডিএইচএল বা ফেডেক্সের মতো কুরিয়ার কোম্পানিগুলো বন্ড লাইসেন্স নিয়ে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পরে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে সরাসরি ডেলিভারি করতে পারবে। তখন আর বিমানের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ‘এয়ার এক্সপ্রেস সার্ভিস ডেলিভারি’ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ—বিডা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে এয়ার কার্গো কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) কাস্টমস ও মূল্য সংযোজন কর বিভাগ থেকে ‘এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) স্থাপন, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, তদারকি ও কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে।
এয়ার কার্গো অপারেটর’স স্টেশন নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে আইআরডি সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব বিধিমালা চূড়ান্ত করে তা বাস্তবায়ন করতে চাই।’

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে বিমানবন্দরের বাইরে অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো ব্যবস্থা চালুর দাবি জোরালো হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো অপারেশন চালু না হলে যেকোনো সংকটে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
অফডক হলো বন্দর বা বিমানবন্দরের মূল এলাকার বাইরে অবস্থিত এমন নির্ধারিত স্থাপনা, যেখানে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের খালাস, সংরক্ষণ, পরীক্ষা ও হ্যান্ডলিং করা হয়। সহজভাবে বলা যায়, বন্দরের ভেতরে সব কাজ না করে বন্দরের বাইরে আলাদা জায়গায় কার্গোর কাজ করা, এটাই অফডক।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মতো আকাশপথেও অফডক ব্যবস্থা চালু করা যায় বলে মনে করেন নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং সেবা মূলত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা খুবই সীমিত। অনেক সময় পণ্য খালাসে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়। এতে রপ্তানি ও আমদানি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েন।
অফডক চালু হলে এ ধরনের জটিলতা থাকবে না জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এতে পণ্য খালাস দ্রুত হবে এবং সামগ্রিকভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও সহজ ও গতিশীল হবে।
অফডক দরকার কেন
সংশ্লিষ্টরা জানান, অফডক ব্যবস্থা চালু হলে বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক অপারেটর থাকবে। ফলে কার্গো আমদানি-রপ্তানি পরিবহনে টার্মিনাল হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং, স্ক্যানিং চার্জসহ অন্যান্য ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে সেবার মানও বাড়বে।
তথ্যমতে, বর্তমানে আকাশপথে প্রতি কেজি পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ২৬ টাকা সার্ভিস চার্জ নেয় বিমান বাংলাদেশ ও সিভিল এভিয়েশন। একই সেবা পেতে ব্যাংককে প্রতি কেজিতে ৬.৪২ টাকা, কলকাতায় ৪.৮৮ টাকা এবং দিল্লিতে ৬.১০ টাকা দিতে হয়। এতে করে আকাশপথে পণ্য পরিবহন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেশে এয়ার কার্গো অপারেশনে অফডক পদ্ধতি চালু হলে অধিকতর কার্গো নিরাপত্তার সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। ইলেকট্রনিক কার্গো ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইসিটিএস) চালু হবে। ফলে সহজে কার্গোর অবস্থান জানা যাবে। দ্রুত পণ্য খালাসে সুবিধা পাবে এবং জট কমবে। ওষুধের কাঁচামাল, জরুরি গার্মেন্টস পণ্যের নমুনাসহ আনুষঙ্গিক পণ্য সহজে পরিবহন করা যাবে। এতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত হবে।
ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। বিশ্বের অনেক দেশে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন সিঙ্গাপুর, দুবাই, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, জাপান, ভারত, হংকং, ইউএসএ। সেখানে এই ব্যবস্থার ফলে কার্গো পরিবহনে সময়ের সাশ্রয় ও পণ্য খালাসে জটিলতা নেই বললেই চলে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে এবং তা সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একই ধরনের ব্যবস্থা ঢাকার বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় চালু করা গেলে আকাশপথে পণ্য পরিবহন আরও সহজ হবে।
এদিকে এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়ন চেয়ে ২৩ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, ঢাকা বিমানবন্দর এবং এর আশপাশে অফডক সুবিধা চালু হলে আমদানি প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং রপ্তানির গতি বাড়বে। তবে অফডকের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কম খরচে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে স্পষ্ট শর্ত থাকা প্রয়োজন।
বিজিএমইএ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তাই অফডক ব্যবস্থায় বিমানের সঙ্গে সমন্বয় ও চুক্তির বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্ট থাকা জরুরি।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, অফডক চালু হলে ডিএইচএল বা ফেডেক্সের মতো কুরিয়ার কোম্পানিগুলো বন্ড লাইসেন্স নিয়ে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পরে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে সরাসরি ডেলিভারি করতে পারবে। তখন আর বিমানের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ‘এয়ার এক্সপ্রেস সার্ভিস ডেলিভারি’ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ—বিডা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে এয়ার কার্গো কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) কাস্টমস ও মূল্য সংযোজন কর বিভাগ থেকে ‘এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) স্থাপন, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, তদারকি ও কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে।
এয়ার কার্গো অপারেটর’স স্টেশন নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে আইআরডি সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব বিধিমালা চূড়ান্ত করে তা বাস্তবায়ন করতে চাই।’

ডলার-সংকটে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি ব্যাহত হচ্ছিল আগে থেকেই। ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সমস্যাও। জুলাই অভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যুক্ত হয়েছে নতুন সমস্যা—ব্যাংকঋণের সুদহার বৃদ্ধি ও শ্রমিক অসন্তোষ। সব মিলিয়ে চতুর্মুখী সংকটে পড়েছে দেশের উৎপাদন খাত। এতে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন, বাড়ছে বন্ধ ক
১২ নভেম্বর ২০২৪
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
২০ ঘণ্টা আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
২ দিন আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্য এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
এএমএল ও সিএফটি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকা এবং প্রাসঙ্গিক নিয়ন্ত্রক নির্দেশনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। কর্মশালায় আলোচিত প্রধান বিষয় ছিল—ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং মানি লন্ডারিং তদারকিতে পরিচালনা পর্ষদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কর্তৃক বিভিন্ন সময় সিস্টেম চেক পরিদর্শন থেকে প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। দেশের সাম্প্রতিক মানি লন্ডারিং পরিস্থিতি এবং রিপোর্টিং সংস্থা হিসেবে ব্যাংকের করণীয়।
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক রেজওয়ানুর রহমান ও যুগ্ম পরিচালক জুয়াইরিয়া হক।
এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. এবতাদুল ইসলাম, কাজী মো. মাহবুব কাশেম এফসিএ, মো. গোলাম মোস্তফা ও মুহাম্মদ মনজুরুল হক উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই সচেতনতামূলক সেশনে অংশ নেন।
আইএফআইসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এ ধরনের কর্মশালা নিয়মিত আয়োজন করা হবে।

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্য এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
এএমএল ও সিএফটি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকা এবং প্রাসঙ্গিক নিয়ন্ত্রক নির্দেশনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। কর্মশালায় আলোচিত প্রধান বিষয় ছিল—ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং মানি লন্ডারিং তদারকিতে পরিচালনা পর্ষদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কর্তৃক বিভিন্ন সময় সিস্টেম চেক পরিদর্শন থেকে প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। দেশের সাম্প্রতিক মানি লন্ডারিং পরিস্থিতি এবং রিপোর্টিং সংস্থা হিসেবে ব্যাংকের করণীয়।
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক রেজওয়ানুর রহমান ও যুগ্ম পরিচালক জুয়াইরিয়া হক।
এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. এবতাদুল ইসলাম, কাজী মো. মাহবুব কাশেম এফসিএ, মো. গোলাম মোস্তফা ও মুহাম্মদ মনজুরুল হক উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই সচেতনতামূলক সেশনে অংশ নেন।
আইএফআইসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এ ধরনের কর্মশালা নিয়মিত আয়োজন করা হবে।

ডলার-সংকটে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি ব্যাহত হচ্ছিল আগে থেকেই। ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সমস্যাও। জুলাই অভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যুক্ত হয়েছে নতুন সমস্যা—ব্যাংকঋণের সুদহার বৃদ্ধি ও শ্রমিক অসন্তোষ। সব মিলিয়ে চতুর্মুখী সংকটে পড়েছে দেশের উৎপাদন খাত। এতে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন, বাড়ছে বন্ধ ক
১২ নভেম্বর ২০২৪
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
২০ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
২ দিন আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (ক্যাশ ডিভিডেন্ড) সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছেন। কোম্পানির চেয়ারম্যান আলী হোসেন আকবরআলী এফসিএ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী এবং পরিচালকমণ্ডলীর প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়। শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কোম্পানির পরিচালক পুনর্নিয়োগ এবং নিরীক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর আলীহোসেন পরিচালকমণ্ডলীর বিবরণী উপস্থাপন করেন এবং কোম্পানির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের অবহিত করেন।
বিপুলসংখ্যক শেয়ারহোল্ডার নিজ নিজ বিও (BO) আইডি ব্যবহার করে ওয়েব লিংকের মাধ্যমে এই ভার্চুয়াল সভায় সরাসরি অংশ নেন। নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীসহ বিভিন্ন বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের প্রশ্নের উত্তর দেন কোম্পানি সচিব।
শেয়ারহোল্ডাররা তাঁদের মন্তব্যে কোম্পানির বর্তমান ব্যবস্থাপনা ও পরিচালকমণ্ডলীর প্রতি গভীর আস্থা ও নির্ভরতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
সভায় কোম্পানির পরিচালকবৃন্দ, কোম্পানি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কোম্পানির ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (ক্যাশ ডিভিডেন্ড) সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছেন। কোম্পানির চেয়ারম্যান আলী হোসেন আকবরআলী এফসিএ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী এবং পরিচালকমণ্ডলীর প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়। শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কোম্পানির পরিচালক পুনর্নিয়োগ এবং নিরীক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর আলীহোসেন পরিচালকমণ্ডলীর বিবরণী উপস্থাপন করেন এবং কোম্পানির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের অবহিত করেন।
বিপুলসংখ্যক শেয়ারহোল্ডার নিজ নিজ বিও (BO) আইডি ব্যবহার করে ওয়েব লিংকের মাধ্যমে এই ভার্চুয়াল সভায় সরাসরি অংশ নেন। নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীসহ বিভিন্ন বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের প্রশ্নের উত্তর দেন কোম্পানি সচিব।
শেয়ারহোল্ডাররা তাঁদের মন্তব্যে কোম্পানির বর্তমান ব্যবস্থাপনা ও পরিচালকমণ্ডলীর প্রতি গভীর আস্থা ও নির্ভরতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
সভায় কোম্পানির পরিচালকবৃন্দ, কোম্পানি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কোম্পানির ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

ডলার-সংকটে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি ব্যাহত হচ্ছিল আগে থেকেই। ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সমস্যাও। জুলাই অভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যুক্ত হয়েছে নতুন সমস্যা—ব্যাংকঋণের সুদহার বৃদ্ধি ও শ্রমিক অসন্তোষ। সব মিলিয়ে চতুর্মুখী সংকটে পড়েছে দেশের উৎপাদন খাত। এতে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন, বাড়ছে বন্ধ ক
১২ নভেম্বর ২০২৪
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
২০ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
২ দিন আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
২ দিন আগে