সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও
মায়ের মৃত্যুর পর বাবা জাহিদুল আরেকটি বিয়ে করেন। ১০ বছরের জয়নবকে ছেড়ে অন্যত্র চলে যান তিনি। জয়নবের ঠাঁই হয় বৃদ্ধা নানির কাছে। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মতো অবস্থায় নানির পক্ষে লেখাপড়ার খরচ জোগানো অসম্ভব। পড়াশোনার খরচ জোগাতে মৌসুমের এ সময় সদর উপজেলার মুন্সিরহাট এলাকায় নানিসহ বাগানে লিচু বাছাইয়ের কাজ করে জয়নব।
জয়নব বলে, সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। নানি বলেছেন, অভাবের সংসারে তিনি লেখাপড়ার খরচ দিতে পারবেন না। সে যদি কিছু উপার্জন করতে পারে, তাহলে খাতা-কলম কিনতে আর চিন্তা করতে হবে না। তাই প্রতিদিন বাগান থেকে লিচু বাছাইয়ের কাজ করে। মজুরি হিসেবে যে টাকা পায় তা দিয়ে সারা বছরের পড়াশোনার খরচ হয়ে যায়। প্রতি বছরই সে এ কাজ করে।
সদর উপজেলার সালান্দর এলাকার একটি লিচু বাগানে কাজ করতে আসা রোজিনা, খাদিজা, মরিয়ম, রেহেনা জানান, এ কাজ তাঁরা প্রতি বছর করেন।
এ চিত্র শুধু একটি বাগানেই নয়, জেলার অধিকাংশ লিচু বাগানে বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোরেরা উৎপাদন, পরিচর্যা ও বিপণনের কাজ করছে। এদের কেউ গৃহিণী, দিনমজুর, স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী।
আজ শুক্রবার সদরের গোবিন্দনগর-মুন্সিরহাট এলাকায় কথা হয় দুই সন্তানের মা সালমা বেগমের সঙ্গে। তাঁকে লিচু বেছে দেওয়ার কাজে সহায়তা করছে ছেলে হাবিবুল ইসলাম। সে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে।
সালমা বেগম বলেন, ‘সংসারে একটু সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে বাড়ির কাজের ফাঁকে বাগানে কাজ করি। সারা দিন কাজ শেষে ৪০০ টাকা পাই। ছেলে পায় ৩০০ টাকা। সব মিলে দিনে ৭০০ থেকে ৮০০ পর্যন্ত পাই।’
নারগুন কহর পাড়া এলাকার খাদিজা বেগম বলেন, ‘বাড়ির পাশে লিচুর বাগান। নিজের এলাকায় বলে কাজটি করা হয়। এক মাসে যে টাকা আয় করি, তা দিয়ে সন্তানের পড়াশোনা ও সাংসারিক কাজে ব্যয় করি।’
একই এলাকার কলেজ শিক্ষার্থী দীপ্তি রাণী বলে, ‘লিচু মৌসুমে আমার মতো শত শত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা কাজ করে। পরে এ আয় জমিয়ে রেখে সারা বছরের পড়ার খরচের জন্য।’
এ গ্রামের লিচুর বাগান মালিক হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে পাঠানোর আগে লিচু বাছাই গণনা ও ঝুড়িতে ভরা পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটি নারীরা করে থাকেন। আমার চারটি বাগানে ২০০ নারী এ কাজে অংশ নিয়েছেন। তাঁরা প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাগানে লিচু প্রসেসের কাজ করেন।’
হরিপুর কাঠাঁলডাঙ্গী এলাকার লিচু চাষি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘লিচু বাছাই ও গণনার কাজে নারী শ্রমিকেরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এখন বোরো মৌসুমে ধান কাটার মুহূর্তে শ্রমিকের যে সংকট, তাতে নারী শ্রমিক না থাকলে লিচু বাছাই ও গণনার কাজ কঠিন হয়ে যেত।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে এবার ৯০৫ হেক্টর জমিতে প্রায় ২৫৬টি বাগানে লিচু উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে ৫ হাজার ৯৯৮ টন। এ ছাড়াও জেলার বিভিন্ন বাড়ির উঠানে লিচু গাছ রয়েছে।
মায়ের মৃত্যুর পর বাবা জাহিদুল আরেকটি বিয়ে করেন। ১০ বছরের জয়নবকে ছেড়ে অন্যত্র চলে যান তিনি। জয়নবের ঠাঁই হয় বৃদ্ধা নানির কাছে। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মতো অবস্থায় নানির পক্ষে লেখাপড়ার খরচ জোগানো অসম্ভব। পড়াশোনার খরচ জোগাতে মৌসুমের এ সময় সদর উপজেলার মুন্সিরহাট এলাকায় নানিসহ বাগানে লিচু বাছাইয়ের কাজ করে জয়নব।
জয়নব বলে, সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। নানি বলেছেন, অভাবের সংসারে তিনি লেখাপড়ার খরচ দিতে পারবেন না। সে যদি কিছু উপার্জন করতে পারে, তাহলে খাতা-কলম কিনতে আর চিন্তা করতে হবে না। তাই প্রতিদিন বাগান থেকে লিচু বাছাইয়ের কাজ করে। মজুরি হিসেবে যে টাকা পায় তা দিয়ে সারা বছরের পড়াশোনার খরচ হয়ে যায়। প্রতি বছরই সে এ কাজ করে।
সদর উপজেলার সালান্দর এলাকার একটি লিচু বাগানে কাজ করতে আসা রোজিনা, খাদিজা, মরিয়ম, রেহেনা জানান, এ কাজ তাঁরা প্রতি বছর করেন।
এ চিত্র শুধু একটি বাগানেই নয়, জেলার অধিকাংশ লিচু বাগানে বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোরেরা উৎপাদন, পরিচর্যা ও বিপণনের কাজ করছে। এদের কেউ গৃহিণী, দিনমজুর, স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী।
আজ শুক্রবার সদরের গোবিন্দনগর-মুন্সিরহাট এলাকায় কথা হয় দুই সন্তানের মা সালমা বেগমের সঙ্গে। তাঁকে লিচু বেছে দেওয়ার কাজে সহায়তা করছে ছেলে হাবিবুল ইসলাম। সে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে।
সালমা বেগম বলেন, ‘সংসারে একটু সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে বাড়ির কাজের ফাঁকে বাগানে কাজ করি। সারা দিন কাজ শেষে ৪০০ টাকা পাই। ছেলে পায় ৩০০ টাকা। সব মিলে দিনে ৭০০ থেকে ৮০০ পর্যন্ত পাই।’
নারগুন কহর পাড়া এলাকার খাদিজা বেগম বলেন, ‘বাড়ির পাশে লিচুর বাগান। নিজের এলাকায় বলে কাজটি করা হয়। এক মাসে যে টাকা আয় করি, তা দিয়ে সন্তানের পড়াশোনা ও সাংসারিক কাজে ব্যয় করি।’
একই এলাকার কলেজ শিক্ষার্থী দীপ্তি রাণী বলে, ‘লিচু মৌসুমে আমার মতো শত শত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা কাজ করে। পরে এ আয় জমিয়ে রেখে সারা বছরের পড়ার খরচের জন্য।’
এ গ্রামের লিচুর বাগান মালিক হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে পাঠানোর আগে লিচু বাছাই গণনা ও ঝুড়িতে ভরা পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটি নারীরা করে থাকেন। আমার চারটি বাগানে ২০০ নারী এ কাজে অংশ নিয়েছেন। তাঁরা প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাগানে লিচু প্রসেসের কাজ করেন।’
হরিপুর কাঠাঁলডাঙ্গী এলাকার লিচু চাষি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘লিচু বাছাই ও গণনার কাজে নারী শ্রমিকেরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এখন বোরো মৌসুমে ধান কাটার মুহূর্তে শ্রমিকের যে সংকট, তাতে নারী শ্রমিক না থাকলে লিচু বাছাই ও গণনার কাজ কঠিন হয়ে যেত।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে এবার ৯০৫ হেক্টর জমিতে প্রায় ২৫৬টি বাগানে লিচু উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে ৫ হাজার ৯৯৮ টন। এ ছাড়াও জেলার বিভিন্ন বাড়ির উঠানে লিচু গাছ রয়েছে।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট বাজারে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার এক মাস যেতে না যেতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের আরসিসি ঢালাই। এ ছাড়া সড়কটির সম্প্রসারণ জয়েন্টগুলোতে আঁকাবাঁকা ফাটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সংশ্লিষ্টরা তাড়াহুড়া করে বিটুমিন দিয়ে ফাটল বন্ধের চেষ্টা চালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগেতিন পার্বত্য জেলার মধ্যে আগে থেকেই চিকিৎসাসেবায় পিছিয়ে খাগড়াছড়ি। তার ওপর বছরের পর বছর চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারী ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকট থাকায় খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা।
৬ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় (২৪) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান...
৬ ঘণ্টা আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তবে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আগুন নিভে গেছে। এতে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
৮ ঘণ্টা আগে