Ajker Patrika

হাসিনা সরকারের মিথ্যা মামলা বয়ে বেড়াচ্ছেন গাইবান্ধার ২ সাংবাদিক

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
রজতকান্তি বর্মণ ও গোলাম রব্বানী মুসা। ছবি: সংগৃহীত
রজতকান্তি বর্মণ ও গোলাম রব্বানী মুসা। ছবি: সংগৃহীত

শেখ হাসিনা সরকারের আমলের ষড়যন্ত্রমূলক মামলা এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন গাইবান্ধার দুই সাংবাদিক। দীর্ঘ ৯ বছর ধরে মামলায় তাঁরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এ জন্য আর্থিকভাবে তাঁরা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত। হয়রানিমূলক এই মামলা প্রত্যাহারের জন্য সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তাঁরা।

ভুক্তভোগী দুই সাংবাদিক হলেন স্থানীয় সাপ্তাহিক চলমান জবাবের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রজতকান্তি বর্মণ ও দৈনিক আজকের জনগণ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার গোলাম রব্বানী মুসা।

তাঁরা বলেন, রাজনীতির বাইরেও ভিন্ন মতের যেকোনো মানুষকে দমন ও শাস্তি দিতে ভীষণ তৎপর ছিল তৎকালীন সরকারের বিভিন্ন সংস্থা। সে সময় গাইবান্ধাসহ সারা দেশে মাদক ব্যবসা বেড়ে যায়। এর সুবিধাভোগী ছিল সদর থানার পুলিশ ও র‍্যাব ক্যাম্পের কিছু সদস্য। জেলার মাদক স্পট থেকে ব্যবসায়ীদের কাছে গাইবান্ধা র‍্যাবের তৎকালীন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বাচ্চু মিয়া নিয়মিত মাসোহারা আদায় করতেন। এএসআই বাচ্চু জেলার চরাঞ্চল ও গোবিন্দগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় লোক দিয়ে মাদক ব্যবসা করতেন। ক্যাম্পের কর্তাব্যক্তিসহ আরও কয়েকজন এর ভাগ পেতেন।

এই দুই সাংবাদিক বলেন, ‘মাদক নিয়ে ধারাবাহিক নিউজ করায় গাইবান্ধা র‍্যাবের তৎকালীন সহকারী পরিচালক আশরাফ হোসেন সিদ্দিক ও এএসআই বাচ্চু মিয়া ক্ষুব্ধ হন। তাঁরা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ২০১৫ সালের ১০ আগস্ট ইয়াবা কারবারের অভিযোগে আমাদের দুজনকে আটক করেন। পরে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।’

সাংবাদিক রজতকান্তি বর্মণ বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন করায় আক্রোশবশত মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আমাদের ফাঁসানো হয়। এই মামলার পেছনে অর্থ খরচ করে আমরা আর্থিকভাবে অপূরণীয় ক্ষতির শিকার হয়েছি। আমরা এই মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য বর্তমান সরকারের প্রতি আকুল আবেদন জানাচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

টাঙ্গাইলে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে দুজন নিহত

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

যমুনা সেতু-টাঙ্গাইল-ঢাকা মহাসড়কের ঘারিন্দা আন্ডারপাস এলাকায় ট্রাকের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে চালকসহ দুজন নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার আকুয়া গ্রামের কছিম উদ্দিনের ছেলে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক সাহেব আলী (৪৫) এবং একই উপজেলার ভোক্তা গ্রামের নূর মোহাম্মদ শেখের ছেলে অটোরিকশার যাত্রী আব্দুল আলীম শেখ (৬০)।

এলেঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান জানান, ঢাকাগামী সার্ভিস লেনে চলন্ত একটি অজ্ঞাত ট্রাক সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই যাত্রী আব্দুল আলীম মারা যান। গুরুতর আহত চালক সাহেব আলীকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পথে তাঁরও মৃত্যু হয়।

আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে পুলিশ জানায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কুমিল্লায় বিজিবির বিশেষ অভিযানে অস্ত্র-মাদক উদ্ধার

 কুমিল্লা প্রতিনিধি 
সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মীর আলী এজাজ ও উদ্ধারকৃত অস্ত্র। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মীর আলী এজাজ ও উদ্ধারকৃত অস্ত্র। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লা সীমান্ত এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, দুটি গুলি এবং ১২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) ভোরের দিকে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার ধনপুর মাঠ এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যশপুর বিওপি কমান্ডার নায়েব সুবেদার মো. মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে বিজিবির একটি বিশেষ টহল দল সীমান্ত পিলার হতে প্রায় ২০০ গজ অভ্যন্তরে অস্ত্র, মাদক ও চোরাচালানবিরোধী এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় টহল দলটি পরিত্যক্ত অবস্থায় এ অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে।

আজ সোমবার বেলা ১১টায় কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মীর আলী এজাজ বলেন, সীমান্ত এলাকায় অস্ত্র, মাদক ও যেকোনো ধরনের চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। আন্তসীমান্ত অপরাধ দমন, সীমান্ত সুরক্ষা এবং অবৈধ পণ্য পাচার রোধে টহল তৎপরতা ও গোয়েন্দা নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুন্সিগঞ্জে নিখোঁজ অটোরিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
মুজিবুর মাঝি। ছবি: সংগৃহীত
মুজিবুর মাঝি। ছবি: সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জে নিখোঁজের তিন দিন পর খাল থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মুজিবুর মাঝি (৪৫) নামে এক অটোরিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে সদর উপজেলার পূর্ব রতনপুর এলাকার একটি খাল থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মুজিবুর মাঝি মুন্সিগঞ্জ সদরের রামপাল ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকার বাঁধন সরকারের গ্যারেজে কর্মরত ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি বরিশালের হিজলা উপজেলায়।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার মুজিবুর লৌহজংয়ের মাওয়া যাওয়ার উদ্দেশে গ্যারেজ থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে রাসেল মিয়া গতকাল রোববার সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। আজ সোমবার সকালে এলাকাবাসী ওই খালে হাত পা-বাঁধা অবস্থায় মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।

এ বিষয়ে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সোহাগ জানান, ৯৯৯-এ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দৌড়ে ট্রেনে উঠতে গিয়ে পা পিছলে বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

গাজীপুর (শ্রীপুর) প্রতিনিধি
পা পিছলে পড়ে যাওয়ার মুহূর্তে জালাল উদ্দীন। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
পা পিছলে পড়ে যাওয়ার মুহূর্তে জালাল উদ্দীন। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

গাজীপুরের শ্রীপুরে দৌড়ে ট্রেনে উঠতে গিয়ে পা পিছলে চলন্ত ট্রেনের নিচে পড়ে যান কৃষক জালাল উদ্দীন। পুরো ট্রেন তাঁর ওপর দিয়ে গেলেও অলৌকিকভাবে বেঁচে যান তিনি। গতকাল রোববার রাত পৌনে ৯টার দিকে শ্রীপুর রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তাঁর। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত পৌনে ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। নিহত জালাল উদ্দীন (৪৫) ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার চরআগলী ইউনিয়নের নিধিরচর গ্রামের মো. তৈয়ব উদ্দিনের ছেলে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুরুতর আহত অবস্থায় মৃত্যুর আগে জালাল উদ্দীনের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি জানান, শ্রীপুর রেলস্টেশনে দাঁড়ানো মোহনগঞ্জগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেন। এ সময় তিনি ট্রেনে উঠতে দৌড় দেন। একই সময়ে স্টেশনের এক নম্বর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেনটিও ছেড়ে দেয়। এ সময় পা পিছলে ট্রেনের ইঞ্জিনের নিচে চলে যান তিনি। এর পরের ঘটনা বলতে পারেননি গুরুতর আহত জালাল উদ্দীন।

স্থানীয় দোকানি মনির হোসেন জানান, স্টেশনে দুটি ভিন্ন লাইনে দুটি ট্রেন দাঁড়ানো ছিল এবং একই সঙ্গে ট্রেন দুটি ছাড়া শুরু করে। হঠাৎ জালাল উদ্দীন এক নম্বর লাইনে দৌড়ালে পা পিছলে চোখের পলকে ট্রেনের নিচে পড়ে যান। জামালপুর কমিউটার ট্রেনটি তাঁর ওপর দিয়ে চলে যায়। ট্রেনটি চলে যাওয়ার পরপরই স্টেশনের লোকজনের সহযোগিতায় তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে তিনি স্বাভাবিকভাবে কথা বলছিলেন এবং নিজের নাম-ঠিকানা বলতে পারছিলেন। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে চরআগলী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শহিদুল ইসলাম দুলু বলেন, রাতেই তিনি মারা গেছে। আজ সোমবার বেলা ১১টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘গতকাল রোববার রাত ৯টার পর গুরুতর আহত অবস্থায় কয়েকজন মানুষ জালাল উদ্দীন নামে একজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।’

শ্রীপুর রেলস্টেশন মাস্টার মো. সাইদুর রহমান বলেন, ‘এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে যায়।’

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, ‘এমন ঘটনা ঘটার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। মৃত্যুর বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। তা ছাড়া বিষয়টি রেলওয়ে পুলিশ দেখবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত