Ajker Patrika

ড. ইউনূসসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে আইসিসিতে দেওয়া পিটিশনে যেসব অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আবেদন পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। লন্ডনে অবস্থানরত সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ৮ই নভেম্বর নেদারল্যান্ডের হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক আদালতে এই অভিযোগ করেন।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী নিজে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেহেতু বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে বিচার চাওয়ার জায়গা নেই, তাই আমরা আইসিসিতে অভিযোগ করেছি। তারা সেটি গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করেছেন। শিগগিরিই হত্যা, গুম-খুন, রাহাজানিসহ ভয়ঙ্কর মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ড. ইউনুস, অন্তর্বর্তী সরকারের সকল উপদেষ্টা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কসহ জড়িত সবাইকে ডাকা হবে। আমরা আশা করি, ন্যায়বিচার পাব।’

অভিযোগে দাবি করা হয়, গত ৫-৮ই আগস্ট পর্যন্ত ‘বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের নামে’ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী, বাংলাদেশে বসবাসরত হিন্দু, খৃষ্টান, বৌদ্ধ এবং বাংলাদেশ পুলিশের উপর ‘গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংগঠিত হয়েছে। এই অভিযোগে প্রায় ৮০০ পৃষ্ঠার তথ্য ও নথিপত্র প্রমাণস্বরূপ যুক্ত করা হয়।

ড. ইউনূস ছাড়া যাদের নাম পিটিশনে রয়েছেন— উপদেষ্টা লে. জে. (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, ড. আসিফ নজরুল, মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, হাসান আরিফ, মো. তৌহিদ হোসেন, আদিলুর রহমান খান, আলী ইমাম মজুমদার, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, ফারুক-ই-আজম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, নূর জাহান বেগম, বিধান রঞ্জন রায়, ফরিদা আখতার, শারমিন এস মুরশিদ, আ ফ ম খালিদ হাসান, সুপ্রদীপ চাকমা, সচিব ড. আব্দুল মোমেন, মো. মশিহুর রহমান, মো. জসিম উদ্দিন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান নাসিফ, লে. কর্নেল হাসিনুর রহমান, ক্যাপ্টেন শুভ আফ্রিদি, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারি মাহফুজ আলম, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, আব্দুল হান্নান, হাসিব আল ইসলাম, আবু বকর মজুমদার ও জাতীয় নাগরিক কমিটির আহবায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারি, সদস্য সচিব আকতার হোসাইন রয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আমি একজন ভিকটিম। আমার বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি একজন নির্বাচিত মেয়র, কিন্তু আমাকে জোর করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবং আমিসহ আমাদের হাজার হাজার নেতা-কর্মীর উপর তারা আক্রমণ করেছে, নির্যাতন করেছে। এ জন্য আমরা আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করলাম।’

তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমিই প্রথম (অভিযোগ) শুরু করলাম। প্রায় ১৫ হাজার ভিক্টিম আছেন যারা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করবেন।’

এসময় আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর পাশে ছিলেন— ব্যারিস্টার গোলাম মারুফ মজুমদার (নিঝুম মজুমদার) ও ব্যারিস্টার মনিরুল ইসলাম মঞ্জু।

গত ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যূত্থানে সরকার পতনের পর লাপাত্তা হন সিলেটের তৎকালীন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। পরে জানা যায় তিনি লন্ডনে চলে গেছেন এবং সেখানে অবস্থান করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ক্ষমতায় গিয়ে আবার উল্টাপাল্টা করলে ছাড় দেব না: জামায়াত আমির

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
সিলেটে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াত আমির। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিলেটে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াত আমির। ছবি: আজকের পত্রিকা

ক্ষমতায় গিয়ে আবার উল্টাপাল্টা কিছু করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট মহানগর জামায়াতের সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শফিকুর রহমান বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘তারা সরকারে যাওয়ার পরে আবার যদি সেই পুরোনো কায়দায় উল্টাপাল্টা কিছু করা হয়, প্রথমে ব্যক্তিগত পর্যায়ে বলব, এগুলো ছেড়ে দেন। যদি সংশোধন হন, আমরা খুশি হব, অভিনন্দন জানাব। যদি সংশোধন না হন, তাহলে আগেও যেমন জীবন বাজি রেখে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি, আগামীতেও কাউকে ছাড় দেব না।’

জামায়াত আমির বলেন, ‘তারা নির্বাচিত হলে জামায়াত ছাড়া সবাইকে নিয়ে সরকার গঠন করবে। আমরা মহান আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলছি, আল্লাহ যদি তাঁর মেহেরবানিতে জনগণের ভালোবাসায় আমাদের নির্বাচিত করেন, আমরা তাদেরও সঙ্গে নিয়ে দেশ গঠন করব।

‘আর যদি কোনো কারণে আল্লাহ আমাদের বিরোধী দলে বসান, তাদের আশ্বস্ত করছি, প্রতিটি মানবিক ও ভালো কাজে আমরা অবশ্যই তাদের কর্মী হয়ে কাজ করব। আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না। সবাই মিলে আমরা দেশ গড়ব, এ কাজে আমরা তাদের সহযোগিতা করব।’

জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘৫ আগস্টের ঐতিহাসিক রাতে আমরা সকল ব্যথা ঝেড়ে ফেলেছিলাম। পায়ের নিচে ফেলে দিয়েছিলাম। মহান আল্লাহর ওপর ভরসা করে দায়িত্ব নিয়ে আমাদের নেতৃবৃন্দ ও নেতা-কর্মীদের বলেছিলাম, আমরা ব্যক্তিগতভাবে কারও ওপর প্রতিশোধ নেব না। প্রতিশোধ প্রতিহিংসার জন্ম দেয়, সমাজকে ধ্বংস করে।

‘আমরা পারতাম, সেই রাতে যদি শুধু বলে দিতাম, যে যার ক্ষতি করেছে, তার সঙ্গে একটু মোলাকাত করে আসুন, বাংলাদেশ একটা বধ্যভূমিতে পরিণত হয়ে যেত। আওয়ামী লীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি প্রায় বলতেন, তাঁদের পতন হলে দলের ৫ লাখ লোককে হত্যা করা হবে। ওই রকম কিছুই হয়নি। আওয়ামী লীগ দায়িত্বজ্ঞানহীন হলেও জাতি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে।’

শফিকুর রহমান বলেন, ‘জাতিকে আর দল-ধর্মের ভিত্তিতে টুকরা করা হবে না। সবাই মিলে বাংলাদেশ। মেজরিটি–মাইনরিটি না, একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি চাই। অসৎ রাজনীতিবিদেরা নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য পুলিশকে দলীয় কর্মীর মতো ব্যবহার করেছে।

‘সমাজের সর্বত্রই ইঁদুর বসে আছে, তারা উন্নয়নের দড়িগুলো কেটে দিচ্ছে। নির্বাচনের আগে প্রচার করে রাজনীতি ইবাদত, নির্বাচিত হওয়ার পর ইবাদতের খাজনা আদায় করা শুরু করে।’

শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘৫ আগস্টের পর দেশে দৃশ্যমান অনেক পরিবর্তন হলেও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারেননি। আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচার যদি কায়েম হয়, দুর্নীতির জট কেটে যাবে।

‘কেননা, আমাদের স্বার্থের ব্যাপারে সবার আগে বাংলাদেশ। নিরাপদ বাংলাদেশ আমরা গড়তে চাই। সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না।’

জামায়াতের আমির বলেন, ‘প্রবাসীদের ভোটের অধিকারের বিষয়ে অনেক বাধা ছিল। অনেক রাজনৈতিক দলও বলেছে, প্রবাসীরা আবার কিসের ভোট দেবে? আমরা বলেছি না, তারা আমাদের অঙ্গ, অংশ। আমরা দেশ গড়ার সুযোগ পেলে সংখ্যা অনুযায়ী তাদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে, ইনশা আল্লাহ।’

শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে একজন থেকে ২০০ জন এমপি নির্বাচিত হলেও সরকারি সুবিধা গ্রহণ করবে না জামায়াত। সরকার গঠন করলে আমরা সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা নিব না, যেটা আমাদের জন্য অপরিহার্য। দলটির কেউ কোনো ধরনের অপকর্মে জড়াবে না। যাঁরা অপকর্মে যাবেন, তাঁদের হাত চেপে রাখা হবে।’

মুহাম্মদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, জামায়াত নেতা প্রফেসর ফজলুর রহমান, জেলা আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, মহানগর সেক্রেটারি শাহজাহান আলী প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন ড. নুরুল ইসলাম বাবুল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেট্রো স্টেশনের নিচে ট্রাফিক পুলিশ চায় ডিএমটিসিএল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

মেট্রো স্টেশনের নিচতলায় ট্রাফিক পুলিশ চেয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। স্টেশনের নিচতলায় ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েনের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি) কাছে চিঠি দিয়েছে কোম্পানিটি।

গতকাল বুধবার (৫ নভেম্বর) ডিএমটিসিএলের পরিচালক (প্রশাসন) এ কে এম খায়রুল আলম স্বাক্ষরিত চিঠিটি ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের (ট্রাফিক) কাছে পাঠানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ডিএমটিসিএল একটি ‘ক’ শ্রেণির কেপিআই তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান। ২০২৫ সালের ১ জুলাই অনুষ্ঠিত সংস্থার মাসিক নিরাপত্তা সমন্বয় সভায় মেট্রোরেল স্টেশনগুলোর নিচতলার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

চিঠিতে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েনের উদ্দেশ্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে—স্টেশনের নিচতলায় যাত্রীদের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করা। যানজট নিয়ন্ত্রণ ও সুষ্ঠু পার্কিং ব্যবস্থা বজায় রাখা। নিরাপত্তা মান বৃদ্ধি ও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি প্রতিরোধ করা। যাত্রীদের নিরাপদে ওঠানামা ও জরুরি অবস্থায় দ্রুত পদক্ষেপ নিশ্চিত করা। অবৈধ দখল রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

এমতাবস্থায় ডিএমটিসিএলের আওতাধীন মেট্রোরেল লাইন-৬-এর ১৬টি স্টেশনের নিচে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েনের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কেরানীগঞ্জে ছিনতাইকারী রাজু গ্রেপ্তার

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতা
রাজু হাওলাদার। ছবি: সংগৃহীত
রাজু হাওলাদার। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী রাজু হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ভোর ৬টার দিকে নিজ বাড়ি হতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ছিনতাইকৃত একটি মোটরসাইকেল, আইফোন, নগদ টাকা ও মালামাল উদ্ধার করা হয়।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আক্তার হোসেন জানান, গ্রেপ্তার রাজু দীর্ঘদিন ধরে চুনকুটিয়া, খেজুরবাগ, ঝিলমিল আবাসন প্রকল্প, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক ও এর আশপাশের এলাকায় ছিনতাই করে আসছিলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁর সহযোগীদেরও শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। নতুন ঘটনায়ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

জানা গেছে, ৫ নভেম্বর ভোরে রাজু হাওলাদার তাঁর সহযোগীদের নিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার কেরানীগঞ্জ চুনকুটিয়া এলাকায় এক পথচারীকে লক্ষ্য করে রামদা দিয়ে আঘাত করে মোটরসাইকেল, মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেন। পরে আহত অবস্থায় ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তৎপরতা শুরু করে।

গ্রেপ্তার রাজু হাওলাদার (২৬) পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার খেয়ারবাগ গ্রামের ফিরোজ হাওলাদারের ছেলে। বর্তমানে তিনি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের খেজুরবাগ এলাকায় বসবাস করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাস উৎসবে সুন্দরবন থেকে আটক ৩২ জন কারাগারে

বাগেরহাট প্রতিনিধি
রাস উৎসবে সুন্দরবন থেকে আটক ৩২ জন কারাগারে। ছবি: সংগৃহীত
রাস উৎসবে সুন্দরবন থেকে আটক ৩২ জন কারাগারে। ছবি: সংগৃহীত

রাস উৎসবে পুণ্যার্থী সেজে সুন্দরবনে হরিণ শিকারের চেষ্টার অভিযোগে আটক ৩২ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের বাগেরহাট বন আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক বিলাশ মন্ডল আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গত সোমবার দুপুর থেকে গতকাল বুধবার পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।

বন বিভাগ জানায়, রাস পূজা চলাকালে সুন্দরবনে হরিণ শিকারিরা বেপরোয়া হয়ে ‍ওঠে। এ জন্য কয়েক বছর ধরে পুণ্যার্থী ছাড়া বাইরের লোক বনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। আর এবারই প্রথমবারের মতো কড়া নিরাপত্তাপ্রহরায় পুণ্যার্থীদের বনে নেওয়া হয়েছে। এরপরও অনেকে পরিচয় গোপন করে পুণ্যার্থী সেজে বনে প্রবেশ করেছেন।

পূজার প্রথম দিন (সোমবার) দুপুরে হরিণ শিকারের চেষ্টার সময় এক যুবককে আটক করে বন বিভাগ। তখন ওই চক্রের অন্য সদস্যরা সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেবের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় আটক তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

পরে হরিণ শিকারের যুক্ত থাকার অভিযোগে আরও ৩২ জনকে আটক করে বন বিভাগ। এ সময়ে ১২০০টি হরিণ শিকারের ফাঁদ ও দুটি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে। এ নিয়ে রাস পূজা চলাকালে মোট ৩৫ হরিণশিকারিকে আটক করতে সক্ষম হয় বন বিভাগ।

এ বিষয়ে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের দুবলার চর-আলোরকোলের স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তানভীর হাসান বলেন, বন্য প্রাণী শিকার রোধে এবার তাঁরা খুবই তৎপর ছিলেন। তারপরও শিকারিরা নানাভাবে চেষ্টা করেছেন। বনরক্ষীরা তল্লাশি চালিয়ে ৩৫ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। দুপুরে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

বাগেরহাট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি এস এম মাহাবুব মোর্শেদ লালন বলেন, আসামিদের আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে সুন্দরবন রক্ষা ও হরিণ শিকার রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন এই রাষ্ট্রীয় আইন কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত