পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
ধর্ম, নাম ও পরিচয় গোপন করে বিয়ের পর পালিয়ে আসার অভিযোগ তুলে এক মুসলিম তরুণী হিন্দু এক যুবকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। নিজেকে অন্তঃসত্ত্বা বলেও দাবি করছেন তিনি। এদিকে অভিযুক্ত যুবকসহ ওই বাড়ির সবাই গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনা ঘটেছে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা ইউনিয়নের ঘুঘা জেলেপাড়া গ্রামে। অভিযুক্ত যুবকের নাম চঞ্চল দাস। তাঁর বাবার নাম শ্রী ঠান্ডারাম দাস ও মা জোসনা রানী দাস।
গতকাল শনিবার জেলার গোবিন্দগঞ্জের শালমারা ইউনিয়নের ঘুঘা জেলেপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, চঞ্চল দাসের বাড়ির সামনে বসে আছেন ওই তরুণী। তাঁর নাম শারমিন জাহান রোজিনা বলে জানান তিনি। তাঁর বাড়ি ভোলা জেলার সদর উপজেলার বাঘমারা গ্রামে।
তাঁর সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার এই প্রতিনিধির। এ সময় ওই তরুণী জানান, চলতি বছরের ১৭ মে চঞ্চল দাসের সঙ্গে তাঁর রেজিস্ট্রির মাধ্যমে বিয়ে হয়েছে। চঞ্চল দাসকে তিনি জানতেন মো. আইমান আলী নামে। বিয়ের সময়ে আইমান আলী নামে একটি ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ দেখিয়েছিলেন বলে জানান তিনি। সম্প্রতি রবিদাস ওরফে ‘আইমান আলী’ বাড়িতে এসে তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করছেন না। তাই তিনি বাধ্য হয়ে ঠিকানা অনুযায়ী চলে এসেছেন। তাঁর সঙ্গে পরিচয় নিয়ে যে প্রতারণা করা হয়েছে, সেটি তিনি এখানে এসেই জানতে পেরেছেন।
কীভাবে, কোথায় পরিচয়—এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই তরুণী জানান, গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় চাকরির সুবাদে মো. আইমান আলী ওরফে চঞ্চলের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। মুসলিম হিসেবে পরিচয় দিয়ে চঞ্চল তখন জানিয়েছিলেন, তাঁর বাবার নাম ইউনুস আলী ও মায়ের নাম রাহিলা বেগম এবং ঠিকানা গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ঘুঘা গ্রামে। এই নামের একটি জন্মনিবন্ধন সনদ দেখিয়ে গাজীপুর সদরের ভবানীপুর কাজী অফিসে ১ লাখ টাকা দেনমোহরে তাঁকে বিয়ে করেন। সেই সঙ্গে একই গ্রামের ইউনুস আলী নামের একজনকে আত্মীয় পরিচয় দিয়ে বিয়ের সাক্ষী হিসেবেও উপস্থাপন করেন চঞ্চল দাস। বর্তমানে তিনি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানালে তাঁর স্বামী বাড়িতে এসে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
মিথ্যা ধর্মপরিচয় দিয়ে তাঁকে বিয়ে করায় অনাগত সন্তান নিয়ে তিনি এখন চরম বিপাকে রয়েছেন বলে জানান। সেই সঙ্গে প্রতারক স্বামী ও সাক্ষীর বিচারের দাবিতে তিনি ওই বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানান ওই তরুণী।
চঞ্চল দাসের প্রতিবেশীরা জানান, ওই তরুণী ওই বাড়িতে আসার পরই চঞ্চল দাস তাঁর বাবা-মাসহ গা ঢাকা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে ওই ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য সালজার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মানবিক কারণে এলাকার লোকজন মেয়েটির খাদ্য ও রাতে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।’
এ ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইজার উদ্দীন জানান, এ ব্যাপারে রোববার সকাল পর্যন্ত কোনো লিখিত কিংবা মৌখিক অভিযোগ তিনি পাননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধর্ম, নাম ও পরিচয় গোপন করে বিয়ের পর পালিয়ে আসার অভিযোগ তুলে এক মুসলিম তরুণী হিন্দু এক যুবকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। নিজেকে অন্তঃসত্ত্বা বলেও দাবি করছেন তিনি। এদিকে অভিযুক্ত যুবকসহ ওই বাড়ির সবাই গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনা ঘটেছে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা ইউনিয়নের ঘুঘা জেলেপাড়া গ্রামে। অভিযুক্ত যুবকের নাম চঞ্চল দাস। তাঁর বাবার নাম শ্রী ঠান্ডারাম দাস ও মা জোসনা রানী দাস।
গতকাল শনিবার জেলার গোবিন্দগঞ্জের শালমারা ইউনিয়নের ঘুঘা জেলেপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, চঞ্চল দাসের বাড়ির সামনে বসে আছেন ওই তরুণী। তাঁর নাম শারমিন জাহান রোজিনা বলে জানান তিনি। তাঁর বাড়ি ভোলা জেলার সদর উপজেলার বাঘমারা গ্রামে।
তাঁর সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার এই প্রতিনিধির। এ সময় ওই তরুণী জানান, চলতি বছরের ১৭ মে চঞ্চল দাসের সঙ্গে তাঁর রেজিস্ট্রির মাধ্যমে বিয়ে হয়েছে। চঞ্চল দাসকে তিনি জানতেন মো. আইমান আলী নামে। বিয়ের সময়ে আইমান আলী নামে একটি ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ দেখিয়েছিলেন বলে জানান তিনি। সম্প্রতি রবিদাস ওরফে ‘আইমান আলী’ বাড়িতে এসে তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করছেন না। তাই তিনি বাধ্য হয়ে ঠিকানা অনুযায়ী চলে এসেছেন। তাঁর সঙ্গে পরিচয় নিয়ে যে প্রতারণা করা হয়েছে, সেটি তিনি এখানে এসেই জানতে পেরেছেন।
কীভাবে, কোথায় পরিচয়—এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই তরুণী জানান, গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় চাকরির সুবাদে মো. আইমান আলী ওরফে চঞ্চলের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। মুসলিম হিসেবে পরিচয় দিয়ে চঞ্চল তখন জানিয়েছিলেন, তাঁর বাবার নাম ইউনুস আলী ও মায়ের নাম রাহিলা বেগম এবং ঠিকানা গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ঘুঘা গ্রামে। এই নামের একটি জন্মনিবন্ধন সনদ দেখিয়ে গাজীপুর সদরের ভবানীপুর কাজী অফিসে ১ লাখ টাকা দেনমোহরে তাঁকে বিয়ে করেন। সেই সঙ্গে একই গ্রামের ইউনুস আলী নামের একজনকে আত্মীয় পরিচয় দিয়ে বিয়ের সাক্ষী হিসেবেও উপস্থাপন করেন চঞ্চল দাস। বর্তমানে তিনি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানালে তাঁর স্বামী বাড়িতে এসে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
মিথ্যা ধর্মপরিচয় দিয়ে তাঁকে বিয়ে করায় অনাগত সন্তান নিয়ে তিনি এখন চরম বিপাকে রয়েছেন বলে জানান। সেই সঙ্গে প্রতারক স্বামী ও সাক্ষীর বিচারের দাবিতে তিনি ওই বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানান ওই তরুণী।
চঞ্চল দাসের প্রতিবেশীরা জানান, ওই তরুণী ওই বাড়িতে আসার পরই চঞ্চল দাস তাঁর বাবা-মাসহ গা ঢাকা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে ওই ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য সালজার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মানবিক কারণে এলাকার লোকজন মেয়েটির খাদ্য ও রাতে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।’
এ ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইজার উদ্দীন জানান, এ ব্যাপারে রোববার সকাল পর্যন্ত কোনো লিখিত কিংবা মৌখিক অভিযোগ তিনি পাননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অব্যাহত বৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ডুবে যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই জলাবদ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। এক মাসের বেশি এই জলাবদ্ধতায়
২৩ মিনিট আগেসরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার সর্বনিম্ন দরে মালপত্র সরবরাহ করবেন, তাকেই কাজ দেওয়ার কথা। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজশাহী আঞ্চলিক দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে। এখানে সর্বনিম্ন নয়, যাঁরা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন—তাঁদেরই কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ৯২ লাখ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
২৮ মিনিট আগেবিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সম্প্রতি কারাগারে যেতে হয়েছে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারকে। তবে এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি গত পাঁচ মাসেও কাজ
৩৩ মিনিট আগেউড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার মুরাদপুর গ্রামে। এই গ্রাম, উপজেলা, এমনকি পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যবসার নামে।
১ ঘণ্টা আগে