জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
নগদ টাকার পরিবর্তে ক্যাশলেস স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ঢাকঢোল পিটিয়ে আড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অ্যাপসভিত্তিক কুইক রেসপন্স (কিউআর) কোড ব্যবহারের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু প্রায় দেড় বছর পার হলেও কচ্ছপগতিতে এগোচ্ছে বাংলা কিউআর কোডের মাধ্যমে লেনদেন। রাজধানীর মতিঝিলে উদ্বোধনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করলেও ওই এলাকার ফুটপাতের ফল বিক্রেতা, চা-দোকানি, মুচি, মুদি, হোটেলসহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে উধাও হয়ে গেছে কিউআর মেশিন। একই দশা রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্যাশলেস লেনদেন অ্যাপ চালু করতে নির্দেশ দিলেও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে তা বাস্তবায়নে ঢিমেতালে চলছে। কোনো কোনো ব্যাংকের অ্যাপ থাকলেও তা কিউআর কোডে সংযুক্ত করতে পারেনি। এ জন্য মূলত বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিকল্পনা এবং উদ্যোগের ঘাটতিকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে নগদ টাকার ব্যবহার কমাতে বাংলা কিউআরের মাধ্যমে অ্যাপসভিত্তিক ক্যাশলেস লেনদেন শুরু হয়। এই কিউআর কোডের মাধ্যমেই সব ধরনের মূল্য পরিশোধ করতে পারেন গ্রাহক। প্রাথমিকভাবে রাজধানীর মতিঝিলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মার্চেন্ট ব্যাংক হিসাব খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু বিগত ১৭ মাসে কিউআর কোডের ব্যবহার আর চোখে পড়ছে না এসব ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। আবার নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণেও অনীহা দেখাচ্ছেন ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা, যা নতুন করে কিউআর কোডের মাধ্যমে লেনদেনকে নিরুৎসাহিত করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, ‘আমরা ২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাজধানীর মতিঝিল এলাকার ১ হাজার ২০০ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে কিউআর কোড সরবরাহ করেছি। কিন্তু দক্ষতা ও কারিগরি বিষয়ের কারণে ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের মধ্যে কিউআর কোড ব্যবহারে আগ্রহ বাড়ছে না। বিক্রেতারা বলছেন, যেকোনো পণ্য কিনতেই তাঁদের নগদ অর্থ ব্যবহার করতে হচ্ছে। কেউ অনলাইনে পরিশোধ করলে টাকা তোলা নিয়ে তাঁদের বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়। যে কারণে নগদ অর্থ বিনিময়ে তাঁদের আগ্রহ। এ কারণে কিউআর কোডে ক্যাশলেস লেনদেন কমছে।’
কথা হয় ক্ষুদ্র দোকানি রিমা আক্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কিউআর কোডে আগ্রহ নেই মানুষের। শুরুর কয়েক দিন লেনদেন হলেও এখন বন্ধ। তা-ও প্রথম দিন হিসাব খুলে দেওয়ার সময় ব্যাংকের লোকজনই করেছেন।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এক অনুষ্ঠানে আগামী ৪ বছরের মধ্যে ৭৫ শতাংশ লেনদেন নগদ অর্থবিহীন বা ক্যাশলেস মাধ্যমে আনার লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন। কারণ, নগদ টাকার লেনদেন যত কম হবে, অর্থনীতির গতি তত বাড়বে এবং এটা প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে। কিন্তু নানা জটিলতায় বাংলা কিউআর কেডের মাধ্যমে লেনদেনে তেমন একটা সাড়া মিলছে না।
বিশ্বে ১৯৯০ সালের প্রথম কিউআর কোডের প্রচলন শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের ১১ মার্চ বাংলা কিউআর নীতিমালা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেই পথ ধরেই নির্দিষ্ট যেকোনো ব্যাংকের অ্যাপস ব্যবহার করে কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে ক্যাশলেস লেনদেনে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা শুরু হয় ২০২৩ সালে। কিন্তু তা গতি পাচ্ছে না। এ জন্য গত ৩০ মে বাংলা কিউআর কোডকে উৎসাহ দেওয়ার লক্ষ্যে সিএসআরের অর্থ কিউআর কোডের প্রচার ও প্রসারে বরাদ্দ রাখতে সব ব্যাংককে নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
নগদ টাকার পরিবর্তে ক্যাশলেস স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ঢাকঢোল পিটিয়ে আড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অ্যাপসভিত্তিক কুইক রেসপন্স (কিউআর) কোড ব্যবহারের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু প্রায় দেড় বছর পার হলেও কচ্ছপগতিতে এগোচ্ছে বাংলা কিউআর কোডের মাধ্যমে লেনদেন। রাজধানীর মতিঝিলে উদ্বোধনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করলেও ওই এলাকার ফুটপাতের ফল বিক্রেতা, চা-দোকানি, মুচি, মুদি, হোটেলসহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে উধাও হয়ে গেছে কিউআর মেশিন। একই দশা রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্যাশলেস লেনদেন অ্যাপ চালু করতে নির্দেশ দিলেও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে তা বাস্তবায়নে ঢিমেতালে চলছে। কোনো কোনো ব্যাংকের অ্যাপ থাকলেও তা কিউআর কোডে সংযুক্ত করতে পারেনি। এ জন্য মূলত বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিকল্পনা এবং উদ্যোগের ঘাটতিকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে নগদ টাকার ব্যবহার কমাতে বাংলা কিউআরের মাধ্যমে অ্যাপসভিত্তিক ক্যাশলেস লেনদেন শুরু হয়। এই কিউআর কোডের মাধ্যমেই সব ধরনের মূল্য পরিশোধ করতে পারেন গ্রাহক। প্রাথমিকভাবে রাজধানীর মতিঝিলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মার্চেন্ট ব্যাংক হিসাব খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু বিগত ১৭ মাসে কিউআর কোডের ব্যবহার আর চোখে পড়ছে না এসব ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। আবার নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণেও অনীহা দেখাচ্ছেন ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা, যা নতুন করে কিউআর কোডের মাধ্যমে লেনদেনকে নিরুৎসাহিত করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, ‘আমরা ২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাজধানীর মতিঝিল এলাকার ১ হাজার ২০০ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে কিউআর কোড সরবরাহ করেছি। কিন্তু দক্ষতা ও কারিগরি বিষয়ের কারণে ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের মধ্যে কিউআর কোড ব্যবহারে আগ্রহ বাড়ছে না। বিক্রেতারা বলছেন, যেকোনো পণ্য কিনতেই তাঁদের নগদ অর্থ ব্যবহার করতে হচ্ছে। কেউ অনলাইনে পরিশোধ করলে টাকা তোলা নিয়ে তাঁদের বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়। যে কারণে নগদ অর্থ বিনিময়ে তাঁদের আগ্রহ। এ কারণে কিউআর কোডে ক্যাশলেস লেনদেন কমছে।’
কথা হয় ক্ষুদ্র দোকানি রিমা আক্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কিউআর কোডে আগ্রহ নেই মানুষের। শুরুর কয়েক দিন লেনদেন হলেও এখন বন্ধ। তা-ও প্রথম দিন হিসাব খুলে দেওয়ার সময় ব্যাংকের লোকজনই করেছেন।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এক অনুষ্ঠানে আগামী ৪ বছরের মধ্যে ৭৫ শতাংশ লেনদেন নগদ অর্থবিহীন বা ক্যাশলেস মাধ্যমে আনার লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন। কারণ, নগদ টাকার লেনদেন যত কম হবে, অর্থনীতির গতি তত বাড়বে এবং এটা প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে। কিন্তু নানা জটিলতায় বাংলা কিউআর কেডের মাধ্যমে লেনদেনে তেমন একটা সাড়া মিলছে না।
বিশ্বে ১৯৯০ সালের প্রথম কিউআর কোডের প্রচলন শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের ১১ মার্চ বাংলা কিউআর নীতিমালা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেই পথ ধরেই নির্দিষ্ট যেকোনো ব্যাংকের অ্যাপস ব্যবহার করে কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে ক্যাশলেস লেনদেনে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা শুরু হয় ২০২৩ সালে। কিন্তু তা গতি পাচ্ছে না। এ জন্য গত ৩০ মে বাংলা কিউআর কোডকে উৎসাহ দেওয়ার লক্ষ্যে সিএসআরের অর্থ কিউআর কোডের প্রচার ও প্রসারে বরাদ্দ রাখতে সব ব্যাংককে নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের কিস্তি গ্রহণের জন্য অপেক্ষা না করে নিজেদের মতো বাজেট তৈরি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এমন তথ্য জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক...
৮ ঘণ্টা আগেদেশের ভোজ্যতেলের বাজারে এখনো মানের ঘাটতি রয়েছে। ভিটামিন ‘এ’ ও ‘ডি’ সমৃদ্ধ তেল সরবরাহ বাধ্যতামূলক হলেও বাস্তবে তা অনেকটা উপেক্ষিত। সরকারি আইন অনুযায়ী তেলে ভিটামিন এ মেশানো আবশ্যক হলেও বাজারের বিশাল একটি অংশে তা অনুপস্থিত কিংবা থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
৯ ঘণ্টা আগেঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কৌশলগত অংশীদার চীনের শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনে কমিশন সভাকক্ষে এই বৈঠক...
৯ ঘণ্টা আগেজনসংখ্যায় ক্ষুদ্র, কিন্তু প্রভাবের বিচারে বিশাল নর্ডিক দেশগুলো যেন এক অর্থনৈতিক বিস্ময়। সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড—এই চার দেশের জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক আকার যতই ছোট হোক না কেন, এখান থেকেই জন্ম নিয়েছে আইকিয়া, লেগো, স্পটিফাই, নোভো নর্ডিস্ক, নোকিয়া ও কার্লসবার্গের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলো।
১৬ ঘণ্টা আগে