মেহেদী হাসান, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)
দরিদ্রদের জীবনেও ঈদুল আজহা আসে। তবে তাদের ঈদ একটু ভিন্ন। পশু কোরবানি দেওয়ার সাধ্য নেই তাঁদের। কোরবানির ঈদের জন্য অপেক্ষা করেন অনেক দরিদ্র মানুষ। এক দিন মাংস-ভাত খাওয়ার ইচ্ছা পূরণ করতে সারা দিন বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার বাড়ি বাড়ি গিয়ে দুই-এক টুকরো করে মাংস সংগ্রহ করেন তাঁরা। এ কাজে বয়স্ক বৃদ্ধ-নারী-পুরুষের সঙ্গে শিশুদেরও দেখা যায়।
আজ শনিবার ঈদের দিন দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার পৌরসভা এলাকায় বিভিন্ন বাড়ির সামনে ব্যাগ হাতে অনেককেই ভিড় করতে দেখা যায়। যেসব বাড়িতে পশু কোরবানি হয়েছে, তাঁরা শুধু তাঁদের কাছে এক টুকরো মাংস চান। ফিরিয়ে দিলেও এসব দরিদ্র মানুষ বারবার হাত বাড়িয়ে যতটুকু সম্ভব মাংস দিতে আকুতি জানান।
কোরবানির মাংসের আশায় ঈদের সকালে খয়েরবাড়ী আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে পৌরসভা এলাকায় আসেন আসমা বেগম, অমিছা বেগম, নাসরিন বেগমসহ অনেকেই। অলিগলিতে পশু কোরবানির পর কোরবানিদাতারা যখন মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণে ব্যস্ত, তখন এক দুই-টুকরো মাংসের আশায় বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ দল বেঁধে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করেন তাঁরা। অনেক সময় মাংস সংগ্রহ করতে গিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্যের শিকার হন কেউ কেউ।
আসমা বেগম বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। কোরবানির ঈদে আমাদের একটা হক আছে। কিন্তু বড়লোক মানুষ অনেকেই এটা মানতে চায় না। বাড়ির সামনে গেলে ফিরিয়ে দেয়। আবার কখনো কেউ ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়।’
আসমা বলেন, ‘মাংসের দাম বেশি। তাই সরা বছর গরুর মাংস কেনার সামর্থ্য হয় না। আমরাও মানুষ। আমাদেরও খেতে ইচ্ছে করে। তাই এক টুকরো মাংসের আশায় ঈদের দিনে ব্যাগ নিয়ে শহরে এসেছি।’
অমিছা বেগম বলেন, ‘সেই সকালে বাড়ি থেকে রওনা দিয়ে শহরে এসেছি। বাবা দুই-এক টুকরো মাংসের আশায়। আমাদের পশু কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য নেই। বিত্তবান মানুষের কাছ থেকে চেয়ে নিয়ে বছরের একটা দিন খেতে পারি।’
নাসরিন বেগম বলেন, ‘আমি আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকি। অন্যের বাড়িতে কাজ করে পাওয়া সামান্য টাকায় সংসার চলে। মাংস খাওয়া কি আমাদের ভাগ্যে আছে। এই কোরবানির ঈদে অপেক্ষায় থাকি। মাংস সংগ্রহ করে স্বামী-সন্তানকে নিয়ে একবেলা খাব।’
মাংস সংগ্রহ করতে এসে ছামছুল মিয়া বলেন, ‘বড়লোকদের দরজার সামনে গেলে তাঁরা অনেকে মাংস দিতে চান না। কেউ কেউ মাংস নেই বলে আমাদের ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন।’
পরিবারের বড়দের সঙ্গে আসা আট বছরের শিশু শেফালি বলে, ‘এখন পর্যন্ত এক কেজি মাংস পেয়েছি। দেখি আর কতটুকু পাওয়া যায়। এই মাংস বাড়িতে নিয়ে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে এক বেলা মজা করে ভাত খেতে পারব।’
আরিফুল ইসলাম নামের আরেক শিশু বলে, ‘আমরা যেখানে ভালোভাবে এক বেলা খেতেই পাই না, সেখানে গরুর মাংস খাওয়া তো স্বপ্নের ব্যাপার। মাংস সংগ্রহ করতে এসেছি। যা পাব, বাড়িতে নিয়ে মা-বাবাকে নিয়ে একবেলা খাব।’
ফুলবাড়ী মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আজিজুল হক সরকার বলেন, ‘অনেক দরিদ্র মানুষ সারা বছর কোরবানির ঈদের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। নুন আনতে যাদের পান্তা ফুরায়, মাংস কেনা যাদের কাছে বিলাসিতা, এই কোরবানি ঈদে তাদের স্বপ্ন জাগে এক বেলা গরুর মাংস দিয়ে ভাত খাওয়ার। তাই একটু সহানুভূতি দেখিয়ে কোরবানির পশুর মাংসের একটি অংশ এসব মানুষকে দেওয়া উচিত।’
দরিদ্রদের জীবনেও ঈদুল আজহা আসে। তবে তাদের ঈদ একটু ভিন্ন। পশু কোরবানি দেওয়ার সাধ্য নেই তাঁদের। কোরবানির ঈদের জন্য অপেক্ষা করেন অনেক দরিদ্র মানুষ। এক দিন মাংস-ভাত খাওয়ার ইচ্ছা পূরণ করতে সারা দিন বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার বাড়ি বাড়ি গিয়ে দুই-এক টুকরো করে মাংস সংগ্রহ করেন তাঁরা। এ কাজে বয়স্ক বৃদ্ধ-নারী-পুরুষের সঙ্গে শিশুদেরও দেখা যায়।
আজ শনিবার ঈদের দিন দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার পৌরসভা এলাকায় বিভিন্ন বাড়ির সামনে ব্যাগ হাতে অনেককেই ভিড় করতে দেখা যায়। যেসব বাড়িতে পশু কোরবানি হয়েছে, তাঁরা শুধু তাঁদের কাছে এক টুকরো মাংস চান। ফিরিয়ে দিলেও এসব দরিদ্র মানুষ বারবার হাত বাড়িয়ে যতটুকু সম্ভব মাংস দিতে আকুতি জানান।
কোরবানির মাংসের আশায় ঈদের সকালে খয়েরবাড়ী আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে পৌরসভা এলাকায় আসেন আসমা বেগম, অমিছা বেগম, নাসরিন বেগমসহ অনেকেই। অলিগলিতে পশু কোরবানির পর কোরবানিদাতারা যখন মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণে ব্যস্ত, তখন এক দুই-টুকরো মাংসের আশায় বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ দল বেঁধে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করেন তাঁরা। অনেক সময় মাংস সংগ্রহ করতে গিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্যের শিকার হন কেউ কেউ।
আসমা বেগম বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। কোরবানির ঈদে আমাদের একটা হক আছে। কিন্তু বড়লোক মানুষ অনেকেই এটা মানতে চায় না। বাড়ির সামনে গেলে ফিরিয়ে দেয়। আবার কখনো কেউ ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়।’
আসমা বলেন, ‘মাংসের দাম বেশি। তাই সরা বছর গরুর মাংস কেনার সামর্থ্য হয় না। আমরাও মানুষ। আমাদেরও খেতে ইচ্ছে করে। তাই এক টুকরো মাংসের আশায় ঈদের দিনে ব্যাগ নিয়ে শহরে এসেছি।’
অমিছা বেগম বলেন, ‘সেই সকালে বাড়ি থেকে রওনা দিয়ে শহরে এসেছি। বাবা দুই-এক টুকরো মাংসের আশায়। আমাদের পশু কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য নেই। বিত্তবান মানুষের কাছ থেকে চেয়ে নিয়ে বছরের একটা দিন খেতে পারি।’
নাসরিন বেগম বলেন, ‘আমি আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকি। অন্যের বাড়িতে কাজ করে পাওয়া সামান্য টাকায় সংসার চলে। মাংস খাওয়া কি আমাদের ভাগ্যে আছে। এই কোরবানির ঈদে অপেক্ষায় থাকি। মাংস সংগ্রহ করে স্বামী-সন্তানকে নিয়ে একবেলা খাব।’
মাংস সংগ্রহ করতে এসে ছামছুল মিয়া বলেন, ‘বড়লোকদের দরজার সামনে গেলে তাঁরা অনেকে মাংস দিতে চান না। কেউ কেউ মাংস নেই বলে আমাদের ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন।’
পরিবারের বড়দের সঙ্গে আসা আট বছরের শিশু শেফালি বলে, ‘এখন পর্যন্ত এক কেজি মাংস পেয়েছি। দেখি আর কতটুকু পাওয়া যায়। এই মাংস বাড়িতে নিয়ে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে এক বেলা মজা করে ভাত খেতে পারব।’
আরিফুল ইসলাম নামের আরেক শিশু বলে, ‘আমরা যেখানে ভালোভাবে এক বেলা খেতেই পাই না, সেখানে গরুর মাংস খাওয়া তো স্বপ্নের ব্যাপার। মাংস সংগ্রহ করতে এসেছি। যা পাব, বাড়িতে নিয়ে মা-বাবাকে নিয়ে একবেলা খাব।’
ফুলবাড়ী মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আজিজুল হক সরকার বলেন, ‘অনেক দরিদ্র মানুষ সারা বছর কোরবানির ঈদের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। নুন আনতে যাদের পান্তা ফুরায়, মাংস কেনা যাদের কাছে বিলাসিতা, এই কোরবানি ঈদে তাদের স্বপ্ন জাগে এক বেলা গরুর মাংস দিয়ে ভাত খাওয়ার। তাই একটু সহানুভূতি দেখিয়ে কোরবানির পশুর মাংসের একটি অংশ এসব মানুষকে দেওয়া উচিত।’
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বন্য প্রাণীদের নিরাপদে বিচরণের জন্য ২০২৩ সালে ট্রেন ও সড়কপথে যানবাহনের গতিসীমা ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে কর্তৃপক্ষ। তবে সেই নির্দেশনা শুধু কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ। কেউই তা মেনে চলছে না।
৩ মিনিট আগেগাইবান্ধার মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্প নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে ‘অঙ্কুরেই বিনষ্ট’ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রথম কিস্তিতে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ২টি প্রদর্শনী প্রকল্পে ৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ
১ ঘণ্টা আগেনগদ টাকার সঙ্গে ঘুষ হিসেবে ঘুমানোর জন্য খাট নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল হুদা তালুকদারের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া ঘুষ আদায় করতে উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের নিয়ে তৈরি করেছেন সিন্ডিকেট।
২ ঘণ্টা আগেস্থানীয়রা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকারের অনুসারীরা ২০ জুন বিকেলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। তারই জের ধরে ২১ জুন রাতে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে আব্দুল কুদ্দুসকে (৬০) কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগে