সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা

দেশীয় মাছের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত সুনামগঞ্জের বিস্তীর্ণ হাওরগুলোতে বর্ষার ভরা মৌসুমেও মাছ নেই বললেই চলে। এতে করে সংকটে পড়েছেন স্থানীয় জেলেরা। মাছ শিকারকে যাঁরা পেশা হিসেবে নিয়েছিলেন, তাঁরা এখন বাধ্য হচ্ছেন পেশা পরিবর্তনে। অনেকে বাধ্য হয়ে ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ নিচ্ছেন, কেউবা এলাকায় অন্য পেশায় যুক্ত হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের আগ্রাসী কর্মকাণ্ড এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো নানা কারণে দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ।
হাওরে একসময় দেশীয় প্রজাতির মাছ ছিল ১৪৩টি। এর বাইরে ছিল ১২ প্রজাতির বিদেশি মাছ। সুনামগঞ্জ মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বর্তমানে ৬৪ প্রজাতি হুমকির মুখে। এগুলোর মধ্যে ৯টি অতিবিপন্ন, ৩০টি বিপন্ন এবং ২৫ প্রজাতি সংকটাপন্ন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইজারা প্রথা, আগ্রাসী মাছ চাষ, রাসায়নিক নির্ভর কৃষি, পাহাড়ি এলাকার কয়লাখনি থেকে ক্ষতিকর পদার্থ পানিতে মেশা, কীটনাশকের ব্যবহারসহ নানা কারণে মাছের প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস হচ্ছে।
দেশের সবচেয়ে বড় মিঠাপানির জলাধার সুনামগঞ্জে ৯৫টি হাওর, ছোট-বড় ২৬টি নদী আর ১ হাজারের বেশি বিল ও জলমহাল আছে। পুরো জেলার জলাশয়ের আয়তন ৬৩ হাজার ৬৬৬ হেক্টর। এর মধ্যে শুধু হাওরের আয়তনই ৩৫ হাজার ৯৯০ হেক্টর। এত বিস্তীর্ণ জলাশয়ে এখন মাছের সংকট প্রকট।
জেলার উন্মুক্ত জলাশয়ে বছরে মাছ উৎপাদিত হয় ৮৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। আর পুকুরে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ। তবে দেশীয় প্রজাতি ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। মহাশোল, সরপুঁটি, ঘারুয়া, বাগাড়, রিঠা, চিতল, নাফতানি, বামোশ, রানী, চাকা, টাটকিনি, বাঁশপাতা, বাছা, ঢেলা, ফলি, দাড়কিনা, আইড়, পাবদা, তিতপুঁটি, কালবাউশ, নান্দিনা, খাশ খাইরা, তিলা শোল, শালবাইম, ঘাং মাগুর, নামা চান্দা, চিংড়ি, কাচকিসহ হরেক প্রজাতির মাছ বিপন্ন ও অতিবিপন্ন পর্যায়ে চলে গেছে।
সুনামগঞ্জে নিবন্ধিত মৎস্যজীবী ১ লাখ ১ হাজার ৩২৯ জন। অনিবন্ধিত আছেন আরও ২০ হাজারের বেশি। কিন্তু মাছ না থাকায় অনেক নিবন্ধিত জেলে পেশা বদল করেছেন। শাল্লা উপজেলার যাত্রাপুর হিলিফ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি হিমাদ্রী সরকার বলেন, ‘হাওরে মাছ নেই, মৎস্যজীবীদের রোজগারও নেই। অনেকে গার্মেন্টসে চাকরি করতে ঢাকায় চলে গেছে। এলাকায় যারা আছে, তারাও কষ্টে রয়েছে।’ তাঁর মতে, জলাভূমি নেতাদের ইজারা দেওয়া হলে তাতে করে মৎস্যজীবীদের কোনো লাভ হয় না। ফলে এই প্রথা বন্ধ করতে হবে।
হাওরে মাছ ধরার নৌকা এখন আগের চেয়ে অনেক কম চোখে পড়ে। পাগনার হাওরে কোনা জাল দিয়ে মাছ ধরছিলেন মুছা মিয়া (ছদ্মনাম)। তিনি বলেন, ‘চার-পাঁচজনে এই জাল টাইন্যা যে মাছ পাওয়া যায়, তাতে একজনে কোনোরকম দুই-তিন শ টাকা কইরা পড়ে। কোনো দিন এইডাও হয় না। হাওরে মাছ নাই কইলেই চলে।’
একসময় যেসব হাওর নির্দিষ্ট প্রজাতির মাছের জন্য বিখ্যাত ছিল, সেগুলোও এখন মাছশূন্য। চিতল মাছের অভয়াশ্রম হিসেবে পরিচিত হালি হাওরের সুন্দরপুর বিল থেকে চিতল উধাও। টাঙ্গুয়ার হাওরের আলংডোয়ারে একসময় ছিল চিতলের খনি। এখন আর নেই। রৌ মাছের জন্য খ্যাত রৌয়ার হাওরেও মাছ মিলছে না। টাঙ্গুয়ার হাওরের জেলে হরলাল দাস বলেন, ‘টাঙ্গুয়ার আলংডোয়ার একটা জায়গা, যেডা চিতল মাছের খনি আছিল। ওই চিতল মাছ এখন আর নাই। সব শেষ হইয়া গেছে।’
হাওরবিষয়ক গবেষক পাভেল পার্থ দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হওয়ার পাঁচটি কারণ উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘হাওরের স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ অর্থাৎ ঋতুভিত্তিক পানির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। মেঘালয় পাহাড় থেকে নেমে আসা বালুতে ডোবা-বিল, জলাভূমি ও কৃষিজমি ভরাট হচ্ছে। এতে হাওর, নদীর উচ্চতায় পার্থক্য তৈরিসহ সংযোগস্থল বিনষ্ট হচ্ছে। ফলে মাছের বিচরণস্থল হুমকিতে পড়ছে।’
পাভেল পার্থ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে হাওরের জলাভূমি অপরিকল্পিত ও দুর্নীতিগ্রস্ত উপায়ে ইজারা দেওয়ায় আগ্রাসী প্রজাতির মাছ চাষ হচ্ছে। এতে দেশীয় মাছের প্রাকৃতিক খাবারের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। বর্ষায় পাহাড়ি এলাকার কয়লা-চুনাপাথরের খনি থেকে সিলিকা-সালফার্ড জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ পানিতে মিশছে। রাসায়নিক নির্ভর কৃষি প্রচলনের ফলেও মাছের প্রজননক্ষেত্র বিনষ্ট হচ্ছে। এটি মাছ, রেণুপোনা ও ডিমে মড়ক সৃষ্টি করছে।’
হাওরে সব ধরনের ইজারা বাতিলের দাবি জানান এই গবেষক। তাঁর মতে, মাছ ধরার অধিকার শুধু জেলেদেরই থাকা আবশ্যক। জলাভূমি ও মাছ সংরক্ষণে জেলে সম্প্রদায়ের লোকায়ত জ্ঞান অর্থাৎ তাদের কৃষ্টি, আচার, রীতি, প্রথাকে জাতীয় নীতিমালায় অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি হাওর ও মৎস্য ব্যবস্থাপনায় তাদের সম্পৃক্ত করতে হবে।
মাছ সংরক্ষণে সরকারের উদ্যোগের কথা জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শামশুল করিম। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সময়মতো বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। হাওর পানিস্বল্পতায় ভুগছে। নিষিদ্ধ জাল, কীটনাশক, অপরিকল্পিত বাঁধ, পলি জমে জলাশয় ভরাট, নাব্যতাসংকট—এগুলো মাছ বিলুপ্তির কারণ। এসব কারণে মাছের নির্বিঘ্ন চলাচল ও প্রজনন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ জন্য মানুষের সচেতনতা প্রয়োজন।’

দেশীয় মাছের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত সুনামগঞ্জের বিস্তীর্ণ হাওরগুলোতে বর্ষার ভরা মৌসুমেও মাছ নেই বললেই চলে। এতে করে সংকটে পড়েছেন স্থানীয় জেলেরা। মাছ শিকারকে যাঁরা পেশা হিসেবে নিয়েছিলেন, তাঁরা এখন বাধ্য হচ্ছেন পেশা পরিবর্তনে। অনেকে বাধ্য হয়ে ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ নিচ্ছেন, কেউবা এলাকায় অন্য পেশায় যুক্ত হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের আগ্রাসী কর্মকাণ্ড এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো নানা কারণে দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ।
হাওরে একসময় দেশীয় প্রজাতির মাছ ছিল ১৪৩টি। এর বাইরে ছিল ১২ প্রজাতির বিদেশি মাছ। সুনামগঞ্জ মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বর্তমানে ৬৪ প্রজাতি হুমকির মুখে। এগুলোর মধ্যে ৯টি অতিবিপন্ন, ৩০টি বিপন্ন এবং ২৫ প্রজাতি সংকটাপন্ন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইজারা প্রথা, আগ্রাসী মাছ চাষ, রাসায়নিক নির্ভর কৃষি, পাহাড়ি এলাকার কয়লাখনি থেকে ক্ষতিকর পদার্থ পানিতে মেশা, কীটনাশকের ব্যবহারসহ নানা কারণে মাছের প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস হচ্ছে।
দেশের সবচেয়ে বড় মিঠাপানির জলাধার সুনামগঞ্জে ৯৫টি হাওর, ছোট-বড় ২৬টি নদী আর ১ হাজারের বেশি বিল ও জলমহাল আছে। পুরো জেলার জলাশয়ের আয়তন ৬৩ হাজার ৬৬৬ হেক্টর। এর মধ্যে শুধু হাওরের আয়তনই ৩৫ হাজার ৯৯০ হেক্টর। এত বিস্তীর্ণ জলাশয়ে এখন মাছের সংকট প্রকট।
জেলার উন্মুক্ত জলাশয়ে বছরে মাছ উৎপাদিত হয় ৮৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। আর পুকুরে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ। তবে দেশীয় প্রজাতি ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। মহাশোল, সরপুঁটি, ঘারুয়া, বাগাড়, রিঠা, চিতল, নাফতানি, বামোশ, রানী, চাকা, টাটকিনি, বাঁশপাতা, বাছা, ঢেলা, ফলি, দাড়কিনা, আইড়, পাবদা, তিতপুঁটি, কালবাউশ, নান্দিনা, খাশ খাইরা, তিলা শোল, শালবাইম, ঘাং মাগুর, নামা চান্দা, চিংড়ি, কাচকিসহ হরেক প্রজাতির মাছ বিপন্ন ও অতিবিপন্ন পর্যায়ে চলে গেছে।
সুনামগঞ্জে নিবন্ধিত মৎস্যজীবী ১ লাখ ১ হাজার ৩২৯ জন। অনিবন্ধিত আছেন আরও ২০ হাজারের বেশি। কিন্তু মাছ না থাকায় অনেক নিবন্ধিত জেলে পেশা বদল করেছেন। শাল্লা উপজেলার যাত্রাপুর হিলিফ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি হিমাদ্রী সরকার বলেন, ‘হাওরে মাছ নেই, মৎস্যজীবীদের রোজগারও নেই। অনেকে গার্মেন্টসে চাকরি করতে ঢাকায় চলে গেছে। এলাকায় যারা আছে, তারাও কষ্টে রয়েছে।’ তাঁর মতে, জলাভূমি নেতাদের ইজারা দেওয়া হলে তাতে করে মৎস্যজীবীদের কোনো লাভ হয় না। ফলে এই প্রথা বন্ধ করতে হবে।
হাওরে মাছ ধরার নৌকা এখন আগের চেয়ে অনেক কম চোখে পড়ে। পাগনার হাওরে কোনা জাল দিয়ে মাছ ধরছিলেন মুছা মিয়া (ছদ্মনাম)। তিনি বলেন, ‘চার-পাঁচজনে এই জাল টাইন্যা যে মাছ পাওয়া যায়, তাতে একজনে কোনোরকম দুই-তিন শ টাকা কইরা পড়ে। কোনো দিন এইডাও হয় না। হাওরে মাছ নাই কইলেই চলে।’
একসময় যেসব হাওর নির্দিষ্ট প্রজাতির মাছের জন্য বিখ্যাত ছিল, সেগুলোও এখন মাছশূন্য। চিতল মাছের অভয়াশ্রম হিসেবে পরিচিত হালি হাওরের সুন্দরপুর বিল থেকে চিতল উধাও। টাঙ্গুয়ার হাওরের আলংডোয়ারে একসময় ছিল চিতলের খনি। এখন আর নেই। রৌ মাছের জন্য খ্যাত রৌয়ার হাওরেও মাছ মিলছে না। টাঙ্গুয়ার হাওরের জেলে হরলাল দাস বলেন, ‘টাঙ্গুয়ার আলংডোয়ার একটা জায়গা, যেডা চিতল মাছের খনি আছিল। ওই চিতল মাছ এখন আর নাই। সব শেষ হইয়া গেছে।’
হাওরবিষয়ক গবেষক পাভেল পার্থ দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হওয়ার পাঁচটি কারণ উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘হাওরের স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ অর্থাৎ ঋতুভিত্তিক পানির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। মেঘালয় পাহাড় থেকে নেমে আসা বালুতে ডোবা-বিল, জলাভূমি ও কৃষিজমি ভরাট হচ্ছে। এতে হাওর, নদীর উচ্চতায় পার্থক্য তৈরিসহ সংযোগস্থল বিনষ্ট হচ্ছে। ফলে মাছের বিচরণস্থল হুমকিতে পড়ছে।’
পাভেল পার্থ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে হাওরের জলাভূমি অপরিকল্পিত ও দুর্নীতিগ্রস্ত উপায়ে ইজারা দেওয়ায় আগ্রাসী প্রজাতির মাছ চাষ হচ্ছে। এতে দেশীয় মাছের প্রাকৃতিক খাবারের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। বর্ষায় পাহাড়ি এলাকার কয়লা-চুনাপাথরের খনি থেকে সিলিকা-সালফার্ড জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ পানিতে মিশছে। রাসায়নিক নির্ভর কৃষি প্রচলনের ফলেও মাছের প্রজননক্ষেত্র বিনষ্ট হচ্ছে। এটি মাছ, রেণুপোনা ও ডিমে মড়ক সৃষ্টি করছে।’
হাওরে সব ধরনের ইজারা বাতিলের দাবি জানান এই গবেষক। তাঁর মতে, মাছ ধরার অধিকার শুধু জেলেদেরই থাকা আবশ্যক। জলাভূমি ও মাছ সংরক্ষণে জেলে সম্প্রদায়ের লোকায়ত জ্ঞান অর্থাৎ তাদের কৃষ্টি, আচার, রীতি, প্রথাকে জাতীয় নীতিমালায় অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি হাওর ও মৎস্য ব্যবস্থাপনায় তাদের সম্পৃক্ত করতে হবে।
মাছ সংরক্ষণে সরকারের উদ্যোগের কথা জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শামশুল করিম। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সময়মতো বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। হাওর পানিস্বল্পতায় ভুগছে। নিষিদ্ধ জাল, কীটনাশক, অপরিকল্পিত বাঁধ, পলি জমে জলাশয় ভরাট, নাব্যতাসংকট—এগুলো মাছ বিলুপ্তির কারণ। এসব কারণে মাছের নির্বিঘ্ন চলাচল ও প্রজনন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ জন্য মানুষের সচেতনতা প্রয়োজন।’
সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা

দেশীয় মাছের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত সুনামগঞ্জের বিস্তীর্ণ হাওরগুলোতে বর্ষার ভরা মৌসুমেও মাছ নেই বললেই চলে। এতে করে সংকটে পড়েছেন স্থানীয় জেলেরা। মাছ শিকারকে যাঁরা পেশা হিসেবে নিয়েছিলেন, তাঁরা এখন বাধ্য হচ্ছেন পেশা পরিবর্তনে। অনেকে বাধ্য হয়ে ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ নিচ্ছেন, কেউবা এলাকায় অন্য পেশায় যুক্ত হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের আগ্রাসী কর্মকাণ্ড এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো নানা কারণে দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ।
হাওরে একসময় দেশীয় প্রজাতির মাছ ছিল ১৪৩টি। এর বাইরে ছিল ১২ প্রজাতির বিদেশি মাছ। সুনামগঞ্জ মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বর্তমানে ৬৪ প্রজাতি হুমকির মুখে। এগুলোর মধ্যে ৯টি অতিবিপন্ন, ৩০টি বিপন্ন এবং ২৫ প্রজাতি সংকটাপন্ন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইজারা প্রথা, আগ্রাসী মাছ চাষ, রাসায়নিক নির্ভর কৃষি, পাহাড়ি এলাকার কয়লাখনি থেকে ক্ষতিকর পদার্থ পানিতে মেশা, কীটনাশকের ব্যবহারসহ নানা কারণে মাছের প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস হচ্ছে।
দেশের সবচেয়ে বড় মিঠাপানির জলাধার সুনামগঞ্জে ৯৫টি হাওর, ছোট-বড় ২৬টি নদী আর ১ হাজারের বেশি বিল ও জলমহাল আছে। পুরো জেলার জলাশয়ের আয়তন ৬৩ হাজার ৬৬৬ হেক্টর। এর মধ্যে শুধু হাওরের আয়তনই ৩৫ হাজার ৯৯০ হেক্টর। এত বিস্তীর্ণ জলাশয়ে এখন মাছের সংকট প্রকট।
জেলার উন্মুক্ত জলাশয়ে বছরে মাছ উৎপাদিত হয় ৮৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। আর পুকুরে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ। তবে দেশীয় প্রজাতি ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। মহাশোল, সরপুঁটি, ঘারুয়া, বাগাড়, রিঠা, চিতল, নাফতানি, বামোশ, রানী, চাকা, টাটকিনি, বাঁশপাতা, বাছা, ঢেলা, ফলি, দাড়কিনা, আইড়, পাবদা, তিতপুঁটি, কালবাউশ, নান্দিনা, খাশ খাইরা, তিলা শোল, শালবাইম, ঘাং মাগুর, নামা চান্দা, চিংড়ি, কাচকিসহ হরেক প্রজাতির মাছ বিপন্ন ও অতিবিপন্ন পর্যায়ে চলে গেছে।
সুনামগঞ্জে নিবন্ধিত মৎস্যজীবী ১ লাখ ১ হাজার ৩২৯ জন। অনিবন্ধিত আছেন আরও ২০ হাজারের বেশি। কিন্তু মাছ না থাকায় অনেক নিবন্ধিত জেলে পেশা বদল করেছেন। শাল্লা উপজেলার যাত্রাপুর হিলিফ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি হিমাদ্রী সরকার বলেন, ‘হাওরে মাছ নেই, মৎস্যজীবীদের রোজগারও নেই। অনেকে গার্মেন্টসে চাকরি করতে ঢাকায় চলে গেছে। এলাকায় যারা আছে, তারাও কষ্টে রয়েছে।’ তাঁর মতে, জলাভূমি নেতাদের ইজারা দেওয়া হলে তাতে করে মৎস্যজীবীদের কোনো লাভ হয় না। ফলে এই প্রথা বন্ধ করতে হবে।
হাওরে মাছ ধরার নৌকা এখন আগের চেয়ে অনেক কম চোখে পড়ে। পাগনার হাওরে কোনা জাল দিয়ে মাছ ধরছিলেন মুছা মিয়া (ছদ্মনাম)। তিনি বলেন, ‘চার-পাঁচজনে এই জাল টাইন্যা যে মাছ পাওয়া যায়, তাতে একজনে কোনোরকম দুই-তিন শ টাকা কইরা পড়ে। কোনো দিন এইডাও হয় না। হাওরে মাছ নাই কইলেই চলে।’
একসময় যেসব হাওর নির্দিষ্ট প্রজাতির মাছের জন্য বিখ্যাত ছিল, সেগুলোও এখন মাছশূন্য। চিতল মাছের অভয়াশ্রম হিসেবে পরিচিত হালি হাওরের সুন্দরপুর বিল থেকে চিতল উধাও। টাঙ্গুয়ার হাওরের আলংডোয়ারে একসময় ছিল চিতলের খনি। এখন আর নেই। রৌ মাছের জন্য খ্যাত রৌয়ার হাওরেও মাছ মিলছে না। টাঙ্গুয়ার হাওরের জেলে হরলাল দাস বলেন, ‘টাঙ্গুয়ার আলংডোয়ার একটা জায়গা, যেডা চিতল মাছের খনি আছিল। ওই চিতল মাছ এখন আর নাই। সব শেষ হইয়া গেছে।’
হাওরবিষয়ক গবেষক পাভেল পার্থ দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হওয়ার পাঁচটি কারণ উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘হাওরের স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ অর্থাৎ ঋতুভিত্তিক পানির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। মেঘালয় পাহাড় থেকে নেমে আসা বালুতে ডোবা-বিল, জলাভূমি ও কৃষিজমি ভরাট হচ্ছে। এতে হাওর, নদীর উচ্চতায় পার্থক্য তৈরিসহ সংযোগস্থল বিনষ্ট হচ্ছে। ফলে মাছের বিচরণস্থল হুমকিতে পড়ছে।’
পাভেল পার্থ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে হাওরের জলাভূমি অপরিকল্পিত ও দুর্নীতিগ্রস্ত উপায়ে ইজারা দেওয়ায় আগ্রাসী প্রজাতির মাছ চাষ হচ্ছে। এতে দেশীয় মাছের প্রাকৃতিক খাবারের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। বর্ষায় পাহাড়ি এলাকার কয়লা-চুনাপাথরের খনি থেকে সিলিকা-সালফার্ড জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ পানিতে মিশছে। রাসায়নিক নির্ভর কৃষি প্রচলনের ফলেও মাছের প্রজননক্ষেত্র বিনষ্ট হচ্ছে। এটি মাছ, রেণুপোনা ও ডিমে মড়ক সৃষ্টি করছে।’
হাওরে সব ধরনের ইজারা বাতিলের দাবি জানান এই গবেষক। তাঁর মতে, মাছ ধরার অধিকার শুধু জেলেদেরই থাকা আবশ্যক। জলাভূমি ও মাছ সংরক্ষণে জেলে সম্প্রদায়ের লোকায়ত জ্ঞান অর্থাৎ তাদের কৃষ্টি, আচার, রীতি, প্রথাকে জাতীয় নীতিমালায় অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি হাওর ও মৎস্য ব্যবস্থাপনায় তাদের সম্পৃক্ত করতে হবে।
মাছ সংরক্ষণে সরকারের উদ্যোগের কথা জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শামশুল করিম। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সময়মতো বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। হাওর পানিস্বল্পতায় ভুগছে। নিষিদ্ধ জাল, কীটনাশক, অপরিকল্পিত বাঁধ, পলি জমে জলাশয় ভরাট, নাব্যতাসংকট—এগুলো মাছ বিলুপ্তির কারণ। এসব কারণে মাছের নির্বিঘ্ন চলাচল ও প্রজনন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ জন্য মানুষের সচেতনতা প্রয়োজন।’

দেশীয় মাছের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত সুনামগঞ্জের বিস্তীর্ণ হাওরগুলোতে বর্ষার ভরা মৌসুমেও মাছ নেই বললেই চলে। এতে করে সংকটে পড়েছেন স্থানীয় জেলেরা। মাছ শিকারকে যাঁরা পেশা হিসেবে নিয়েছিলেন, তাঁরা এখন বাধ্য হচ্ছেন পেশা পরিবর্তনে। অনেকে বাধ্য হয়ে ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ নিচ্ছেন, কেউবা এলাকায় অন্য পেশায় যুক্ত হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের আগ্রাসী কর্মকাণ্ড এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো নানা কারণে দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ।
হাওরে একসময় দেশীয় প্রজাতির মাছ ছিল ১৪৩টি। এর বাইরে ছিল ১২ প্রজাতির বিদেশি মাছ। সুনামগঞ্জ মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বর্তমানে ৬৪ প্রজাতি হুমকির মুখে। এগুলোর মধ্যে ৯টি অতিবিপন্ন, ৩০টি বিপন্ন এবং ২৫ প্রজাতি সংকটাপন্ন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইজারা প্রথা, আগ্রাসী মাছ চাষ, রাসায়নিক নির্ভর কৃষি, পাহাড়ি এলাকার কয়লাখনি থেকে ক্ষতিকর পদার্থ পানিতে মেশা, কীটনাশকের ব্যবহারসহ নানা কারণে মাছের প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস হচ্ছে।
দেশের সবচেয়ে বড় মিঠাপানির জলাধার সুনামগঞ্জে ৯৫টি হাওর, ছোট-বড় ২৬টি নদী আর ১ হাজারের বেশি বিল ও জলমহাল আছে। পুরো জেলার জলাশয়ের আয়তন ৬৩ হাজার ৬৬৬ হেক্টর। এর মধ্যে শুধু হাওরের আয়তনই ৩৫ হাজার ৯৯০ হেক্টর। এত বিস্তীর্ণ জলাশয়ে এখন মাছের সংকট প্রকট।
জেলার উন্মুক্ত জলাশয়ে বছরে মাছ উৎপাদিত হয় ৮৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। আর পুকুরে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ। তবে দেশীয় প্রজাতি ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। মহাশোল, সরপুঁটি, ঘারুয়া, বাগাড়, রিঠা, চিতল, নাফতানি, বামোশ, রানী, চাকা, টাটকিনি, বাঁশপাতা, বাছা, ঢেলা, ফলি, দাড়কিনা, আইড়, পাবদা, তিতপুঁটি, কালবাউশ, নান্দিনা, খাশ খাইরা, তিলা শোল, শালবাইম, ঘাং মাগুর, নামা চান্দা, চিংড়ি, কাচকিসহ হরেক প্রজাতির মাছ বিপন্ন ও অতিবিপন্ন পর্যায়ে চলে গেছে।
সুনামগঞ্জে নিবন্ধিত মৎস্যজীবী ১ লাখ ১ হাজার ৩২৯ জন। অনিবন্ধিত আছেন আরও ২০ হাজারের বেশি। কিন্তু মাছ না থাকায় অনেক নিবন্ধিত জেলে পেশা বদল করেছেন। শাল্লা উপজেলার যাত্রাপুর হিলিফ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি হিমাদ্রী সরকার বলেন, ‘হাওরে মাছ নেই, মৎস্যজীবীদের রোজগারও নেই। অনেকে গার্মেন্টসে চাকরি করতে ঢাকায় চলে গেছে। এলাকায় যারা আছে, তারাও কষ্টে রয়েছে।’ তাঁর মতে, জলাভূমি নেতাদের ইজারা দেওয়া হলে তাতে করে মৎস্যজীবীদের কোনো লাভ হয় না। ফলে এই প্রথা বন্ধ করতে হবে।
হাওরে মাছ ধরার নৌকা এখন আগের চেয়ে অনেক কম চোখে পড়ে। পাগনার হাওরে কোনা জাল দিয়ে মাছ ধরছিলেন মুছা মিয়া (ছদ্মনাম)। তিনি বলেন, ‘চার-পাঁচজনে এই জাল টাইন্যা যে মাছ পাওয়া যায়, তাতে একজনে কোনোরকম দুই-তিন শ টাকা কইরা পড়ে। কোনো দিন এইডাও হয় না। হাওরে মাছ নাই কইলেই চলে।’
একসময় যেসব হাওর নির্দিষ্ট প্রজাতির মাছের জন্য বিখ্যাত ছিল, সেগুলোও এখন মাছশূন্য। চিতল মাছের অভয়াশ্রম হিসেবে পরিচিত হালি হাওরের সুন্দরপুর বিল থেকে চিতল উধাও। টাঙ্গুয়ার হাওরের আলংডোয়ারে একসময় ছিল চিতলের খনি। এখন আর নেই। রৌ মাছের জন্য খ্যাত রৌয়ার হাওরেও মাছ মিলছে না। টাঙ্গুয়ার হাওরের জেলে হরলাল দাস বলেন, ‘টাঙ্গুয়ার আলংডোয়ার একটা জায়গা, যেডা চিতল মাছের খনি আছিল। ওই চিতল মাছ এখন আর নাই। সব শেষ হইয়া গেছে।’
হাওরবিষয়ক গবেষক পাভেল পার্থ দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হওয়ার পাঁচটি কারণ উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘হাওরের স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ অর্থাৎ ঋতুভিত্তিক পানির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। মেঘালয় পাহাড় থেকে নেমে আসা বালুতে ডোবা-বিল, জলাভূমি ও কৃষিজমি ভরাট হচ্ছে। এতে হাওর, নদীর উচ্চতায় পার্থক্য তৈরিসহ সংযোগস্থল বিনষ্ট হচ্ছে। ফলে মাছের বিচরণস্থল হুমকিতে পড়ছে।’
পাভেল পার্থ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে হাওরের জলাভূমি অপরিকল্পিত ও দুর্নীতিগ্রস্ত উপায়ে ইজারা দেওয়ায় আগ্রাসী প্রজাতির মাছ চাষ হচ্ছে। এতে দেশীয় মাছের প্রাকৃতিক খাবারের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। বর্ষায় পাহাড়ি এলাকার কয়লা-চুনাপাথরের খনি থেকে সিলিকা-সালফার্ড জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ পানিতে মিশছে। রাসায়নিক নির্ভর কৃষি প্রচলনের ফলেও মাছের প্রজননক্ষেত্র বিনষ্ট হচ্ছে। এটি মাছ, রেণুপোনা ও ডিমে মড়ক সৃষ্টি করছে।’
হাওরে সব ধরনের ইজারা বাতিলের দাবি জানান এই গবেষক। তাঁর মতে, মাছ ধরার অধিকার শুধু জেলেদেরই থাকা আবশ্যক। জলাভূমি ও মাছ সংরক্ষণে জেলে সম্প্রদায়ের লোকায়ত জ্ঞান অর্থাৎ তাদের কৃষ্টি, আচার, রীতি, প্রথাকে জাতীয় নীতিমালায় অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি হাওর ও মৎস্য ব্যবস্থাপনায় তাদের সম্পৃক্ত করতে হবে।
মাছ সংরক্ষণে সরকারের উদ্যোগের কথা জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শামশুল করিম। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সময়মতো বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। হাওর পানিস্বল্পতায় ভুগছে। নিষিদ্ধ জাল, কীটনাশক, অপরিকল্পিত বাঁধ, পলি জমে জলাশয় ভরাট, নাব্যতাসংকট—এগুলো মাছ বিলুপ্তির কারণ। এসব কারণে মাছের নির্বিঘ্ন চলাচল ও প্রজনন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ জন্য মানুষের সচেতনতা প্রয়োজন।’

বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন।
৩৩ মিনিট আগে
সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে
খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেকক্সবাজার প্রতিনিধি

বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন। বরাবরের মতোই অবকাশযাপনে ভ্রমণপিপাসুরা এবারও দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজারে ছুটে এসেছেন।
পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, শনিবার পর্যন্ত অন্তত ৫ লাখ পর্যটক কক্সবাজারে ভ্রমণ করবেন। তবে শনিবারেই চাপ কমবে না। পর্যটকের এই ঢল আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবে। এর মধ্যে ৩১ ডিসেম্বর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পর্যটকেরা ভিড় করবেন।
হোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসের মালিকেরা বলছেন, বুধবার বিকেল থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। ইতিমধ্যে হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগামী শনিবার পর্যন্ত শহরের তারকা মানের হোটেলগুলোয় শতভাগ কক্ষ বুকিং রয়েছে। মাঝারি মানের হোটেল ও রিসোর্টগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
সাগরপারের তারকা মানের হোটেল কক্স টুডেতে কক্ষ আছে ২৪৫টি। তাদের প্রায় সব কক্ষ শনিবার পর্যন্ত বুকিং আছে। হোটেলটির মহাব্যবস্থাপক (রিজার্ভেশন) আবু তালেব শাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিন দিনের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন।
কক্সবাজার শহর, মেরিন ড্রাইভ, সেন্ট মার্টিন ও আশপাশের এলাকার ৬০০ হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউসে প্রায় দুই লাখ পর্যটকের রাতযাপনের সুযোগ আছে। হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, বছরের শেষ সময়ে আশানুরূপ পর্যটকের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বিপুল পর্যটক সমাগমে যেন কেউ থাকা-খাওয়ায় বাড়তি অর্থ আদায় না করে তার জন্য পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সমুদ্রসৈকতের কলাতলী, লাবণী ও সুগন্ধা পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, পর্যটকের আনাগোনায় তিন কিলোমিটার সৈকত মুখর। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। শান্ত সৈকতে কেউ গোসলে নেমেছেন, কেউ জেটস্কি করে দূর সাগরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ আবার চেয়ার-ছাতায় বসে প্রিয়জনদের সঙ্গে সমুদ্র দর্শনে সময় কাটাচ্ছেন। গোসলে নামা বিপুল পর্যটকদের নানাভাবে সতর্ক করছেন লাইফগার্ড ও বিচকর্মীরা। এ দিন সকাল থেকেই পর্যটকের বাড়তি চাপে কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে কলাতলী সড়ক, মেরিন ড্রাইভ ও শহরের প্রধান সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
পর্যটকেরা শহরের এই তিন পয়েন্টের পাশাপাশি মেরিন ড্রাইভ ধরে দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক, টেকনাফ সৈকতে ভিড় করছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের বিচকর্মীদের সহকারী সুপারভাইজার বেলাল হোসেন।
কুমিল্লার হোমনা থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন সরকারি কর্মকর্তা আবিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এর মধ্যে বড়দিনের সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে। ফলে বাচ্চাদের নিয়ে তিন দিনের জন্য ঘুরতে বেরিয়ে পড়লাম।’ তাঁর মতো পরিবার নিয়ে অনেকেই বেড়ানোর জন্য বের হয়েছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছুটিতে পর্যটকদের চাপ বাড়বে—বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক টহলে রয়েছেন। কোথাও পর্যটক হয়রানির খবর পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন। বরাবরের মতোই অবকাশযাপনে ভ্রমণপিপাসুরা এবারও দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজারে ছুটে এসেছেন।
পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, শনিবার পর্যন্ত অন্তত ৫ লাখ পর্যটক কক্সবাজারে ভ্রমণ করবেন। তবে শনিবারেই চাপ কমবে না। পর্যটকের এই ঢল আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবে। এর মধ্যে ৩১ ডিসেম্বর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পর্যটকেরা ভিড় করবেন।
হোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসের মালিকেরা বলছেন, বুধবার বিকেল থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। ইতিমধ্যে হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগামী শনিবার পর্যন্ত শহরের তারকা মানের হোটেলগুলোয় শতভাগ কক্ষ বুকিং রয়েছে। মাঝারি মানের হোটেল ও রিসোর্টগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
সাগরপারের তারকা মানের হোটেল কক্স টুডেতে কক্ষ আছে ২৪৫টি। তাদের প্রায় সব কক্ষ শনিবার পর্যন্ত বুকিং আছে। হোটেলটির মহাব্যবস্থাপক (রিজার্ভেশন) আবু তালেব শাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিন দিনের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন।
কক্সবাজার শহর, মেরিন ড্রাইভ, সেন্ট মার্টিন ও আশপাশের এলাকার ৬০০ হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউসে প্রায় দুই লাখ পর্যটকের রাতযাপনের সুযোগ আছে। হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, বছরের শেষ সময়ে আশানুরূপ পর্যটকের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বিপুল পর্যটক সমাগমে যেন কেউ থাকা-খাওয়ায় বাড়তি অর্থ আদায় না করে তার জন্য পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সমুদ্রসৈকতের কলাতলী, লাবণী ও সুগন্ধা পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, পর্যটকের আনাগোনায় তিন কিলোমিটার সৈকত মুখর। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। শান্ত সৈকতে কেউ গোসলে নেমেছেন, কেউ জেটস্কি করে দূর সাগরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ আবার চেয়ার-ছাতায় বসে প্রিয়জনদের সঙ্গে সমুদ্র দর্শনে সময় কাটাচ্ছেন। গোসলে নামা বিপুল পর্যটকদের নানাভাবে সতর্ক করছেন লাইফগার্ড ও বিচকর্মীরা। এ দিন সকাল থেকেই পর্যটকের বাড়তি চাপে কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে কলাতলী সড়ক, মেরিন ড্রাইভ ও শহরের প্রধান সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
পর্যটকেরা শহরের এই তিন পয়েন্টের পাশাপাশি মেরিন ড্রাইভ ধরে দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক, টেকনাফ সৈকতে ভিড় করছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের বিচকর্মীদের সহকারী সুপারভাইজার বেলাল হোসেন।
কুমিল্লার হোমনা থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন সরকারি কর্মকর্তা আবিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এর মধ্যে বড়দিনের সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে। ফলে বাচ্চাদের নিয়ে তিন দিনের জন্য ঘুরতে বেরিয়ে পড়লাম।’ তাঁর মতো পরিবার নিয়ে অনেকেই বেড়ানোর জন্য বের হয়েছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছুটিতে পর্যটকদের চাপ বাড়বে—বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক টহলে রয়েছেন। কোথাও পর্যটক হয়রানির খবর পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

দেশীয় মাছের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত সুনামগঞ্জের বিস্তীর্ণ হাওরগুলোতে বর্ষার ভরা মৌসুমেও মাছ নেই বললেই চলে। এতে করে সংকটে পড়েছেন স্থানীয় জেলেরা। মাছ শিকারকে যাঁরা পেশা হিসেবে নিয়েছিলেন, তাঁরা এখন বাধ্য হচ্ছেন পেশা পরিবর্তনে।
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে
খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেসিলেট প্রতিনিধি

সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেলে সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন কানিশাইল ১ নম্বর রোডের মারুফ টি স্টল নামক দোকানে অভিযান পরিচালনা করে তির শিলং-জাতীয় জুয়া খেলা অবস্থায় তাঁদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন কানিশাইলের সজীব মিয়ার কলোনির রমিজ আলীর ছেলে তাহের মিয়া (৩০), উসমান মিয়ার ছেলে শামীম (২০), ইমন মিয়ার কলোনির মো. আব্দুল করিম তালুকদারের ছেলে মো. স্বপন মিয়া (৫৫), রঙ্গ মিয়ার ছেলে জসিম (৪৫), জামাল উদ্দিনের ছেলে আল আমিন (২৭), আব্দুর রশিদের ছেলে মো. বাদল (৩৮) এবং আবুল কালামের ছেলে সুজাত মিয়া (৩৫)।
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেলে সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন কানিশাইল ১ নম্বর রোডের মারুফ টি স্টল নামক দোকানে অভিযান পরিচালনা করে তির শিলং-জাতীয় জুয়া খেলা অবস্থায় তাঁদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন কানিশাইলের সজীব মিয়ার কলোনির রমিজ আলীর ছেলে তাহের মিয়া (৩০), উসমান মিয়ার ছেলে শামীম (২০), ইমন মিয়ার কলোনির মো. আব্দুল করিম তালুকদারের ছেলে মো. স্বপন মিয়া (৫৫), রঙ্গ মিয়ার ছেলে জসিম (৪৫), জামাল উদ্দিনের ছেলে আল আমিন (২৭), আব্দুর রশিদের ছেলে মো. বাদল (৩৮) এবং আবুল কালামের ছেলে সুজাত মিয়া (৩৫)।
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

দেশীয় মাছের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত সুনামগঞ্জের বিস্তীর্ণ হাওরগুলোতে বর্ষার ভরা মৌসুমেও মাছ নেই বললেই চলে। এতে করে সংকটে পড়েছেন স্থানীয় জেলেরা। মাছ শিকারকে যাঁরা পেশা হিসেবে নিয়েছিলেন, তাঁরা এখন বাধ্য হচ্ছেন পেশা পরিবর্তনে।
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন।
৩৩ মিনিট আগে
খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার রিয়াদ শিউলী বেগমের একমাত্র ছেলে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ২ লাখ ৫ হাজার ৮০ টাকা, দুটি আইফোন, একটি স্মার্টফোন ও একটি এয়ারপড জব্দ করা হয়।
র্যাবের পাঠানো বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে, নিহত শিউলি বেগম সৌদি আরবপ্রবাসী ছিলেন। গত ২৭ অক্টোবর দুই মাসের ছুটিতে বাংলাদেশে আসেন। পরে নগরীর ট্যাংক রোডের বাসিন্দা রবিউল ইসলামের বাড়ির নিচতলায় ছেলে রিয়াদ খান এবং দ্বিতীয় স্বামী সাগরকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
দেশে আসার ১০-১২ দিন পরে উত্তরা ব্যাংক খুলনা শাখা থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে আলমারিতে রেখে দেন।
৯ ডিসেম্বর রাতে শিউলী বেগমের বড় মেয়ে রুবিনা আক্তার এবং তাঁর স্বামী রাজিব রাতের খাবার খেয়ে বাড়িতে চলে যান। ১০ ডিসেম্বর সকাল থেকে শিউলী বেগমকে ফোনে না পেয়ে রুবিনা আক্তারকে খোঁজ নিতে বলেন তাঁর স্বামী।
কিন্তু খোঁজ নিয়ে তাঁর সন্ধান না পেয়ে ওই দিন রাতে স্থানীয়দের সহায়তায় তালা ভেঙে ঘর থেকে শিউলী বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরে তাঁর ঘর থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা উধাও হয়ে যায়। শিউলী বেগম হত্যার পর থেকে একমাত্র ছেলে রিয়াদ খানেরও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই রায়হান গাজী বাদী হয়ে শিউলী বেগমের ছেলে রিয়াদ খানকে আসামি করে মামলা করেন। উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব খুলনা-৬ ও ৭-এর একটি দল তাঁকে ফেনী সদর থেকে গ্রেপ্তার করে।

খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার রিয়াদ শিউলী বেগমের একমাত্র ছেলে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ২ লাখ ৫ হাজার ৮০ টাকা, দুটি আইফোন, একটি স্মার্টফোন ও একটি এয়ারপড জব্দ করা হয়।
র্যাবের পাঠানো বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে, নিহত শিউলি বেগম সৌদি আরবপ্রবাসী ছিলেন। গত ২৭ অক্টোবর দুই মাসের ছুটিতে বাংলাদেশে আসেন। পরে নগরীর ট্যাংক রোডের বাসিন্দা রবিউল ইসলামের বাড়ির নিচতলায় ছেলে রিয়াদ খান এবং দ্বিতীয় স্বামী সাগরকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
দেশে আসার ১০-১২ দিন পরে উত্তরা ব্যাংক খুলনা শাখা থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে আলমারিতে রেখে দেন।
৯ ডিসেম্বর রাতে শিউলী বেগমের বড় মেয়ে রুবিনা আক্তার এবং তাঁর স্বামী রাজিব রাতের খাবার খেয়ে বাড়িতে চলে যান। ১০ ডিসেম্বর সকাল থেকে শিউলী বেগমকে ফোনে না পেয়ে রুবিনা আক্তারকে খোঁজ নিতে বলেন তাঁর স্বামী।
কিন্তু খোঁজ নিয়ে তাঁর সন্ধান না পেয়ে ওই দিন রাতে স্থানীয়দের সহায়তায় তালা ভেঙে ঘর থেকে শিউলী বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরে তাঁর ঘর থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা উধাও হয়ে যায়। শিউলী বেগম হত্যার পর থেকে একমাত্র ছেলে রিয়াদ খানেরও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই রায়হান গাজী বাদী হয়ে শিউলী বেগমের ছেলে রিয়াদ খানকে আসামি করে মামলা করেন। উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব খুলনা-৬ ও ৭-এর একটি দল তাঁকে ফেনী সদর থেকে গ্রেপ্তার করে।

দেশীয় মাছের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত সুনামগঞ্জের বিস্তীর্ণ হাওরগুলোতে বর্ষার ভরা মৌসুমেও মাছ নেই বললেই চলে। এতে করে সংকটে পড়েছেন স্থানীয় জেলেরা। মাছ শিকারকে যাঁরা পেশা হিসেবে নিয়েছিলেন, তাঁরা এখন বাধ্য হচ্ছেন পেশা পরিবর্তনে।
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন।
৩৩ মিনিট আগে
সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
২৩ ডিসেম্বর রাতে শিবপুর উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের পুবেরগাঁও গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য কাশেম খানের খামারে বাছুরটির জন্ম।
খামারমালিক কাশেম খান বলেন, বাছুরটি জন্মের পর থেকেই অসুস্থ। স্বাভাবিকভাবে দুধ পান করতে না পারায় ফিডারের মাধ্যমে দুধ খাওয়াতে হচ্ছে।
তিনি জানান, তাঁর খামারের একটি গাভি বাছুরটির জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, এর আগেও গাভিটির বাছুর হয়েছে। কিন্তু এবারের মতো এমন অদ্ভুদ বাছুর আগে কখনো হয়নি।
ঘটনাটি জানাজানির পর থেকেই বাছুরটিকে একনজর দেখতে আশপাশের কৌতূহলী মানুষ খামারে আসছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে গরু-ছাগল দেখছি। কিন্তু তিন চোখ আর দুই মুখের বাছুর এই প্রথম দেখলাম। খবর পেয়ে দূর থেকে এসেছি।’
আরেক স্থানীয় নারী জরিনা বেগম বলেন, ‘বাছুরটা দেখতে অদ্ভুত লাগলেও মায়া হচ্ছে। বাছুরটির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। অনেকেই দ্রুত প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন।’
এর আগে এ ধরনের বাছুর জন্মের বিষয়ে প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাধারণত জেনেটিকস ডিফেক্টের কারণে গাভির এমন ত্রুটিপূর্ণ বাচ্চার জন্ম হয়।

নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
২৩ ডিসেম্বর রাতে শিবপুর উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের পুবেরগাঁও গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য কাশেম খানের খামারে বাছুরটির জন্ম।
খামারমালিক কাশেম খান বলেন, বাছুরটি জন্মের পর থেকেই অসুস্থ। স্বাভাবিকভাবে দুধ পান করতে না পারায় ফিডারের মাধ্যমে দুধ খাওয়াতে হচ্ছে।
তিনি জানান, তাঁর খামারের একটি গাভি বাছুরটির জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, এর আগেও গাভিটির বাছুর হয়েছে। কিন্তু এবারের মতো এমন অদ্ভুদ বাছুর আগে কখনো হয়নি।
ঘটনাটি জানাজানির পর থেকেই বাছুরটিকে একনজর দেখতে আশপাশের কৌতূহলী মানুষ খামারে আসছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে গরু-ছাগল দেখছি। কিন্তু তিন চোখ আর দুই মুখের বাছুর এই প্রথম দেখলাম। খবর পেয়ে দূর থেকে এসেছি।’
আরেক স্থানীয় নারী জরিনা বেগম বলেন, ‘বাছুরটা দেখতে অদ্ভুত লাগলেও মায়া হচ্ছে। বাছুরটির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। অনেকেই দ্রুত প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন।’
এর আগে এ ধরনের বাছুর জন্মের বিষয়ে প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাধারণত জেনেটিকস ডিফেক্টের কারণে গাভির এমন ত্রুটিপূর্ণ বাচ্চার জন্ম হয়।

দেশীয় মাছের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত সুনামগঞ্জের বিস্তীর্ণ হাওরগুলোতে বর্ষার ভরা মৌসুমেও মাছ নেই বললেই চলে। এতে করে সংকটে পড়েছেন স্থানীয় জেলেরা। মাছ শিকারকে যাঁরা পেশা হিসেবে নিয়েছিলেন, তাঁরা এখন বাধ্য হচ্ছেন পেশা পরিবর্তনে।
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন।
৩৩ মিনিট আগে
সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে
খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে