জামাল মিয়া, বিশ্বনাথ (সিলেট)
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গোয়াহরি গ্রামের বিলে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বার্ষিক পলো বাওয়া উৎসব। প্রতি বছরের মতো এবারের উৎসবে যোগ দিতে দেশে এসেছেন অনেক প্রবাসী। তেমনি স্বামী-সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন গ্রামের অনেক মেয়ে। পলো বাওয়া উৎসবকে কেন্দ্র করে গোয়াহরি গ্রামে গত কয়েক দিন ধরেই উৎসবের আমেজ।
পলো বাওয়া উৎসবে অংশ নিতে ও দেখতে সোমবার সকাল ৮টা থেকেই গোয়াহরি গ্রামের অধিবাসীদের পাশাপাশি আশপাশের গ্রামগুলোর লোকজন গোয়াহারি বিলের (দক্ষিণের বড় বিল) পাড়ে এসে ভীড় করতে থাকেন। পুরুষদের পাশাপাশি অনেক নারী ও শিশু আসেন বিলের পাড়ে। বেলা ১১টার দিকে গ্রামের সব বয়সের পুরুষ ও অন্য গ্রাম থেকে আসা আত্মীয়-স্বজন বিলে মাছ শিকারে নামেন। ঝপ-ঝপা-ঝপ শব্দের তালে তালে প্রায় ২ ঘণ্টা চলে বার্ষিক ওই পলো বাওয়া উৎসব। তবে পানি চলাচলের ব্যবস্থা না থাকায় ও কচুরিপানা থাকায় এবার মাছ শিকারের পরিমাণ কম। অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে ঠিকমতো পলো বাইতে পারেননি কেউ কেউ। তাই উৎসবে যোগ দেওয়া অনেককেই ঘরে ফিরতে হয়েছে খালি হাতে।
পূর্ব পুরুষদের ঐতিহ্যকে যুগ যুগ ধরে রেখেছেন গোয়াহরি গ্রামের বর্তমান প্রজন্মের বাসিন্দারা। তাই প্রতি বছর মাঘ মাসের প্রথম দিন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় পলো বাওয়া উৎসব। আগামী ১৫ দিন চলবে এই উৎসব। গোয়াহরি গ্রামের পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ওই পনেরো দিন বিলে মাছ ধরার ক্ষেত্রে নেই কোনো বাধা নেই। এ জন্য ওই পনেরো দিনের ভেতরে বিলে গ্রামের যে কেউ হাত দিয়ে বা টেলা জাল (হাতা জাল) দিয়ে মাছ ধরতে পারবেন। তবে গ্রামবাসী ঐতিহ্য অনুযায়ী ১৫ দিন পর উৎসবের শেষ দিন অর্থাৎ ১৫ মাঘ দ্বিতীয় ধাপে এক সঙ্গে আবারও পলো বাওয়া উৎসবে যোগ দেবেন গ্রামবাসী।
এবার পলোর সঙ্গে টেলা জাল (হাত জাল), উড়াল জাল, চিটকি জাল, কুচাসহ মাছ শিকারের বিভিন্ন রকমের সরঞ্জাম নিয়ে মাছ শিকারে অংশ নেন কয়েক শ শৌখিন মাছ শিকারি। এবার ধরা পড়া মাছের মধ্যে রয়েছে, বোয়াল, কাতল, রুই, শোলসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় মাছ।
শৌখিন মাছ শিকারি সাহিদুর রহমান বলেন, গত বছর ১৫টি মাছ শিকার করে ছিলাম। কিন্তু এবার মাত্র ১টি মাছ শিকার করেছি। কিসমতেই আছিল ১টা কাতলা। এটাই শিকার করছি।
যুক্তরাজ্যপ্রবাসী আলম খান বলেন, ছোটবেলায় একবার এ উৎসবে তিনটা মাছ শিকার করে ছিলাম। তা নিয়ে বাড়িতে অনেক আনন্দ হয়ে ছিল। দীর্ঘদিন পর আজ আবার পলো বাওয়াতে অংশ নিয়ে মাছ শিকার করতে পেরে খুব ভালো লাগছে।
শৌখিন মাছ শিকারি তাজ উদ্দিন বলেন, ‘বিলে পানি কম থাকায় কেউ মাছ শিকার করতে পারছে, আবার কেউ পারতেছে না। তবে আমি ২টি বোয়াল শিকার করতে পারায় আনন্দ লাগছে।’
গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে আসা শৌখিন মাছ শিকারি শামীম আহমদ বলেন, ‘পলো বাওয়াতে অংশ নিতে খালার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলাম। একটি বোয়াল শিকার করতে পেরে আনন্দই লাগছে।’
৫ বছর পর সৌদি আরব থেকে দেশে আসা প্রবাসী গোলাম কামরান বলেন, দীর্ঘদিন পলো বাওয়া উৎসবে অংশ নেওয়া থেকে বঞ্চিত ছিলাম। তাই এবারে দেশে এসে পলো বাওয়া উৎসবে যোগ পেতে পেরে খুবই আনন্দ পেয়েছি। আর মাছ শিকার করতে পেরে এর পরিধি আরও বেড়েছে।
গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি ময়না মিয়া বলেন, ‘বিলের সঙ্গে এলাকার নদী-নালার পানি চলাচল নেই। তাই বিলের পানি কমে গেছে। তা ছাড়া কচুরিপানাও আছে প্রচুর। এসব কারণে এবার মাছ কম শিকার করতে পেরেছেন শিকারিরা।’
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গোয়াহরি গ্রামের বিলে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বার্ষিক পলো বাওয়া উৎসব। প্রতি বছরের মতো এবারের উৎসবে যোগ দিতে দেশে এসেছেন অনেক প্রবাসী। তেমনি স্বামী-সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন গ্রামের অনেক মেয়ে। পলো বাওয়া উৎসবকে কেন্দ্র করে গোয়াহরি গ্রামে গত কয়েক দিন ধরেই উৎসবের আমেজ।
পলো বাওয়া উৎসবে অংশ নিতে ও দেখতে সোমবার সকাল ৮টা থেকেই গোয়াহরি গ্রামের অধিবাসীদের পাশাপাশি আশপাশের গ্রামগুলোর লোকজন গোয়াহারি বিলের (দক্ষিণের বড় বিল) পাড়ে এসে ভীড় করতে থাকেন। পুরুষদের পাশাপাশি অনেক নারী ও শিশু আসেন বিলের পাড়ে। বেলা ১১টার দিকে গ্রামের সব বয়সের পুরুষ ও অন্য গ্রাম থেকে আসা আত্মীয়-স্বজন বিলে মাছ শিকারে নামেন। ঝপ-ঝপা-ঝপ শব্দের তালে তালে প্রায় ২ ঘণ্টা চলে বার্ষিক ওই পলো বাওয়া উৎসব। তবে পানি চলাচলের ব্যবস্থা না থাকায় ও কচুরিপানা থাকায় এবার মাছ শিকারের পরিমাণ কম। অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে ঠিকমতো পলো বাইতে পারেননি কেউ কেউ। তাই উৎসবে যোগ দেওয়া অনেককেই ঘরে ফিরতে হয়েছে খালি হাতে।
পূর্ব পুরুষদের ঐতিহ্যকে যুগ যুগ ধরে রেখেছেন গোয়াহরি গ্রামের বর্তমান প্রজন্মের বাসিন্দারা। তাই প্রতি বছর মাঘ মাসের প্রথম দিন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় পলো বাওয়া উৎসব। আগামী ১৫ দিন চলবে এই উৎসব। গোয়াহরি গ্রামের পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ওই পনেরো দিন বিলে মাছ ধরার ক্ষেত্রে নেই কোনো বাধা নেই। এ জন্য ওই পনেরো দিনের ভেতরে বিলে গ্রামের যে কেউ হাত দিয়ে বা টেলা জাল (হাতা জাল) দিয়ে মাছ ধরতে পারবেন। তবে গ্রামবাসী ঐতিহ্য অনুযায়ী ১৫ দিন পর উৎসবের শেষ দিন অর্থাৎ ১৫ মাঘ দ্বিতীয় ধাপে এক সঙ্গে আবারও পলো বাওয়া উৎসবে যোগ দেবেন গ্রামবাসী।
এবার পলোর সঙ্গে টেলা জাল (হাত জাল), উড়াল জাল, চিটকি জাল, কুচাসহ মাছ শিকারের বিভিন্ন রকমের সরঞ্জাম নিয়ে মাছ শিকারে অংশ নেন কয়েক শ শৌখিন মাছ শিকারি। এবার ধরা পড়া মাছের মধ্যে রয়েছে, বোয়াল, কাতল, রুই, শোলসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় মাছ।
শৌখিন মাছ শিকারি সাহিদুর রহমান বলেন, গত বছর ১৫টি মাছ শিকার করে ছিলাম। কিন্তু এবার মাত্র ১টি মাছ শিকার করেছি। কিসমতেই আছিল ১টা কাতলা। এটাই শিকার করছি।
যুক্তরাজ্যপ্রবাসী আলম খান বলেন, ছোটবেলায় একবার এ উৎসবে তিনটা মাছ শিকার করে ছিলাম। তা নিয়ে বাড়িতে অনেক আনন্দ হয়ে ছিল। দীর্ঘদিন পর আজ আবার পলো বাওয়াতে অংশ নিয়ে মাছ শিকার করতে পেরে খুব ভালো লাগছে।
শৌখিন মাছ শিকারি তাজ উদ্দিন বলেন, ‘বিলে পানি কম থাকায় কেউ মাছ শিকার করতে পারছে, আবার কেউ পারতেছে না। তবে আমি ২টি বোয়াল শিকার করতে পারায় আনন্দ লাগছে।’
গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে আসা শৌখিন মাছ শিকারি শামীম আহমদ বলেন, ‘পলো বাওয়াতে অংশ নিতে খালার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলাম। একটি বোয়াল শিকার করতে পেরে আনন্দই লাগছে।’
৫ বছর পর সৌদি আরব থেকে দেশে আসা প্রবাসী গোলাম কামরান বলেন, দীর্ঘদিন পলো বাওয়া উৎসবে অংশ নেওয়া থেকে বঞ্চিত ছিলাম। তাই এবারে দেশে এসে পলো বাওয়া উৎসবে যোগ পেতে পেরে খুবই আনন্দ পেয়েছি। আর মাছ শিকার করতে পেরে এর পরিধি আরও বেড়েছে।
গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি ময়না মিয়া বলেন, ‘বিলের সঙ্গে এলাকার নদী-নালার পানি চলাচল নেই। তাই বিলের পানি কমে গেছে। তা ছাড়া কচুরিপানাও আছে প্রচুর। এসব কারণে এবার মাছ কম শিকার করতে পেরেছেন শিকারিরা।’
রাজশাহীতে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে পদ্মার পানি। ফুলে-ফেঁপে ওঠা পদ্মার পানি বিভাগীয় এই শহরের বিপৎসীমা থেকে মাত্র ৭৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই অবস্থায় শহরের টি-বাঁধে সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে দোকানপাট।
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে খুলনায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেছে ডিবি পুলিশ। সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় মামলাটি করেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই বিধান চন্দ্র রায়।
২ ঘণ্টা আগের্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম শহিদুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা এই মুহূর্তে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কাজ করছি। র্যাব বিলুপ্ত হবে কি না এ নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি না। এটি সরকার দেখবে।’
২ ঘণ্টা আগেসিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রদলের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন খান মোহাম্মদ সামি এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন জুনেদুর রহমান জুনেদ। সোমবার কলেজ অডিটরিয়ামে দীর্ঘ ২১ বছর পর কাউন্সিলের মাধ্যমে ভোটারদের সরাসরি ভোটে তাঁরা নির্বাচিত হন। পরে সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে