শিপুল ইসলাম, রংপুর প্রতিনিধি
উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগের প্রধান সড়ক রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক। এ মহাসড়কের রংপুরের পাগলাপীর থেকে মেডিকেল মোড় পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার অংশ এখন পথচারী ও যানবাহনের জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। হাজারো গর্তে ভরা এই মহাসড়কে প্রতিদিন চলাচল করতে হচ্ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে। ভোগান্তির শেষ নেই যাত্রী ও চালকদের। কর্তৃপক্ষ বলছে, এই অংশ পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেছে, নতুন করে নির্মাণ ছাড়া এর সমাধান নেই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পুরো সড়ক ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। দু-এক হাত পরপর বড় বড় গর্ত। বৃষ্টিতে সেগুলোর আকার বড় ধারণ করেছে। কোথাও কোথাও মূল সড়ক পানিতে ডুবে সরু হয়ে গেছে। খানাখন্দে ভরা সড়কটি দিয়ে ধীরগতিতে হেলেদুলে চলছে যানবাহন। ঝাঁকি এড়াতে অনেকেই সড়কের পাশের অংশ ব্যবহার করছেন।
গত সোমবার বদরগঞ্জ দিয়ে মহাসড়কের ওই অংশ ব্যবহার করে ট্রলিতে রংপুর নগরীতে ইট নিয়ে যাওয়ার পথে সিটির মোড় এলাকায় গর্তে পড়ে পেছনে চাকা খুলে গিয়ে উল্টে যায় ট্রলি। এতে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। আহত হন ট্রলির চালক ও শ্রমিকেরা। ট্রলিচালক কৃষ্ণ রায় বলেন, ‘এটা সড়ক না আর কিছু। এর থাকি দোলাবাড়ির রাস্তা ভালো আছে। ঝাঁকি খাইতে খাইতে গর্তোত পড়ি গাড়ি এক্সেল ভাঙি পেছনের চাকা খুলি উল্টি গেইছে। হামার ছাল-চামড়া উঠি গেইছে। এমন করি তো মানুষ মরে।’
সিটি মোড়ের ব্যবসায়ী মুকুল মিয়া বলেন, ‘তিন বছর থাকি এটে দোকান। ওই দিন বছর থাকি দেখিছি, প্রতি মাসে দু-তিনবার গর্ত ভরাট করে। কিন্তু কয়দিন পর আবার সেই গর্ত থাকে সউগ উঠি যায়। প্রতিদিন এটে সড়ক দুর্ঘটনা লাগি আছে।’
রংপুর শহরে একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত নাহিদুজ্জামানের সঙ্গে কথা হয় ঘাঘট সেতুর কাছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কোথাও মনে হয় এ রকম সড়ক নেই। ১০ কিলোমিটারে দুই হাজারেও বেশি গর্ত। ২০ কিমি গতিতে গাড়ি চালানো যায় না। প্রতিদিনই এই অংশে কোথাও না কোথাও দুর্ঘটনা লেগে আছে। প্রতি মাসে দু-একজন মারা যাচ্ছেন; কিন্তু সড়ক ঠিক হচ্ছে না।’
স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীদের অভিযোগ, বিগত চার মাসে একাধিকবার গর্তগুলো বিটুমিন, খোয়া, বালু ও পাথর দিয়ে ভরাট করা হলেও বৃষ্টির কারণে সেগুলো আরও বড় আকার ধারণ করছে। ফলে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন মোটরসাইকেল, রিকশা ও অটোরিকশারচালক ও যাত্রীরা।
রংপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, শেষবার ২০০৭ সালে সড়কটি মজবুত করা হয়। এরপর ৬ বছর আগে ছোট পরিসরে সংস্কার হলেও ওভারলোডিং যানবাহনের কারণে দ্রুতই সড়কটি আবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
রংপুর সিও বাজারে কথা হয় সওজের ট্রাকচালক সাজ্জাদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বিটুমিন পাথর দিয়ে গর্তপূরণ করছি। কিন্তু পুরো সড়ক তো ফেটে নষ্ট হয়ে গেছে। বৃষ্টি হলে পানি ঢুকে আবার গর্ত হচ্ছে। নতুনভাবে সড়ক নির্মাণ ছাড়া এ সমস্যা যাবে বলে মনে হয় না।’
বাসচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সড়কটির এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে ছোট-বড় গর্ত নেই। গর্ত এড়াতে গিয়ে অনেক সময় ভালো জায়গা দিয়ে সবাই যেতে চায়। এতে করে একটি গাড়ি অন্য গাড়ি সঙ্গে ধাক্কা, মুখোমুখি সংঘর্ষ হচ্ছে। বিশেষ করে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা এ ঘটনা বেশি ঘটাচ্ছে। সড়কটি প্রশস্ত ও পুনর্নির্মাণ করা খুবই জরুরি।’
রংপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘রংপুর-দিনাজপুর ন্যাশনাল হাইওয়ের মেডিকেল মোড় থেকে পাগলাপীর পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর পরিমাণে গর্ত হয়েছে, ফাটল ধরেছে। আমরা ঈদের আগেই মানুষের নির্বিঘ্ন চলাচলের জন্য এগুলো মেরামত করে দেব। রক্ষণাবেক্ষণ খাত থেকে একটি কাজ চলমান আছে। সেটা এখানে করব। কিন্তু বৃষ্টি-বর্ষার কারণে করতে পারছি না। পুরো সড়ক নষ্ট হয়ে গেছে। এ কাজ কত দিন টিকবে জানি না।’
এক প্রশ্নের জবাবে মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এটা নিয়ে এত প্ল্যানিং না করার কারণ হতে পারে সাসেক-৩ প্রকল্প। এই প্রকল্পে মডার্ন থেকে পাগলাপীর হয়ে জলঢাকা হয়ে একটা যাবে বুড়িমারীতে, একটা যাবে দেবীগঞ্জ হয়ে বাংলাবান্ধায়। এটা একটা করার কথা ছিল। এটা না হওয়া পর্যন্ত হতো আমাদেরকে এভাবেই চালাতে হবে।’
উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগের প্রধান সড়ক রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক। এ মহাসড়কের রংপুরের পাগলাপীর থেকে মেডিকেল মোড় পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার অংশ এখন পথচারী ও যানবাহনের জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। হাজারো গর্তে ভরা এই মহাসড়কে প্রতিদিন চলাচল করতে হচ্ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে। ভোগান্তির শেষ নেই যাত্রী ও চালকদের। কর্তৃপক্ষ বলছে, এই অংশ পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেছে, নতুন করে নির্মাণ ছাড়া এর সমাধান নেই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পুরো সড়ক ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। দু-এক হাত পরপর বড় বড় গর্ত। বৃষ্টিতে সেগুলোর আকার বড় ধারণ করেছে। কোথাও কোথাও মূল সড়ক পানিতে ডুবে সরু হয়ে গেছে। খানাখন্দে ভরা সড়কটি দিয়ে ধীরগতিতে হেলেদুলে চলছে যানবাহন। ঝাঁকি এড়াতে অনেকেই সড়কের পাশের অংশ ব্যবহার করছেন।
গত সোমবার বদরগঞ্জ দিয়ে মহাসড়কের ওই অংশ ব্যবহার করে ট্রলিতে রংপুর নগরীতে ইট নিয়ে যাওয়ার পথে সিটির মোড় এলাকায় গর্তে পড়ে পেছনে চাকা খুলে গিয়ে উল্টে যায় ট্রলি। এতে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। আহত হন ট্রলির চালক ও শ্রমিকেরা। ট্রলিচালক কৃষ্ণ রায় বলেন, ‘এটা সড়ক না আর কিছু। এর থাকি দোলাবাড়ির রাস্তা ভালো আছে। ঝাঁকি খাইতে খাইতে গর্তোত পড়ি গাড়ি এক্সেল ভাঙি পেছনের চাকা খুলি উল্টি গেইছে। হামার ছাল-চামড়া উঠি গেইছে। এমন করি তো মানুষ মরে।’
সিটি মোড়ের ব্যবসায়ী মুকুল মিয়া বলেন, ‘তিন বছর থাকি এটে দোকান। ওই দিন বছর থাকি দেখিছি, প্রতি মাসে দু-তিনবার গর্ত ভরাট করে। কিন্তু কয়দিন পর আবার সেই গর্ত থাকে সউগ উঠি যায়। প্রতিদিন এটে সড়ক দুর্ঘটনা লাগি আছে।’
রংপুর শহরে একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত নাহিদুজ্জামানের সঙ্গে কথা হয় ঘাঘট সেতুর কাছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কোথাও মনে হয় এ রকম সড়ক নেই। ১০ কিলোমিটারে দুই হাজারেও বেশি গর্ত। ২০ কিমি গতিতে গাড়ি চালানো যায় না। প্রতিদিনই এই অংশে কোথাও না কোথাও দুর্ঘটনা লেগে আছে। প্রতি মাসে দু-একজন মারা যাচ্ছেন; কিন্তু সড়ক ঠিক হচ্ছে না।’
স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীদের অভিযোগ, বিগত চার মাসে একাধিকবার গর্তগুলো বিটুমিন, খোয়া, বালু ও পাথর দিয়ে ভরাট করা হলেও বৃষ্টির কারণে সেগুলো আরও বড় আকার ধারণ করছে। ফলে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন মোটরসাইকেল, রিকশা ও অটোরিকশারচালক ও যাত্রীরা।
রংপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, শেষবার ২০০৭ সালে সড়কটি মজবুত করা হয়। এরপর ৬ বছর আগে ছোট পরিসরে সংস্কার হলেও ওভারলোডিং যানবাহনের কারণে দ্রুতই সড়কটি আবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
রংপুর সিও বাজারে কথা হয় সওজের ট্রাকচালক সাজ্জাদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বিটুমিন পাথর দিয়ে গর্তপূরণ করছি। কিন্তু পুরো সড়ক তো ফেটে নষ্ট হয়ে গেছে। বৃষ্টি হলে পানি ঢুকে আবার গর্ত হচ্ছে। নতুনভাবে সড়ক নির্মাণ ছাড়া এ সমস্যা যাবে বলে মনে হয় না।’
বাসচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সড়কটির এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে ছোট-বড় গর্ত নেই। গর্ত এড়াতে গিয়ে অনেক সময় ভালো জায়গা দিয়ে সবাই যেতে চায়। এতে করে একটি গাড়ি অন্য গাড়ি সঙ্গে ধাক্কা, মুখোমুখি সংঘর্ষ হচ্ছে। বিশেষ করে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা এ ঘটনা বেশি ঘটাচ্ছে। সড়কটি প্রশস্ত ও পুনর্নির্মাণ করা খুবই জরুরি।’
রংপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘রংপুর-দিনাজপুর ন্যাশনাল হাইওয়ের মেডিকেল মোড় থেকে পাগলাপীর পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর পরিমাণে গর্ত হয়েছে, ফাটল ধরেছে। আমরা ঈদের আগেই মানুষের নির্বিঘ্ন চলাচলের জন্য এগুলো মেরামত করে দেব। রক্ষণাবেক্ষণ খাত থেকে একটি কাজ চলমান আছে। সেটা এখানে করব। কিন্তু বৃষ্টি-বর্ষার কারণে করতে পারছি না। পুরো সড়ক নষ্ট হয়ে গেছে। এ কাজ কত দিন টিকবে জানি না।’
এক প্রশ্নের জবাবে মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এটা নিয়ে এত প্ল্যানিং না করার কারণ হতে পারে সাসেক-৩ প্রকল্প। এই প্রকল্পে মডার্ন থেকে পাগলাপীর হয়ে জলঢাকা হয়ে একটা যাবে বুড়িমারীতে, একটা যাবে দেবীগঞ্জ হয়ে বাংলাবান্ধায়। এটা একটা করার কথা ছিল। এটা না হওয়া পর্যন্ত হতো আমাদেরকে এভাবেই চালাতে হবে।’
স্থানীয়রা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকারের অনুসারীরা ২০ জুন বিকেলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। তারই জের ধরে ২১ জুন রাতে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে আব্দুল কুদ্দুসকে (৬০) কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
৩৩ মিনিট আগেগণঅধিকার পরিষদের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার আংশিক নতুন কমিটির অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। শনিবার (২১ জুন) গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান ৫৩ সদস্যের এই আংশিক কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেঢাকার সাভারে আব্দুল মালেক (৩৬) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁকে হত্যার পর লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয় বলে ধারণা করছে পুলিশ। আব্দুল মালেক সাভারের কান্দি ভাকুর্তা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি দোকানে রুপার অলংকার তৈরির কাজ করতেন।
২ ঘণ্টা আগেবিএনপির রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ক্রমেই দৃশ্যমান হচ্ছে। এই আসনে সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহজাহান ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির দুজনই আগামী নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী।
২ ঘণ্টা আগে