Ajker Patrika

সৈয়দপুরে ভিজিডি কার্ডের চাল আত্মসাতের অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ এপ্রিল ২০২৩, ১৬: ৩৫
সৈয়দপুরে ভিজিডি কার্ডের চাল আত্মসাতের অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে

দুস্থ মহিলা উন্নয়ন কর্মসূচির (ভিজিডি) কার্ডের চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে খাতামধুপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। অমিতা রানী নামে স্থানীয় একজন নারী এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য ও তাঁর স্বামী কিছু জানানে না বলে দাবি করেছেন। তবে স্থানীয় প্রশাসন বলছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

অভিযুক্তেরা হলেন—ওয়ার্ড সদস্য দয়ারানী এবং তাঁর স্বামী অধীর কুমার। সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের যক্ষ্মা ও কুষ্ঠ রোগ বিষয়ক কর্মী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন অধীর কুমার। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রাখালপাড়া এলাকার অমল চন্দ্রের স্ত্রী অমিতা রানী। অমল চন্দ্র সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে এক বছর ধরে শয্যাশায়ী। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম অসুস্থ থাকায় ৫ সদস্যের পুরো পরিবার অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করায় অমিতা রানী একটি ভিজিডি কার্ড করে দেওয়ার আবদার করেন ওয়ার্ড সদস্য দয়ারানীর কাছে। এ সময় দয়ারানীর স্বামী অধীর কুমার অমিতা রানীর কাছে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে ভোটে কর্মী হওয়ার সুবাদে অমিতা রানী ১ হাজার টাকা দেন এবং তাঁর নামে কার্ডটি হয়। তবে দয়ারানী কার্ড দিতে গড়িমসি করেন। কার্ডটি কখনো চেয়ারম্যানের কাছে, কখনো উপজেলায় আটকে রয়েছে বলে জানান। 

এরই মধ্যে গত ২ এপ্রিল (রোববার) ভিজিডির চাল বিতরণ করা হয়েছে খবর পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে জানতে পারেন, তাঁর নামের কার্ড দিয়ে চাল তোলা হয়েছে। তবে কে বা কারা চাল নিয়ে গেছেন সে তথ্য কেউ জানেন না।

অভিযোগকারী অমিতা রানী আজকের পত্রিকাকে জানান, কার্ড আর চালের বিষয়ে দয়ারানী ও তাঁর স্বামী অধীর কুমারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা অমিতা রানীকে জানান, তিনি কার্ড পাবেন কিন্তু এবারের চাল পাবে না। তবে কেন চাল পাবেন না জানতে চাইলে তাকে জবাব দেওয়া হয়নি। পরে বিষয়টি প্রথমে তিনি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানান এবং চেয়ারম্যান এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

এ দিকে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে ইউপি সদস্য দয়ারানী বলেন, ‘অমিতা রানী নামে আমরা কাউকে চিনিনা। এ নামে কোনো কার্ড নেই। যার কথা বলছেন-তিনি আসলে শান্তি রানী। শান্তি রানী নামের একজনের কার্ড থেকে চাল তোলা হয়েছে। আর অমিতা রানীর কার্ড সম্পর্কে আমরা কিছু জানি না। টাকা নেওয়ারও কোনো প্রশ্নই আসেনা। আর তাঁর চাল কে তুলেছে তাও বলতে পারব না। কার্ড হয়ে থাকলে সে পাবে, এতে আমাদের কী?’ 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল রায়হান বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হবে এবং সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইস্পাহানে বাংকার বাস্টার মারেনি যুক্তরাষ্ট্র, অক্ষত ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম

বাবুই পাখির কান্না কেউ শুনল না, কেটে ফেলা হলো তালগাছটি

ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ভারতের সংসদীয় কমিটির দীর্ঘ বৈঠক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা: নান্দাইলে সাবেক এমপি-মন্ত্রীকন্যার বিরুদ্ধে মামলা

গোষ্ঠীস্বার্থে বহু মানুষের স্বপ্ন নষ্ট করেছে এই প্ল্যাটফর্ম: দায়িত্ব ছেড়ে উমামা ফাতেমার পোস্ট

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত