Ajker Patrika

সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়ক

সড়কটি এখন পথের কাঁটা

  • সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, ৪০ কিলোমিটার রাস্তার প্রায় পুরোটাই বেহাল
  • ২০২২ সালের প্রলয়ংকরী বন্যার আগে সড়কটি মোটামুটি চলাচলের উপযোগী ছিল
সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা
সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়কের ভাঙা অংশে যান চলছে ঝুঁকি নিয়ে। সম্প্রতি রুপাখালী (বাঁয়ে) ও জাল্লাবাজ এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়কের ভাঙা অংশে যান চলছে ঝুঁকি নিয়ে। সম্প্রতি রুপাখালী (বাঁয়ে) ও জাল্লাবাজ এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

সুনামগঞ্জ সদর, শান্তিগঞ্জ ও জামালগঞ্জ উপজেলা নিয়ে বিস্তৃত সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়কটি সুনামগঞ্জ ও সিলেটে জরুরি যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম। এ ছাড়া ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলা ছাড়াও নেত্রকোনার একাংশের মানুষ এটি ব্যবহার করে। এখন খানাখন্দে ভরে যাওয়া ৪০ কিলোমিটার সড়কটি স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যারা পারছে, তারা বিকল্প পথ ব্যবহার করছে। অন্যদের জন্য নিত্যদিনের দুর্ভোগের কারণে পরিণত হয়েছে এই সড়ক।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তার প্রায় পুরোটাই বেহাল। সুনামগঞ্জ সদর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার কাঠইড়-শান্তিপুর-জয়নগর অংশে কিছু সংস্কারকাজ করা হলেও বড় বড় ভাঙন রয়েছে। জামালগঞ্জের রুপাখালী, নোয়াগাঁও বাজার, বাহাদুরপুর, জাল্লাবাজ, উজ্জ্বলপুরে ভাঙাচোরাসহ তেলিয়া-শাহপুর হয়ে উপজেলা সদর পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার অংশের পুরোটাই খানাখন্দে ভরপুর। এ ছাড়া উপজেলা সদর থেকে মান্নানঘাট-সেলিমগঞ্জ ও গজারিয়া পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটারেও অনেক ভাঙাচোরা ও খানাখন্দ আছে।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২২ সালের প্রলয়ংকরী বন্যার আগে সড়কটি মোটামুটি চলাচলের উপযোগী ছিল। বন্যায় উজ্জ্বলপুর অংশ ভেঙে জেলা শহরের সঙ্গে জামালগঞ্জ সদরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সড়কটি সংস্কার করলেও তা টেকসই হয়নি। দিন দিন ক্ষত আরও গভীর হয়েছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ও রাজস্ব উন্নয়ন তহবিল থেকে উজ্জ্বলপুরের ভাঙা মেরামতে ৩৮ লাখ, শাহপুরে ৫ লাখ, জামালগঞ্জ হাসপাতালের সামনে ২৮ লাখ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তেলিয়া-শাহপুর ভাঙা অংশে ৫ লাখ ও সেলিমগঞ্জ বাজার এলাকায় ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

সড়কটি দিয়ে যেতে যেতে কথা হয় ভীমখালী ইউনিয়নের বাহাদুরপুরের মো. আলমগীর মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘একেবারে নাজেহাল অবস্থা। আমরা বড় বেকায়দায় আছি। প্রতিদিনই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটতাছে। জরুরি রোগী নিয়া যাওয়া যায় না।’

রাস্তায় চলাচলকারী পত্রিকার হকার মো. রাসেল বলেন, ‘মাঝেমধ্যে দেখছি একটু একটু কাজ (সংস্কার) হয়। এই কাজ মানে পেট ভরার কাজ। সড়কের ভাঙা তো ভাঙার জায়গাতেই থাকে। কোনো উপকার হয় না। ঠেলাইয়া-ধাক্কাইয়া কোনোরকমে গাড়ি চলে।’

সড়কের ভাঙা অংশের ছবি তুলতে দেখে অটোরিকশার এক নারী যাত্রী বলে ওঠেন, ‘ভালো কইরা ছবি তোলেন। এই রাস্তায় চলতে-ফিরতে আর ভালো লাগে না, অবস্থা খুব খারাপ।’ তখন অটোরিকশার চালক বলেন, ‘এই সড়কে চলতে গিয়া গাড়ির পার্টসের সাথে মানুষের পার্টসও নষ্ট হইয়া যায়। সবাই থাকে শুধু খাওয়ার ধান্দায়। কাজের ধান্দা কেউ করে না।’

সুনামগঞ্জ থেকে এ সড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারী ভীমখালী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভাঙা রাস্তার কারণে নোয়াগাঁও যাই না। রুপাখালী থেকে নোয়াখালী ঘুরে ভীমখালী আসি। রুপাখালী-নোয়াগাঁও হয়ে জামালগঞ্জে যেতে তো ভয়ই করে। ইদানীং হুছননগর ও শান্তিপুরের মাঝখানে বেশ কিছু জায়গা নষ্ট হয়েছে। মাঝেমধ্যে সংস্কার হয়। তবে টেকসই কাজ না হলে ভোগান্তি দূর হবে না।’

বিগত সময়ে সড়কের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ কাজের নামে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভীমখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান তালুকদার। তিনি বলেন, ‘২০২২ সালের বন্যায় ভাঙনের পর থেকে সড়কটিতে খুবই নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এখান দিয়ে চলতে গিয়ে মানুষ অবর্ণনীয় ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার যোগাযোগ করেছি। এখন দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কের সংস্কার বাস্তবায়ন চাই।’

যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন জানান, সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়কের কাজের জন্য চলতি অর্থবছরে দরপত্র আহ্বান করা হবে। নোয়াগাঁও থেকে জামালগঞ্জ পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার অংশের সম্ভাব্য ব্যয় হবে ৯ কোটি ৮০ লাখ এবং জামালগঞ্জ থেকে মান্নানঘাট পর্যন্ত ৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। এ ছাড়া কাঠইড় থেকে রুপাখালী পর্যন্ত ছোটখাটো যে ভাঙা আছে, সেগুলো ব্যয়ে ধরা আছে।

জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে এই কর্মকর্তা বলেন, বড় বড় যে গর্ত ছিল, সেগুলোতে ইট দেওয়া হয়েছে, তবে তা সামান্য। সরকার যে টাকা বরাদ্দ দেয়, তার পরিমাণ কম। সেখানে অন্য কিছু করার সুযোগ নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পিএইচপি কোরআনের আলো চট্টগ্রাম বিভাগের অডিশন অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
পিএইচপি কোরআনের আলো চট্টগ্রাম বিভাগের অডিশন অনুষ্ঠিত

পিএইচপি ফ্যামিলির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন বলেছেন, পিএইচপি কোরআনের আলো বিশ্বজুড়ে আলো ছড়াচ্ছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে দিনব্যাপী পিএইচপি কোরআনের আলো চট্টগ্রাম বিভাগের অডিশন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি প্রতিযোগীদের হাতে ইয়েস কার্ড, ক্রেস্ট ও উপহার তুলে দেন। এ সময় মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘পিএইচপির আয়োজনে ‘‘পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিভার সন্ধানে’’ প্রতিযোগিতা। বিশ্বজুড়ে কোরআনের আলো ছড়াতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। রমজান মাস ধরে আমাদের আয়োজকেরা হাফেজে কোরআনদের নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। গত ১৭ বছর ধরে চলে আসা এই অনুষ্ঠান দেশে ধারাবাহিকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং দেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করে বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।’

কোরআনের আলো অনুষ্ঠানকে চলমান রাখার ঘোষণা দিয়ে মোহাম্মদ মহসিন বলেন, পিএইচপি কেয়ামত পর্যন্ত এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে থাকবে। তিনি বলেন, যারা কুফরি করে এবং মানুষকে সত্যের পথ থেকে ফিরিয়ে রাখে, আল্লাহ তাদের দুনিয়ায় শাস্তি দেবেন এবং আখিরাতে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন—এটিই হচ্ছে মহান আল্লাহর ঘোষণা। প্রত্যেকের জীবনকে পবিত্র কোরআনের আলোয় জীবন গঠন করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির অনুষ্ঠান পরিচালক সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, ‘সারা দেশের হাজার হাজার প্রতিযোগীর মধ্য থেকে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বাছাই করে টিভি অনুষ্ঠানের জন্য চূড়ান্ত করা হয়। সেখান থেকে মাত্র চারজনকে বাছাই করা অনেক কঠিন কাজ। এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে চূড়ান্ত পর্যায়ে আমরা পৌঁছাই।’ অডিশনে উপস্থিত ছিলেন কোরআনের আলো ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি মুফতি মোহম্মদ মহিউদ্দিন, অর্থ সচিব হাফেজ মোহাম্মদ জাকারিয়া, ক্বারী মাওলানা জহিরুল ইসলাম, হাফেজ আবদুল্লাহ আল জায়েদ, পিএইচপি পরিবারের মিডিয়া অ্যাডভাইজার দিলশাদ আহমেদসহ পিএইচপি পরিবার ও আয়োজকেরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাদারীপুরে আড়াই ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক

মাদারীপুর প্রতিনিধি
ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণার পর ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসনের মনোনয়নবঞ্চিত সাজ্জাদ হোসেন ওরফে লাভলু সিদ্দিকীর অনুসারীরা।

লাভলু জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক। সোমবার (৩ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের পাঁচ্চর গোলচত্বরে তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরোধের কারণে এক্সপ্রেসওয়ের উভয় পাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।

মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকীর সমর্থকেরা ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শিবচর অংশে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ সময় পর সড়ক অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল এখন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ, দীর্ঘ যানজট

 কুমিল্লা প্রতিনিধি 
কুমিল্লার আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুমিল্লার আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লা-৬ (সদর, সদর দক্ষিণ ও সিটি করপোরেশন) আসনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিক্ষোভ করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হাজি আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের সমর্থকেরা।

সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড, পাড়া-মহল্লা থেকে হাজারো নেতা-কর্মী কান্দিরপাড়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন।

রাত সাড়ে ১০টার দিকে কান্দিরপাড়ে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের পর বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করলে দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা দলীয় সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানান এবং প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচির হুমকি দেন।

ময়নামতি হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বাহার মজুমদার রাত পৌনে ১২টার দিকে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুমিল্লা-৬ আসনে মনোনয়নবঞ্চিত হাজী ইয়াছিনের সমর্থকেরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। এতে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলছি। যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা বলে তাঁদের মহাসড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুষ্টিয়ায় মনোনয়নবঞ্চিত সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকদের সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুষ্টিয়ায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

সোমবার (৩ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে শহরের মজমপুর গেটে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে অবস্থান নেন সোহরাব সমর্থকেরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও প্রতিবাদ মিছিল করেন।

এ ছাড়াও সদর উপজেলার মধুপুর-লক্ষ্মীপুর এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে সমর্থকেরা বিক্ষোভ করেছেন।

এ সময় তাঁরা বলেন, সোহরাব উদ্দিন কুষ্টিয়া-৩ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর বদলে এখানে অন্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নেওয়া হবে না। তাই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনকে আবার মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।

এর আগে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়ার চারটি আসনে সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। কুষ্টিয়ার চারটি আসনে সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভোড়ামারা) বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, কুষ্টিয়া-৩ (সদর) কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্যসচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার, কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি।

এ বিষয়ে মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বলেন, ‘শুনেছি আমার সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছেন। আমি শহরের বাইরে আছি।’ এর বেশি কথা বলেননি তিনি।

জানতে চাইলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও সদ্য সদর আসনের মনোনীত প্রার্থী প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যিনি মনোনয়ন পাবেন, তাঁর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তবে এ নির্দেশনা যদি কেউ না মানেন, তাহলে কেন্দ্র ব্যবস্থা নেবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত