গাইবান্ধা ও পলাশবাড়ী প্রতিনিধি
সম্পদের ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বাড়ির উঠানে দুই দিন ধরে পড়ে ছিল গণপূর্তের সাবেক হেড ক্লার্ক নিঃসন্তান মোতাহার আলী মুন্সির (৭০) লাশ। দফায় দফায় বৈঠক শেষে ৬০ লাখ টাকার চেক হাতে পেয়ে লাশ দাফন করতে দেন তাঁর ভাই-ভাতিজারা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে জানাজা শেষে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের সাকোয়া মাঝিপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মোতাহার আলী মুন্সি ওই গ্রামের মৃত ছামসুল হক মুন্সির ছেলে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মৃতের স্বজন ও গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোতাহার আলী মুন্সি ও তাঁর স্ত্রী মাসুমা বেগম নিঃসন্তান ছিলেন। তবে তাঁদের একজন এক পালিত মেয়ে রয়েছে। গণপূর্ত বিভাগে চাকরির সুবাদে ঢাকার কলাবাগান এলাকায় বসবাস করতেন মোতাহার আলী। সেখানে দীর্ঘদিন আগে তিনি ৫৯ শতক জমি কেনেন। সম্প্রতি সেই জমি ২ কোটি ১৮ লাখ টাকায় বিক্রি করেন।
এদিকে মোতাহার আলী দীর্ঘদিন ধরে অ্যাজমাসহ ক্যানসারে ভুগছিলেন। গত বুধবার ভোরে রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। ওই দিনই তাঁর স্ত্রী মাসুমা বেগম, পালিত মেয়ে মার্জিয়া (১৫) ও স্ত্রীর বড় ভাই নূরুল ইসলাম কাজী দাফনের জন্য লাশ নিয়ে সন্ধ্যায় গ্রামের বাড়ি পৌঁছান। এরপর মৃতের ভাই-বোন-ভাতিজারা সম্পদের ভাগ-বাঁটোয়ারা ছাড়া লাশ দাফনে বাধা দেন।
দুই দিন ধরে দফায় দফায় দেনদরবার শেষে মোতাহার আলীর স্ত্রী মাসুমা বেগম জনতা ব্যাংক গাইবান্ধা শাখার অনুকূলে ৬০ লাখ টাকার চেকসহ মুচলেকা দেওয়ার পর লাশ দাফন করতে দেওয়া হয়।
মৃতের আপন ছোট ভাই নজরুল ইসলাম মুন্সি বলেন, তারা লাশ নিয়ে এলেও সঙ্গে চেক নিয়ে আসেনি। পরে ঢাকা থেকে চেক নিয়ে আসার কারণে লাশ দাফনে দেরি হয়েছে।
মোতাহার আলীর জ্যাঠাতো ভাই সেকেন্দার আলী মুন্সি, ভাতিজা মানিক দাবি করেন, মোতাহার আলী মুন্সির এলাকায় কিছু ঋণ ছিল। এ ছাড়া তিনি জীবিত থাকতে এলাকায় মসজিদ-মাদ্রাসায় টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি করেছিলেন। সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে লাশ দাফনে কিছুটা দেরি হয়েছে।
মৃতের স্ত্রী মাসুমা বেগম বলেন, তাঁর স্বামী মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মাণের জন্য ১৫-২০ লাখ টাকা দানের অসিয়ত করে গেছেন।
স্থানীয় বেতকাপা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও পলাশবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহফুজ আলম রাত ১০টার দিকে লাশ দাফনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ বিষয়ে বেতকাপা ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিঃসন্তান মোতাহার আলীর ভাই-ভাতিজার আপত্তির কারণে লাশ বাড়ির উঠানে ছিল। মূলত মোতাহার আলীর দেনাপাওনা এবং সম্পদ বিক্রির প্রায় ২ কোটি টাকা নিয়ে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ায় পরিবারের লোকজন। শেষে ৬০ লাখ টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিলে জানাজা শেষে লাশ দাফন করা হয়।
লাশ দাফনের কিছুক্ষণ পরই পালিত মেয়েকে নিয়ে মোতাহার আলীর স্ত্রী মাসুমা বেগম ঢাকা ফিরে যান।
সম্পদের ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বাড়ির উঠানে দুই দিন ধরে পড়ে ছিল গণপূর্তের সাবেক হেড ক্লার্ক নিঃসন্তান মোতাহার আলী মুন্সির (৭০) লাশ। দফায় দফায় বৈঠক শেষে ৬০ লাখ টাকার চেক হাতে পেয়ে লাশ দাফন করতে দেন তাঁর ভাই-ভাতিজারা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে জানাজা শেষে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের সাকোয়া মাঝিপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মোতাহার আলী মুন্সি ওই গ্রামের মৃত ছামসুল হক মুন্সির ছেলে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মৃতের স্বজন ও গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোতাহার আলী মুন্সি ও তাঁর স্ত্রী মাসুমা বেগম নিঃসন্তান ছিলেন। তবে তাঁদের একজন এক পালিত মেয়ে রয়েছে। গণপূর্ত বিভাগে চাকরির সুবাদে ঢাকার কলাবাগান এলাকায় বসবাস করতেন মোতাহার আলী। সেখানে দীর্ঘদিন আগে তিনি ৫৯ শতক জমি কেনেন। সম্প্রতি সেই জমি ২ কোটি ১৮ লাখ টাকায় বিক্রি করেন।
এদিকে মোতাহার আলী দীর্ঘদিন ধরে অ্যাজমাসহ ক্যানসারে ভুগছিলেন। গত বুধবার ভোরে রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। ওই দিনই তাঁর স্ত্রী মাসুমা বেগম, পালিত মেয়ে মার্জিয়া (১৫) ও স্ত্রীর বড় ভাই নূরুল ইসলাম কাজী দাফনের জন্য লাশ নিয়ে সন্ধ্যায় গ্রামের বাড়ি পৌঁছান। এরপর মৃতের ভাই-বোন-ভাতিজারা সম্পদের ভাগ-বাঁটোয়ারা ছাড়া লাশ দাফনে বাধা দেন।
দুই দিন ধরে দফায় দফায় দেনদরবার শেষে মোতাহার আলীর স্ত্রী মাসুমা বেগম জনতা ব্যাংক গাইবান্ধা শাখার অনুকূলে ৬০ লাখ টাকার চেকসহ মুচলেকা দেওয়ার পর লাশ দাফন করতে দেওয়া হয়।
মৃতের আপন ছোট ভাই নজরুল ইসলাম মুন্সি বলেন, তারা লাশ নিয়ে এলেও সঙ্গে চেক নিয়ে আসেনি। পরে ঢাকা থেকে চেক নিয়ে আসার কারণে লাশ দাফনে দেরি হয়েছে।
মোতাহার আলীর জ্যাঠাতো ভাই সেকেন্দার আলী মুন্সি, ভাতিজা মানিক দাবি করেন, মোতাহার আলী মুন্সির এলাকায় কিছু ঋণ ছিল। এ ছাড়া তিনি জীবিত থাকতে এলাকায় মসজিদ-মাদ্রাসায় টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি করেছিলেন। সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে লাশ দাফনে কিছুটা দেরি হয়েছে।
মৃতের স্ত্রী মাসুমা বেগম বলেন, তাঁর স্বামী মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মাণের জন্য ১৫-২০ লাখ টাকা দানের অসিয়ত করে গেছেন।
স্থানীয় বেতকাপা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও পলাশবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহফুজ আলম রাত ১০টার দিকে লাশ দাফনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ বিষয়ে বেতকাপা ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিঃসন্তান মোতাহার আলীর ভাই-ভাতিজার আপত্তির কারণে লাশ বাড়ির উঠানে ছিল। মূলত মোতাহার আলীর দেনাপাওনা এবং সম্পদ বিক্রির প্রায় ২ কোটি টাকা নিয়ে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ায় পরিবারের লোকজন। শেষে ৬০ লাখ টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিলে জানাজা শেষে লাশ দাফন করা হয়।
লাশ দাফনের কিছুক্ষণ পরই পালিত মেয়েকে নিয়ে মোতাহার আলীর স্ত্রী মাসুমা বেগম ঢাকা ফিরে যান।
ঢাকার আশুলিয়ায় উল্টো পথে চলা একটি অটোরিকশা লরির নিচে চাপা পড়ে নারী ও শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। নিহতরা হলেন আলতাফ (৫০), নূরজাহান (২৪) ও শিশু আব্দুল্লাহ (৪)। দুর্ঘটনাটি ঘটে রোববার (৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে।
১ ঘণ্টা আগেপৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যকুল সরদারপাড়ায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে, তলিয়ে গেছে চলাচলের একমাত্র পথ। ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাহাপাড়া খ্রিষ্টান মিশনের পাশের সড়কেও পানি উঠে এসেছে।
১ ঘণ্টা আগেপার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট কূটনীতিক সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, ‘আজকের এই কৃষি যন্ত্রপাতি হস্তান্তর শুধু যন্ত্র সরবরাহ নয়, এটি রাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি ও দায়বদ্ধতার প্রতিফলন। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে সমতল হোক কিংবা পাহাড়—কোথাও খাদ্যঘাটতির জায়গা থাকবে না।’
১ ঘণ্টা আগেগত বছর ঢাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের বারঘড়িয়া গ্রামের মিরাজ। তিনি ছিলেন মৃত আব্দুস ছালামের বড় ছেলে। মাত্র ৫ শতাংশ জমি কিনে বাড়ি করার ইচ্ছে ছিল তাঁদের। কিন্তু প্রতিবেশী দুলাল মণ্ডল দলিল থাকা সত্ত্বেও জমিটি দখলে নিতে দেননি।
২ ঘণ্টা আগে