Ajker Patrika

টাঙ্গাইলের ৮টি আসন

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

  • বঞ্চিতদের চাপে কিছুটা ব্যাকফুটে বিএনপির প্রার্থীরা।
  • সমানতালে গ্রামগঞ্জে সভা-সমাবেশ করে চলেছেন তাঁরা।
  • ভোটারদের মন জয়ে কাজ করছেন জামায়াতের প্রার্থীরা।
  • ভোটের মাঠে বড় ফ্যাক্টর লতিফ সিদ্দিকী ও কাদের সিদ্দিকী।
আনোয়ার সাদাৎ ইমরান, টাঙ্গাইল
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭: ৫৭
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের আটটি আসনের মধ্যে সাতটিতে গত ৩ নভেম্বর দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে বিএনপি। এর পর থেকেই মনোনয়নপ্রাপ্ত আর বঞ্চিতদের পাল্টাপাল্টি মিছিল-মিটিং, দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলছে। এতে বদলে যায় সেখানকার ভোটের পরিস্থিতি। সব শেষ গতকাল বৃহস্পতিবার বাকি থাকা টাঙ্গাইল-৫ আসনেও দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। এসব আসনে বিদ্রোহীদের চাপে যোগ-বিয়োগ মেলাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ ভোটার থেকে শুরু করে দলীয় নেতা-কর্মীরা। মনোনীতরা ঐক্যের ডাক দিলেও বঞ্চিতরা মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে এখনো সরব রয়েছেন।

এদিকে জামায়াতে ইসলামী টাঙ্গাইলের ৮টি আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়ে নীরবে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছে। এ ছাড়া টাঙ্গাইল-৮ ও টাঙ্গাইল-৪ আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম ও তাঁর বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী ভোটের মাঠে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আটটি আসনে এনসিপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। গণঅধিকার পরিষদ তিনটি এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন ও গণসংহতি আন্দোলন ২টি করে আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নির্বাচনী জোটের হিসাবে প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন বলে জানিয়েছেন নেতারা।

টাঙ্গাইল-১ আসনে বিএনপি মনোনয়ন দিয়েছে ফকির মাহবুব আনাম স্বপনকে। তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে মাঠঘাট চষে বেড়ানোর পাশাপাশি মিছিল-মিটিং, সভা-সমাবেশ করে চলেছেন দিনরাত। মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে স্বপন ফকিরের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী ও তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁরা দুজনই বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য।

এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী অধ্যক্ষ মোন্তাজ আলী সুশৃঙ্খল ও দলবদ্ধভাবে নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রার্থী সাইদুল ইসলাম আপন প্রচারাভিযানে রয়েছেন।

টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টুকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। বিএনপির সব নেতা-কর্মী তাঁর প্রতি আস্থা রেখে নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

এই আসনে জামায়াতের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর দলীয় মনোনয়ন পেয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক শাকিলউজ্জামান জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ওবায়দুল হক নাসির। মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফর রহমান খান আজাদ। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং এই আসনে তিনবারের সাবেক এমপি। তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা নাসিরকে বয়কটের ডাক দিয়ে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন। এ আসনে জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি হোসনি মোবারক বাবুল জনসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির উত্তরাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাইফুল্লা হায়দার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান মতিন। মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন ঢাকা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু। উভয়েই সমানতালে গ্রামগঞ্জে সভা-সমাবেশ করে চলেছেন। এই আসনে পাঁচবার নির্বাচিত এমপি ও সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করেছিলেন।

এই আসনে জামায়াতের মনোনয়ন পেয়েছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতের নায়েব আমির খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক। তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মাঠ গোছাতে ব্যস্ত।

টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপি গতকাল বৃহস্পতিবার প্রার্থী ঘোষণা করে। এখানে দলীয় প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্যরা হলেন জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, সাবেক সহসভাপতি ছাইদুল হক ছাদু, জেলা ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক সভাপতি আহমেদুল হক শাতিল। আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী হয়েছেন জেলা জামায়াতের আমির আহসান হাবিব মাসুদ। তিনি ব্যাপকভাবে জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন রবিউল আউয়াল লাভলু। টাঙ্গাইলের আটটি আসনের মধ্যে এই আসনেই বিএনপির সবচেয়ে বেশি মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তবে মনোনয়নবঞ্চিত হওয়ার পর তাঁদের সক্রিয় প্রতিক্রিয়া দেখা না গেলেও ২৯ নভেম্বর লাভলুর সমর্থকদের সঙ্গে মনোনয়নবঞ্চিত জুয়েল সরকারের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এই আসনে জামায়াতের মনোনয়ন পেয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ডা. এ কে এম আব্দুল হামিদ।

টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির শিশুবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিক। এই আসনে একাধিক ব্যক্তি বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত হলেও হাল ছাড়েননি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক-বিষয়ক সম্পাদক সাঈদ সোহরাব। তিনি মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে দলের জেলা শাখার শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ তালুকদার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) ব্যাপক জটিল অঙ্কের আসন। এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান। মনোনয়নবঞ্চিতরা স্বতন্ত্র প্রার্থী শিল্পপতি সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেলের হয়ে কাজ করছেন। এরই মধ্যে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক খালেক মন্ডলের সঙ্গে কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন আযম খান। এই দ্বন্দ্ব এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ এনে কয়েক শ নেতা-কর্মী বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন।

এই আসনে দুবারের সাবেক এমপি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী। তিনি কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। বঙ্গবীর নির্বাচনে এলে নির্বাচনী হিসাব-নিকাশ নতুন করে সাজাবে বাসাইল-সখীপুরের বাসিন্দারা।

এই আসনে জামায়াতের মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জেলা শাখার সহসাধারণ সম্পাদক ও বাসাইল উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি দুই উপজেলাতেই প্রচার চালাচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হত্যা মামলায় বিয়ানীবাজার পৌর আ. লীগ সভাপতি গ্রেপ্তার

সিলেট প্রতিনিধি
কাজী আব্দুল বাছিত। ছবি: সংগৃহীত
কাজী আব্দুল বাছিত। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আব্দুল বাছিতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে পৌরসভার খাসড়ীপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর অংশ হিসেবে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিয়ানীবাজার থানায় তাঁর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট হত্যা মামলা রয়েছে। ওই হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বুধবার তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফরিদপুরে চলন্ত ট্রেনের সামনে শুয়ে নারীর আত্মহত্যা

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরে চলন্ত ট্রেনের সামনে শুয়ে নারীর আত্মহত্যা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফরিদপুরে চলন্ত ট্রেনের সামনে শুয়ে নারীর আত্মহত্যা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরে চলন্ত ট্রেনের সামনে শুয়ে পড়ে দীপ্তি রানী সাহা (৪০) নামের এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। আজ বুধবার শহরের টেপাখোলাস্থ হাবিলি গোপালপুরের সোলজার বোর্ড এলাকার রেলগেটে এ ঘটনা ঘটে। তবে কী কারণে ওই নারী আত্মহত্যা করেছেন, তা জানা যায়নি।

দীপ্তি রানী সাহা সদর উপজেলার শিবরামপুর চণ্ডিপুর গ্রামের মৃত বিজয় কুমার সাহার স্ত্রী ও এক সন্তানের জননী।

পুলিশ ও গেটম্যান মো. আসাদ মোল্যা জানান, রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ফরিদপুর শহর রেলস্টেশন ত্যাগ করে হাবিলি গোপালপুর এলাকায় পৌঁছালে ওই নারী ট্রেনের সামনে রেললাইনের ওপর শুয়ে পড়েন। এতে শরীরের মাঝামাঝি অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক মো. আহাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে রেলওয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নারায়ণগঞ্জে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার গাড়ি আটকে ছাত্রসংগঠনের বিক্ষোভ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বাধার মুখে পড়েন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা
নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বাধার মুখে পড়েন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার মূল আসামিকে গ্রেপ্তারসহ সাত দফা দাবিতে নারায়ণগঞ্জে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর গাড়ি আটকে রাখলেন বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিকেএমইএর প্রধান কার্যালয়ের সামনে রাস্তা আটকে ছাত্রশক্তি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদল, এনসিপি ও ওয়ারিয়র্স অব জুলাইয়ের নেতা-কর্মীরা এই দাবি জানান। পরে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে গাড়ির সামনে থেকে সরে যান তাঁরা।

এ দিন নারায়ণগঞ্জ শহরে বিকেএমইএর পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ ও শিল্প পুলিশ-৪-কে ছয়টি পুলিশভ্যান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। সেখান থেকে যাওয়ার সময় গাড়ি আটকে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রায় আধা ঘণ্টা অবরুদ্ধ ছিলেন তিনি।

ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার, আওয়ামী লীগের দোসরদের গ্রেপ্তার, সীমান্তে হত্যা বন্ধ, ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ করার ঘটনায় মূল আসামিকে গ্রেপ্তার, আওয়ামী সন্ত্রাসীদের পুনর্বাসনে তদবির-বাণিজ্য বন্ধসহ সাতটি দাবি জানান।

পরে তাঁদের দাবি মেনে নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ওসমান হাদি এখন সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আপনারা সবাই তার জন্য বেশি বেশি দোয়া করবেন; যেন সে দ্রুত সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসে। পাশাপাশি আপনারা আরও যেসব দাবি জানিয়েছেন, তা সবই যৌক্তিক। আমরা তা বাস্তবায়নে কাজ করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদির ওপর হামলায় ডাকসু ভিপির জবাব চাইলেন বিএনপি নেতা, ভিডিও ভাইরাল

পটিয়া (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
পটিয়া উপজেলা বিএনপির সমাবেশ। ছবি: সংগৃহীত
পটিয়া উপজেলা বিএনপির সমাবেশ। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীতে শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েমের কাছে জবাব চাইলেন চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব খোরশেদুল আলম। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলায় বিএনপির বিজয় র‍্যালি শুরুর আগে এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

এদিকে তাঁর এই বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে; যা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে।

তিন মিনিট ৪১ সেকেন্ডের ভিডিওতে বিএনপি নেতা খোরশেদুল আলমকে ‘হাদির ওপর হামলা কেন, সাদিক কায়েম জবাব চাই’—এই স্লোগান দিতে দেখা যায়। একই সঙ্গে তিনি ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমার কাছেও এ ঘটনার জবাব দাবি করে বলেন, ‘জুমা, তোমাকেও জবাব দিতে হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খোরশেদুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাদির ওপর হামলার ঘটনায় কোনো কারণ ছাড়াই সাদিক কায়েম বিএনপির ওপর দায় চাপিয়েছেন। আবার জুমাদের নেতৃত্বেই দেশের একজন সিনিয়র সিটিজেন মির্জা আব্বাস হাসপাতালে মবের শিকার হয়েছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। হাদি ইস্যুতে জল ঘোলা করার দায় তাদেরই বেশি।’

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় চলন্ত একটি মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ও পরে বসুন্ধরা এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত