সিকৃবিতে সংঘর্ষ: চোখে গুরুতর জখমসহ একজনকে পাঠানো হলো ঢাকায়

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত এক শিক্ষার্থীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুরে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রক্টর বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ওমর ফারুককে উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার রাতে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তার চোখে আঘাত লেগেছে।’

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়ে প্রক্টর বলেন, ‘শুক্রবার রাতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ন্যাশনাল আই হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। আজ (শনিবার) তাঁর অস্ত্রোপচার হবে।’

আহত ওই শিক্ষার্থীর বাড়ি ময়মনসিংহে। তাঁর পরিবারের লোকেরা তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। শুক্রবার রাতেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে পুলিশকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রক্টর মো. মনিরুল ইসলাম।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, ‘সিকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. এমাদুল হোসাইন বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ছাত্রলীগের কর্মিসভা অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম কর্মিসভায় বাধা দেন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিরোধী গ্রুপ। সিকৃবি শাখা সহসভাপতি শরীফ হোসাইন, সাব্বির মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসাইন, আকাশ ভূঁইয়া ও প্রান্ত ইসলাম এই বিরোধী গ্রুপের নেতৃত্ব দেন। তাঁদের বাধা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে উভয় পক্ষের ১০ নেতা-কর্মী আহত হন।’