মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা
দায় মূল্যায়ন প্রতিবেদন বা ভ্যালুয়েশন রিপোর্ট জমা না দিয়েই ৬ বছর ধরে গোপনে ব্যবসা করেছে প্রোটেকটিভ ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড। নিয়মিত বার্ষিক প্রতিবেদন ও দায় মূল্যায়ন না থাকায় গ্রাহক ও শেয়ারহোল্ডারদের প্রাপ্য বোনাস, লভ্যাংশ, কমিশন কিংবা খরচ—কোনোটিরই হদিস ছিল না আইডিআরএর কাছে। ফলে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে বিমা আইনের একাধিক ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে ২ কোটি ৬২ লাখ টাকার রেকর্ড জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
২০১৩ সালে ব্যবসা শুরু করা নতুন প্রজন্মের এই কোম্পানিটি ২০১৯ সাল পর্যন্ত একটিও ‘একচ্যুয়ারিয়াল ভ্যালুয়েশন রিপোর্ট’ বা বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে ভবিষ্যৎঝুঁকি ও দায় হিসাব দাখিল করেনি। বিমা আইন অনুযায়ী, এটি প্রতিবছর বাধ্যতামূলক। এমনকি কোম্পানিটি এখনো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়নি, বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ডাকেনি, লভ্যাংশ দেয়নি। অভিযোগ রয়েছে, এর কোনো শাখা, সার্ভিস সেন্টার বা প্রিমিয়াম কালেকশন বুথও নেই।
বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) উপপরিচালক ও মুখপাত্র মো. সোলায়মান আজকের পত্রিকাকে জানান, কয়েকবার নোটিশ ও শুনানির পর সন্তোষজনক জবাব না পাওয়ায় কর্তৃপক্ষের ১৮১তম সভায় এ শাস্তির সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে আইডিআরএ কোম্পানিটির ২০১৫-১৭ সালের কার্যক্রম পর্যালোচনায় আর্টিসান চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসকে বিশেষ নিরীক্ষক নিয়োগ দেয়। নিরীক্ষায় উঠে আসে, কোম্পানিটির কোনো কার্যকর অবকাঠামো বা গ্রাহকসেবা নেই।
বিমা খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, দায়সারা মনোভাব এবং একচ্যুয়ারি সংকটের অজুহাতে নিয়ম না মানার সংস্কৃতি দিন দিন বাড়ছে। এ ধরনের নজিরবিহীন শাস্তি বিমা খাতকে শৃঙ্খলায় ফেরাতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
আইডিআরএর হিসাবে, ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৭ বছরে দায় মূল্যায়ন রিপোর্ট না দেওয়ার জন্য একাধিক দফায় মোট ২ কোটি ৬২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে আইনের ১৩০ ধারা অনুযায়ী বছরে ৫০ হাজার টাকা করে ২ লাখ ৫০ হাজার এবং বাকি ২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা প্রতিদিনের ভিত্তিতে হিসাব করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ড. কিশোর বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রতিষ্ঠার শুরুতে দায়িত্বে থাকা একচ্যুয়ারি সোহরাব উদ্দীনের শারীরিক অসুস্থতা ও ব্যস্ততার কারণে দেরি হয়েছে। তবে বিষয়টি আইডিআরএর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চলছে।
আইনের ৩০ ও ৩২ ধারা অনুযায়ী, লাইফ বিমা কোম্পানিকে প্রতিবছর দায় মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরি ও জমা দিতে হয়। আর ৭ ধারা অনুযায়ী, ব্যবসা শুরুর তিন বছরের মধ্যে কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু প্রোটেকটিভ ইসলামী লাইফ এ নিয়ম মানেনি। পাস হয়েছে এক যুগ অথচ এখনো তালিকাভুক্ত নয়।
আইডিআরএর সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান পাটোয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিমা খাতের প্রতি আস্থা ফেরাতে কোম্পানিগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনতেই হবে। তবে ব্যবস্থা নিতে হবে এমনভাবে, যাতে গ্রাহক যেন ক্ষতির মুখে না পড়েন।
দায় মূল্যায়ন প্রতিবেদন বা ভ্যালুয়েশন রিপোর্ট জমা না দিয়েই ৬ বছর ধরে গোপনে ব্যবসা করেছে প্রোটেকটিভ ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড। নিয়মিত বার্ষিক প্রতিবেদন ও দায় মূল্যায়ন না থাকায় গ্রাহক ও শেয়ারহোল্ডারদের প্রাপ্য বোনাস, লভ্যাংশ, কমিশন কিংবা খরচ—কোনোটিরই হদিস ছিল না আইডিআরএর কাছে। ফলে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে বিমা আইনের একাধিক ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে ২ কোটি ৬২ লাখ টাকার রেকর্ড জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
২০১৩ সালে ব্যবসা শুরু করা নতুন প্রজন্মের এই কোম্পানিটি ২০১৯ সাল পর্যন্ত একটিও ‘একচ্যুয়ারিয়াল ভ্যালুয়েশন রিপোর্ট’ বা বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে ভবিষ্যৎঝুঁকি ও দায় হিসাব দাখিল করেনি। বিমা আইন অনুযায়ী, এটি প্রতিবছর বাধ্যতামূলক। এমনকি কোম্পানিটি এখনো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়নি, বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ডাকেনি, লভ্যাংশ দেয়নি। অভিযোগ রয়েছে, এর কোনো শাখা, সার্ভিস সেন্টার বা প্রিমিয়াম কালেকশন বুথও নেই।
বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) উপপরিচালক ও মুখপাত্র মো. সোলায়মান আজকের পত্রিকাকে জানান, কয়েকবার নোটিশ ও শুনানির পর সন্তোষজনক জবাব না পাওয়ায় কর্তৃপক্ষের ১৮১তম সভায় এ শাস্তির সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে আইডিআরএ কোম্পানিটির ২০১৫-১৭ সালের কার্যক্রম পর্যালোচনায় আর্টিসান চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসকে বিশেষ নিরীক্ষক নিয়োগ দেয়। নিরীক্ষায় উঠে আসে, কোম্পানিটির কোনো কার্যকর অবকাঠামো বা গ্রাহকসেবা নেই।
বিমা খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, দায়সারা মনোভাব এবং একচ্যুয়ারি সংকটের অজুহাতে নিয়ম না মানার সংস্কৃতি দিন দিন বাড়ছে। এ ধরনের নজিরবিহীন শাস্তি বিমা খাতকে শৃঙ্খলায় ফেরাতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
আইডিআরএর হিসাবে, ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৭ বছরে দায় মূল্যায়ন রিপোর্ট না দেওয়ার জন্য একাধিক দফায় মোট ২ কোটি ৬২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে আইনের ১৩০ ধারা অনুযায়ী বছরে ৫০ হাজার টাকা করে ২ লাখ ৫০ হাজার এবং বাকি ২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা প্রতিদিনের ভিত্তিতে হিসাব করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ড. কিশোর বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রতিষ্ঠার শুরুতে দায়িত্বে থাকা একচ্যুয়ারি সোহরাব উদ্দীনের শারীরিক অসুস্থতা ও ব্যস্ততার কারণে দেরি হয়েছে। তবে বিষয়টি আইডিআরএর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চলছে।
আইনের ৩০ ও ৩২ ধারা অনুযায়ী, লাইফ বিমা কোম্পানিকে প্রতিবছর দায় মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরি ও জমা দিতে হয়। আর ৭ ধারা অনুযায়ী, ব্যবসা শুরুর তিন বছরের মধ্যে কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু প্রোটেকটিভ ইসলামী লাইফ এ নিয়ম মানেনি। পাস হয়েছে এক যুগ অথচ এখনো তালিকাভুক্ত নয়।
আইডিআরএর সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান পাটোয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিমা খাতের প্রতি আস্থা ফেরাতে কোম্পানিগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনতেই হবে। তবে ব্যবস্থা নিতে হবে এমনভাবে, যাতে গ্রাহক যেন ক্ষতির মুখে না পড়েন।
যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কের ধাক্কায় টালমাটাল বিশ্ববাণিজ্য, বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলো। এশিয়ার অধিকাংশ দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি হয়ে থাকে। আর শুল্কের কারণে এ খাতে শঙ্কার জন্ম হয়েছে। গত ২০ এপ্রিল লিবারেশন ডে ঘোষণা করে যে শুল্ক আরোপ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার প্রভাবের
১৫ ঘণ্টা আগেভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর এর বড় ধাক্কা লেগেছে ভারতের তৈরি পোশাক খাতে। ট্রাম্পের এই শুল্ক ঘোষণার পর থেকে প্রতিদিন আতঙ্কে কাটছে এই খাতের উদ্যোক্তাদের।
১৭ ঘণ্টা আগেব্যাংক খাতে লুণ্ঠন, অর্থ পাচার, শেয়ারবাজার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নড়বড়ে করে ফেলা, বৈদেশিক মুদ্রার মজুতে চাপ ইত্যাদি কারণে আওয়ামী লীগ আমলের শেষের দিকে অর্থনীতি মহাসংকটে পড়েছিল। এর সরাসরি প্রভাব পড়ে জনজীবনেও। মূল্যস্ফীতিতে দেশবাসীর নাভিশ্বাস ওঠে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের...
১ দিন আগেচীনা প্রতিষ্ঠান চুয়ানচিং ড্রিলিং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের (সিসিডিসি) সঙ্গে দুটি কূপ খননের চুক্তি করেছে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল)। ৫৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাখরাবাদ ও তিতাস এলাকায় গভীর অনুসন্ধানে এ দুটি কূপ খনন করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে...
১ দিন আগে