বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন আলম হত্যা মামলার প্রধান আসামি কাজল মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহরিয়ার কবির এ রায় দেন।
রায়ের সময় আসামি কাজল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী খন্দকার সাইফুর রহমান রানা ও ইমরান আহমদ।
আইনজীবীরা বলেন, আদালতসংশ্লিষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ বিবেচনা করে আলম হত্যা মামলার প্রধান আসামি কাজল মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। রায়ের সময় আসামি কাজল আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এই রায়ে সন্তুষ্ট নন বলে জানিয়েছেন নিহত আলমের মামাতো ভাই জাফর আহমদ। তিনি বলেন, ‘আসামি কাজল প্রকাশ্য দিবালোকে আমার ভাইকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। কাজল আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছেন। মামলার সব সাক্ষী আদালতে এসে আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আমরা আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড আশা করেছিলাম। এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই।’
জাফর আহমদ আরও বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি হাতে পাওয়ার পর আমরা হাইকোর্টে আসামির মৃত্যুদণ্ডের জন্য আপিল করব।’
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে ইউপি সদস্য মাসুক আহমদের সঙ্গে মোটরসাইকেলে আলীমপুর গ্রামে একটি জানাজায় অংশগ্রহণের জন্য রওনা দেন আবুল হোসেন আলম। লাতু বিজিবি ক্যাম্পের কাছে পৌঁছালে আগে থেকে সেখানে ওত পেতে থাকা কাজল মিয়া চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসা আবুল হোসেন আলমের বাঁ হাতে কোপ দিয়ে মোটরসাইকেলসহ তাঁকে রাস্তায় ফেলে উপর্যুপরি কুপিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
এরপর স্থানীয় লোকজন আলমকে দ্রুত উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আবুল হোসেন আলম সায়পুর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় নিহত আলমের বাবা খলিলুর রহমান বাদী হয়ে কাজল মিয়াকে প্রধান এবং আরও কয়েক জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বড়লেখা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের পর তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রধান আসামি কাজল মিয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
পরবর্তী সময়ে মামলাটি মৌলভীবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। সম্প্রতি এই মামলায় মোট ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। গত ২৫ অক্টোবর সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আলম হত্যা মামলার আসামি কাজল মিয়াকে ৩৪২ ধারায় পরীক্ষা করেন। পরে বাদীপক্ষের আইনজীবী আসামি কাজলের জামিন বাতিলের জন্য আদালতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক আসামি কাজল মিয়ার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন আলম হত্যা মামলার প্রধান আসামি কাজল মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহরিয়ার কবির এ রায় দেন।
রায়ের সময় আসামি কাজল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী খন্দকার সাইফুর রহমান রানা ও ইমরান আহমদ।
আইনজীবীরা বলেন, আদালতসংশ্লিষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ বিবেচনা করে আলম হত্যা মামলার প্রধান আসামি কাজল মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। রায়ের সময় আসামি কাজল আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এই রায়ে সন্তুষ্ট নন বলে জানিয়েছেন নিহত আলমের মামাতো ভাই জাফর আহমদ। তিনি বলেন, ‘আসামি কাজল প্রকাশ্য দিবালোকে আমার ভাইকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। কাজল আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছেন। মামলার সব সাক্ষী আদালতে এসে আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আমরা আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড আশা করেছিলাম। এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই।’
জাফর আহমদ আরও বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি হাতে পাওয়ার পর আমরা হাইকোর্টে আসামির মৃত্যুদণ্ডের জন্য আপিল করব।’
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে ইউপি সদস্য মাসুক আহমদের সঙ্গে মোটরসাইকেলে আলীমপুর গ্রামে একটি জানাজায় অংশগ্রহণের জন্য রওনা দেন আবুল হোসেন আলম। লাতু বিজিবি ক্যাম্পের কাছে পৌঁছালে আগে থেকে সেখানে ওত পেতে থাকা কাজল মিয়া চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসা আবুল হোসেন আলমের বাঁ হাতে কোপ দিয়ে মোটরসাইকেলসহ তাঁকে রাস্তায় ফেলে উপর্যুপরি কুপিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
এরপর স্থানীয় লোকজন আলমকে দ্রুত উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আবুল হোসেন আলম সায়পুর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় নিহত আলমের বাবা খলিলুর রহমান বাদী হয়ে কাজল মিয়াকে প্রধান এবং আরও কয়েক জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বড়লেখা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের পর তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রধান আসামি কাজল মিয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
পরবর্তী সময়ে মামলাটি মৌলভীবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। সম্প্রতি এই মামলায় মোট ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। গত ২৫ অক্টোবর সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আলম হত্যা মামলার আসামি কাজল মিয়াকে ৩৪২ ধারায় পরীক্ষা করেন। পরে বাদীপক্ষের আইনজীবী আসামি কাজলের জামিন বাতিলের জন্য আদালতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক আসামি কাজল মিয়ার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
নিজেকে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিচয় দিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসে ৪০ লাখ টাকা নিয়ে দুজনকে ভুয়া নিয়োগপত্র দেন। কর্মস্থলে যোগদান করতে গেলে নিয়োগপত্র দুটি জাল প্রমাণিত হয়। এ ঘটনায় ২০২২ সালে প্রতারণার অভিযোগে রংপুরের কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়। সে মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে
৬ মিনিট আগেপাবনায় অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার (৬০), তাঁর স্ত্রী ছুম্মা খাতুন (৫০) ও দত্তক নেওয়া মেয়ে সানজিদা (১২) হত্যা মামলায় পালিত ছেলে ও মসজিদের ইমাম তানভীর হোসেনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩-এর বিচারক তানবির আহমেদ এ রায় ঘোষণ
৯ মিনিট আগেরাজশাহীতে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন র্যাব-৫-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাসুদ পারভেজ। এ সময় তিনি বলেছেন, অপরাধ দমনে র্যাব কাজ করে যাচ্ছে।
২৫ মিনিট আগেরামুতে যাত্রীবাহী বাস–প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ওই দুর্ঘটনায় একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু হলো।
৩১ মিনিট আগে