জুয়েল আহমদ জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে দুই মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো শেষ হয়নি হাওরের বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের সংস্কারকাজ। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর বাঁধের কাজ শুরু হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি কাজ শেষ হওয়ার কথা। তবে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ নিয়ে শঙ্কায় স্থানীয় কৃষকেরা। তাঁরা বলছেন, এখনো কয়েকটি প্রকল্পে মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন হয়নি। এর মধ্যে ঝড়বৃষ্টি হলে বাঁধের কাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করা অসম্ভব হবে।
হাওরের কৃষকেরা জানান, উপজেলার সর্ববৃহৎ নলুয়া হাওরের ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর প্রকল্পের কিছু কিছু অংশে এখনো মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়নি। এসব প্রকল্পের কাজ ধীরগতিতে চলছে। এভাবে চললে এবারও ঢলে ফসল ভেসে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
তবে সংশ্লিষ্টদের দাবি, হাওরে মাটির সংকটের কারণে কাজে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে। এদিকে কাজের তুলনায় এখন পর্যন্ত বরাদ্দকৃত অর্থ কম পাওয়ায় আর্থিক সংকটে পড়েছেন পিআইসিরা (কমিটির সদস্যরা)। অনেকে ধারদেনা ও ঋণ করে বাঁধের কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
এবার জগন্নাথপুর উপজেলায় ২৪ কিলোমিটার এলাকায় ৩৯টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের মাধ্যমে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে ৬ কোটি ৮৯ লাখ ৬৯ হাজার টাকা।
হাওরের ৯ নম্বর প্রকল্পের সভাপতি রুবেল মিয়া বলেন, ‘হাওরে মাটির সংকটের কারণে কাজে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তিন-চার দিনের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে। এ প্রকল্পে ২৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও প্রথম কিস্তির মাত্র ৫ লাখ টাকা বিল পেয়েছি। অথচ ১৫ লাখ টাকার মতো কাজ করেছি।’
১৪ নম্বর প্রকল্পের সভাপতি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘আমার প্রকল্পের মাটি ভরাটের কাজ শেষ। এখন ড্রেজিংয়ের কাজ চলছে। কাজের জন্য ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও বিল পেয়েছি মাত্র ৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১৮ থেকে ১৯ লাখ টাকার কাজ করা হয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘ঝড়বৃষ্টির ভয়ে অনেক পিআইসি ধারদেনা ও ঋণ করে বাঁধের কাজ করছে। কারণ, বৃষ্টি হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে সমস্যা হবে।’
নলুয়া হাওরের কৃষক ছালিকুর রহমান বলেন, ‘হাওরের কয়েকটি বাঁধের অনেক অংশে এখনো মাটি পড়েনি। বৃষ্টি শুরু হলে বিলম্বিত হবে কাজ। এ জন্য নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না। ফলে হাওরের ফসল নিয়ে অন্য বছরের মতো এবারও দুশ্চিন্তায় আছি আমরা।’
উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী সবুজ কুমার শীল বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৮৫ ভাগ বাঁধের কাজ শেষ হয়েছে। দু-তিনটি প্রকল্পের মাটির কাজ সামান্য বাকি রয়েছে। আশা করছি, দু-তিন দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘এবার নির্দিষ্ট সময়েই প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হয়ে যাবে আশা করছি। বাঁধের টাকা নিয়ে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।
বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরকত উল্লাহ বলেন, ‘দ্বিতীয় কিস্তির টাকা না পাওয়ায় এ সংকট হয়েছে। তবে চলতি সপ্তাহে টাকা পাওয়া যেতে পারে। তখন অর্থসংকট থাকবে না। বাঁধের সার্বিক পরিস্থিতি আমরা তদারকি করছি। এখন পর্যন্ত কাজ সন্তোষজনক।’
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে দুই মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো শেষ হয়নি হাওরের বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের সংস্কারকাজ। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর বাঁধের কাজ শুরু হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি কাজ শেষ হওয়ার কথা। তবে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ নিয়ে শঙ্কায় স্থানীয় কৃষকেরা। তাঁরা বলছেন, এখনো কয়েকটি প্রকল্পে মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন হয়নি। এর মধ্যে ঝড়বৃষ্টি হলে বাঁধের কাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করা অসম্ভব হবে।
হাওরের কৃষকেরা জানান, উপজেলার সর্ববৃহৎ নলুয়া হাওরের ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর প্রকল্পের কিছু কিছু অংশে এখনো মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়নি। এসব প্রকল্পের কাজ ধীরগতিতে চলছে। এভাবে চললে এবারও ঢলে ফসল ভেসে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
তবে সংশ্লিষ্টদের দাবি, হাওরে মাটির সংকটের কারণে কাজে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে। এদিকে কাজের তুলনায় এখন পর্যন্ত বরাদ্দকৃত অর্থ কম পাওয়ায় আর্থিক সংকটে পড়েছেন পিআইসিরা (কমিটির সদস্যরা)। অনেকে ধারদেনা ও ঋণ করে বাঁধের কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
এবার জগন্নাথপুর উপজেলায় ২৪ কিলোমিটার এলাকায় ৩৯টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের মাধ্যমে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে ৬ কোটি ৮৯ লাখ ৬৯ হাজার টাকা।
হাওরের ৯ নম্বর প্রকল্পের সভাপতি রুবেল মিয়া বলেন, ‘হাওরে মাটির সংকটের কারণে কাজে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তিন-চার দিনের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে। এ প্রকল্পে ২৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও প্রথম কিস্তির মাত্র ৫ লাখ টাকা বিল পেয়েছি। অথচ ১৫ লাখ টাকার মতো কাজ করেছি।’
১৪ নম্বর প্রকল্পের সভাপতি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘আমার প্রকল্পের মাটি ভরাটের কাজ শেষ। এখন ড্রেজিংয়ের কাজ চলছে। কাজের জন্য ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও বিল পেয়েছি মাত্র ৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১৮ থেকে ১৯ লাখ টাকার কাজ করা হয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘ঝড়বৃষ্টির ভয়ে অনেক পিআইসি ধারদেনা ও ঋণ করে বাঁধের কাজ করছে। কারণ, বৃষ্টি হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে সমস্যা হবে।’
নলুয়া হাওরের কৃষক ছালিকুর রহমান বলেন, ‘হাওরের কয়েকটি বাঁধের অনেক অংশে এখনো মাটি পড়েনি। বৃষ্টি শুরু হলে বিলম্বিত হবে কাজ। এ জন্য নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না। ফলে হাওরের ফসল নিয়ে অন্য বছরের মতো এবারও দুশ্চিন্তায় আছি আমরা।’
উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী সবুজ কুমার শীল বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৮৫ ভাগ বাঁধের কাজ শেষ হয়েছে। দু-তিনটি প্রকল্পের মাটির কাজ সামান্য বাকি রয়েছে। আশা করছি, দু-তিন দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘এবার নির্দিষ্ট সময়েই প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হয়ে যাবে আশা করছি। বাঁধের টাকা নিয়ে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।
বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরকত উল্লাহ বলেন, ‘দ্বিতীয় কিস্তির টাকা না পাওয়ায় এ সংকট হয়েছে। তবে চলতি সপ্তাহে টাকা পাওয়া যেতে পারে। তখন অর্থসংকট থাকবে না। বাঁধের সার্বিক পরিস্থিতি আমরা তদারকি করছি। এখন পর্যন্ত কাজ সন্তোষজনক।’
ভূমিকম্পপ্রবণ ১৯৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৫তম অবস্থানে জানিয়ে পরিকল্পনাবিদ তৌফিকুল আলম বলেন, দেশে সিলেট অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ। ঢাকায় উচ্চ জনঘনত্ব, মাটি দুর্বল ও নীতিমালা না মেনেই ভবন নির্মাণের কারণে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ৫১ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
২ মিনিট আগেটাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মিজানুর রহমান সুজন খান (৪৮) নামে এক চালক নিহত হয়েছেন। শনিবার রাত তিনটার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে মির্জাপুর বাইপাসের বাওয়ার কুমারজানী মা সিএনজি পাম্প সংলগ্ন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত চালক সুজন খান বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার জিরাইল গ্রামের ইউনুছ খানের ছেলে।
২৮ মিনিট আগেমৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বন্য প্রাণীদের নিরাপদে বিচরণের জন্য ২০২৩ সালে ট্রেন ও সড়কপথে যানবাহনের গতিসীমা ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে কর্তৃপক্ষ। তবে সেই নির্দেশনা শুধু কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ। কেউই তা মেনে চলছে না।
৪ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্প নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে ‘অঙ্কুরেই বিনষ্ট’ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রথম কিস্তিতে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ২টি প্রদর্শনী প্রকল্পে ৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ
৫ ঘণ্টা আগে