হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের মাধবপুরের তরুণী মোছা ইয়াসমিন আক্তারকে সৌদি আরবে পাচারের অভিযোগে তাঁর খালা ও মামাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পর প্রধান আসামি মো. কাশেম মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন-সৌদি আরবে পাঠানো রিক্রুটিং এজেন্সি ঢাকার আরামবাগের মতিঝিল সার্কুলার রোডের শা’ন ওভারসিজের প্রোপ্রাইটর এবিএম শামসুল আলম কাজল, প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারী মোছা. সুইটি আক্তার, ইয়াসমিনের খালা চুনারুঘাট উপজেলার দেওরগাছ গ্রামের মো. নুরুল ইসলামের স্ত্রী মোছা. শরুফা আক্তার, ইয়াসমিনের মামা মাধবপুর উপজেলার হাড়িয়া গ্রামের মো. মুক্তার হোসেন ও চুনারুঘাট উপজেলার রানীকোর্ট গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. মোরশেদ মিয়া।
মামলার সূত্রে জানা যায়, প্রায় দুই মাস আগে মোছা. ইয়াসমিন আক্তারের বাবা-মায়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। এ কারণে ইয়াসমিনকে নিয়ে তাঁর মা মাধবপুর উপজেলার হাড়িয়া গ্রামে বাবার বাড়িতে চলে যান। এ সময় ইয়াসমিনের মামা মো. মুক্তার হোসেন ও খাল মোছা. শরুফা বেগম ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ইয়াসমিনকে দালাল কাশেম মিয়া ও মোরশেদ মিয়ার কাছে নিয়ে যান।
পরবর্তীতে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবে পাচার করা হয় ইয়াসমিনকে। সেখানে গিয়ে দালাল কাশেম মিয়া ও রিক্রুটিং এজেন্সি নিয়োজিত অজ্ঞাত লোকজন তাঁকে বিক্রি করে দেন। সেখানে বাসায় আটকে রেখে ইয়াসমিনের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। বিষয়টি কৌশলে ইয়াসমিন তার বাবাকে জানালে প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গত শনিবার তাঁকে দেশে ফেরত আনা হয়।
শুধু তাই নয়, ইয়াসমিনের খালা শরুফা আক্তার, মামা মুক্তার হোসেন, দালাল কাশেম মিয়া ও মোরশেদ মিয়া মিলে ইয়াসমিনকে সৌদি আরবে পাচারের জন্য ভিন্ন ঠিকানায় জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেছেন। তাঁর মূল ঠিকানা মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের কমলপুরের বদলে নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাগ গ্রামের ঠিকানা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে পাসপোর্ট।
মামলার বাদী ইয়াসমিনের বাবা কুদ্দুস মিয়া বলেন, ‘আমার মেয়েকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ভিন্ন ঠিকানায় ভুল জন্মসনদ ও পাসপোর্ট তৈরি করে সৌদি আরবে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে আমার মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে।’
কুদ্দুস মিয়া আরও বলেন, ‘সৌদি আরব থেকে আমার মেয়ে নির্যাতনের বিষয়টি আমাকে জানায়। খবর পেয়ে আমি তাঁর মামা মুক্তার হোসেনের কাছে যাই। তাঁর কাছে আমার মেয়ে সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আমাকে কোনো সদুত্তর দেননি। তখন আমি বুঝতে পারি তাঁদের যোগসাজশেই আমার মেয়েকে সৌদি আরবে পাচার করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে ওসি বলেন, মানবপাচারের অভিযোগে মোছা. ইয়াসমিন আক্তারের বাবা মো. কুদ্দুস মিয়া গত শনিবার রাতে ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল ভোরে মামলার প্রধান আসামি মো. কাশেম মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর আদালত তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
হবিগঞ্জের মাধবপুরের তরুণী মোছা ইয়াসমিন আক্তারকে সৌদি আরবে পাচারের অভিযোগে তাঁর খালা ও মামাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পর প্রধান আসামি মো. কাশেম মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন-সৌদি আরবে পাঠানো রিক্রুটিং এজেন্সি ঢাকার আরামবাগের মতিঝিল সার্কুলার রোডের শা’ন ওভারসিজের প্রোপ্রাইটর এবিএম শামসুল আলম কাজল, প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারী মোছা. সুইটি আক্তার, ইয়াসমিনের খালা চুনারুঘাট উপজেলার দেওরগাছ গ্রামের মো. নুরুল ইসলামের স্ত্রী মোছা. শরুফা আক্তার, ইয়াসমিনের মামা মাধবপুর উপজেলার হাড়িয়া গ্রামের মো. মুক্তার হোসেন ও চুনারুঘাট উপজেলার রানীকোর্ট গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. মোরশেদ মিয়া।
মামলার সূত্রে জানা যায়, প্রায় দুই মাস আগে মোছা. ইয়াসমিন আক্তারের বাবা-মায়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। এ কারণে ইয়াসমিনকে নিয়ে তাঁর মা মাধবপুর উপজেলার হাড়িয়া গ্রামে বাবার বাড়িতে চলে যান। এ সময় ইয়াসমিনের মামা মো. মুক্তার হোসেন ও খাল মোছা. শরুফা বেগম ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ইয়াসমিনকে দালাল কাশেম মিয়া ও মোরশেদ মিয়ার কাছে নিয়ে যান।
পরবর্তীতে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবে পাচার করা হয় ইয়াসমিনকে। সেখানে গিয়ে দালাল কাশেম মিয়া ও রিক্রুটিং এজেন্সি নিয়োজিত অজ্ঞাত লোকজন তাঁকে বিক্রি করে দেন। সেখানে বাসায় আটকে রেখে ইয়াসমিনের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। বিষয়টি কৌশলে ইয়াসমিন তার বাবাকে জানালে প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গত শনিবার তাঁকে দেশে ফেরত আনা হয়।
শুধু তাই নয়, ইয়াসমিনের খালা শরুফা আক্তার, মামা মুক্তার হোসেন, দালাল কাশেম মিয়া ও মোরশেদ মিয়া মিলে ইয়াসমিনকে সৌদি আরবে পাচারের জন্য ভিন্ন ঠিকানায় জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেছেন। তাঁর মূল ঠিকানা মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের কমলপুরের বদলে নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাগ গ্রামের ঠিকানা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে পাসপোর্ট।
মামলার বাদী ইয়াসমিনের বাবা কুদ্দুস মিয়া বলেন, ‘আমার মেয়েকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ভিন্ন ঠিকানায় ভুল জন্মসনদ ও পাসপোর্ট তৈরি করে সৌদি আরবে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে আমার মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে।’
কুদ্দুস মিয়া আরও বলেন, ‘সৌদি আরব থেকে আমার মেয়ে নির্যাতনের বিষয়টি আমাকে জানায়। খবর পেয়ে আমি তাঁর মামা মুক্তার হোসেনের কাছে যাই। তাঁর কাছে আমার মেয়ে সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আমাকে কোনো সদুত্তর দেননি। তখন আমি বুঝতে পারি তাঁদের যোগসাজশেই আমার মেয়েকে সৌদি আরবে পাচার করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে ওসি বলেন, মানবপাচারের অভিযোগে মোছা. ইয়াসমিন আক্তারের বাবা মো. কুদ্দুস মিয়া গত শনিবার রাতে ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল ভোরে মামলার প্রধান আসামি মো. কাশেম মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর আদালত তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৪ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৪ ঘণ্টা আগে