Ajker Patrika

মেয়াদোত্তীর্ণ বেরোবির অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র

বেরোবি সংবাদদাতা
মেয়াদোত্তীর্ণ বেরোবির অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহৃত অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের গত ৫ মাস আগে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এভাবেই ঝুলছে বিভিন্ন দপ্তর, অফিস ও ক্লাস রুমের দেয়ালে। ফলে যে কোনো বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কায় রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

সম্প্রতি, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আগুন লাগার ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের এরূপ নাজুক অগ্নি প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে শঙ্কা বিরাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের মাঝে। তারা বলছেন যে কোনো সময় অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একাডেমিক ভবন গুলোতে নেই পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার। গত উপাচার্যের আমলে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে প্রশাসনিক ভবনসহ পুরা ক্যাম্পাসে মোট ১৩৫ টির মতো অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র হালনাগাদ করা হয়। এ অবস্থায় বর্তমান উপাচার্যের আমলে এগুলো হালনাগাদ করা হয়নি। ফলে বেশির ভাগ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের মেয়াদ নেই। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রগুলোর মেয়াদ চলতি বছরের জানুয়ারিতে শেষ হওয়ার পরও সেগুলো রিফিল করার জন্য এখনো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী মাকসুদুল আলম অন্তর বলেন, ‘বিষয়টা আমাদের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রগুলোর নিয়মিত পর্যবেক্ষণের আওতায় রাখতে হবে যাতে প্রয়োজনে সঠিক ব্যবহার করতে পারি।’

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সালমা সীমা জানান, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রগুলোর পরিচালনা করতে পারা আমাদের জন্য খুবই দরকারি বলে মনে করি। অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডারের সংখ্যা বৃদ্ধি করলে আমাদের তুলনামূলক ঝুঁকি কমবে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তৌফিকুর ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রগুলোর নিয়মিত চেকিংসহ যন্ত্রপাতির সক্ষমতা বাড়ানো এবং সিলিন্ডারের সংখ্যা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে।

কোনো সময় অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্ঘটনার শঙ্কায় রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তা লোকমান হাকিম মেয়াদ শেষ হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, দ্রুতই এগুলো আবার রিফিল করা হবে। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রগুলো রিফিল করার জন্য কমিটি হয়েছে খুব দ্রুতই এটা কার্যকর হবে।

এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য ড. সরিফা সালোয়া ডিনা বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে এ বিষয়ে সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের মতো ঘটনা ঘটুক আমরা কখনোই তা চাই না। নিশ্চয়ই এ নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

উপাচার্য ড. হাসিবুর রশীদ বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এটা নিয়ে আগেই কাজ শুরু করেছি। খুব দ্রুতই সমাধান হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত