Ajker Patrika

আদাবরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা: বাঁচাও বলে চিৎকার পুলিশের

  • প্রেমিক যুগলকে উদ্ধারে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ।
  • মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায় সন্ত্রাসীরা।
  • আতঙ্কে শ্যামলী হাউজিংয়ের দোকানপাট বন্ধ।
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা 
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮: ১৯
ভাঙচুর করা হয় পুলিশের টহল গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভাঙচুর করা হয় পুলিশের টহল গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা

অন্ধকার গলিতে হঠাৎ ‘বাঁচাও’ ‘বাঁচাও’ চিৎকার। একপর্যায়ে দেখা গেল রক্তাক্ত এক ব্যক্তি। তিনি পুলিশ সদস্য। চাপাতির কোপে দিশেহারা হয়ে দৌড়াচ্ছিলেন।

ঘটনাটি ঘটে গত সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর আদাবরের শ্যামলী হাউজিংয়ের ৩ নম্বর সড়কে। প্রেমিক যুগলকে উদ্ধারের অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার হন আদাবর থানার তিন পুলিশ সদস্য। গুরুতর আহত কনস্টেবল ও গাড়িচালক আল আমিনকে ভর্তি করা হয়েছে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর)।

পরে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান চালায়। আটক হয় শতাধিক ব্যক্তি। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে পুলিশের ওপর হামলার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অন্যদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।

শ্যামলী হাউজিংয়ের ৩ নম্বর সড়কের ২১৫/১৬ নম্বর বাড়ি—তিনতলা ভবন। গাবতলী-সদরঘাট বেড়িবাঁধ সড়কসংলগ্ন বাড়িটির মালিক শহীদুল ইসলাম। কিন্তু তিনি সেখানে থাকেন না। বাড়িটির দেখাশোনা করেন মো. মিলন ও তাঁর স্ত্রী তাহমিনা বেগম। ৪৬টি ছোট কক্ষে নিম্ন আয়ের মানুষ ভাড়া থাকেন। ওই বাড়ির তৃতীয় তলায় মা-বাবার অনুপস্থিতিতে ষোড়শী এক তরুণী তার ছেলেবন্ধু পলাশের সঙ্গে কথা বলছিল। বিষয়টি টের পায় স্থানীয় কিশোর গ্যাং। তারা ঘরে ঢুকে তরুণ-তরুণীর ছবি তোলে, ভিডিও করে, তরুণীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে পলাশকে মারধর করে। পরে পলাশকে নিয়ে যাওয়া হয় পাশের আরেকটি তিনতলা ভবনের ছাদে। ভবনটির নিচতলায় রিকশার গ্যারেজ, যা কিশোর গ্যাংয়ের আস্তানা হিসেবে পরিচিত। সেখানেই মাদকের কারবার, আড্ডা ও অস্ত্র মজুত থাকে।

গতকাল মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, ভবনের মালিকানা স্থানীয় কাসেমের হলেও মালেক নামের এক ব্যক্তি ভাড়া নিয়ে সেখানে গ্যারেজ, দোকান ও বাসা তৈরি করেছেন। সামনেই আরেকটি তিনতলা ভবন রয়েছে মনির হোসেনের। তাঁরও গ্যারেজ। সেটা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার জন্য। সরু অন্ধকার গলিই মূলত কিশোর গ্যাংয়ের নিরাপদ এলাকা।

ভবনের নিচে ছোট্ট চায়ের দোকান চালান রিনা বেগম। স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদক কারবারও তিনি পরিচালনা করেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে রিনা বলেন, ‘আমি সাড়ে ৫ বছর ধরে শুধু চা বিক্রি করছি। ছেলেপেলেদের দৌড়াদৌড়ি দেখেছি। কিন্তু ঘটনার বিষয়ে কিছু জানি না।’

পলাশকে তুলে নেওয়ার বিষয়ে স্থানীয়রা ৯৯৯-এ ফোন করলে রাত সাড়ে ৮টার দিকে আদাবর থানার এসআই ইব্রাহীম খলিল তিন পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা পলাশকে উদ্ধার করেন এবং অপহরণের সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করেন। কিন্তু থানায় ফেরার সময় স্থানীয় শহীদুলের বাড়ির সামনে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা পুলিশের গাড়িতে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেয় এবং চাপাতি-সামুরাই দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।

এ সময় গুরুতর আহত হন কনস্টেবল আল আমিন। তাঁর দুই সহকর্মী রায়হান ও নাজমুলও আহত হন। আতঙ্কে দোকানপাট মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যায়। আহত আল আমিন তখন চিৎকার করে বলছিলেন ‘বাঁচাও, বাঁচাও।’ তিনি দৌড়ে শহীদুলের বাড়ির নিচতলার লোকমানের ওষুধের দোকানে আশ্রয় নেন। সন্ত্রাসীরা সেখানে ঢুকেও হামলা চালায়, ভেঙে ফেলে দোকানের শাটার।

প্রত্যক্ষদর্শী এক নারী বলেন, পুলিশ ছিল মাত্র তিনজন। সন্ত্রাসীর সংখ্যা ৫০-৬০ জন। সবার হাতে চাপাতি। পুলিশকে কুপিয়ে তারা দ্রুত বেড়িবাঁধের দিকে চলে যায়।

মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তায় ছোপ ছোপ রক্ত। এলাকায় আতঙ্ক। সব দোকানপাট বন্ধ। স্থানীয়রা মুখ খুলতেও ভয় পাচ্ছিলেন।

হামলার নেপথ্যে কারা

এসআই ইব্রাহীম খলিল জানান, হামলার নেতৃত্বে ছিল কিশোর গ্যাংয়ের মূল হোতা জনি ও রনি। সঙ্গে ছিল নাজির, ওসমান, দাঁতভাঙা সুজন, কবজিকাটা হৃদয় ও মাদক কারবারি রাজু। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

আদাবর থানার ওসি এস এম জাকারিয়া বলেন, পুলিশের ওপর হামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

টেকনাফে সাবেক ইউপি সদস্য ইউনুছ হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফে সাবেক ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইউনুছ সিকদার হত্যা মামলার আসামি মোহাম্মদ সিদ্দিককে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জায়েদ নূর গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওসি জানান, ৬ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির স্ত্রী কহিনুর আক্তার (৪১) বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা করার পর থেকেই পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়।

ওসি জায়েদ নূর আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে আসামি। তাঁর বিরুদ্ধে এই হত্যাকাণ্ডসহ একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে প্রার্থী পরিবর্তনের বিক্ষোভে ছাত্রদল নেতার শরীরে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীতে প্রার্থী পরিবর্তনের বিক্ষোভে ছাত্রদল নেতার শরীরে আগুন। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহীতে প্রার্থী পরিবর্তনের বিক্ষোভে ছাত্রদল নেতার শরীরে আগুন। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী শফিকুল হক মিলনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করার সময় ছাত্রদলের এক নেতার শরীরে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। পরে অন্য নেতা-কর্মীরা তাঁর গায়ে থাকা জার্সি খুলে আগুন নেভান।

আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাজশাহীর চৌদ্দপাই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ব্যক্তির নাম শহিদুল ইসলাম, তিনি জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। ঘটনার পর তাঁকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

শহিদুল ইসলাম সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কবির হোসেনের ছেলে নাসির হোসেন অস্থিরের সমর্থক। রাজশাহী-৩ আসনে শফিকুল হক মিলনের প্রাথমিক মনোনয়ন বাতিল করে নাসির হোসেন অস্থিরকে প্রার্থী করার দাবিতে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।

জানতে চাইলে নাসির হোসেন অস্থির বলেন, ‘আসনটিতে মনোনয়ন পেতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছি। দল মনোনয়ন না দিলে আমার সমর্থকেরা বিক্ষোভ করে। এ সময় টায়ারে আগুন দিতে গিয়ে শহিদুলের শরীরে আগুন ধরে যায়। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’

এদিকে শফিকুল হক মিলনকে ‘বহিরাগত’ উল্লেখ করে মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিকেলে পবা উপজেলার আন্ধারকোটা এলাকায় বিক্ষোভ হয়েছে। জেলা বিএনপির সদস্য রায়হানুল আলম রায়হানের সমর্থকেরা এ বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তব্য দেন উপজেলার হুজরিপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মুজিবুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন, হড়গ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, দামকুড়া ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম চুন্নু প্রমুখ।

বক্তারা অভিযোগ করেন, শফিকুল হক মিলন দলের মনোনয়ন পেলেও এলাকায় থাকেন না। তাঁর বাড়ি রাজশাহী মহানগর এলাকায়। শহরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে হয়। তাঁরা এমন প্রার্থী চান না। যিনি এলাকার ভোটার, তাঁরা তাঁকেই বিএনপির প্রার্থী হিসেবে চান।

উল্লেখ্য, শফিকুল হক মিলন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি রাজশাহী-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দরিদ্র নারীর বরাদ্দের চাল আত্মসাতের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
ফারুক আহমেদ মিয়াজি। ছবি: সংগৃহীত
ফারুক আহমেদ মিয়াজি। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সরকারের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির (ভিডব্লিউভি) কার্ডের ছবি বদলিয়ে এক দরিদ্র নারীর বরাদ্দের চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় বিএনপি নেতাদের কাছে বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। চাল আত্মসাতের এমন অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

অভিযুক্ত বিএনপি নেতা হলেন ফারুক আহমেদ মিয়াজি। তিনি উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি। অন্যদিকে অভিযোগকারী নারী আয়েশা আক্তার একই ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রামের মাইনুদ্দিন খানের স্ত্রী।

ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর আয়েশা আক্তার ভিডব্লিউভির কার্ডের জন্য আবেদন করেন। সংশ্লিষ্টদের যাচাই-বাছাই শেষে আয়েশা আক্তারের নামে ভিডব্লিউভি কার্ড নম্বর ২৫ নিবন্ধিত করা হয়। কিন্তু ফারুক আহমেদ মিয়াজি নিজের প্রভাব ব্যবহার করে আয়েশা আক্তারের কার্ড সংগ্রহ করেন এবং তাতে অন্য নারীর ছবি বসিয়ে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে গত তিন মাসে ৯০ কেজি চাল আত্মসাৎ করেন। বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগী আয়েশা আক্তার নিজের সব কাগজপত্র নিয়ে চ্যালেঞ্জ করলে চলতি মাসে ৩০ কেজি চাল পান। পরে তিনি স্থানীয় বিএনপি নেতাদের কাছে এ ঘটনা বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।

স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সাঈদ খান ও সাধারণ সম্পাদক মোক্তার খন্দকার আজ সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আয়েশা আক্তারের কাছে থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হয়ে দলীয় শৃঙ্খলার বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

অভিযুক্ত ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফারুক আহমেদ মিয়াজি বলেন, ‘ঘটনাটির আমি কিছুই জানি না। আমি মনে করি, আমার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র চলছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারী চক্রের সব সদস্যের বিচার চাই।’

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হোসেন মোহাম্মদ রাজন বলেন, ‘ভিডব্লিউভি কার্ড পরিষদে গত মে মাসে এসেছে ১২২টি। সেখান থেকে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে ১৯টি কার্ডের নাম তাঁদের দিতে বলি। ওনারা যে নাম দিয়েছেন, তাঁদের নামে কার্ড হয়েছে। তাঁরা কার্ড কী করেছেন, সে ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। অনিয়ম হলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ট্যাগ কর্মকর্তা ফরিদগঞ্জ উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মাকছুদা আক্তার বলেন, ‘এমন একটি বিষয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তদন্ত করে অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেটু কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখব। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধী যে-ই হোক তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ট্রাকের নিচে অটোরিকশা: ছেলের জন্য পাত্রী দেখে বাড়ি ফেরা হলো না মা-বাবার

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
ট্রাকের নিচে চাপা পড়া সিএনজি অটোরিকশা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ট্রাকের নিচে চাপা পড়া সিএনজি অটোরিকশা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ছেলের বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় এসেছিলেন আবুল বাশার ও তাঁর স্ত্রী মোরশেদা বেগম। সেখান থেকে নাঙ্গলকোট উপজেলায় বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে তাঁদের বহনকারী সিএনজি অটোরিকশাটি। এতে ঘটনাস্থলেই এই দম্পতি নিহত হন। অটোরিকশাচালকও মারা গেছেন।

আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ট্রাক-সিএনজিচালিত অটোরিকশা-ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। উপজেলার লাকসাম-চৌদ্দগ্রাম আঞ্চলিক সড়কের ফেলনা কাজী বাড়ি ইউটার্নে তিন যানবাহনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার মৌকরা ইউনিয়নের মহেশ্বর গ্রামের আবুল বাশার, তাঁর স্ত্রী মোরশেদা বেগম ও সিএনজি অটোরিকশার চালক চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার নাটাপাড়ার কালা মিয়ার ছেলে মমতাজ।

এ ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা হলেন নিহত দম্পতির ছেলে আবু তৈয়ব (২৬), একই উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের গান্দাচী গ্রামের আব্দুর রহমান (২৭), আগুনশাইন গ্রামের রাজমিস্ত্রি কবির হোসেন (৪০), শ্যামপুর গ্রামের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক মাহবুবুল হক ও মাহিনী গ্রামের আনোয়ারা বেগম (৪২)।

নিহত আবুল বাশারের ভাই মোস্তফা বলেন, ‘আমার ভাই-ভাবি তাঁদের ছেলে তৈয়বের জন্য চৌদ্দগ্রামের একটি এলাকায় পাত্রী দেখতে আসেন। পাত্রী দেখা শেষে সিএনজি অটোরিকশায় বাড়ি ফেরার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই আমার ভাই ও ভাবির মৃত্যু হয়।’

চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মেহেদী হাসান বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত