গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
‘সরকার আর কিসের কিসের দাম বাড়ার বাকি রাকছে সেগুলারও দাম বাড়ে দেক। দেশোত যে দুর্ভিক্ষ শুরু হইছে তার প্রামাণ পাইচোল। একদিন শুনি চাউলের দাম বাড়ছে আর একদিন শুনি ত্যালের দাম বাড়ছে। তারপরে শুনি বিদ্যুতের দাম বাড়ছে, আজকে গ্যাস কিনবার আসি শুনতেছি যে গ্যাসের দাম বাড়ছে।’
আজ শুক্রবার রংপুরের গঙ্গাচড়া বাজারে সিলিন্ডার গ্যাস কিনতে গিয়ে দোকানদারকে এসব বলছিলেন ক্ষুব্ধ ক্রেতা নাজনীন আক্তার (৩৫)। তাঁর বাড়ি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায়। স্বামী মনোয়ারুল ইসলাম গঙ্গাচড়ায় একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে তাঁদের চারজনের সংসার। স্বামী মাসে বেতন পান ১৪ হাজার টাকা। এই টাকায় তাঁদের বাড়ি ভাড়া, খাবার ও ছেলেমেয়ের পড়াশোনার খরচ চালাতে হয়। কোনো রকমে টেনেটুনে চলে তাঁদের সংসার।
নিত্যপণ্যের দাম উপর্যুপরি বাড়তে থাকায় এখন আর টেনেটুনেও সংসার চালাতে পারছেন না নাজনীন আক্তার ও মনোয়ারুল ইসলাম দম্পতি। সব মিলিয়ে অতি কষ্টে দিন যাচ্ছে তাঁদের।
নাজনীন আক্তার আরও বলেন, ‘এই সরকার নাকি গরিবের সরকার। এখন তো দেখি এই সরকার গরিব মানুষের আসতে আসতে গলা চিপি ধরা সরকার। এই এক মাসে যে কত কিছুর দাম বাড়াইলো। এমার দাম বাড়া আর শ্যাষ হয় চোল না। কোন জিনিসটার দাম বাড়া বাকি রাকছে সরকার। বাচ্চারা যে লেখাপড়া করবে সেই খাতা-কলমের দামও বাড়ে দিছে। এইভাবে যদি সবকিছুর দাম বাড়ায় তাহলে হামার গরিবের হইবেটা কী? সরকার তো কয় যে গরিব মানুষ নাকি বেহেশতে আছে, এই তো সবকিছুর দাম বাড়ে দিয়া বেহেশতে থুইছে হামার মতো গরিব মানুষক।’
এ সময় কথা হয় সিলিন্ডার গ্যাসের আরেক ক্রেতা উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের ভ্যানচালক আলিফ উদ্দিনের (৫৫) সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাবারে, কী আর করমো। গরিবের ভালো এক জায়গাতেও নাই। এত পরিমাণে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, সংসার চালা দায় হয়া দাঁড়াইছে। কালকে রাতে গ্যাস ফুরি গেইছে, আজ সকালে তোমার চাচি ১ হাজার ২৫০ টাকা বের করি দিল যে একটা গ্যাস সিলিন্ডার কিনি অনো গ্যাস কিনবার আসি দেখংচোল কিসের বেলে এখন ১ হাজার ৫২৫ টাকা ১২ কেজি গ্যাসের দাম।’
আলিফ উদ্দিন আরও বলেন, ‘তোরায় কন বাবা, এ রকম করি যদি সব কিছুরে দাম বাড়ে তাহলে হামার গুলার কী হইবে। সরকার কি এগুলা করা ঠিক করেচোল? হামরা ভ্যান চালে খাই, হামরা তো আর সরকারি চাকরি করি না যে মাস গেইলে ব্যাং থাকি টাকা তোলমো আর খরচ করমো। এখন আর বুদ্ধি নাই বাবা, আজকে বাড়িত যেয়া তোমার চাচিক কইম যে পাতাই সামটে ভাত আনদোও। তা ছাড়া আর বুদ্ধি নাই।’
গতকাল বৃহস্পতিবার সরকার ১২ কেজি এলপিজি গ্যাসের দাম ১ হাজার ৪৯৮ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। আজ শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন সিলিন্ডার গ্যাসের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, সরকার-নির্ধারিত দামের চেয়ে ৪০-৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
দাম বেশি নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, দাম বেড়ে যাওয়ায় গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। বেশি দামে গ্যাস কিনতে হচ্ছে। তাই আমরা বাধ্য হয়ে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ তামান্না আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেশি দামে গ্যাস বিক্রির সুযোগ নেই। আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অভিযোগের সত্যতা পেলে সেসব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
‘সরকার আর কিসের কিসের দাম বাড়ার বাকি রাকছে সেগুলারও দাম বাড়ে দেক। দেশোত যে দুর্ভিক্ষ শুরু হইছে তার প্রামাণ পাইচোল। একদিন শুনি চাউলের দাম বাড়ছে আর একদিন শুনি ত্যালের দাম বাড়ছে। তারপরে শুনি বিদ্যুতের দাম বাড়ছে, আজকে গ্যাস কিনবার আসি শুনতেছি যে গ্যাসের দাম বাড়ছে।’
আজ শুক্রবার রংপুরের গঙ্গাচড়া বাজারে সিলিন্ডার গ্যাস কিনতে গিয়ে দোকানদারকে এসব বলছিলেন ক্ষুব্ধ ক্রেতা নাজনীন আক্তার (৩৫)। তাঁর বাড়ি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায়। স্বামী মনোয়ারুল ইসলাম গঙ্গাচড়ায় একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে তাঁদের চারজনের সংসার। স্বামী মাসে বেতন পান ১৪ হাজার টাকা। এই টাকায় তাঁদের বাড়ি ভাড়া, খাবার ও ছেলেমেয়ের পড়াশোনার খরচ চালাতে হয়। কোনো রকমে টেনেটুনে চলে তাঁদের সংসার।
নিত্যপণ্যের দাম উপর্যুপরি বাড়তে থাকায় এখন আর টেনেটুনেও সংসার চালাতে পারছেন না নাজনীন আক্তার ও মনোয়ারুল ইসলাম দম্পতি। সব মিলিয়ে অতি কষ্টে দিন যাচ্ছে তাঁদের।
নাজনীন আক্তার আরও বলেন, ‘এই সরকার নাকি গরিবের সরকার। এখন তো দেখি এই সরকার গরিব মানুষের আসতে আসতে গলা চিপি ধরা সরকার। এই এক মাসে যে কত কিছুর দাম বাড়াইলো। এমার দাম বাড়া আর শ্যাষ হয় চোল না। কোন জিনিসটার দাম বাড়া বাকি রাকছে সরকার। বাচ্চারা যে লেখাপড়া করবে সেই খাতা-কলমের দামও বাড়ে দিছে। এইভাবে যদি সবকিছুর দাম বাড়ায় তাহলে হামার গরিবের হইবেটা কী? সরকার তো কয় যে গরিব মানুষ নাকি বেহেশতে আছে, এই তো সবকিছুর দাম বাড়ে দিয়া বেহেশতে থুইছে হামার মতো গরিব মানুষক।’
এ সময় কথা হয় সিলিন্ডার গ্যাসের আরেক ক্রেতা উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের ভ্যানচালক আলিফ উদ্দিনের (৫৫) সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাবারে, কী আর করমো। গরিবের ভালো এক জায়গাতেও নাই। এত পরিমাণে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, সংসার চালা দায় হয়া দাঁড়াইছে। কালকে রাতে গ্যাস ফুরি গেইছে, আজ সকালে তোমার চাচি ১ হাজার ২৫০ টাকা বের করি দিল যে একটা গ্যাস সিলিন্ডার কিনি অনো গ্যাস কিনবার আসি দেখংচোল কিসের বেলে এখন ১ হাজার ৫২৫ টাকা ১২ কেজি গ্যাসের দাম।’
আলিফ উদ্দিন আরও বলেন, ‘তোরায় কন বাবা, এ রকম করি যদি সব কিছুরে দাম বাড়ে তাহলে হামার গুলার কী হইবে। সরকার কি এগুলা করা ঠিক করেচোল? হামরা ভ্যান চালে খাই, হামরা তো আর সরকারি চাকরি করি না যে মাস গেইলে ব্যাং থাকি টাকা তোলমো আর খরচ করমো। এখন আর বুদ্ধি নাই বাবা, আজকে বাড়িত যেয়া তোমার চাচিক কইম যে পাতাই সামটে ভাত আনদোও। তা ছাড়া আর বুদ্ধি নাই।’
গতকাল বৃহস্পতিবার সরকার ১২ কেজি এলপিজি গ্যাসের দাম ১ হাজার ৪৯৮ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। আজ শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন সিলিন্ডার গ্যাসের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, সরকার-নির্ধারিত দামের চেয়ে ৪০-৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
দাম বেশি নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, দাম বেড়ে যাওয়ায় গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। বেশি দামে গ্যাস কিনতে হচ্ছে। তাই আমরা বাধ্য হয়ে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ তামান্না আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেশি দামে গ্যাস বিক্রির সুযোগ নেই। আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অভিযোগের সত্যতা পেলে সেসব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
৩৯ মিনিট আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
১ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
১ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
১ ঘণ্টা আগে