মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি
রংপুরের মিঠাপুকুরে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু পূর্বের তালিকাভুক্ত বেশির ভাগ পরিবার টিসিবির স্মার্ট কার্ড না পেয়ে হা-হুতাশ করছেন। আজ বুধবার পর্যন্ত পূর্ব তালিকাভুক্ত ৪১ হাজার পরিবারের মধ্যে মাত্র ৭ হাজার ৩৪৯ পরিবারকে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ন্যায্যমূল্যে খাদ্যসামগ্রী বিক্রির জন্য টিসিবির আওতায় এ উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে ৪১ হাজার পরিবারকে সেবা কার্ড দেওয়া হয়েছিল। টিসিবির সেবা কার্ডের মাধ্যমে সুবিধা ভোগীরা প্রতিমাসে ৩০ টাকা দরে ৫ কেজি চাল, ১০০ টাকা দরে ২ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল এবং ৬০ টাকা দরে ২ কেজি মসুর ডাল কিনতে পারতেন।
একাধিক সুবিধাভোগী জানান, গেল নভেম্বর মাসে অনলাইন করার কথা বলে সুবিধাভোগীদের নিকট থেকে টিসিবির সেবা কার্ড ইউনিয়ন পরিষদে জমা নেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শফিকুল ইসলাম জানান, টিসিবির সাধারণ কার্ডগুলো যাচাই-বাছাই করে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডে পরিণত করার জন্য টিসিবির কার্ড জমা নিয়ে অনলাইন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সাধারণ সেবা কার্ডের পরিবর্তে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া শুরু করা হয়েছে।
স্মার্ট কার্ড পাওয়া দুলহাপুর গ্রামের মো. মঞ্জু জানান, তিনি গত সোমবার জানুয়ারি মাসের পণ্যসামগ্রী পেয়েছেন। জানুয়ারি মাসের বরাদ্দে ছিল ২ লিটার তেল, মসুর ডাল ২ কেজি, চাল ৫ কেজি ও চিনি ১ কেজি।
পূর্বের তালিকাভুক্ত একাধিক সুবিধাভোগী জানান, তাঁরা এখনো স্মার্ট কার্ড পাননি।
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার চিথলী দক্ষিণপাড়া গ্রামের খোরশেদ আলম জানান, তিনি অনলাইন করার জন্য টিসিবির কার্ড ইউনিয়ন পরিষদে জমা দিয়েছিলেন, কিন্তু এখনো স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড পাননি।
একই গ্রামের রিকশাশ্রমিক মিজানুর রহমান বলেন, ‘হামরা (আমরা) টিসিবির স্মার্ট কার্ড পামো (পাবো) কি না কিছুই তো বুজবার পাওছি না। অনলাইন করার জন্য ৫০টা ট্যাকাও দিছনু।’
কাশিপুর গ্রামের আইনুল কবির বলেন, ‘আমি টিসিবির সেবা ছাড়া সরকারের আর কোনো সহায়তা পাই না। তারপরও আমার স্মার্ট কার্ডটি পেলাম না।’ উপজেলা সদর বাজারের অর্পনা রানী জানান, সয়াবিন তেলের জন্যই টিসিবির সেবা কার্ড নিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডটি এখনো হাতে পৌঁছেনি।
কৃষ্ণপুর গ্রামের ইমারত শ্রমিক আলমগীর জানান, তিনি তিন দিন ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে খোঁজ করেছেন কিন্তু কার্ড না পাওয়ায় জানুয়ারি মাসের পণ্যসামগ্রী ওঠাতে পারেননি।
এ দিকে যাচাই-বাছাই করে মোট কতজনকে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে, তা নিশ্চিত করে কেউই বলতে পারছেন না। তবে দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জানান, তাঁর ইউনিয়নে টিসিবি কার্ডের সুবিধাভোগী ছিলেন ৪ হাজার ৪০১টি পরিবার। অনলাইন করার পর বুধবার পর্যন্ত মাত্র ১ হাজার ৩৮৬টি পরিবারকে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হয়েছে।
পায়রাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব শাহাদত হোসেন জানান, তাঁর ইউনিয়নে পায়রাবন্দে টিসিবির আওতায় ছিল ২ হাজার ৬৩৯ পরিবার। যাচাই-বাছাইয়ের পর মাত্র ৬৫৩টি স্মার্ট কার্ড বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তিনি জানান ইতিমধ্যে ৪৭২টি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।
স্মার্ট কার্ডের সংখ্যা প্রসঙ্গে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাহবুব হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ যাবৎ ৭ হাজার ৩৪৯টি স্মার্ট কার্ড পাওয়া গেছে। যাচাই-বাছাই চলছে। তবে আরও স্মার্ট কার্ড পাওয়া যেতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
রংপুরের মিঠাপুকুরে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু পূর্বের তালিকাভুক্ত বেশির ভাগ পরিবার টিসিবির স্মার্ট কার্ড না পেয়ে হা-হুতাশ করছেন। আজ বুধবার পর্যন্ত পূর্ব তালিকাভুক্ত ৪১ হাজার পরিবারের মধ্যে মাত্র ৭ হাজার ৩৪৯ পরিবারকে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ন্যায্যমূল্যে খাদ্যসামগ্রী বিক্রির জন্য টিসিবির আওতায় এ উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে ৪১ হাজার পরিবারকে সেবা কার্ড দেওয়া হয়েছিল। টিসিবির সেবা কার্ডের মাধ্যমে সুবিধা ভোগীরা প্রতিমাসে ৩০ টাকা দরে ৫ কেজি চাল, ১০০ টাকা দরে ২ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল এবং ৬০ টাকা দরে ২ কেজি মসুর ডাল কিনতে পারতেন।
একাধিক সুবিধাভোগী জানান, গেল নভেম্বর মাসে অনলাইন করার কথা বলে সুবিধাভোগীদের নিকট থেকে টিসিবির সেবা কার্ড ইউনিয়ন পরিষদে জমা নেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শফিকুল ইসলাম জানান, টিসিবির সাধারণ কার্ডগুলো যাচাই-বাছাই করে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডে পরিণত করার জন্য টিসিবির কার্ড জমা নিয়ে অনলাইন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সাধারণ সেবা কার্ডের পরিবর্তে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া শুরু করা হয়েছে।
স্মার্ট কার্ড পাওয়া দুলহাপুর গ্রামের মো. মঞ্জু জানান, তিনি গত সোমবার জানুয়ারি মাসের পণ্যসামগ্রী পেয়েছেন। জানুয়ারি মাসের বরাদ্দে ছিল ২ লিটার তেল, মসুর ডাল ২ কেজি, চাল ৫ কেজি ও চিনি ১ কেজি।
পূর্বের তালিকাভুক্ত একাধিক সুবিধাভোগী জানান, তাঁরা এখনো স্মার্ট কার্ড পাননি।
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার চিথলী দক্ষিণপাড়া গ্রামের খোরশেদ আলম জানান, তিনি অনলাইন করার জন্য টিসিবির কার্ড ইউনিয়ন পরিষদে জমা দিয়েছিলেন, কিন্তু এখনো স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড পাননি।
একই গ্রামের রিকশাশ্রমিক মিজানুর রহমান বলেন, ‘হামরা (আমরা) টিসিবির স্মার্ট কার্ড পামো (পাবো) কি না কিছুই তো বুজবার পাওছি না। অনলাইন করার জন্য ৫০টা ট্যাকাও দিছনু।’
কাশিপুর গ্রামের আইনুল কবির বলেন, ‘আমি টিসিবির সেবা ছাড়া সরকারের আর কোনো সহায়তা পাই না। তারপরও আমার স্মার্ট কার্ডটি পেলাম না।’ উপজেলা সদর বাজারের অর্পনা রানী জানান, সয়াবিন তেলের জন্যই টিসিবির সেবা কার্ড নিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডটি এখনো হাতে পৌঁছেনি।
কৃষ্ণপুর গ্রামের ইমারত শ্রমিক আলমগীর জানান, তিনি তিন দিন ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে খোঁজ করেছেন কিন্তু কার্ড না পাওয়ায় জানুয়ারি মাসের পণ্যসামগ্রী ওঠাতে পারেননি।
এ দিকে যাচাই-বাছাই করে মোট কতজনকে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে, তা নিশ্চিত করে কেউই বলতে পারছেন না। তবে দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জানান, তাঁর ইউনিয়নে টিসিবি কার্ডের সুবিধাভোগী ছিলেন ৪ হাজার ৪০১টি পরিবার। অনলাইন করার পর বুধবার পর্যন্ত মাত্র ১ হাজার ৩৮৬টি পরিবারকে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হয়েছে।
পায়রাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব শাহাদত হোসেন জানান, তাঁর ইউনিয়নে পায়রাবন্দে টিসিবির আওতায় ছিল ২ হাজার ৬৩৯ পরিবার। যাচাই-বাছাইয়ের পর মাত্র ৬৫৩টি স্মার্ট কার্ড বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তিনি জানান ইতিমধ্যে ৪৭২টি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।
স্মার্ট কার্ডের সংখ্যা প্রসঙ্গে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাহবুব হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ যাবৎ ৭ হাজার ৩৪৯টি স্মার্ট কার্ড পাওয়া গেছে। যাচাই-বাছাই চলছে। তবে আরও স্মার্ট কার্ড পাওয়া যেতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আলু সংরক্ষণ করা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বগুড়ার কৃষকেরা। পর্যাপ্ত হিমাগার না থাকায় কৃষকের বাড়িতেই আলু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে কম দামে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক। যে কারণে আলু চাষ করে লোকসান গুনতে হচ্ছে এই অঞ্চলের কৃষকদের।
৬ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে ঘুমন্ত মাদকাসক্ত ছেলেকে ধারালো বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর থানায় এসে বৃদ্ধ বাবা আত্মসমর্পণ করেছেন। মাদকাসক্ত ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বৃদ্ধ বাবা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল।
১০ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে অবস্থিত তৈরি পোশাক কারখানা এম এম নিটওয়্যার ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার সকাল ৮টায় শ্রমিকেরা কারখানার গেটে টানানো বন্ধ ঘোষণার নোটিশ দেখতে পান। নোটিশ দেখার পর শ্রমিকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা...
১ ঘণ্টা আগেকারও হাতে খাতা, কারও বইয়ের ভাঁজে গুঁজে রাখা কলম। হঠাৎ হাওয়ার ঝাপটা এসে উড়িয়ে দেয় কাগজ। মাথায় হাত দিয়ে ধরে রাখতে হয় বই। শিক্ষক একটু থেমে যান। শব্দ থেমে যায়। কয়েক সেকেন্ড পরে আবারও
১ ঘণ্টা আগে