সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও
ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ১টা ৩০ মিনিট। বিরতির ঘণ্টা বেজে উঠল এবং বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ছেড়ে হই-হুল্লোড় করে দৌড়ে স্কুলমাঠে ছুটে আসে খুদে শিক্ষার্থীরা। তাদের পেছনে পেছনে কলার পাতা হাতে নিয়ে মাঠে আসেন কয়েকজন শিক্ষক। এরপর খোলা আকাশের নিচে সবুজ ঘাসের ওপর বিছিয়ে দেওয়া হয় সেই পাতা। কিছুক্ষণ পরে কলাপাতা সামনে নিয়ে সারিবদ্ধভাবে লাইনে বসে পড়ে শিক্ষার্থীরা। শুরু করা হয় কলার পাতায় দুপুরের খাবার দেওয়া।
আজ রোববার দুপুরে এমন দৃশ্যের দেখা মেলে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার তারবাগান গুচ্ছগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সরকারি সহায়তা ছাড়াই গত তিন বছর ধরে এভাবেই ‘মিড ডে মিল’ চালু রেখেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি যেমন বেড়েছে, তেমনি দুপুরের খাবার পেয়ে খুশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
জানা গেছে, ১৯৯২ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ২০১৩ সালে জাতীয়করণ করা হয়। বিদ্যালয়টিতে ১৩০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন চারজন। আগে প্রতিদিন ক্লাসে উপস্থিত থাকত ৬০ থেকে ৬৫ জন শিক্ষার্থী। তাই শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করতে তিন বছর আগে প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম এ উদ্যোগ নেন।
বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী বলে, ‘প্রতিদিন সকালে আমরা বাসা থেকে মুড়ি-চিড়া খেয়ে স্কুলে আসি। দুপুরে স্যারেরা বিস্কুট, পাউরুটি, কলা, ডিমসহ নানা রকম পুষ্টিকর খাবার দেয়। এসব খাইলে ক্ষিধা থাকে না। এ ছাড়া মাসে দুদিন খিচুড়ি ও ভাত দেয়।’
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে, ‘ক্লাস শেষে টিফিনের সময় আমরা সবাই একসঙ্গে বিদ্যালয়ে খাবার খাই। একই কলার পাতায় একসঙ্গে একই ধরনের খাবার খেতে আমাদের বেশ ভালো লাগে।’
এ বিষয়ে শিক্ষিকা রোজিনা আক্তার বলেন, আগে অর্ধেকেরও বেশি শিক্ষার্থী স্কুলে ঠিকমতো আসত না। আবার এলেও দুপুরের পর থাকত না। স্কুলে দুপুরের খাবার কার্যক্রম চালু হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা ক্লাসে নিয়মিত থাকছে। এখন উপস্থিত প্রায় ৯৮ শতাংশ।
বানেসা খাতুন নামে আরেক শিক্ষিকা বলেন, এই কার্যক্রম চালু হওয়ার পর থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে একধরনের উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। ফলে শিশুরা দল বেঁধে প্রতিদিন স্কুলে আসছে।
শ্রীমতি রানী ও বাসেদ বর্মণ নামে দুই অভিভাবক বলেন, ‘অনেক সময় আমরা বাড়ি থেকে চাল ও সবজি বিদ্যালয়ে নিয়ে যাই। বিদ্যালয়ে রান্নার জন্য নির্ধারিত বাবুর্চিকেও সহযোগিতা করি। আমাদের সন্তানেরা দুপুরে বিদ্যালয় থেকে নিয়মিত খাবার খেতে পারে। এতে তাদের মন যেমন ভালো থাকে, লেখাপড়াও ভালো হয়।’
বিদ্যালয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নসহ ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, ‘উপজেলার তারবাগান দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকা। এখানকার অধিকাংশই খেটে খাওয়া মানুষ। অভাব-অনটনের কারণে অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে খুব একটা হাজির হতো না। বিষয়টি আমাকে ভাবনায় ফেলে। পরে নিজেই বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল চালুর উদ্যোগ নেই। আমার এ কাজে এগিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবকেরা।’
এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার মুনছুর রহমান বলেন, তারবাগান গুচ্ছগ্রাম বিদ্যালয়ে যে মিড ডে মিল চালু রয়েছে তা একটি দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ। অন্য বিদ্যালয়েও এমন পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া একসঙ্গে এভাবে খাবার খাওয়ার ফলে শিশুরা ভ্রাতৃত্ববোধ ও সহমর্মিতা শিখছে। এতে শিশুর পুষ্টিহীনতা, সুস্বাস্থ্য বেড়ে ওঠার পাশাপাশি তাদের মধ্যে মানবিকতার শিক্ষা ছড়িয়ে পড়ছে।
ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ১টা ৩০ মিনিট। বিরতির ঘণ্টা বেজে উঠল এবং বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ছেড়ে হই-হুল্লোড় করে দৌড়ে স্কুলমাঠে ছুটে আসে খুদে শিক্ষার্থীরা। তাদের পেছনে পেছনে কলার পাতা হাতে নিয়ে মাঠে আসেন কয়েকজন শিক্ষক। এরপর খোলা আকাশের নিচে সবুজ ঘাসের ওপর বিছিয়ে দেওয়া হয় সেই পাতা। কিছুক্ষণ পরে কলাপাতা সামনে নিয়ে সারিবদ্ধভাবে লাইনে বসে পড়ে শিক্ষার্থীরা। শুরু করা হয় কলার পাতায় দুপুরের খাবার দেওয়া।
আজ রোববার দুপুরে এমন দৃশ্যের দেখা মেলে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার তারবাগান গুচ্ছগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সরকারি সহায়তা ছাড়াই গত তিন বছর ধরে এভাবেই ‘মিড ডে মিল’ চালু রেখেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি যেমন বেড়েছে, তেমনি দুপুরের খাবার পেয়ে খুশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
জানা গেছে, ১৯৯২ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ২০১৩ সালে জাতীয়করণ করা হয়। বিদ্যালয়টিতে ১৩০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন চারজন। আগে প্রতিদিন ক্লাসে উপস্থিত থাকত ৬০ থেকে ৬৫ জন শিক্ষার্থী। তাই শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করতে তিন বছর আগে প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম এ উদ্যোগ নেন।
বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী বলে, ‘প্রতিদিন সকালে আমরা বাসা থেকে মুড়ি-চিড়া খেয়ে স্কুলে আসি। দুপুরে স্যারেরা বিস্কুট, পাউরুটি, কলা, ডিমসহ নানা রকম পুষ্টিকর খাবার দেয়। এসব খাইলে ক্ষিধা থাকে না। এ ছাড়া মাসে দুদিন খিচুড়ি ও ভাত দেয়।’
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে, ‘ক্লাস শেষে টিফিনের সময় আমরা সবাই একসঙ্গে বিদ্যালয়ে খাবার খাই। একই কলার পাতায় একসঙ্গে একই ধরনের খাবার খেতে আমাদের বেশ ভালো লাগে।’
এ বিষয়ে শিক্ষিকা রোজিনা আক্তার বলেন, আগে অর্ধেকেরও বেশি শিক্ষার্থী স্কুলে ঠিকমতো আসত না। আবার এলেও দুপুরের পর থাকত না। স্কুলে দুপুরের খাবার কার্যক্রম চালু হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা ক্লাসে নিয়মিত থাকছে। এখন উপস্থিত প্রায় ৯৮ শতাংশ।
বানেসা খাতুন নামে আরেক শিক্ষিকা বলেন, এই কার্যক্রম চালু হওয়ার পর থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে একধরনের উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। ফলে শিশুরা দল বেঁধে প্রতিদিন স্কুলে আসছে।
শ্রীমতি রানী ও বাসেদ বর্মণ নামে দুই অভিভাবক বলেন, ‘অনেক সময় আমরা বাড়ি থেকে চাল ও সবজি বিদ্যালয়ে নিয়ে যাই। বিদ্যালয়ে রান্নার জন্য নির্ধারিত বাবুর্চিকেও সহযোগিতা করি। আমাদের সন্তানেরা দুপুরে বিদ্যালয় থেকে নিয়মিত খাবার খেতে পারে। এতে তাদের মন যেমন ভালো থাকে, লেখাপড়াও ভালো হয়।’
বিদ্যালয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নসহ ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, ‘উপজেলার তারবাগান দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকা। এখানকার অধিকাংশই খেটে খাওয়া মানুষ। অভাব-অনটনের কারণে অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে খুব একটা হাজির হতো না। বিষয়টি আমাকে ভাবনায় ফেলে। পরে নিজেই বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল চালুর উদ্যোগ নেই। আমার এ কাজে এগিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবকেরা।’
এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার মুনছুর রহমান বলেন, তারবাগান গুচ্ছগ্রাম বিদ্যালয়ে যে মিড ডে মিল চালু রয়েছে তা একটি দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ। অন্য বিদ্যালয়েও এমন পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া একসঙ্গে এভাবে খাবার খাওয়ার ফলে শিশুরা ভ্রাতৃত্ববোধ ও সহমর্মিতা শিখছে। এতে শিশুর পুষ্টিহীনতা, সুস্বাস্থ্য বেড়ে ওঠার পাশাপাশি তাদের মধ্যে মানবিকতার শিক্ষা ছড়িয়ে পড়ছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে কলেজ কর্তৃপক্ষের আয়োজনে বিদায়ী শিক্ষার্থীদের জন্য দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি দুপুর ১২টার মধ্যে শেষ হয়ে যায়। তবে পরে কিছু শিক্ষার্থী নিজেদের উদ্যোগে সাউন্ড সিস্টেম এনে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার আয়োজন করে। বিতর্কিত ভিডিওটি সেখান থেকেই ছড়িয়ে পড়ে বলে জানা গেছে।
২ মিনিট আগেবাদীর ভাই জাফর হোসেনসহ আরও কয়েকজন বর্তমানে রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন। তাঁরা এখন একটি বাংকারে অবস্থান করছেন। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনালের বিচারক ড. মো. আতোয়ার রহমান তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী...
৩২ মিনিট আগেওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে পরীক্ষা বর্জন করে দুপুরে কলেজমাঠে ফুটবল খেলেন। পরে ছয়-সাতজন বন্ধু মিলে পদ্মা নদীর ধলারমোড়ের চরে গিয়ে আবারও ফুটবল খেলেন এবং শেষে গোসলে নামেন। এ সময় স্রোতে ভেসে যান মারুফ। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে তামিমও স্রোতের তোড়ে তলিয়ে যান।
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনের পর থেকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য উপকমিটির সদস্য হাসিবুল্লাহ ও মাসুম বিল্লাহর মধ্যে মতবিরোধ শুরু হয়। সেই দ্বন্দ্বের সূত্র ধরে আজ বুধবার এনসিপির কর্মিসভা শুরুর আগেই হামলার ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে