Ajker Patrika

ছাত্রাবাসে দলবদ্ধ ধর্ষণ: ২ বছরেও বাস্তবায়িত হয়নি হাইকোর্টের নির্দেশ

ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২: ৪৫
ছাত্রাবাসে দলবদ্ধ ধর্ষণ: ২ বছরেও বাস্তবায়িত হয়নি হাইকোর্টের নির্দেশ

সিলেটের আলোচিত এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলা দুটি ৩০ দিনের মধ্যে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বদলির ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। কিন্তু ৬০০ দিনেও তা বাস্তবায়ন করেনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বরং এই আদেশের বিরুদ্ধে ১৯৪ দিন পর লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এদিকে ৪৫৭ দিনেও হয়নি শুনানি সেই লিভ টু আপিলের। ফলে অভিযোগ গঠনের ১ হাজার ৩৪০ দিন ধরে দুই মামলার বিচার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। 

জানা গেছে, ২০২০ সালের এ ঘটনার চার বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ বুধবার। বাদীপক্ষের আইনজীবীর অভিযোগ, এক বছর ধরে বাদী তাঁদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করছেন না। আসামিপক্ষের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছেন। আর আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল করাটা নীতি-নৈতিকতার বিরুদ্ধে। ফলে বিচার নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। 

ধর্ষণের মামলা দুটি বর্তমানে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আছে। ২০২২ সালের ১৫ ডিসেম্বর এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলা বদলির আদেশ দিয়েছিলেন। ২০২৩ সালের ২৬ জুন সুপ্রিম কোর্টে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড হরিদাস পাল হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন। তিনি গতকাল মঙ্গলবার বলেন, ‘চলতি বছরের ৩০ জুন শুনানির তালিকায় ছিল, হয়নি। রাষ্ট্র বা সরকার আমাদের যখন যা দেয়, তখন তা করতে হয়। এটা আমাদের কাজ।’ 

বাদীপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, ‘চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার বিচার অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে। সেই সুযোগে আসামিরা জামিনে বের হতে পারেন, শঙ্কা আছে ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়েও। মামলা দুটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বদলির জন্য হাইকোর্ট বিভাগ আদেশ দেওয়ার পর রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে লিভ টু আপিল করল কোন স্বার্থে? কার স্বার্থে? ন্যায়বিচারের পক্ষে না বিপক্ষে, সেটা আমরা বুঝতে অপারগ।’ 

বাদীর পক্ষে মামলাটি পরিচালনার ব্যয়ভার বহন করে মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা। সংস্থা নিযুক্ত আইনজীবী শহিদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘বাদীর সঙ্গে এক বছর ধরে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন। শুনেছি, বাদী আসামিপক্ষের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছেন। বোঝা যাচ্ছে, আসামিরা যেন খালাস পায়, সে জন্য বাদীর এমন তৎপরতা। তবে আসামিদের স্বীকারোক্তি ও ডিএনএ রিপোর্ট থাকায় খালাস পাওয়া দুরূহ। ন্যায়বিচার হলে অবশ্যই অধিকাংশ আসামির শাস্তি নিশ্চিত হবে।’ 

বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি সৈয়দ আকরাম আল সাহান মামলার বাদীর বিরুদ্ধে প্রাণনাশের অভিযোগ এনে থানায় জিডি করেছেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘মামলার আসামিদের সঙ্গে আপস করেছেন বলে ব্যাপক ধারণা প্রচলিত আছে। বাদীর আচরণে এটা বোধগম্য হচ্ছে। আসামিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি তাঁদের কাছ থেকে ৮০ লাখ টাকা গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে।’ 

তবে মামলার বাদী ও ধর্ষিত নারীর স্বামী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কিন্তু আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপকালে তিনি একেকবার একেক ধরনের কথা বলেন। ‘আপসের প্রস্তাব ছিল, করেননি। ৮০ লাখ টাকাও তিনি নেননি। আসামিরা সরকারপক্ষের হওয়ায় বিচার হয়নি। এখন ন্যায়বিচার পাওয়ার আশাসহ সৈয়দ আকরাম আল সাহান তাঁর কাছে আপসের টাকার ভাগ চেয়েছেন বলে দাবি তাঁর।’ 
এ বিষয়ে আইন বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘যেহেতু সেখানে আগের রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনের ছেলেরা জড়িত ছিল বলে অভিযোগ ছিল, ফলে তাঁরা হয়তো বাধ্য হয়ে আপস করেছেন। কিন্তু রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে মামলাটির বিচার নিশ্চিত করা। সেটা তাঁরাই যদি আটকে রাখেন, তাঁদের কারণে যদি ঝুলে যায়, তাহলে তো বোঝা যাবে, অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজটা করা হয়েছে।’

এর আগে ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক নারী। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাঁকে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে যান। তাঁর স্বামীকে আটকে রাখা হয় আরেকটি কক্ষে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নারী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ভাতার কার্ড দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি
নারী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ভাতার কার্ড দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

পাবনার সাঁথিয়ায় বিধবা, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বিভিন্ন সরকারি কার্ড দেওয়ার কথা বলে দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জামিরুন খাতুন নামে এক সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীদের দাবি, টাকা ফেরত চাইলে উল্টো তাদের হুমকিধমকি দিচ্ছেন জামিরুন।

অভিযুক্ত জামিরুন উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের ৭,৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য।

ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামের মৃত হোসেন মুন্সীর স্ত্রী জয়বাহার খাতুন জানান, বিধবা ভাতার কার্ড দেওয়ার কথা বলে তাঁর কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা নিয়েছেন নারী ইউপি সদস্য জামিরুন। তিন বছর পার হয়ে গেলেও তিনি সেই কার্ড পাননি। জয়বাহার খাতুন বলেন, ‘অন্যের বাড়িতে কাজ করে মেম্বারকে ৩ হাজার টাকা দেই। সে আজ পর্যন্ত আমাকে ভাতার কার্ড করে দেয়নি। টাকা ফেরত চাইলেই হুমকি দেয়।’

ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে জয়নাল (৬৮) বলেন, বয়স্ক ভাতার কার্ড দেওয়ার কথা বলে ২ হাজার টাকা নিয়েছে জামিরুন মেম্বার। কার্ড না দেওয়ায় টাকা চাইলে সে নানা টালবাহনা করছে। একই গ্রামের নুরুল ইসলাম ভগলা (৬৬) জানান, তাঁর কাছ থেকেও বয়স্ক ভাতার কার্ড দেওয়ার কথা বলে ৩ হাজার টাকা নিয়েছেন জামিরুন। কিন্তু তিন বছরেও তাঁর নামে কার্ড ইস্যু হয়নি। বিষ্ণুপুর গ্রামের নারী শামীমা এবং বিষ্ণুবাড়িয়া গ্রামের নারী স্বপ্না জানান, মাতৃত্বকালীন ভাতা দেওয়ার নামে তাঁদের কাছ থেকে যথাক্রমে ৫ হাজার ও ৩ হাজার টাকা নিয়েছেন জামিরুন। বিষ্ণুবাড়িয়া গ্রামের রেজাই, বিষ্ণুপুর গ্রামের আনজাত, আ. সাত্তারসহ অনেকেই জামিরুন খাতুনের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলেছেন।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে জামিরুন খাতুন মাত্র একজনের কাছ থেকে ভাতার জন্য ২ হাজার টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘সময় হলে তাঁকে ভাতার কার্ড করে দেব।’ বাকিদের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।

সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিজু তামান্না বলেন, ‘ভাতা করে দেওয়ার জন্য টাকা গ্রহণ করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি আরও জানান, ‘ভুক্তভোগীদের ভাতার কার্ড দেওয়ার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

টাঙ্গাইলে মন্দিরের ৯টি প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি 
ভাঙচুর করা প্রতিমা। ছবি: সংগৃহীত
ভাঙচুর করা প্রতিমা। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় সর্বজনীন রাধাগোবিন্দ রাসলীলা মন্দিরের ৯টি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে মন্দিরের প্রতিমাগুলো ভাঙা দেখতে পান পূজারিরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান।

স্থানীয়রা জানান, এলেঙ্গায় রাধাগোবিন্দ রাসলীলা মন্দিরে প্রতিবছরের মতো এবারও মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বাৎসরিক পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার প্রতিদিনের মতো স্থানীয়রা মন্দিরের গাছ থেকে ফুল সংগ্রহ করেন এবং অনেকেই মন্দিরে পূজা দেন। এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রয়াত খুশী মোহন দাশের স্ত্রী দুলালী রানী মন্দিরে পূজা দিতে গিয়ে দেখতে পান মন্দিরের ১২টি প্রতিমার মধ্যে ৯টি ভাঙা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

ওই মন্দিরের পূজারি দুলালি রানী জানান, শনিবার সকালে অনেকই মন্দিরে ফুল-জল দিয়ে প্রণাম করে গেছেন। তখনো সব ঠিকঠাক ছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এসে মন্দিরের ১১টি প্রতিমার মাথা ভাঙা দেখতে পেলে তাঁর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন। পরে পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়।

এ ব্যাপারে কালিহাতী থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, এলেঙ্গায় সর্বজনীন রাধাগোবিন্দ রাসলীলা মন্দিরের প্রতিমা কে বা কারা শনিবার সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। ওই মন্দির কমিটির লোকজন মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। কালিহাতী সার্কেলের এএসপি ও থানার ওসিসহ পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিক তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পশুর নদে পর্যটকবাহী নৌকা উল্টে প্রবাসী নারী নিখোঁজ

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ৫৯
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বাগেরহাটের মোংলার পশুর নদে পর্যটকবাহী একটি নৌকা উল্টে রিয়ানা আবজাল (২৮) নামে এক প্রবাসী নারী নিখোঁজ হয়েছেন। আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাংমারী খাল ও পশুর নদের মিলনস্থলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী রিয়ানা বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সাবেক পাইলট। তাঁর বাবা বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সাবেক ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ। তাঁর বাবার পরিবার ঢাকায় উত্তরায় থাকে। তাঁদের মূল বাড়ি বরিশালে।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা সুরজিৎ চৌধুরী বলেন, ‘শনিবার সকালে রিয়ানা আবজালসহ ১৩ জন পর্যটক ঢাংমারী এলাকার রিসোর্ট ম্যানগ্রোভ ভেলি থেকে একটি ছোট ট্যুরিস্ট বোটে করে করমজল পর্যটনকেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বোটটি ঢাংমারী খাল ও পশুর নদের সংযোগস্থলে পৌঁছালে প্রচণ্ড ঢেউয়ের তোড়ে উল্টে যায়। এতে সবাই নদে পড়ে যান। স্থানীয়দের সহায়তায় ১২ জনকে উদ্ধার করা হলেও রিয়ানা আবজাল নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ রিয়ানার সন্ধানে বন বিভাগ ও স্থানীয়রা তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন।’

নিখোঁজ রিয়ানার বাবা বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সাবেক ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, ‘নৌবাহিনীর একটি জাহাজ পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় প্রচণ্ড ঢেউয়ের তোড়ে আমাদের ছোট বোটটি উল্টে যায়। এতে বোটে থাকা ১৩ জনই নদে পড়ে যান। পরে ১২ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও রিয়ানাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।’ তিনি আরও জানান, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তাঁরা সুন্দরবনে বেড়াতে এসেছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পানিতে ডুবে মৃত্যুর সচেতনতায় কুতুবদিয়া চ্যানেলে সাঁতার

কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া চ্যানেলে আজ শনিবার সাঁতার প্রতিযোগিতা হয়। ছবি: সংগৃহীত
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া চ্যানেলে আজ শনিবার সাঁতার প্রতিযোগিতা হয়। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের কুতুবদিয়া চ্যানেলে পাঁচ কিলোমিটার সাঁতার প্রতিযোগিতা হয়েছে। পানিতে ডুবে মৃত্যুর হার কমাতে সচেতনতা তৈরি, সাঁতারের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি, পানিদূষণ রোধ ও নদীভিত্তিক পর্যটনকে উৎসাহিত করতে এই আয়োজন করা হয়।

আজ শনিবার সকাল ৯টায় ‘তৃতীয় পাহাড় থেকে কুতুবদিয়া চ্যানেল সুইমিং ২০২৫’ শিরোনামের এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বাংলাদেশ ওপেন ওয়াটার সুইমিং (বোয়াস)। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ এস এম নূরুল আক্তার নিলয় এবং বাংলাদেশ ওপেন ওয়াটার সুইমিংয়ের (বোয়াস) উপদেষ্টা মোহাম্মদ শিমুল চৌধুরী। টাইটেল স্পনসর হিসেবে সহযোগিতায় ছিল ‘পাহাড় থেকে ডট কম’।

পেকুয়া উপজেলার মগনামা ঘাট থেকে কুতুবদিয়া দ্বীপের বড়কূপ ঘাট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ এই সাঁতার। যেখানে অংশ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ১২ জন দক্ষ সাঁতারু।

দীর্ঘ পাঁচ কিলোমিটার পথ দ্রুত সময়ে পাড়ি দিয়ে সবার আগে মাত্র ১ ঘণ্টা ৪ মিনিটে চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছে প্রথম স্থান অর্জন করেন রাব্বী রহমান। এ ছাড়া ১ ঘণ্টা ৬ মিনিটে সাঁতরে দ্বিতীয় অর্জন করেন ইংলিশ চ্যানেল সাঁতারু মো. নাজমুল হক। আর ১ ঘণ্টা ৭ মিনিটে গন্তব্যে পৌঁছে তৃতীয় হন এস আই এম ফেরদৌস আলম।

বোয়াসের সভাপতি নাসির আহমেদ সৌরভ বলেন, ‘একই স্থানে এটি আমাদের তৃতীয়বারের মতো সুইমিং আয়োজন। এবার খুব অল্প সময়ের মধ্যে কোনো সমস্যা ছাড়া আমাদের প্রতিযোগীরা তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছে গেছেন। বিষয়টি আমাদের জন্য ইতিবাচক। তরুণ প্রজন্মকে সাঁতারে উৎসাহিত এবং শারীরিক সক্ষমতার বিকাশে আমরা কাজ করছি। অতীতে সৃষ্টিশীল এমন আরও অনেক আয়োজন আমরা সম্পন্ন করেছি।’

নাসির আহমেদ সৌরভ আরও বলেন, ‘এবার সব সুইমারই এই উত্তাল চ্যানেলটি পাড়ি দিতে পেরেছেন। তাই এই আয়োজনটি শতভাগ সফল। এবার পানিতে ডুবে মৃত্যু হার কমানো বিষয়ে সচেতনতা তৈরি, সুইমিংয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ানো, পানিদূষণ রোধ করা ও নদীভিত্তিক পর্যটনকে গুরুত্ব দিতে এই সাঁতারের আয়োজন। আশা করি ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এমন আয়োজন করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত