Ajker Patrika

দেশীয় মাছ হারাচ্ছে হাওর, জীবিকার সংকটে সুনামগঞ্জের জেলেরা

  • হুমকির মুখে ৬৪ প্রজাতির মাছ
  • জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি ইজারা প্রথাকে দুষছেন জেলেরা
  • মাছ সংরক্ষণে সমন্বিত নীতিমালার তাগিদ
সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭: ৩৬
সুনামগঞ্জের পাগনার হাওরে মাছ ধরতে পাতা জাল টেনে তুলছেন জেলেরা। ছবিটি গত শনিবার দুপুরে তোলা। ছবি:  আজকের পত্রিকা
সুনামগঞ্জের পাগনার হাওরে মাছ ধরতে পাতা জাল টেনে তুলছেন জেলেরা। ছবিটি গত শনিবার দুপুরে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশীয় মাছের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত সুনামগঞ্জের বিস্তীর্ণ হাওরগুলোতে বর্ষার ভরা মৌসুমেও মাছ নেই বললেই চলে। এতে করে সংকটে পড়েছেন স্থানীয় জেলেরা। মাছ শিকারকে যাঁরা পেশা হিসেবে নিয়েছিলেন, তাঁরা এখন বাধ্য হচ্ছেন পেশা পরিবর্তনে। অনেকে বাধ্য হয়ে ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ নিচ্ছেন, কেউবা এলাকায় অন্য পেশায় যুক্ত হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের আগ্রাসী কর্মকাণ্ড এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো নানা কারণে দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ।

হাওরে একসময় দেশীয় প্রজাতির মাছ ছিল ১৪৩টি। এর বাইরে ছিল ১২ প্রজাতির বিদেশি মাছ। সুনামগঞ্জ মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বর্তমানে ৬৪ প্রজাতি হুমকির মুখে। এগুলোর মধ্যে ৯টি অতিবিপন্ন, ৩০টি বিপন্ন এবং ২৫ প্রজাতি সংকটাপন্ন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইজারা প্রথা, আগ্রাসী মাছ চাষ, রাসায়নিক নির্ভর কৃষি, পাহাড়ি এলাকার কয়লাখনি থেকে ক্ষতিকর পদার্থ পানিতে মেশা, কীটনাশকের ব্যবহারসহ নানা কারণে মাছের প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস হচ্ছে।

দেশের সবচেয়ে বড় মিঠাপানির জলাধার সুনামগঞ্জে ৯৫টি হাওর, ছোট-বড় ২৬টি নদী আর ১ হাজারের বেশি বিল ও জলমহাল আছে। পুরো জেলার জলাশয়ের আয়তন ৬৩ হাজার ৬৬৬ হেক্টর। এর মধ্যে শুধু হাওরের আয়তনই ৩৫ হাজার ৯৯০ হেক্টর। এত বিস্তীর্ণ জলাশয়ে এখন মাছের সংকট প্রকট।

জেলার উন্মুক্ত জলাশয়ে বছরে মাছ উৎপাদিত হয় ৮৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। আর পুকুরে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ। তবে দেশীয় প্রজাতি ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। মহাশোল, সরপুঁটি, ঘারুয়া, বাগাড়, রিঠা, চিতল, নাফতানি, বামোশ, রানী, চাকা, টাটকিনি, বাঁশপাতা, বাছা, ঢেলা, ফলি, দাড়কিনা, আইড়, পাবদা, তিতপুঁটি, কালবাউশ, নান্দিনা, খাশ খাইরা, তিলা শোল, শালবাইম, ঘাং মাগুর, নামা চান্দা, চিংড়ি, কাচকিসহ হরেক প্রজাতির মাছ বিপন্ন ও অতিবিপন্ন পর্যায়ে চলে গেছে।

সুনামগঞ্জে নিবন্ধিত মৎস্যজীবী ১ লাখ ১ হাজার ৩২৯ জন। অনিবন্ধিত আছেন আরও ২০ হাজারের বেশি। কিন্তু মাছ না থাকায় অনেক নিবন্ধিত জেলে পেশা বদল করেছেন। শাল্লা উপজেলার যাত্রাপুর হিলিফ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি হিমাদ্রী সরকার বলেন, ‘হাওরে মাছ নেই, মৎস্যজীবীদের রোজগারও নেই। অনেকে গার্মেন্টসে চাকরি করতে ঢাকায় চলে গেছে। এলাকায় যারা আছে, তারাও কষ্টে রয়েছে।’ তাঁর মতে, জলাভূমি নেতাদের ইজারা দেওয়া হলে তাতে করে মৎস্যজীবীদের কোনো লাভ হয় না। ফলে এই প্রথা বন্ধ করতে হবে।

হাওরে মাছ ধরার নৌকা এখন আগের চেয়ে অনেক কম চোখে পড়ে। পাগনার হাওরে কোনা জাল দিয়ে মাছ ধরছিলেন মুছা মিয়া (ছদ্মনাম)। তিনি বলেন, ‘চার-পাঁচজনে এই জাল টাইন্যা যে মাছ পাওয়া যায়, তাতে একজনে কোনোরকম দুই-তিন শ টাকা কইরা পড়ে। কোনো দিন এইডাও হয় না। হাওরে মাছ নাই কইলেই চলে।’

একসময় যেসব হাওর নির্দিষ্ট প্রজাতির মাছের জন্য বিখ্যাত ছিল, সেগুলোও এখন মাছশূন্য। চিতল মাছের অভয়াশ্রম হিসেবে পরিচিত হালি হাওরের সুন্দরপুর বিল থেকে চিতল উধাও। টাঙ্গুয়ার হাওরের আলংডোয়ারে একসময় ছিল চিতলের খনি। এখন আর নেই। রৌ মাছের জন্য খ্যাত রৌয়ার হাওরেও মাছ মিলছে না। টাঙ্গুয়ার হাওরের জেলে হরলাল দাস বলেন, ‘টাঙ্গুয়ার আলংডোয়ার একটা জায়গা, যেডা চিতল মাছের খনি আছিল। ওই চিতল মাছ এখন আর নাই। সব শেষ হইয়া গেছে।’

হাওরবিষয়ক গবেষক পাভেল পার্থ দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হওয়ার পাঁচটি কারণ উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘হাওরের স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ অর্থাৎ ঋতুভিত্তিক পানির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। মেঘালয় পাহাড় থেকে নেমে আসা বালুতে ডোবা-বিল, জলাভূমি ও কৃষিজমি ভরাট হচ্ছে। এতে হাওর, নদীর উচ্চতায় পার্থক্য তৈরিসহ সংযোগস্থল বিনষ্ট হচ্ছে। ফলে মাছের বিচরণস্থল হুমকিতে পড়ছে।’

পাভেল পার্থ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে হাওরের জলাভূমি অপরিকল্পিত ও দুর্নীতিগ্রস্ত উপায়ে ইজারা দেওয়ায় আগ্রাসী প্রজাতির মাছ চাষ হচ্ছে। এতে দেশীয় মাছের প্রাকৃতিক খাবারের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। বর্ষায় পাহাড়ি এলাকার কয়লা-চুনাপাথরের খনি থেকে সিলিকা-সালফার্ড জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ পানিতে মিশছে। রাসায়নিক নির্ভর কৃষি প্রচলনের ফলেও মাছের প্রজননক্ষেত্র বিনষ্ট হচ্ছে। এটি মাছ, রেণুপোনা ও ডিমে মড়ক সৃষ্টি করছে।’

হাওরে সব ধরনের ইজারা বাতিলের দাবি জানান এই গবেষক। তাঁর মতে, মাছ ধরার অধিকার শুধু জেলেদেরই থাকা আবশ্যক। জলাভূমি ও মাছ সংরক্ষণে জেলে সম্প্রদায়ের লোকায়ত জ্ঞান অর্থাৎ তাদের কৃষ্টি, আচার, রীতি, প্রথাকে জাতীয় নীতিমালায় অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি হাওর ও মৎস্য ব্যবস্থাপনায় তাদের সম্পৃক্ত করতে হবে।

মাছ সংরক্ষণে সরকারের উদ্যোগের কথা জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শামশুল করিম। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সময়মতো বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। হাওর পানিস্বল্পতায় ভুগছে। নিষিদ্ধ জাল, কীটনাশক, অপরিকল্পিত বাঁধ, পলি জমে জলাশয় ভরাট, নাব্যতাসংকট—এগুলো মাছ বিলুপ্তির কারণ। এসব কারণে মাছের নির্বিঘ্ন চলাচল ও প্রজনন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ জন্য মানুষের সচেতনতা প্রয়োজন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আওয়ামী লীগ নেতার বোনের বাড়িতে মিলল ২৩টি তাজা ককটেল, ভাগনি জামাই আটক

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৯: ০৭
যৌথ বাহিনীর অভিযানে তিনটি বালতিতে তাজা ককটেল এবং অনেকটি খালি কৌটা পাওয়া যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
যৌথ বাহিনীর অভিযানে তিনটি বালতিতে তাজা ককটেল এবং অনেকটি খালি কৌটা পাওয়া যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

মুন্সিগঞ্জে এক আওয়ামী লীগ নেতার বোনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২৩টি তাজা ককটেল জব্দ করেছে যৌথ বাহিনী। আজ রোববার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত শহরের বৈখর এলাকার অনির্বাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে সেলিনা বেগমের বাড়িতে এই অভিযান চালানো হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতার ভাগ্নিজামাই মো. হাসানকে (৩৫) আটক করা হয়।

সেলিনা বেগম সদরের মোল্লাকান্দি ইউপির চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিপন পাটোয়ারীর বোন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম সাইফুল আলম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেলা ২টার দিকে ওই বাড়িতে অভিযান শুরু করে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। বিকেল ৪টার দিকে বাড়ির ড্রেনেজ লাইনের চৌবাচ্চার ভেতর সংরক্ষিত ৩টি বালতিতে তাজা ককটেলগুলো পাওয়া যায়। এ ছাড়া বসতঘরের ভেতর তল্লাশি করে ককটেল তৈরির জন্য জর্দা ও গুঁড়াদুধের শতাধিক কৌটা পাওয়া যায়। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতা রিপন পাটোয়ারীর ভাগ্নিজামাই হাসানকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাড্ডায় তরুণ-তরুণীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

ঢামেক প্রতিবেদক
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৯: ১৭
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর উত্তর বাড্ডা পূর্বাচল ২ নম্বর লেনের একটি বাড়ি থেকে তরুণ-তরুণীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার (২ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ওই বাড়ির তৃতীয় তলা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

লাশ উদ্ধার হওয়ার তরুণের নাম সাইফুল (৩০)। তিনি একটি মাদ্রাসার দারোয়ান ছিলেন। আর তরুণী শাকিলা (২৮) বাসাবাড়িতে কাজ করতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উত্তর বাড্ডা পূর্বাচল ২ নম্বর লেনের একটি বাড়ির তৃতীয় তলা থেকে ওই দুজনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তৃতীয় তলার রুমের ওই দরজা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল।

ওসি বলেন, আত্মীয়স্বজনের সহায়তায় দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে শায়িত অবস্থায় দুজনকে দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে যতটুকু জানা গেছে, তাঁরা স্বামী স্ত্রী ছিলেন না। তবে দুজনের সম্পর্ক কী ছিল বিস্তারিত জানা যায়নি।

ওসি আরও জানান, তাঁদের মৃত্যুর কারণসহ সবকিছুই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় অটোরিকশায় অগ্নিসংযোগের অভিযোগ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
পুড়িয়ে দেওয়া সিএনজিচালিত অটোরিকশা। ছবি: সংগৃহীত
পুড়িয়ে দেওয়া সিএনজিচালিত অটোরিকশা। ছবি: সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষিপ্ত হয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সুজন হোসেন (৩৫) নামের এক বখাটের বিরুদ্ধে।

রোববার (২ নভেম্বর) ভোররাতে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের দেওপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিক মো. মনির জানান, তাঁর খালাতো বোনকে সুজন হোসেন বিয়ের প্রস্তাব দেন। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সুজন তাঁর অটোরিকশা পুড়িয়ে দেন। ভুক্তভোগী মনির দেওপাড়া গ্রামের করিম বক্স ব্যাপারী বাড়ির নুর নবীর ছেলে। অভিযুক্ত সুজন পাশের নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজার সুতার বাড়ির দুলালের ছেলে।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, ‍সুজন দীর্ঘদিন ওই তরুণীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। একপর্যায়ে বিয়ের প্রস্তাব দেন। পরিবার এতে রাজি হয়নি। উত্ত্যক্তের বিষয়ে সুজনের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় অভিযোগ করা হয়। সে সময় মো. মনির তাঁদের সহযোগিতা করেন। ১৬ অক্টোবর তরুণীর অন্যত্র বিয়ে হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি অটোরিকশায় আগুন দেন। আগুনে অটোরিকশার ওপরের অংশ পুড়ে যায়।

মনিরের অভিযোগ, সুজন পেট্রল দিয়ে তাঁর অটোরিকশাটি জ্বালিয়ে দেন। আগুনের বিষয়টি টের পেলে তাঁরা ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। এ সময় সহযোগীদের নিয়ে সুজনকে পালিয়ে যেতে দেখেছেন।

এ বিষয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফয়জুল আজীম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে মামলা নেওয়া হবে। উত্ত্যক্তের বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফেনীতে ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু

ফেনী প্রতিনিধি
ফেনী ট্রেন
ফেনী ট্রেন

ফেনীর ছাগলনাইয়ার মুহুরীগঞ্জ এলাকায় চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার উপজেলার মুহুরীগঞ্জ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত যুবকের নাম মেহেদী হাসান (২৪)। তিনি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সুরুজ আলীর ছেলে।

পুলিশ জানায়, নিহত মেহেদী হাসানসহ ১০-১২ জন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঘুরতে যাচ্ছিলেন। তাঁরা কমলাপুর থেকে চট্টগ্রামগামী একটি মেইল ট্রেনের ছাদে ওঠেন। ট্রেনটি ছাগলনাইয়ার মুহুরীগঞ্জ এলাকায় পৌঁছালে অসাবধানতাবশত মেহেদী ছাদ থেকে পড়ে যান।

এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ বিষয়ে ফেনী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দীপক দেওয়ান বলেন, চট্টগ্রামগামী মেইল ট্রেন থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তের পর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত