Ajker Patrika

ডুয়েটে সুযোগ পেয়েও ভর্তি অনিশ্চিত মিথুনের

লালমনিরহাট প্রতিনিধি 
আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১: ২২
মা, বাবা ও বোনের সঙ্গে মিথুন রায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
মা, বাবা ও বোনের সঙ্গে মিথুন রায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরে অবস্থিত ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ডুয়েট) বিএসসিতে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন লালমনিরহাটের দরিদ্র পরিবারের সন্তান মিথুন রায়। কিন্তু সংসারের অভাব-দারিদ্র্যের কারণে নিজের স্বপ্নের এই প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পেয়েও ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন তিনি।

মিথুন লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের কুরুল গ্রামের কৃষিশ্রমিক মিলন চন্দ্রের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, অন্যের কৃষিজমিতে শ্রমিকের কাজ করে পাঁচজনের সংসার চালান মিলন চন্দ্র। অভাব-অনটনেও এক ছেলে ও দুই মেয়ের পড়ালেখা চালাতে প্রাণপণ চেষ্টা করছেন তিনি। পরিবারের বড় ছেলে মিথুনও চান অনেক ভালো পড়ালেখা করে সংসারের হাল ধরতে। তাই খেয়ে না খেয়েও পড়ালেখা চালিয়ে গেছেন তিনি। ২০২০ সালে এসএসসিতে ভালো ফলাফল করে রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন তিনি। মুদিদোকানের কর্মচারী ও টিউশনি করে চালিয়ে গেছেন পড়ালেখা। চার বছর কঠোর পরিশ্রম করে ২০২৪ সালে ৩.৮৭ পেয়ে ডিপ্লোমা পাস করেছেন তিনি।

এবার ডুয়েটে বিএসসি ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। কিন্তু এবারও তাঁর স্বপ্নপূরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দারিদ্র্য। ডুয়েটে ভর্তি হতে ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভর্তি ফি ১০ হাজার টাকা, বই-খাতা, থাকা-খাওয়া ও আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে তাঁকে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা গুনতে হবে। কিন্তু তাঁর গরিব পরিবারের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়। তাই ডুয়েটে সুযোগ পেয়েও ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন তিনি।

মিথুনের বাবা মিলন চন্দ্র বলেন, ‘খেয়ে না খেয়ে টাকা দিয়েছি, মিথুন পড়ালেখা করেছে। তার স্বপ্ন ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। কিন্তু গরিব মানুষ তাকে এত টাকা কেমনে দিই। কোথায় পাব এত টাকা। কেউ সাহায্য করলে মিথুন বড় ইঞ্জিনিয়ার হইত।’ ছেলের পড়ালেখা চালাতে বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানান তিনি।

মিথুন বলেন, ‘স্কুলজীবন থেকে স্বপ্ন দেখছি, প্রকৌশলী হয়ে দেশের জন্য কাজ করব, সংসারের হাল ধরব। অভাবের সঙ্গে লড়াই করে এত দিন পড়ালেখা চালিয়েছে। এবার ডুয়েটে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। কিন্তু এখন একসঙ্গে এত টাকা দেওয়া আমার পরিবারের পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। মাঝপথে আমার স্বপ্নের অপমৃত্যুও মেনে নিতে পারছি না। তাই সমাজের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন করছি।’

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থী মিথুন রায়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে জেলা প্রশাসনের তহবিল থেকে পাঁচ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাংবাদিক নির্যাতনের মামলায় কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীন কারাগারে

নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, গুলি, এক শ্রমিক নিহত

শিবিরের বট আইডির অ্যাটাক আমিও কম খাই নাই: শিবির প্যানেলের প্রার্থী জুমা

পাকিস্তানকে সমর্থন করায় ভারত এসসিওর সদস্যপদ আটকে দেয়: আজারবাইজান

দেশে চালু হলো ৫-জি নেটওয়ার্ক, কী কী সুবিধা মিলবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত