মিনহাজ মির্জা, গোয়াইনঘাট (সিলেট)
‘মায়ের দোয়া’য় ভাগ্য বদলে গেছে গোয়াইনঘাটের হিরা আহমেদের (৪২)। শখের বসে একটি ছাগলের খামার গড়ে তুলেছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা হিরা আহমেদ। সেই খামারের সুনাম ইতিমধ্যে দূর–দূরান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। খামার দেখার পাশাপাশি ছাগল কিনতে এখন অনেকেই তাঁর বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন।
প্রথমে একটি ব্ল্যাক বেঙ্গল দিয়ে তিনি খামারটি চালু করেন। উপজেলার রাধানগর এলাকায় ছাগলের খামারটি গড়ে তোলা হয়। খামারে কয়েক প্রজাতির হাঁস-মোরগও রয়েছে।
খামারে কয়েক প্রজাতির ছাগল রয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে ব্ল্যাক বেঙ্গল, বিটল, শিরহি, গুজরী, হারিয়ানা, কারলী কোটা, তোতাপারি, যমুনাপারি ও গাড়ল। তা ছাড়া ক্রস জাতের ছাগলও রয়েছে।
ভিন্ন প্রজাতির ছাগলগুলোর দামও ভিন্ন। যেমন ক্রস ছাগল বিক্রি করছেন ১৫-৩০ হাজার টাকায়। পিওর জাত বিভিন্ন দামের বাচ্চার জোড়া বিক্রি করে থাকেন ৭০-৯০ হাজার টাকায়। পিওর জাতের বড় মা ছাগল ৭০-৯০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।
এ ছাড়া এসবের পাশাপাশি খামারে দেশি মোরগ, টাইগার মোরগ, দেশি হাঁস, চীনা হাঁস রয়েছে প্রায় দেড় শ। ঈদের আগে খামার থেকে সাতটি গাড়ল ছাগল বিক্রি করেছেন ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায়। ঈদে পাঁচটি বড় এবং মাঝারি ছাগল বিক্রি করেছেন ২ লাখ ১০ হাজার টাকায়। বর্তমানে খামারে ছাগলের সংখ্যা রয়েছে ৫১টি।
হিরা বলেন, ‘প্রাণীদের প্রতি ছোটবেলা থেকেই আমার ভালোবাসা আছে। সেই থেকেই খামারটি গড়ে তোলা। গত বছর কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তারা আমার খামারটি পরিদর্শন করেছেন। সরকারিভাবে কোনো সহযোগিতা পেলে খামারটি আরও বড় করে এলাকার বেকার তরুণদেরও এ কাজ করতে সহায়তা করব।’
এলাকার বেকার তরুণদের উদ্দেশে হিরা বলেন, চাকরির পেছনে না ঘুরে নিজে নিজে কিছু করে চেষ্টা করলে দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। তাই কোনো কাজই ছোট করে দেখলে হবে না। নিজে কিছু করার চেষ্টা করুন।
খামারের নামকরণের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মূলত আমার মায়ের হাত ধরেই পশুপালন শুরু করি। মাকে আমি খুব ভালোবাসি। মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবেই এই নাম দেওয়া।’
খামারে তাঁর অনুপস্থিতিতে বেশি সময় দিয়ে থাকেন তাঁর সহধর্মিণী হাসিনা আক্তার (৩২)। তিনি বলেন, ছাগল পালন করা কষ্টসাধ্য হলেও আনন্দে তা পালন করে আসছি। এতে আমাদের বাড়তি আয়ের উৎসও তৈরি হয়েছে। আমার স্বামীর অনুপস্থিতিতে ছেলেমেয়েদের নিয়ে আমি সময় দিয়ে থাকি।’
হিরা আহমেদ বলেন, প্রাণীদের প্রতি আমার ছোটবেলা থেকেই এক ধরনের প্রেম জমে আছে। এই প্রেম থেকেই আজ এই খামারটি তৈরি করা। যদি সরকারিভাবে কোনো সহযোগিতা পাই, তাহলে খামারটি আরও বড় করে এলাকার বেকার তরুণদেরও এ কাজ করতে সহায়তা করব। এ ছাড়া গত ৫ জুন উপজেলা প্রাণিসম্পদ মেলায় তার খামারটি প্রথম স্থান অধিকার করে।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. জামাল খান বলেন, ‘খামারটি আমাদের তালিকাভুক্ত।’
‘মায়ের দোয়া’য় ভাগ্য বদলে গেছে গোয়াইনঘাটের হিরা আহমেদের (৪২)। শখের বসে একটি ছাগলের খামার গড়ে তুলেছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা হিরা আহমেদ। সেই খামারের সুনাম ইতিমধ্যে দূর–দূরান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। খামার দেখার পাশাপাশি ছাগল কিনতে এখন অনেকেই তাঁর বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন।
প্রথমে একটি ব্ল্যাক বেঙ্গল দিয়ে তিনি খামারটি চালু করেন। উপজেলার রাধানগর এলাকায় ছাগলের খামারটি গড়ে তোলা হয়। খামারে কয়েক প্রজাতির হাঁস-মোরগও রয়েছে।
খামারে কয়েক প্রজাতির ছাগল রয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে ব্ল্যাক বেঙ্গল, বিটল, শিরহি, গুজরী, হারিয়ানা, কারলী কোটা, তোতাপারি, যমুনাপারি ও গাড়ল। তা ছাড়া ক্রস জাতের ছাগলও রয়েছে।
ভিন্ন প্রজাতির ছাগলগুলোর দামও ভিন্ন। যেমন ক্রস ছাগল বিক্রি করছেন ১৫-৩০ হাজার টাকায়। পিওর জাত বিভিন্ন দামের বাচ্চার জোড়া বিক্রি করে থাকেন ৭০-৯০ হাজার টাকায়। পিওর জাতের বড় মা ছাগল ৭০-৯০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।
এ ছাড়া এসবের পাশাপাশি খামারে দেশি মোরগ, টাইগার মোরগ, দেশি হাঁস, চীনা হাঁস রয়েছে প্রায় দেড় শ। ঈদের আগে খামার থেকে সাতটি গাড়ল ছাগল বিক্রি করেছেন ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায়। ঈদে পাঁচটি বড় এবং মাঝারি ছাগল বিক্রি করেছেন ২ লাখ ১০ হাজার টাকায়। বর্তমানে খামারে ছাগলের সংখ্যা রয়েছে ৫১টি।
হিরা বলেন, ‘প্রাণীদের প্রতি ছোটবেলা থেকেই আমার ভালোবাসা আছে। সেই থেকেই খামারটি গড়ে তোলা। গত বছর কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তারা আমার খামারটি পরিদর্শন করেছেন। সরকারিভাবে কোনো সহযোগিতা পেলে খামারটি আরও বড় করে এলাকার বেকার তরুণদেরও এ কাজ করতে সহায়তা করব।’
এলাকার বেকার তরুণদের উদ্দেশে হিরা বলেন, চাকরির পেছনে না ঘুরে নিজে নিজে কিছু করে চেষ্টা করলে দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। তাই কোনো কাজই ছোট করে দেখলে হবে না। নিজে কিছু করার চেষ্টা করুন।
খামারের নামকরণের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মূলত আমার মায়ের হাত ধরেই পশুপালন শুরু করি। মাকে আমি খুব ভালোবাসি। মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবেই এই নাম দেওয়া।’
খামারে তাঁর অনুপস্থিতিতে বেশি সময় দিয়ে থাকেন তাঁর সহধর্মিণী হাসিনা আক্তার (৩২)। তিনি বলেন, ছাগল পালন করা কষ্টসাধ্য হলেও আনন্দে তা পালন করে আসছি। এতে আমাদের বাড়তি আয়ের উৎসও তৈরি হয়েছে। আমার স্বামীর অনুপস্থিতিতে ছেলেমেয়েদের নিয়ে আমি সময় দিয়ে থাকি।’
হিরা আহমেদ বলেন, প্রাণীদের প্রতি আমার ছোটবেলা থেকেই এক ধরনের প্রেম জমে আছে। এই প্রেম থেকেই আজ এই খামারটি তৈরি করা। যদি সরকারিভাবে কোনো সহযোগিতা পাই, তাহলে খামারটি আরও বড় করে এলাকার বেকার তরুণদেরও এ কাজ করতে সহায়তা করব। এ ছাড়া গত ৫ জুন উপজেলা প্রাণিসম্পদ মেলায় তার খামারটি প্রথম স্থান অধিকার করে।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. জামাল খান বলেন, ‘খামারটি আমাদের তালিকাভুক্ত।’
টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
১১ মিনিট আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
১৮ মিনিট আগেশেরপুরের গারো পাহাড়ে মানুষের বিচরণ বাড়ার পাশাপাশি কমতে শুরু করেছে বন-জঙ্গল। এতে সেখানে বন্য হাতির জীবন সংকটে পড়েছে। প্রায়ই নানা ঘটনায় প্রাণ হারিয়ে গারো পাহাড় থেকে বিলুপ্তের পথে বিশালাকৃতির এই প্রাণী। এদিকে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্বে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষও। গত ৩০ বছরে শেরপুরে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্বে জেলায়
২৩ মিনিট আগে২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর একনেক সভায় পাস হয় যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের ৪৭ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার সড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণের প্রকল্প। ৪ হাজার ১৮৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার এ প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারিত হয় ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ ও মূল্য।
২৭ মিনিট আগে