লালমনিরহাট প্রতিনিধি
গাজীপুরে অবস্থিত ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ডুয়েট) বিএসসিতে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন লালমনিরহাটের দরিদ্র পরিবারের সন্তান মিথুন রায়। কিন্তু সংসারের অভাব-দারিদ্র্যের কারণে নিজের স্বপ্নের এই প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পেয়েও ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন তিনি।
মিথুন লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের কুরুল গ্রামের কৃষিশ্রমিক মিলন চন্দ্রের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, অন্যের কৃষিজমিতে শ্রমিকের কাজ করে পাঁচজনের সংসার চালান মিলন চন্দ্র। অভাব-অনটনেও এক ছেলে ও দুই মেয়ের পড়ালেখা চালাতে প্রাণপণ চেষ্টা করছেন তিনি। পরিবারের বড় ছেলে মিথুনও চান অনেক ভালো পড়ালেখা করে সংসারের হাল ধরতে। তাই খেয়ে না খেয়েও পড়ালেখা চালিয়ে গেছেন তিনি। ২০২০ সালে এসএসসিতে ভালো ফলাফল করে রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন তিনি। মুদিদোকানের কর্মচারী ও টিউশনি করে চালিয়ে গেছেন পড়ালেখা। চার বছর কঠোর পরিশ্রম করে ২০২৪ সালে ৩.৮৭ পেয়ে ডিপ্লোমা পাস করেছেন তিনি।
এবার ডুয়েটে বিএসসি ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। কিন্তু এবারও তাঁর স্বপ্নপূরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দারিদ্র্য। ডুয়েটে ভর্তি হতে ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভর্তি ফি ১০ হাজার টাকা, বই-খাতা, থাকা-খাওয়া ও আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে তাঁকে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা গুনতে হবে। কিন্তু তাঁর গরিব পরিবারের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়। তাই ডুয়েটে সুযোগ পেয়েও ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন তিনি।
মিথুনের বাবা মিলন চন্দ্র বলেন, ‘খেয়ে না খেয়ে টাকা দিয়েছি, মিথুন পড়ালেখা করেছে। তার স্বপ্ন ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। কিন্তু গরিব মানুষ তাকে এত টাকা কেমনে দিই। কোথায় পাব এত টাকা। কেউ সাহায্য করলে মিথুন বড় ইঞ্জিনিয়ার হইত।’ ছেলের পড়ালেখা চালাতে বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানান তিনি।
মিথুন বলেন, ‘স্কুলজীবন থেকে স্বপ্ন দেখছি, প্রকৌশলী হয়ে দেশের জন্য কাজ করব, সংসারের হাল ধরব। অভাবের সঙ্গে লড়াই করে এত দিন পড়ালেখা চালিয়েছে। এবার ডুয়েটে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। কিন্তু এখন একসঙ্গে এত টাকা দেওয়া আমার পরিবারের পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। মাঝপথে আমার স্বপ্নের অপমৃত্যুও মেনে নিতে পারছি না। তাই সমাজের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন করছি।’
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থী মিথুন রায়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে জেলা প্রশাসনের তহবিল থেকে পাঁচ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
গাজীপুরে অবস্থিত ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ডুয়েট) বিএসসিতে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন লালমনিরহাটের দরিদ্র পরিবারের সন্তান মিথুন রায়। কিন্তু সংসারের অভাব-দারিদ্র্যের কারণে নিজের স্বপ্নের এই প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পেয়েও ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন তিনি।
মিথুন লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের কুরুল গ্রামের কৃষিশ্রমিক মিলন চন্দ্রের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, অন্যের কৃষিজমিতে শ্রমিকের কাজ করে পাঁচজনের সংসার চালান মিলন চন্দ্র। অভাব-অনটনেও এক ছেলে ও দুই মেয়ের পড়ালেখা চালাতে প্রাণপণ চেষ্টা করছেন তিনি। পরিবারের বড় ছেলে মিথুনও চান অনেক ভালো পড়ালেখা করে সংসারের হাল ধরতে। তাই খেয়ে না খেয়েও পড়ালেখা চালিয়ে গেছেন তিনি। ২০২০ সালে এসএসসিতে ভালো ফলাফল করে রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন তিনি। মুদিদোকানের কর্মচারী ও টিউশনি করে চালিয়ে গেছেন পড়ালেখা। চার বছর কঠোর পরিশ্রম করে ২০২৪ সালে ৩.৮৭ পেয়ে ডিপ্লোমা পাস করেছেন তিনি।
এবার ডুয়েটে বিএসসি ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। কিন্তু এবারও তাঁর স্বপ্নপূরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দারিদ্র্য। ডুয়েটে ভর্তি হতে ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভর্তি ফি ১০ হাজার টাকা, বই-খাতা, থাকা-খাওয়া ও আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে তাঁকে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা গুনতে হবে। কিন্তু তাঁর গরিব পরিবারের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়। তাই ডুয়েটে সুযোগ পেয়েও ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন তিনি।
মিথুনের বাবা মিলন চন্দ্র বলেন, ‘খেয়ে না খেয়ে টাকা দিয়েছি, মিথুন পড়ালেখা করেছে। তার স্বপ্ন ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। কিন্তু গরিব মানুষ তাকে এত টাকা কেমনে দিই। কোথায় পাব এত টাকা। কেউ সাহায্য করলে মিথুন বড় ইঞ্জিনিয়ার হইত।’ ছেলের পড়ালেখা চালাতে বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানান তিনি।
মিথুন বলেন, ‘স্কুলজীবন থেকে স্বপ্ন দেখছি, প্রকৌশলী হয়ে দেশের জন্য কাজ করব, সংসারের হাল ধরব। অভাবের সঙ্গে লড়াই করে এত দিন পড়ালেখা চালিয়েছে। এবার ডুয়েটে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। কিন্তু এখন একসঙ্গে এত টাকা দেওয়া আমার পরিবারের পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। মাঝপথে আমার স্বপ্নের অপমৃত্যুও মেনে নিতে পারছি না। তাই সমাজের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন করছি।’
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থী মিথুন রায়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে জেলা প্রশাসনের তহবিল থেকে পাঁচ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
অন্ধকার গলিতে হঠাৎ ‘বাঁচাও’ ‘বাঁচাও’ চিৎকার। একপর্যায়ে দেখা গেল রক্তাক্ত এক ব্যক্তি। তিনি পুলিশ সদস্য। চাপাতির কোপে দিশেহারা হয়ে দৌড়াচ্ছিলেন। ঘটনাটি ঘটে গত সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর আদাবরের শ্যামলী হাউজিংয়ের ৩ নম্বর সড়কে।
১ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজারে প্রশাসনের একের পর এক অভিযান ও জেল-জরিমানার পরও বন্ধ হচ্ছে না ছড়া থেকে নির্বিচারে সিলিকা ও সাধারণ বালু লুট। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত অবৈধভাবে চলছে এই বালু উত্তোলন। এসব অপরাধীর বিরুদ্ধে গত ১১ মাসে জেলার শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৫০টি অভিযান চালায় প্রশাসন।
১ ঘণ্টা আগেরংপুরের গঙ্গাচড়ায় সরকারি প্রণোদনার ধানের বীজ অন্যত্র বিক্রির জন্য সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ শাহিনুর ইসলামের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। এ ছাড়া কৃষি অফিসের গুদাম (স্টোররুম) থেকে ধানের বীজ সরানোর...
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর ঢাকার গুলশানের কালা চাঁদপুর এলাকায় অটোরিকশা কেনার জের ধরে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুন হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিহত ব্যক্তির নাম মো. সামি। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে