Ajker Patrika

এই সরকার নির্বাচন করতে পারবে না: মির্জা আব্বাস

সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিলেটে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘একেক রাজনৈতিক দল একেক সময় একেক কথা বলছে, একটি দল বারবার বলছে নির্বাচন হবে, আবার বলছে এই অবস্থায় নির্বাচনে যাওয়া যায় না।

‘আবার বলছে, পিআর পদ্ধতি, এই নাম বাংলাদেশের মানুষ শোনে নাই। কাকে পিআর পদ্ধতি বলা হয়, পিআর পদ্ধতি কী, এটা বাংলাদেশের মানুষ শোনে নাই। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, যারা পিআর পদ্ধতির কথা বলছে, তারাও পিআর পদ্ধতি সম্পর্কে জানে না।’

আজ সোমবার সিলেট নগরীর পাঠানটুলা সানরাইজ কমিউনিটি সেন্টারে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক আয়োজিত বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘পৃথিবীর ৮০টা দেশে পিআর পদ্ধতি আছে। এই ৮০ দেশের পিআর পদ্ধতি ৮০ রকম। সুতরাং যাঁরা পিআর নিয়ে কথা বলেন, পিআর নিয়ে একটু পড়াশোনা করেন।

‘পিআর নিয়ে একটু জানবেন, জেনে তারপরে কথা বলবেন। একজন বলে দিল আর আমরা নাচলাম, এটা তো হবে না ভাই। বাংলাদেশে সর্বোচ্চ প্রচলিত প্রক্রিয়ায় আমাদের পূর্বপুরুষেরা যেভাবে নির্বাচন করে এসেছেন, সেই নির্বাচন সুষ্ঠু সুন্দর হলে দেশের কোনো কিছুর প্রয়োজন হবে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘দেশের বর্তমান অবস্থায় সরকারের ভেতরে আওয়ামী লীগের আমলারা যা করছে, তাতে আমার ধারণা, এই সরকার নির্বাচন করতে পারবে না। আমরা এসব আমলাকে প্রতিহত করব। অতঃপর আমরা নির্বাচন আদায় করব।’

বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া যে রোগে আক্রান্ত, এটা স্বাভাবিক বিষয় নয়। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় শুধু হত্যা করার উদ্দেশ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। যে মামলা তাঁকে দেওয়া হয়েছে, সেটা কোনো মামলা নয়।

‘তিনি কারও টাকা আত্মসাৎ করেন নাই। একটা মিথ্যা মামলায় তাঁকে জেলের ভেতরে নিয়ে একটা অস্বাস্থ্যকর সেলে রেখে ফুড পয়জনিং করে, স্লো পয়জনিং করে বেগম খালেদা জিয়াকে অসুস্থ করা হয়েছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘যখন তাঁকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার প্রয়োজন ছিল, তখন তাঁকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে দেওয়া হয় নাই। এটা ছিল একটা ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বকে হরণ করে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমরা ১৭ বছর আন্দোলন করে, রাজপথ প্রকম্পিত করে এই সরকারকে কাঁপুনিতে রেখেছিলাম। অতঃপর একটি শুভ সময়ে এই সরকারের পতন ঘটল।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘হাসিনা চলে গেছে। কিন্তু হাসিনার দোসরেরা এখনো দেশ ছাড়ে নাই। তারা কিন্তু ষড়যন্ত্র করছে। সচিবালয় থেকে শুরু করে জেলা-উপজেলা, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনার লোকেরা রয়ে গেছে। যারা এখনো ষড়যন্ত্র করছে।

যারা চাচ্ছে না সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। তারা চাচ্ছে না আমরা যে এই ১৭ বছর আন্দোলন করেছি, সেই আন্দোলনের ফসল, ভোট। আমরা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করেছি, আমরা ভোটের জন্য আন্দোলন করেছি। সেই ভোট ও গণতন্ত্র তারা ফিরিয়ে দিতে চায় না। এক শ্রেণির লোক আছে, ক্ষমতার গদিতে বসে যারা নির্বাচনকে কীভাবে পিছিয়ে, কীভাবে নির্বাচন না দিয়ে অনেক দিন ক্ষমতায় থাকা যায়, সেই চেষ্টা তারা করছে। ইনশা আল্লাহ, বাংলাদেশের জনগণ ১৭ বছর আন্দোলন করেছে, দরকার হলে আবারও আন্দোলনে নামবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‎ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

‎রাজধানীর ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সায়েন্স ল্যাবের পাশে মিরপুর সড়কে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। ‎

‎পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে আইডিয়াল কলেজের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাই সায়েন্স ল্যাব ও আশপাশের এলাকায় মহড়া দিতে থাকে। এ সময় পুলিশ দুই পক্ষের মাঝখানে অবস্থান নেয়। ‎

‎দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আইডিয়াল কলেজের ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থী সায়েন্স ল্যাবের ম্যারিয়ট কনভেনশন হলের গলিতে জড়ো হলে পুলিশ তাদের সরে যেতে বলে। পরে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ মিরপুর সড়ক দিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিলে শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। পরে পুলিশ-শিক্ষার্থী পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ধাওয়া দিলে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের পাশের গলিতে ঢুকে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

‎ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. জাহাঙ্গীর কবীর। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থান নেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যুবলীগের সাবেক সভাপতি সম্রাটের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৬: ১০
ইসমাইল হোসেন সম্রাট। ফাইল ছবি
ইসমাইল হোসেন সম্রাট। ফাইল ছবি

অবৈধ অস্ত্র দখলে রাখার দায়ে ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এই রায় ঘোষণা করেন।

ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী শাহাদাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রায় ঘোষণার সময় সম্রাট পলাতক থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেওয়া হয়।

ট্রাইব্যুনাল রায়ে বলেছেন, আসামি সম্রাটের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র দখলে রাখার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো।

রায়ে আরও বলা হয়, আসামি গ্রেপ্তার হওয়ার পর বা ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণের পর এই রায় কার্যকর হবে। তবে ইতিপূর্বে এই মামলায় আসামি হাজতবাস করে থাকলে হাজতবাসের সময় তাঁর সাজার মেয়াদ থেকে বাদ যাবে।

২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র‌্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে আত্মগোপনে চলে যান ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। এরপর ৭ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তাঁর সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। সেদিন বিকেলে সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে কাকরাইলের ভূইয়া ট্রেড সেন্টারে তাঁর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। ওইদিন প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অভিযান শেষে গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল, ১১৬০টি ইয়াবা, ১৯ বোতল বিদেশি মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া এবং ‘নির্যাতন করার’ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পাওয়া যায়।

ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়ার কারণে সম্রাটকে তাৎক্ষণিকভাবে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই দিনই রমনা থানায় অস্ত্র আইন ও মাদকদ্রব্য আইনে দু’টি মামলা করেন র‌্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক।

তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর আদালতে অস্ত্র মামলায় অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর এসআই শেখর চন্দ্র মল্লিক।

এ বছর ১৬ জানুয়ারি সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়। বিচার চলাকালে ১০ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন মামলায়।

সম্রাটের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা ঢাকার অন্য দুটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। মানি লন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।

উল্লেখ্য, গ্রেপ্তার হওয়ার পর সম্রাট দীর্ঘদিন কারাভোগ করে জামিন লাভ করেন। তবে গতবছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তিনি আর আদালতে হাজির হননি। এ কারণে প্রত্যেক মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আগুনে পুড়ল যাত্রীবাহী চলন্ত এসি বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
চলন্ত বাসে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
চলন্ত বাসে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরিশালের উজিরপুরে যাত্রীবাহী চলন্ত বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ইচলাদিতে মেজর এম এ জলিল সেতুর ঢালে নির্মাণাধীন টোল প্লাজায় বিআরটিসির একটি এসি বাসে এই ঘটনা ঘটে।

আগুনে বাসটি পুরোপুরি পুড়ে গেছে। যাত্রীরা দ্রুত নেমে যাওয়ায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আগুন লাগার সঠিক কারণ কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।

গৌরনদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উজিরপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। আগুনের কারণে প্রায় এক ঘণ্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।

চলন্ত বাসে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
চলন্ত বাসে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাসচালক মো. শাহজালাল জানান, বাসটি বরিশাল থেকে খুলনায় যাচ্ছিল। বাসে ৩০ জন যাত্রী ছিল। টোল প্লাজায় পৌঁছালে ধোঁয়া দেখে যাত্রীরা চিৎকার শুরু করে। এ সময় বাস থামালে যাত্রীরা দ্রুত নেমে যায়। পরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বাসটি ভস্মীভূত হয়।

বাসের এক যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চলন্ত বাসের মধ্যে এক যাত্রী সিগারেট সেবন করছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, সিগারেটের আগুন থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে বিআরটিসি বরিশাল ডিপোর ব্যবস্থাপক (অপারেশন) জামিল হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ধরেননি।

উজিরপুর মডেল থানার ওসি আব্দুস সালাম জানিয়েছেন, আগুন নেভানোর পর বেলা ১টা থেকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনায় দুই বাড়িতে গুলি চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি

খুলনা প্রতিনিধি
সিসিটিভি ফুটেজে গুলির ঘটনার চিত্র। ছবি: সংগৃহীত
সিসিটিভি ফুটেজে গুলির ঘটনার চিত্র। ছবি: সংগৃহীত

খুলনা নগরীর দৌলতপুরের কার্তিক কূলে ও পশ্চিম পাড়ার খুঁটির ঘাট এলাকার দুটি বাড়িতে ফাঁকা গুলি চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে সন্ত্রাসীরা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১৫টি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে।

আজ মঙ্গলবার ভোরে দুই বাড়িতে গুলি করা হয়। এর মধ্যে কুয়েট কর্মচারী হিটুর বাড়িতে ৬টি এবং ‘মাদক কারবারি’ কানা মেহেদির বাড়িতে ৯টি গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা। কে বা কারা এই গুলি ছুড়েছে, তা এখনো শনাক্ত করতে পারেনি প্রশাসন।

বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, চারটি মোটরসাইকেলে মাথায় হেলমেট পরিহিত বেশ কিছু যুবক বাড়ির প্রধান ফটকের একটু সামনে দাঁড়ায়। মোটরসাইকেল থেকে নেমে কয়েকজন প্রধান ফটক দিয়ে মহসিন লিটুর রুম লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। দুর্বৃত্তরা গুলি চালিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। ওই সময় লিটু ফজরের নামাজ আদায় করার জন্য পাশের মসজিদে ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিক ইসলাম বলেন, কুয়েটের কর্মচারী মহসিন লিটুর বাড়ি লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ৬টি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া মেহেদির বাড়িতেও ৯টি গুলি করা হয়। এই ঘটনায় তদন্ত চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত