Ajker Patrika

নীলফামারীতে এক দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ

জসিম উদ্দিন, নীলফামারী
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮: ০৩
নীলফামারীতে এক দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ

ভারত গতকাল শুক্রবার এক আদেশে চার মাসের জন্য পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। রপ্তানি বন্ধের খবর গণমাধ্যমে প্রচারের পর বাজারে বেড়েছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। নীলফামারীর পাইকারি বাজারেই আজ শনিবার এক দিনের ব্যবধানে কেজিতে ৭০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আর খুচরা বাজারে তা দ্বিগুণ দরে বেচাকেনা চলছে।

আজ সকালে নীলফামারী জেলার বৃহৎ পাইকারি বাজার সৈয়দপুর পৌর সবজি মার্কেটে গিয়ে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, পাইকারি এ বাজারে ভারতীয় ও দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি পর্যন্ত; যা গতকাল সকালে বিক্রি হয়েছিল ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি। অপর দিকে জেলার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২১০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গতকালের চেয়ে দ্বিগুণ দরে কিনছে ভোক্তারা।

সৈয়দপুরের একজন আমদানিকারক বলেন, মূলত দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে ভারত সরকার আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে। আর এ খবর প্রকাশের পরই সাধারণ ব্যবসায়ীরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেন।

পাইকারি বাজারে কথা হয় সৈয়দপুর শহরের রসুলপুরের আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে। তিনি ঠিকাদারি একটি প্রতিষ্ঠানে অল্প বেতনে চাকরি করেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার খবর পেয়ে সকালে এই পাইকারি বাজারে ছুটে এসেছি কিছু পেঁয়াজ কিনব বলে। এসে দেখি গত দিনের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে।’ 

শহরের রেলওয়ে বাজারে খুচরা দোকানে পেঁয়াজ কিনতে আসা ট্রাকচালক মোতাহার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম ১১০ থেকে ২১০ টাকায় বৃদ্ধি পাওয়ায় সাপ্তাহিক বাজারের তালিকা পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে তালিকার অন্য সবজি বাদ দিতে হচ্ছে।’ তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর ব্যাপারে খুবই দক্ষ। কোনো একটা ঘোষণা আসার আগেই অটো দাম বেড়ে যায়। ভারত কাল ঘোষণা দিয়েছে, তাই বলে সঙ্গে সঙ্গে দাম বাড়িয়ে ফেলতে হবে!’

পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে সৈয়দপুর পৌর পাইকারি সবজি বাজারের আড়তদার বাঁধন ট্রেডার্সের মালিক কবিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভারত থেকে বেশি দামেই পেঁয়াজ আনতে হচ্ছে। যার কারণে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেশি। আবার ভারত আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করেছে, তাহলে তো পেঁয়াজের বাজারে আরও অস্থিরতা তৈরি হবে। তবে আগামী ১৫ দিন পরই বাজারে নতুন পেঁয়াজ চলে আসবে, আশা করি তখন পেঁয়াজের দাম কমে যাবে।’

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নীলফামারীর সহকারী পরিচালক সামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে গতকাল শুক্রবার মহাপরিচালকের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শনিবার থেকে অভিযান শুরু করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত