Ajker Patrika

নতুন কার্ড এল ৭০০০ দুশ্চিন্তায় ৩৪০০০

  • আগের তালিকাভুক্ত পরিবারের সংখ্যা ৪১ হাজার।
  • স্মার্ট কার্ড পেয়েছে মাত্র ৭ হাজার ৩৪৯ পরিবার।
  • বাকিরা কার্ড পাবেন কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮: ২৩
নতুন কার্ড এল ৭০০০ দুশ্চিন্তায় ৩৪০০০

রংপুরের মিঠাপুকুরে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু পূর্বের তালিকাভুক্ত বেশির ভাগ পরিবার এখনো টিসিবির স্মার্ট কার্ড পাননি। এ দিকে রোজার আছে আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। এ সময়ে কার্ড না পাওয়ায় টিসিবির সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছেন পূর্বের কার্ডধারীরাও। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল বুধবার পর্যন্ত পূর্ব তালিকাভুক্ত ৪১ হাজার পরিবারের মধ্যে মাত্র ৭ হাজার ৩৪৯টি পরিবারকে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ন্যায্যমূল্যে খাদ্যসামগ্রী বিক্রির জন্য টিসিবির আওতায় এ উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে ৪১ হাজার পরিবারকে সেবা কার্ড দেওয়া হয়েছিল। টিসিবির সেবা কার্ডের মাধ্যমে সুবিধাভোগীরা প্রতি মাসে ৩০ টাকা দরে ৫ কেজি চাল, ১০০ টাকা দরে ২ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ও ৬০ টাকা দরে ২ কেজি মসুর ডাল কিনতে পারতেন।

একাধিক সুবিধাভোগী জানান, গত নভেম্বর মাসে অনলাইন করার কথা বলে সুবিধাভোগীদের নিকট থেকে টিসিবির সেবা কার্ড ইউনিয়ন পরিষদে জমা নেওয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শফিকুল ইসলাম জানান, টিসিবির সাধারণ কার্ডগুলো যাচাই-বাছাই করে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডে পরিণত করার জন্য টিসিবির কার্ড জমা নিয়ে অনলাইন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সাধারণ সেবা কার্ডের পরিবর্তে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া শুরু করা হয়েছে।

স্মার্ট কার্ড পাওয়া দুলহাপুর গ্রামের মো. মঞ্জু জানান, তিনি গত সোমবার জানুয়ারি মাসের পণ্যসামগ্রী পেয়েছেন। জানুয়ারি মাসের বরাদ্দে ছিল দুই লিটার তেল, মসুর ডাল ২ কেজি, চাল ৫ কেজি ও চিনি ১ কেজি।

পূর্বের তালিকাভুক্ত একাধিক সুবিধাভোগী জানান, তাঁরা এখনো স্মার্ট কার্ড পাননি।

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার চিথলী দক্ষিণপাড়া গ্রামের খোরশেদ আলম জানান, তিনি অনলাইন করার জন্য টিসিবির কার্ড ইউনিয়ন পরিষদে জমা দিয়েছিলেন কিন্তু এখনো স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড পাননি।

একই গ্রামের রিকশা শ্রমিক মিজানুর রহমান বলেন, ‘হামরা (আমরা) টিসিবির স্মার্ট কার্ড পামো (পাবো) কি না কিছুই তো বুজবার পাওছি না। অন লাইন করার জন্য ৫০টা ট্যাকাও দিছনু।’

কাশিপুর গ্রামের আইনুল কবির বলেন, ‘আমি টিসিবির সেবা ছাড়া সরকারের আর কোনো সহায়তা পাই না। তারপরও আমার স্মার্ট কার্ডটি পেলাম না।’ উপজেলা সদর বাজারের অর্পনা রানী জানান, সয়াবিন তেলের জন্যই টিসিবির সেবা কার্ড নিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডটি এখনো হাতে পৌঁছেনি।

কৃষ্ণ পুর গ্রামের ইমারত শ্রমিক আলমগীর জানান, তিনি তিন দিন ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে খোঁজ করেছেন কিন্তু কার্ড না পাওয়ায় জানুয়ারী মাসের পণ্য সামগ্রী ওঠাতে পারেননি।

এ দিকে যাচাই-বাছাই করে মোট কতজনকে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে তা নিশ্চিত করে কেউই বলতে পারছেন না। তবে দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জানান, তাঁর ইউনিয়নে টিসিবি কার্ডের সুবিধাভোগী ছিলেন ৪ হাজার ৪০১টি পরিবার। অনলাইন করার পর বুধবার পর্যন্ত মাত্র ১ হাজার ৩৮৬টি পরিবারকে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হয়েছে।

পায়রাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব শাহাদত হোসেন জানান, তাঁর ইউনিয়নে পায়রাবন্দে টিসিবির আওতায় ছিলেন ২ হাজার ৬৩৯ পরিবার। যাচাই-বাছাইয়ের পর মাত্র ৬৫৩টি স্মার্ট কার্ড বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তিনি জানান ইতোমধ্যে ৪৭২টি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।

স্মার্ট কার্ডের সংখ্যা প্রসঙ্গে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাহবুব হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ যাবৎ ৭ হাজার ৩৪৯টি স্মার্ট কার্ড পাওয়া গেছে। যাচাই-বাছাই চলছে। তবে আরও স্মার্ট কার্ড পাওয়া যেতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত