Ajker Patrika

২২৬ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে ৩৮তম মিশন শেষ করলেন বাবা-ছেলে

তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২২, ১০: ৫৭
২২৬ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে ৩৮তম মিশন শেষ করলেন বাবা-ছেলে

উত্তরবঙ্গের গাইবান্ধা জেলা থেকে ২২৬ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধায় পৌঁছালেন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন (অনারারি) সাদেক আলী (৬৫) ও তাঁর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (৩২)। তাঁরা তাঁদের ৩৮তম মিশন হিসেবে পঞ্চম দিনে দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া বাংলাবান্ধা উপজেলায় পৌঁছান। গতকাল শুক্রবার বিকেলে তাঁরা পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে গিয়ে তাদের এই যাত্রা শেষ করেন।

জানা যায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন সাদেক আলী চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। জীবনের বাকি সময়টা তিনি বাংলাদেশকে খুব কাছ থেকে দেখতে চান। সেই সঙ্গে পায়ে হাঁটার শারীরিক উপকারিতা নিজে পেতে এবং মানুষকে হাঁটার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এমন উদ্যোগ নিয়েছেন। এই কর্মকাণ্ডে তাঁর সফরসঙ্গী ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান। এবার বাবা-ছেলে মিলে পায়ে হেঁটে গাইবান্ধা থেকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা পর্যন্ত পাড়ি দিয়েছেন ২২৬ কিলোমিটার পথ। লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরে উচ্ছ্বসিত তাঁরা দুজনই। 

উল্লেখ্য, গত ৭ মার্চ বাংলাবান্ধার অভিমুখে যাত্রা করেন সাদেক আলী ও তাঁর ছেলে মোস্তাফিজুর। মাত্র পাঁচ দিনে ২২৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এখন দেশের বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। 

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন সাদেক আলী বলেন, ‘আমি ও আমার ছেলে গত ১৪ ডিসেম্বর থেকে একটি বিশেষ উদ্যোগ সামনে রেখে মিশন শুরু করি। এই মিশনগুলো একের পর এক আমরা পরিচালনা করে ৩৭তম মিশনে পৌঁছাই। আর এই ৩৭তম মিশনে আমরা ১ হাজার ১৩৪ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে অতিক্রম করেছি। গত ৭ মার্চ থেকে ৩৮তম মিশন শুরু করে বাংলাবান্ধার জিরো পয়েন্টে পৌঁছাতে সক্ষম হই।’ 

সাদেক আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি আর আমার বাবা মিলে একটি ভিশন শুরু করি, যার লক্ষ্যে আমরা এখন ছুটে চলেছি। এই লক্ষ্যে ছুটতে গিয়ে আমরা বর্তমানে ৩৮তম মিশনের পঞ্চম দিনে অবস্থান করছি বাংলাবান্ধায়। মূলত বাবার শরীর ঠিক রাখতে বাবার সঙ্গে এই পথচলা শুরু করেছি। সবার উদ্দেশে বলতে চাই, বাবা-ছেলের সম্পর্ক যদি বন্ধুসুলভ না হয়, তাহলে একসঙ্গে কখনো হাজার হাজার পথ পাড়ি দেওয়া যাবে না। আমি মিশনের মাধ্যমে যুবসমাজকে বলতে চাই, তারা যেন বাবা-মায়ের সঙ্গে ভালো আচরণ করে এবং বন্ধু হিসেবে পাশে থাকে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত