Ajker Patrika

হবিগঞ্জে সরকারের বিধিনিষেধ কার্যকরে নেই তৎপরতা

প্রতিনিধি
হবিগঞ্জে সরকারের বিধিনিষেধ কার্যকরে নেই তৎপরতা

হবিগঞ্জ: করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত তিন দিনের বিধিনিষেধ আজ সোমবার থেকে শুরু হয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী এই তিন দিন প্রতিটি জেলা-উপজেলায় গণপরিবহন, শপিং মল, মার্কেট, পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকার কথা ছিল। কিন্তু হবিগঞ্জে বিধিনিষেধ মানতে দেখা যাচ্ছে না কাউকেই। আগের মতোই জেলা শহরে আজ সকাল থেকেই সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। ব্যবসায়ীদের নিয়মভঙ্গের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ অবাধভাবে চলাচল করছে। দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলছে সকল গণপরিবহন। প্রশাসনকে এসব তদারকি করতে বলার নির্দেশ দেওয়া থাকলেও দেখা যায়নি কোনো তৎপরতা।

আজ সকালে হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই বড় কাঁচাবাজারে ভিড় জমান ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। অধিকাংশ ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের মুখে ছিল না মাস্ক। এ ছাড়া হবিগঞ্জের বৃহত্তম মুদি বাজারেও ছিল একই চিত্র। ঘাটিয়া বাজার ও বাণিজ্যিক এলাকার কাপড়, প্রসাধনী, মোবাইলসহ প্রতিটি দোকানই খোলা ছিল সকাল থেকে। সেখানেও ছিল না স্বাস্থ্যবিধি বালাই। এমনকি ঘাটিয়া বাজারের শংকর সিটিসহ কয়েকটি শপিংমলও খোলা থাকতে দেখা গেছে। শহরের প্রতিটি খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁতেও বসে খাবার খেতে দেখা যায়।

এদিকে ঢাকা, সিলেট, কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ আন্তজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও বাকি পরিবহনগুলো রাস্তায় ছিল। যাত্রীদের অভিযোগ, বিভিন্ন সড়কে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যাত্রী পরিবহন করা হলেও চালকেরা ভাড়া নিয়েছেন দুই থেকে তিনগুণ বেশি।

শহরের ঘাটিয়া বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী সুব্রত বণিক বলেন, ‘আমি ছোট ব্যবসায়ী। সামনে ঈদ এবং অন্য ব্যবসায়ীরা দোকান খুলেছেন দেখে আমিও খুলেছি। তবে আমি আমার দোকানে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই মালামাল বিক্রি করছি।’

শহরের রাজনগর এলাকায় ইজিবাইক চালক মো. আফজাল মিয়া বলেন, ‘সরকারের কথায় ঘরে বইয়া থাকলে খাইমু কিতা? সরকার আমারে খাওয়ন দেওখ, আমরা গাড়ি নিয়ে ঘর যাইমুগা।’

পৌর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে শায়েস্তাগঞ্জ যাবেন আনোয়ার আলী। তিনি বলেন, ‘বাসতো চলছে না। এখন সিএনজি দিয়ে যাইতে চাইলে ২৫ টাকার ভাড়া চাইছে ৭৫ টাকা। আবার যাত্রীও কম নিচ্ছে না। সামনে দুজন, পেছনে তিনজন নিয়ে যাচ্ছে। এসব বিষয় দেখার জন্যও কেউ নেই।’

প্রশাসনের তৎপরতা সম্পর্কে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিন্টু চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং কমিশনারবৃন্দ মাঠে কাজ করছেন। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের পাঁচটি টিম মাঠে রয়েছে। আশা করি আজ যেমনই হোক না কেন, আগামীকাল থেকে আমরা আরও কঠোর হব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টা না যেতেই কাশ্মীরে বিস্ফোরণ!

বিশ্বে প্রথম পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে জড়ানোর পথে কি পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ

লঞ্চের ওপর তরুণীকে প্রকাশ্যে পেটাচ্ছিলেন যুবক, ভিডিও ভাইরাল

ভারতের সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বাড়াল কেন্দ্রীয় সরকার

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, বিচার হবে ট্রাইব্যুনালে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত