Ajker Patrika

নীলফামারীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছনার প্রতিবাদে মানববন্ধন

নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছনার প্রতিবাদে মানববন্ধন

নীলফামারীর ডিমলায় জেলহত্যা দিবসের অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলামকে লাঞ্ছনার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু চত্বরে এ কর্মসূচি পালিত হয়। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধনে জেলার বিভিন্ন উপজেলার শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা অংশ নেন।

কর্মসূচিতে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবসে আয়োজিত দলীয় কর্মসূচিতে ডিমলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম দলীয় কর্মসূচিতে লাঞ্ছিত হয়। ওই কর্মসূচিতে পতাকা উত্তোলন করতে গেলে ডিমলা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদৌস পারভেজ ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু সায়েম সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলামকে বাধা দেন এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। বাধা উপেক্ষা করে এগিয়ে গেলে তাঁর ওপর মারমুখী হয়ে ওঠেন তাঁরা। এ সময় উপস্থিত নেতা-কর্মীরা তাঁদের নিবৃত্ত করলেও শোকর‍্যালিতে অংশগ্রহণের সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলামকে লাঞ্ছিত করে বের করে দেওয়া হয়। 

মানববন্ধনের পর সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন। বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সামছুল হক, মো. হামিদুর রহমান, মো. নূরন নবী, মো. হাবিবুর রহমান, মো. বাবুল হোসেন প্রমুখ। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দেন জেলা প্রশাসকের কাছে। 

এ দিকে অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদৌস পারভেজ বলেন, ‘তিনি (উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান) উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলের সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রকাশ্যে প্রচারণা চালান। বিষয়টি দলের সবাই দেখেছেন। এমন কাজে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা ওই অনুষ্ঠানে তাঁকে পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করায় পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত হয়। সেখানে তিনি লাঞ্ছিত হননি, বরং তাঁর লোকজন আমাকে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতিকে লাঞ্ছিত করেছেন।’ অপরদিকে জেলা পরিষদের নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধাচরণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত