ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
স্বামীর দেওয়া একটি ‘কসম’ রাখতে প্রায় ৬০ বছর ধরে ভাত খান না জাহানারা বেগম নামের এক ৭৫ বছরের বৃদ্ধা। প্রায় অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে ভাতের পরিবর্তে রুটি, বিস্কুটসহ অন্যান্য খাবার খেয়ে বেঁচে দিন যাপন করছেন।
দুই সন্তানের মা জাহানারা বেগম ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা গোবিন্দ নগর মুন্সির হাট এলাকার বাসিন্দা। তিনি একই এলাকার হাফিজুর রহমানের স্ত্রী।
এলাকাবাসী ও পরিবার বলছে, মাত্র ১১ বছর বয়সে জাহানারা বেগমের বিয়ে হয় একই এলাকার হাফিজুর রহমানের সঙ্গে। বিয়ের বছরখানেকের মধ্যেই জন্ম নেয় প্রথম সন্তান। দুই বছর পর আরও একজন। দুই সন্তান নিয়ে বেশ সুখে চলছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। হঠাৎ একদিন পারিবারিক কলহ বাঁধে এই দম্পতির। কলহের একপর্যায়ের স্বামী হাফিজুর রাগান্বিত হয়ে তাকে বলেন, ‘তুই যদি আমার বাড়ির ভাত খাস তাহলে তোর দুই সন্তানের মাথা খাবি’। পরবর্তীতে বিবাদ মিটে গেলেও সেদিনের পর থেকে জাহানারা বেগম আর কখনো ভাত মুখে তোলেননি। ৬ বছর আগে স্বামী হাফিজুর রহমানের বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হয়। তবে স্বামীর প্রতি নেই ক্ষোভ, অভিমান।
জাহানরা বেগম বলেন, ‘স্বামীর কসম দেওয়ার পর ভয়ে ছিলাম এই ভেবে যে, ভাত খেলে সন্তানদের যদি বড় কোনো বিপদ হয় বা ক্ষতি হয়। ঘটনার ওই দিনের পর থেকে বিস্কুট, চা, রুটি এ সব খেয়ে থাকি। সংসার জীবনে তো অনেক কিছুই হয়। মানুষটার (স্বামী) জন্য এখন খুব কষ্ট হয়। আমাকে একা রেখে চলে গেল!’
জাহানারা বেগমের বড় ছেলে সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, ‘পরিবারের সবাই অনেক চেষ্টা করেও মাকে ভাত খাওয়াতে পারিনি। বাসায় বিভিন্ন সময় অনুষ্ঠানে আয়োজন হয়, সেখানে মাকে ছাড়া খেতে কষ্ট হয়।’
প্রতিবেশী অজিফা বেগম বলেন, ‘ওই ঘটনার পর তার স্বামীসহ আমরা অনেক চেষ্টা করেও তাঁকে খাওয়াতে পারিনি। তাঁর বিশ্বাস সে যদি ভাত খায় তাহলে তাঁর সন্তান ও তার নিজের ক্ষতি হতে পারে। এ কারণে সে আর কোনো দিন ভাত খাননি।’
স্বামীর দেওয়া একটি ‘কসম’ রাখতে প্রায় ৬০ বছর ধরে ভাত খান না জাহানারা বেগম নামের এক ৭৫ বছরের বৃদ্ধা। প্রায় অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে ভাতের পরিবর্তে রুটি, বিস্কুটসহ অন্যান্য খাবার খেয়ে বেঁচে দিন যাপন করছেন।
দুই সন্তানের মা জাহানারা বেগম ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা গোবিন্দ নগর মুন্সির হাট এলাকার বাসিন্দা। তিনি একই এলাকার হাফিজুর রহমানের স্ত্রী।
এলাকাবাসী ও পরিবার বলছে, মাত্র ১১ বছর বয়সে জাহানারা বেগমের বিয়ে হয় একই এলাকার হাফিজুর রহমানের সঙ্গে। বিয়ের বছরখানেকের মধ্যেই জন্ম নেয় প্রথম সন্তান। দুই বছর পর আরও একজন। দুই সন্তান নিয়ে বেশ সুখে চলছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। হঠাৎ একদিন পারিবারিক কলহ বাঁধে এই দম্পতির। কলহের একপর্যায়ের স্বামী হাফিজুর রাগান্বিত হয়ে তাকে বলেন, ‘তুই যদি আমার বাড়ির ভাত খাস তাহলে তোর দুই সন্তানের মাথা খাবি’। পরবর্তীতে বিবাদ মিটে গেলেও সেদিনের পর থেকে জাহানারা বেগম আর কখনো ভাত মুখে তোলেননি। ৬ বছর আগে স্বামী হাফিজুর রহমানের বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হয়। তবে স্বামীর প্রতি নেই ক্ষোভ, অভিমান।
জাহানরা বেগম বলেন, ‘স্বামীর কসম দেওয়ার পর ভয়ে ছিলাম এই ভেবে যে, ভাত খেলে সন্তানদের যদি বড় কোনো বিপদ হয় বা ক্ষতি হয়। ঘটনার ওই দিনের পর থেকে বিস্কুট, চা, রুটি এ সব খেয়ে থাকি। সংসার জীবনে তো অনেক কিছুই হয়। মানুষটার (স্বামী) জন্য এখন খুব কষ্ট হয়। আমাকে একা রেখে চলে গেল!’
জাহানারা বেগমের বড় ছেলে সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, ‘পরিবারের সবাই অনেক চেষ্টা করেও মাকে ভাত খাওয়াতে পারিনি। বাসায় বিভিন্ন সময় অনুষ্ঠানে আয়োজন হয়, সেখানে মাকে ছাড়া খেতে কষ্ট হয়।’
প্রতিবেশী অজিফা বেগম বলেন, ‘ওই ঘটনার পর তার স্বামীসহ আমরা অনেক চেষ্টা করেও তাঁকে খাওয়াতে পারিনি। তাঁর বিশ্বাস সে যদি ভাত খায় তাহলে তাঁর সন্তান ও তার নিজের ক্ষতি হতে পারে। এ কারণে সে আর কোনো দিন ভাত খাননি।’
‘বুধবার দিবাগত গভীর রাতে ৯ জনকে পুশ-ইন করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। তাঁরা ভারতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। কীভাবে তাঁদের পুশ-ইন করা হয়েছে, সে বিষয়ে এখনও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।’
৭ মিনিট আগে‘গ্রামের ছেলে হিসেবে এতোদিন ভালোই ছিলাম। কিন্তু তোদের মধ্যে কিছু কিছু লোক আমাকে ভালো হতে দিচ্ছে না। [শেখ হাসিনা] পালায় গিয়েছে তো কি হয়েছে। তবে মাথায় রাখিস, আমরা জায়গার মাল, জায়গাতেই বোসে আছি। ২০১৮ সালে তো হালকা হয়েছে। [ভবিষ্যতে ক্ষমতা পেলে ফিলিস্তিনের মতো হবে]।’
১২ মিনিট আগেআহতরা হলেন—বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালি বেতাগা গ্রামের ফরিদ হোসেনের ছেলে মামুন (৩২) এবং যশোর সদর উপজেলার এড়েন্দা গ্রামের মৃত নুর ইসলামের ছেলে মাসুদ (৪৫)। আহতদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
১ ঘণ্টা আগেগুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর নাম সাদ আহমেদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ২৪৭ নম্বর কক্ষে থাকেন। তাঁর বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায়।
১ ঘণ্টা আগে