Ajker Patrika

সিলেট-৫ আসন: স্বতন্ত্রপ্রার্থীর প্রধান এজেন্টসহ ৩১ জনের নামে মামলা

ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট
সিলেট-৫ আসন: স্বতন্ত্রপ্রার্থীর প্রধান এজেন্টসহ ৩১ জনের নামে মামলা

সিলেট-৫ (কানাইঘাট-জকিগঞ্জ) আসনের এক স্বতন্ত্রপ্রার্থীর নির্বাচনী প্রধান এজেন্ট, পৌর মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর ও জেলা যুবলীগের নেতাসহ ৩১ জনের নামে মামলা করেছে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই)। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে-আসামিরা নিজেদের ফেসবুক আইডি থেকে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া, গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সম্পর্কে বিরূপ প্রচারণা চালায়। ফলে জনমনে বিভ্রান্তি, ভয়, আতঙ্ক ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতি হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। 

গতকাল শুক্রবার জকিগঞ্জ থানায় এজাহার দাখিল করলে আজ শনিবার ভোরে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা হিসেবে রেকর্ড করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাসুদ। মামলার বাদী ডিজিএফআইয়ের সিলেট শাখার এসএএসআই শাহালম দেওয়ান। 

আজ শনিবার সন্ধ্যায় জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি–তদন্ত) সুকান্ত চৌধুরী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। আমরা দেখতেছি। সব পুলিশ তো বিভিন্ন কাজে। তবুও আমরা চেষ্টা করতেছি।’ 

মামলার আসামিরা কানাইঘাট-জকিগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৫ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ আল কবিরের অনুসারী। এই আসনে আরেক স্বতন্ত্রপ্রার্থী হলেন হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী (কেটলি প্রতীক)। হুছামুদ্দীন বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ’র সভাপতি। এখানে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দলটির সিলেট মহানগর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ। 

গত বুধবার লাঙ্গল প্রতীকের জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. শাব্বির আহমদ অভিযোগ করেন, ‘সরকারি দল ও তাদের ডামি প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে থাকতে পারছে না, তাদেরকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সংস্থা থেকে চাপ সৃষ্টি করছে, ওই সংস্থা এক প্রার্থীর (হুছামুদ্দীন চৌধুরী) পক্ষ অবলম্বন করে নির্বাচন থেকে সবাইকে সরে দাঁড়ানোর চাপ দিচ্ছে। এই অবস্থায় সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো পরিবেশ না থাকায় আমি নির্বাচন বয়কট করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।’ অবশ্য পরদিন তিনি তাঁর এই বক্তব্য প্রত্যাহার করেন। 

গত মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদও সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন বরাবর একই লিখিত অভিযোগ করেন। তবে পরদিন মাসুক উদ্দিনের ছেলে ও প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট তানিম আহমদ লিখিতভাবে অভিযোগটি প্রত্যাহার করেন। 

স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ আল কবিরও গত মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরে অভিযোগ করেন। ৮ দফার অভিযোগে হুছামুদ্দিন চৌধুরীকে পাস করিয়ে দিতে নির্বাচনী এলাকায় ধারাবাহিক একটি গোয়েন্দা সংস্থার লোক দিয়ে ভয়ভীতি, কুৎসা রটনা, মিথ্যা খবর, নেতা-কর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে বলে জানান। 

ডিজিএফআইয়ের মামলার বিষয়ে আহমদ আল কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে যাদের নাম রয়েছে, তাঁদের অনেকেই স্মার্টফোন ব্যবহারই করেন না। আমার নির্বাচনে বিজয় দেখে কেউ যদি এটা করে থাকে, তাহলে তো আমার আর কিছু করার নেই। আমরা আদালতের শরণাপন্ন হয়ে যতটুকু করার, ততটুকু করব।’ 

নির্বাচনী কোনো পরিবেশ নাই জানিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির আরও বলেন, ‘ইলান (এ রকম) যদি আগেরদিন মামলা করা হয় কর্মীদের ইলেকশন থেকে সরিয়ে রাখার জন্য, তাহলে নির্বাচনী পরিবেশ কীভাবে থাকে? এই মামলার কারণে আমি অনেকটা শঙ্কিত। আমি একজন নিরীহ মানুষ। নিরীহ মানুষকে এভাবে হয়রানি করলে কষ্ট হয়। সাধারণত আমি কখনো দেখিনি ডিজিএফআই–এ মামলা করতে। মামলা তো সাধারণত পুলিশ করার কথা।’ 

নির্বাচন কমিশনে অভিযোগের বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির বলেন, ‘আমি একটা নয়, অনেকগুলো অভিযোগ করছি। সবকিছু লিখিতও দিয়েছি। তারা যেসময় পারেন, বিচার করবেন। আমার সঙ্গে পরে আর যোগাযোগ হইছে না। তবে প্রশাসন ও পুলিশ থেকে সব সময় বলা হয়েছে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। আর এই আশার মধ্যেই আমি আছি। এই আসনে সবে নির্বাচন নিয়া প্রতিবাদ করতেছেন।’ 

ডিজিএফআইয়ের মামলার আসামিরা হলেন-৯ নম্বর মানিকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু জাফর মো. রায়হান (৪৮), ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী আহমদ আল কবিরের ছোট ভাই ও নির্বাচনী প্রধান এজেন্ট আহমদ আল ওয়ালী (৫৫), ৬ নম্বর সুলতানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম (৫৩), জকিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল আহাদ (৪০), ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান কমরু (৪০), সোনার বাংলা সমবায় সমিতির এমডি জাফরুল ইসলাম (৪২), সিলেট জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ (৪৫), মাতারগ্রামের সফিকুল হকের ছেলে আল আমিন আব্দুল্লাহ সুমন (৪০), জকিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এমএ সালাম (৩৮), ১ নম্বর বারহাল ইউপির চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী (৫৫), ৩ নম্বর কাজলসার ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি জুলকারনাইন লস্কর (৫৮) এবং ৪ নম্বর খলাছড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সামাদ আজাদ (৩৫)। 

এ ছাড়া বিএনপি নেতা ও ৭ নম্বর বারঠাকুরী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন (৫৫), বিএনপি নেতা ও খলাছড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা মাসুক (৫৮), রূপালী ব্যাংক কালিগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক আবু মোহাম্মদ জাকারিয়া ওরফে স্বপন (৪৫), ২ নম্বর বিরশ্রী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার (৫২), ৮ নম্বর কসকনকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুছ সাত্তার মঈন (৫৫), সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াজ (৫৫), সীমান্তিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের আব্দুর রউফ তাপাদার (৪৫), উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল হাই (৫৮), গঙ্গাজল বাজারের সাবেক সেক্রেটারি মো. আসলাম মিয়া (৫৭), যুবলীগ নেতা ইমরান হোসেন লিমন (৩২), বিরশ্রী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এমাদ মিয়া (৫০) এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. বুরহান উদ্দিনের (৫১) নাম মামলার আসামি হিসেবে আছে। 

খলাছড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোস্তাক আহমদ (৫২), ফুলতলী গ্রামের মৃত আব্দুস শহিদ চৌধুরীর ছেলে আলবাব হোসেন চৌধুরী (৪৫), এনায়েত চৌধুরী (৪০) সহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচণায় আসামি আব্দুল হাকিম শামীম, শাহরিয়ার কবির রায়হান, আরএ নোমান, এমডি নুরুল আমিন রোকনদের ফেসবুক আইডি থেকে এসব অপপ্রচার চালানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আইনি স্বীকৃতিসহ ১৫ দফা দাবিতে রাজধানীতে বাকপ্রতিবন্ধীদের অবস্থান কর্মসূচি-র‍্যালি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
পল্টন এলাকা থেকে একটি মিছিল শুরু করে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
পল্টন এলাকা থেকে একটি মিছিল শুরু করে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

আইনগত স্বীকৃতি ও সুরক্ষাসহ ১৫ দফা দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধীরা। আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় বধির ঐক্য পরিষদ ব্যানারে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা। এর আগে পল্টন এলাকা থেকে একটি মিছিল শুরু করে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা।

লিখিত বক্তব্যে শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধীরা জানান, প্রতিবন্ধী সুরক্ষা আইন ২০১৩-এ শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধী শব্দের পরিবর্তে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত ‘বধির’ ব্যবহার করতে হবে। বাকপ্রতিবন্ধীদের মালিকানাধীন সম্পত্তি রক্ষায় বিরোধ মামলার জন্য ৫০ শতাংশ খরচ মওকুফ করতে হবে। জাতীয় সংসদে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য মোট পাঁচ শতাংশ সংরক্ষিত আসন বরাদ্দ এবং শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথকভাবে দুই শতাংশ কোটা নিশ্চিত করতে হবে।

তাঁরা আরও জানান, শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথক আবাসিক কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও কার্যকরীকরণ নিশ্চিত এবং শিক্ষকদের জন্য ইশারা ভাষায় প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। এছাড়া প্রশিক্ষণ ও শিক্ষক নিয়োগ, আর্থিক ভাতা ও সহায়তা, কর্মসংস্থান ও কোটা, বাসস্থান ও ভূমি সংক্রান্ত সুবিধাসহ ১৫ দাবি জানান তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রোগী সেজে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চুরি, সাত নারী গ্রেপ্তার

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
গ্রেপ্তারকৃত সাত নারী। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তারকৃত সাত নারী। ছবি: আজকের পত্রিকা

রোগী সেজে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চুরির ঘটনায় সাত নারীকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা সবাই জামালপুর ও বগুড়ার সারিয়াকান্দি এলাকার বাসিন্দা। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিনিয়ত সদর হাসপাতালে লাইনে দাঁড়ানো রোগীদের টাকা, গয়না ও মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটছে। গতকাল রোববার দুপুরে কুলসুমা বেগম নামে এক নারী ডাক্তার দেখানোর জন্য টিকিট কেটে লাইনে দাঁড়ান। এ সময় তাঁর ব্যাগ থেকে ছয় হাজার টাকা চুরির করার সময় হাতেনাতে এক নারীকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাতে শহরের বিভিন্ন বাসায় অভিযান চালিয়ে আরও ছয় নারীকে আটক করা হয়। জড়িত সাত নারীই সদর হাসপাতালে রোগী সেজে চুরির সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁরা একই এলাকায় দুই থেকে তিন মাসের বেশি অবস্থান করেন না।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মোন্নাফ বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত সবাই চোর চক্রের সদস্য। তারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে রোগী সেজে চুরিসহ নানা অপরাধ করে থাকে। তারা কয়েক দিন আগে এই শহরে বাসাভাড়া নিয়েছে। এর আগেও বিভিন্ন স্থানে একই কাজ করে আসছিল এই চক্র। এই চক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িত, তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
ড. নাজমুল করিম খান। ছবি: আজকের পত্রিকা
ড. নাজমুল করিম খান। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) সাবেক কমিশনার নাজমুল করিম খানকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার। গতকাল রোববার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখা।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নাজমুল করিমকে জনস্বার্থে সরকারি কাজ থেকে বিরত রাখা আবশ্যক ও সমীচীন হওয়ায় সরকারি চাকরি আইনের ৩৯ (১) ধারা অনুযায়ী তাঁকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।

নাজমুল করিমকে কেন সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে তা জানানো হয়নি।

তবে রাস্তা বন্ধ করে এই পুলিশ কর্মকর্তার অফিসে যাতায়াত নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর গত ১ সেপ্টেম্বর জিএমপি কমিশনার পদ থেকে প্রত্যাহার করে তাঁকে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।

সরকারি চাকরি আইনের ৩৯ (১) ধারার বিধান অনুযায়ী কোনো কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব করা হলে বা বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ নেওয়া হলে তাঁকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা যায়।

নাজমুল করিমকে বিরুদ্ধে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা প্রজ্ঞাপনে তা জানানো হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ১৭
ছবি ভিডিও থেকে নেওয়া
ছবি ভিডিও থেকে নেওয়া

পুরান ঢাকার সূত্রাপুরে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে সকালে দুর্বৃত্তদের গুলিতে তারিক সাইফ মামুন (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে জানা যায়, মামুনের বাবার নাম এস এম ইকবাল। তাঁর বাড়ি লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার মোবারক কলোনি এলাকায়।

ওই ব্যক্তি পেশায় ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছেন তাঁর স্ত্রী। তবে পুলিশ বলছে, ওই ব্যক্তি চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (লালবাগ বিভাগ) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী বলেন, ‘গুলিতে নিহত ব্যক্তিটি শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন। তিনি কোনো ব্যবসায়ী নন। তিনি ইমন-মামুন গ্রুপের মামুন।’

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ঢালিউড নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা এবং সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ভাই সাইদ আহমেদ টিপু হত্যা মামলায় ঢাকার আন্ডারগ্রাউন্ড সন্ত্রাসী গ্রুপ ইমন-মামুন জড়িত। এই গ্রুপের ইমন বর্তমানে পলাতক। মামুন আজ মামলায় হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন।

ঘটনার বর্ণনায় ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মহিবুল্লাহ জানান, আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের সামনে গোলাগুলি হয়। গুলির শব্দ শুনে হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে এসে তিনি এক ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে ভেতরে আনা হয়। অবস্থার অবনতি দেখে সেখান থেকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক হাসপাতালে আনার পর মৃত ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেলে নিহতের পূর্বপরিচিত দাবি করা জনৈক ফাইজুল হক অপু জানান, সকালে তারিক সাইফ মামুনের ফোন নম্বর থেকে তাঁকে কল করে ঘটনাটি জানানো হয়। এরপর তিনি ঢাকা মেডিকেলে এসে পরিচয় শনাক্ত করেন।

ঢামেকে মামুনের স্ত্রী দীপা জানান, মিরপুরে মামুনের গার্মেন্টস ব্যবসা রয়েছে। দুই মেয়েকে নিয়ে আফতাবনগরের এফ-ব্লকে থাকেন তাঁরা। তিনি আরও জানান, দুই দিন পর আজ সকাল ৯টার দিকে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন মামুন। জজকোর্টে একটি মামলার হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন। এরপরই ফোনে তাঁর মৃত্যুর খবর আসে।

দীপা বলেন, ‘কারা আমার স্বামীকে খুন করছে জানি না।’ এ সময় ‘ইমন’ নামে এক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইমন ছাড়া কেউ এই কাজ করে নাই। কয়েক দিন আগে ইমনই লোক দিয়ে মামুনকে মারধর করেছিল।’

তবে ইমনের সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলতে তাৎক্ষণিকভাবে রাজি হননি দীপা।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত