চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
সমঝোতা ছাড়াই চুনারুঘাটে চা শ্রমিক ও প্রশাসনের মধ্যকার বৈঠক শেষ হয়েছে। ফলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে আবারও বন্ধ থাকবে উপজেলার ২৪টি চা বাগানের কাজ। কর্মবিরতিতে বহাল থাকার ঘোষণা দিয়েছেন শ্রমিকেরা। আজ বুধবার বিকেলে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেন চা শ্রমিক নেতারা।
জানা গেছে, বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা হল রুমে জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান উপজেলার ২৪টি চা বাগান পঞ্চায়েতের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। একপর্যায়ে সাধারণ চা শ্রমিকেরাও বৈঠকে যোগ দেয়। দীর্ঘ সময় জেলা প্রশাসক চা শ্রমিক নেতাদের নিয়ে বৈঠক করলেও কোনো সমাধান না হওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় শ্রমিকেরা।
বৈঠক শেষে চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আগ পর্যন্ত তারা কাজ ফিরবে না। তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন, ‘আগামী দুর্গাপূজা পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে সময় চাওয়া হয়েছে। এর ভেতর প্রধানমন্ত্রী তাদের দাবিগুলো বিবেচনা করবেন বলে আশ্বাস দেওয়া হলেও শ্রমিক নেতারা তা মানতে চায়নি। তারা আরও সময় চেয়েছেন।’
এ বিষয়ে চা কন্যা সংগঠনের সভাপতি খায়রুন আক্তার বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করি না। আমরা বারবার প্রতারণার শিকার হয়েছি। আমরা চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ সাধারণ শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপ করে ১০ দিনের ভেতর জেলা প্রশাসককে জানাব। এর আগ পর্যন্ত ২৪টি চা বাগানে কাজ বন্ধ করে ধর্মঘট পালন করব।’
এ বৈঠকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ ভৌমিকের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. আব্দুল কাদির লস্কর, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা খাতুন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আশরাফ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, চা শ্রমিক ও নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে আসন্ন দুর্গাপূজার আগেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে পরবর্তী মজুরির বিষয়টি চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে গত রোববার রাত ৯টায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত সোমবার থেকে চা শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে চলমান মজুরি ১২০ টাকা হারেই শ্রমিকেরা কাজে ফেরার কথা ছিল। অনেক চা বাগানে সে অনুযায়ী শ্রমিকেরা কাজ শুরু করলেও অধিকাংশ চা শ্রমিকেরা আন্দোলনে অনড় রয়েছেন।
এদিকে গত দুপুরে সোমবার চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ থেকে ৩০০ টাকা করার দাবি আদায়ের জন্য পদযাত্রায় নামেন জুরাইন নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয়ক মিজানুর রহমান। শ্রমিকদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে তিনি চুনারুঘাটের অবস্থিত চান্দপুর চা-বাগান থেকে হেঁটে ঢাকায় শ্রম মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে রওনা হন। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে তাঁর অবস্থান ছিল হবিগঞ্জের মাধবপুরে।
সমঝোতা ছাড়াই চুনারুঘাটে চা শ্রমিক ও প্রশাসনের মধ্যকার বৈঠক শেষ হয়েছে। ফলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে আবারও বন্ধ থাকবে উপজেলার ২৪টি চা বাগানের কাজ। কর্মবিরতিতে বহাল থাকার ঘোষণা দিয়েছেন শ্রমিকেরা। আজ বুধবার বিকেলে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেন চা শ্রমিক নেতারা।
জানা গেছে, বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা হল রুমে জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান উপজেলার ২৪টি চা বাগান পঞ্চায়েতের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। একপর্যায়ে সাধারণ চা শ্রমিকেরাও বৈঠকে যোগ দেয়। দীর্ঘ সময় জেলা প্রশাসক চা শ্রমিক নেতাদের নিয়ে বৈঠক করলেও কোনো সমাধান না হওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় শ্রমিকেরা।
বৈঠক শেষে চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আগ পর্যন্ত তারা কাজ ফিরবে না। তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন, ‘আগামী দুর্গাপূজা পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে সময় চাওয়া হয়েছে। এর ভেতর প্রধানমন্ত্রী তাদের দাবিগুলো বিবেচনা করবেন বলে আশ্বাস দেওয়া হলেও শ্রমিক নেতারা তা মানতে চায়নি। তারা আরও সময় চেয়েছেন।’
এ বিষয়ে চা কন্যা সংগঠনের সভাপতি খায়রুন আক্তার বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করি না। আমরা বারবার প্রতারণার শিকার হয়েছি। আমরা চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ সাধারণ শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপ করে ১০ দিনের ভেতর জেলা প্রশাসককে জানাব। এর আগ পর্যন্ত ২৪টি চা বাগানে কাজ বন্ধ করে ধর্মঘট পালন করব।’
এ বৈঠকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ ভৌমিকের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. আব্দুল কাদির লস্কর, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা খাতুন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আশরাফ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, চা শ্রমিক ও নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে আসন্ন দুর্গাপূজার আগেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে পরবর্তী মজুরির বিষয়টি চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে গত রোববার রাত ৯টায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত সোমবার থেকে চা শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে চলমান মজুরি ১২০ টাকা হারেই শ্রমিকেরা কাজে ফেরার কথা ছিল। অনেক চা বাগানে সে অনুযায়ী শ্রমিকেরা কাজ শুরু করলেও অধিকাংশ চা শ্রমিকেরা আন্দোলনে অনড় রয়েছেন।
এদিকে গত দুপুরে সোমবার চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ থেকে ৩০০ টাকা করার দাবি আদায়ের জন্য পদযাত্রায় নামেন জুরাইন নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয়ক মিজানুর রহমান। শ্রমিকদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে তিনি চুনারুঘাটের অবস্থিত চান্দপুর চা-বাগান থেকে হেঁটে ঢাকায় শ্রম মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে রওনা হন। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে তাঁর অবস্থান ছিল হবিগঞ্জের মাধবপুরে।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
১ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
২ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
২ ঘণ্টা আগে