সিলেট সংবাদদাতা
সিলেট নগরীর শাহী ঈদগার হাজারীবাগ এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী কাদর। নিজের বড় ছেলে ও ছেলের বউয়ের অপকর্ম ও প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি। শনিবার নগরের একটি হোটেলে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি সিলেটের একজন পরিচিত ব্যবসায়ী। আমার তিন ছেলের নামে নগরীর ধানসিঁড়ি-৬ আবাসিক এলাকা শাহী ঈদগাহে একটি বাসা রয়েছে। আমার তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখনো সুনামের সাথে সিলেটে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। ছোট ছেলে আবদুল মোমিন নগরীর জেলারোডস্থ প্রতিষ্ঠান ‘আলী মেশিনারীজ’, বড় ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন ‘আলী এন্ড সন্স’ ও মেজো ছেলে আলী হাসান আমিন ‘আলী কর্পোরেশন’ মহাজনপট্টিস্থ পরিচালনা করে আসছে।’
বড় ছেলের স্ত্রী বিভিন্ন সময় বিনা কারণে সংসারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার বড় ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন আজ থেকে ১৩ বছর আগে বিয়ে করে। বড় ছেলের বিয়ে পরবর্তী আমার সংসারে শুরু হয় অন্যরকম ষড়যন্ত্র। বউয়ের প্ররোচনায় আমার বড় ছেলে আমি জীবিত থাকা অবস্থায় স্থাবর-অস্থাবর সকল সম্পত্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিজের নামে দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠে। বড় ছেলে মামুন ও তার স্ত্রী কারণে অকারণে সংসারে বিশৃঙ্খলা চালাতে থাকে। এমনকি আমি এবং আমার স্ত্রীর সাথে ঠুনকো ঘটনা নিয়ে অশ্লীল কথা ও খারাপ আচরণ করতে থাকে। ২০১৬ সালে আমি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হলে সংসারের বড় ছেলে হিসেবে ব্যবসার সকল কাগজপত্র ও মূল্যবান সামগ্রী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সংরক্ষিত স্থানে নিরাপদে রাখার জন্য তার হাতে তুলে দেই।’
এরপর থেকেই ছেলের নতুন প্রতারণা শুরু হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ওই সময় মামুন আমার অনুপস্থিতির সুযোগে প্রতারণা করে আমার ছোট ছেলে আবদুল মোমিন পরিচালিত প্রতিষ্ঠান জেল রোডের ‘আলী মেশিনারীজ’ এর সকল কাগজপত্রে নিজের নাম লিখিয়ে নেয়। যদিও ওই দোকানের জমিদার পরবর্তীতে মামুনের প্রতারণার বিষয়টি জেনেছেন। আমি দোকান কোঠাসহ-সমুদয় সম্পত্তি বাগ-বাঁটোয়ারা করে দিয়েছি-এমন মিথ্যা কথা বলে জমিদার ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সকল কাগজপত্রে কৌশলে নিজের নাম লিখিয়ে নেয়। বিষয়টি আমি জানতে পেরে মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।’
তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘২০১৮ সালের আগস্ট মাসে মামুন বাসায় তার মাকে গালাগাল, ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জানিয়ে তিনি বলেন, আমার স্ত্রী যাতে বিষয়টি আমাকে ফোনে জানাতে না পারেন, তাই বাসায় থাকা মোবাইল ফোন সুইচ অফ করে খাটের নিচে ফেলে রেখে স্ত্রীসহ স্বেচ্ছায় ওই দিন বাড়ি ছেলে চলে যায়। পরে বাসায় এসে আমার স্ত্রীর (মামুনের মা) কাছ থেকে বিস্তারিত বিবরণ শুনি এবং খাটের নিচ থেকে সুইচ অফ থাকা অবস্থায় মোবাইল সেট উদ্ধার করি। তারপর থেকে মামুন স্ত্রীসহ নগরীর ফরহাদ খাঁ পুলের এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতে থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সম্পত্তি দখলে ষড়যন্ত্র মামুনের নতুন নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় সে আমার সম্পত্তি ওয়াকফ করে দিতে চাপ প্রয়োগ করে। আমি তাতে সায় না দিলে শুরু হয় বিভিন্ন চক্রান্ত। চক্রান্ত অনুযায়ী জেল রোডের ‘আলী এন্ড সন্স’ এর ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ পেয়ে প্রথমেই ওই প্রতিষ্ঠান নিজের নামে চালিয়ে নিতে চেষ্টা করে। এই চেষ্টাতেও বিফল হয়ে পরবর্তীতে শাহী ঈদগাহের তিন ছেলের নামে বন্টনকৃত বাসাটিও বড় ছেলে মামুন নিজের নামে এককভাবে দখল নিতে চক্রান্ত শুরু করে। চক্রান্তের অংশ হিসেবে চলতি মাসের ১ নভেম্বর সোমবার স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনসহ বহিরাগত লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে মামুন আমার শাহী ঈদগাহের বন্টনকৃত বাসায় ভাড়াটিয়া এবং মেজো ছেলে আলী হাসান আমিন ও ছোট ছেলে আবদুল মুমিনের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করে।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তীতে এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপে বড় ছেলে মামুন পালিয়ে যায় এবং সন্ত্রাসী হামলার দুই দিন পর ৩ নভেম্বর সিলেট কোতয়ালী থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। মামুনের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় বর্তমানে আমার মেজো ছেলে আলী হাসান আমিন (৩৪) এবং মেয়ে আফসানা বেগম শিমু (৩৮) জেল হাজতে রয়েছে। এমনকি এই মামলায় আমাকেও আসামি করা হয়েছে।’
উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন জানিয়ে ভুক্তভোগী বাবা বলেন, ‘মামুনের আচরণে আমি আরও আতঙ্কগ্রস্ত। এর আগে একাধিকবার মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ লিখে কোতয়ালী এবং এয়ারপোর্ট থানায় জমা দেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু মামুন আমাকে লাঞ্ছিত করে। এখন সে মিথ্যে মামলা ও মাদক দিয়ে আমাকে পুলিশে দেওয়া এবং হত্যা ও গুমেরও ভয় দেখিয়ে যাচ্ছে।’
সিলেট নগরীর শাহী ঈদগার হাজারীবাগ এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী কাদর। নিজের বড় ছেলে ও ছেলের বউয়ের অপকর্ম ও প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি। শনিবার নগরের একটি হোটেলে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি সিলেটের একজন পরিচিত ব্যবসায়ী। আমার তিন ছেলের নামে নগরীর ধানসিঁড়ি-৬ আবাসিক এলাকা শাহী ঈদগাহে একটি বাসা রয়েছে। আমার তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখনো সুনামের সাথে সিলেটে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। ছোট ছেলে আবদুল মোমিন নগরীর জেলারোডস্থ প্রতিষ্ঠান ‘আলী মেশিনারীজ’, বড় ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন ‘আলী এন্ড সন্স’ ও মেজো ছেলে আলী হাসান আমিন ‘আলী কর্পোরেশন’ মহাজনপট্টিস্থ পরিচালনা করে আসছে।’
বড় ছেলের স্ত্রী বিভিন্ন সময় বিনা কারণে সংসারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার বড় ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন আজ থেকে ১৩ বছর আগে বিয়ে করে। বড় ছেলের বিয়ে পরবর্তী আমার সংসারে শুরু হয় অন্যরকম ষড়যন্ত্র। বউয়ের প্ররোচনায় আমার বড় ছেলে আমি জীবিত থাকা অবস্থায় স্থাবর-অস্থাবর সকল সম্পত্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিজের নামে দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠে। বড় ছেলে মামুন ও তার স্ত্রী কারণে অকারণে সংসারে বিশৃঙ্খলা চালাতে থাকে। এমনকি আমি এবং আমার স্ত্রীর সাথে ঠুনকো ঘটনা নিয়ে অশ্লীল কথা ও খারাপ আচরণ করতে থাকে। ২০১৬ সালে আমি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হলে সংসারের বড় ছেলে হিসেবে ব্যবসার সকল কাগজপত্র ও মূল্যবান সামগ্রী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সংরক্ষিত স্থানে নিরাপদে রাখার জন্য তার হাতে তুলে দেই।’
এরপর থেকেই ছেলের নতুন প্রতারণা শুরু হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ওই সময় মামুন আমার অনুপস্থিতির সুযোগে প্রতারণা করে আমার ছোট ছেলে আবদুল মোমিন পরিচালিত প্রতিষ্ঠান জেল রোডের ‘আলী মেশিনারীজ’ এর সকল কাগজপত্রে নিজের নাম লিখিয়ে নেয়। যদিও ওই দোকানের জমিদার পরবর্তীতে মামুনের প্রতারণার বিষয়টি জেনেছেন। আমি দোকান কোঠাসহ-সমুদয় সম্পত্তি বাগ-বাঁটোয়ারা করে দিয়েছি-এমন মিথ্যা কথা বলে জমিদার ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সকল কাগজপত্রে কৌশলে নিজের নাম লিখিয়ে নেয়। বিষয়টি আমি জানতে পেরে মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।’
তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘২০১৮ সালের আগস্ট মাসে মামুন বাসায় তার মাকে গালাগাল, ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জানিয়ে তিনি বলেন, আমার স্ত্রী যাতে বিষয়টি আমাকে ফোনে জানাতে না পারেন, তাই বাসায় থাকা মোবাইল ফোন সুইচ অফ করে খাটের নিচে ফেলে রেখে স্ত্রীসহ স্বেচ্ছায় ওই দিন বাড়ি ছেলে চলে যায়। পরে বাসায় এসে আমার স্ত্রীর (মামুনের মা) কাছ থেকে বিস্তারিত বিবরণ শুনি এবং খাটের নিচ থেকে সুইচ অফ থাকা অবস্থায় মোবাইল সেট উদ্ধার করি। তারপর থেকে মামুন স্ত্রীসহ নগরীর ফরহাদ খাঁ পুলের এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতে থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সম্পত্তি দখলে ষড়যন্ত্র মামুনের নতুন নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় সে আমার সম্পত্তি ওয়াকফ করে দিতে চাপ প্রয়োগ করে। আমি তাতে সায় না দিলে শুরু হয় বিভিন্ন চক্রান্ত। চক্রান্ত অনুযায়ী জেল রোডের ‘আলী এন্ড সন্স’ এর ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ পেয়ে প্রথমেই ওই প্রতিষ্ঠান নিজের নামে চালিয়ে নিতে চেষ্টা করে। এই চেষ্টাতেও বিফল হয়ে পরবর্তীতে শাহী ঈদগাহের তিন ছেলের নামে বন্টনকৃত বাসাটিও বড় ছেলে মামুন নিজের নামে এককভাবে দখল নিতে চক্রান্ত শুরু করে। চক্রান্তের অংশ হিসেবে চলতি মাসের ১ নভেম্বর সোমবার স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনসহ বহিরাগত লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে মামুন আমার শাহী ঈদগাহের বন্টনকৃত বাসায় ভাড়াটিয়া এবং মেজো ছেলে আলী হাসান আমিন ও ছোট ছেলে আবদুল মুমিনের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করে।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তীতে এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপে বড় ছেলে মামুন পালিয়ে যায় এবং সন্ত্রাসী হামলার দুই দিন পর ৩ নভেম্বর সিলেট কোতয়ালী থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। মামুনের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় বর্তমানে আমার মেজো ছেলে আলী হাসান আমিন (৩৪) এবং মেয়ে আফসানা বেগম শিমু (৩৮) জেল হাজতে রয়েছে। এমনকি এই মামলায় আমাকেও আসামি করা হয়েছে।’
উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন জানিয়ে ভুক্তভোগী বাবা বলেন, ‘মামুনের আচরণে আমি আরও আতঙ্কগ্রস্ত। এর আগে একাধিকবার মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ লিখে কোতয়ালী এবং এয়ারপোর্ট থানায় জমা দেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু মামুন আমাকে লাঞ্ছিত করে। এখন সে মিথ্যে মামলা ও মাদক দিয়ে আমাকে পুলিশে দেওয়া এবং হত্যা ও গুমেরও ভয় দেখিয়ে যাচ্ছে।’
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে ওই ভুক্তভোগী নারী ওষুধ কেনার জন্য ভূল্লি বাজারে যান। সেখানে শ্বশুরবাড়ির পরিচিত হামিদুর রহমান (৫২) ও জাহিরুল ইসলাম (৪৮)-এর সঙ্গে তার দেখা হয়। পরে তারা কৌশলে তাকে খোশবাজার এলাকার জিনের মসজিদে ঘুরতে নিয়ে যায়।
১ মিনিট আগেমামলার এজাহারসূত্রে জানা যায়, ১৩ আগস্ট বিকেলে ইটনা উপজেলা পরিষদের ভেতরে ইউএনও’র বাসভবনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ওইদিন রাতেই মফিজুল ইসলাম নামে এক আনসার সদস্য বাদী হয়ে ইটনা থানায় ৪২ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত তিনশো জনকে আসামি দিয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
২৯ মিনিট আগেইনস্টিটিউট সূত্রে জানা যায়, হাসানের শরীরের ৪৪ শতাংশ, সালমার ৪৮ শতাংশ, আসমার ৪৮ শতাংশ, তিশার ৫৩ শতাংশ, জান্নাতের ৪০ শতাংশ, মুনতাহার ৩৭ শতাংশ, শিশু ইমামের ৩০ শতাংশ ও আরাফাতের ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। শুধু তনজিল ইসলামকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
৩৭ মিনিট আগেদীর্ঘ এক মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেল রাজধানীর দিয়াবাড়ি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ তাসনিয়া (১৫)। আজ শনিবার সকাল ৮টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
১ ঘণ্টা আগে