সৈয়দ ঋয়াদ, ঢাকা

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে নেওয়া ‘বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্প’ অনিয়মের কারণে ভেস্তে যেতে বসেছে। প্রকল্প পরিচালক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে এম নূর-উন-নবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাবিব অ্যান্ড কোংসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কাজ অসম্পূর্ণ রেখে প্রায় ৭৪ কোটি টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় মোট তিনটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্প তিনটি হচ্ছে শেখ হাসিনা ছাত্রী হল, ড. ওয়াজেদ মিয়া রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ও স্বাধীনতা স্মারক। এ জন্য মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ৭৪ কোটি ১০ লাখ ১৮ হাজার ৭৫৯ টাকা। ২০১৬-১৭ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পগুলোর কাজ ২০১৮ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ৬ বছর পর এখনো তা শেষ হয়নি।
তিনটি প্রকল্পেই ডিপিপির (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রস্তাবে ৪৭ কোটি ৫২ লাখ ৫৫ হাজার ৮০৬ টাকা ব্যয়ে ৯ হাজার বর্গমিটার আয়তনের দশতলা শেখ হাসিনা ছাত্রী হল নির্মাণের কথা। ড. ওয়াজেদ মিয়া রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সাড়ে ১৭ হাজার বর্গমিটার আয়তনের দশতলা ভবন নির্মাণের ব্যয় ধরা হয় ২৫ কোটি ২৭ লাখ ৬২ হাজার ৯৫৩ টাকা। স্বাধীনতা স্মারক নির্মাণের অনুমোদিত ব্যয় ছিল প্রায় দেড় কোটি টাকা। প্রকল্পের সূত্র বলছে, প্রকল্প বাস্তবায়নে বিভিন্ন শর্তের গুরুতর ব্যত্যয় ঘটেছে। অননুমোদিতভাবে নকশার পরিবর্তন-পরিবর্ধন করা হয়েছে।
ওয়াজেদ মিয়া ইনস্টিটিউট প্রকল্পে একটি দশতলা ভবন তৈরির কথা থাকলেও অনুমোদন ছাড়াই তিনটি পৃথক ভবনের আংশিক কাজ করা হয়।
এর একটি পাঁচতলা ও অন্য দুটি দোতলা। এই তিনটি ভবনের শুধু পিলারসহ বাইরের কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের একটি দশতলা ভবনের জায়গায় এ পর্যন্ত শুধু ভিতের ওপর পাঁচতলা পর্যন্ত পিলারের কাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, এই ‘বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পের’ তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম অননুমোদিত অতিরিক্ত কাজ বাস্তবায়ন করান। তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক হিসেবে উপাচার্য অধ্যাপক এ কে এম নূর-উন-নবী ক্ষমতার অপব্যবহার করে কাজ সম্পন্ন না করেই প্রাক্কলিত ব্যয়ের পুরো টাকা তুলে নেন।
দরপত্রে দ্বিগুণ মূল্য
দুদকের অনুসন্ধানে পাওয়া যায়, প্রকল্পের কাজ শুরুর দিকে গণপূর্ত বিভাগের রেট অনুসারে ম্যাট ফাউন্ডেশনের কংক্রিটের মূল্য প্রতি ঘনমিটার ১০ হাজার ৯৭০ টাকা থাকলেও তা দ্বিগুণ বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা দরে চুক্তি করা হয়েছে। দুটি ভবনের প্যাকেজেই অস্বাভাবিক হারে মূল্য দাখিল করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকারি ক্রয় নীতিমালা (পিপিআর) ২০০৮-এর বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। উভয় ভবনের চুক্তিমূল্যে টাইলস, মোজাইক ইত্যাদিতে অস্বাভাবিক কম মূল্য (২ টাকা) এবং ভবনের কংক্রিট ও ম্যাট ফাউন্ডেশনের কংক্রিটের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক হারে উচ্চমূল্য ধরা হয়েছে। ডিপিপিতে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও দুটি বিভাগের আসবাবপত্র কেনার জন্য ১টি উন্মুক্ত টেন্ডার (ওটিএম) পদ্ধতির পরিবর্তে তিনটি পৃথক আরএফকিউ পদ্ধতির (রিকোয়েস্ট ফর কোটেশন) টেন্ডারের মাধ্যমে একই প্রতিষ্ঠানকে মোট ১৫ লাখ টাকার কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে।
দরপত্র প্রভাবিত করার অভিযোগ
দুদক সূত্র জানায়, শেখ হাসিনা ছাত্রী হল ও ড. ওয়াজেদ মিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট উভয় প্রকল্পের ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই তুলনামূলক বিবরণীতে কথিত গাণিতিক ভুল দেখিয়ে প্রথম সর্বনিম্ন দরদাতা পরিবর্তন করা হয়েছে। পিপিআর ২০০৮-এর বিধি ১১ অনুযায়ী, এমন গাণিতিক ভুল ধরা পড়লে তা সংশোধন করে দ্রুত সংশ্লিষ্ট দরদাতাদের লিখিতভাবে জানাতে হবে। এ নিয়ম মানা হয়নি।
চুক্তির ঊর্ধ্বসীমা উপেক্ষা ও অনিয়ম
আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ আইন ২০১৫-এর ৩৩ ধারা অনুযায়ী, ৩০ কোটি টাকার ওপরের অর্থমূল্যের চুক্তি করার ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনুমোদন প্রয়োজন। তবে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন-সংক্রান্ত কোনো নথি পাওয়া যায়নি বলে দুদকের তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন প্রকল্প পরিচালক এ কে এম নূর-উন-নবীই। ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়সাপেক্ষ স্বাধীনতা স্মারক নির্মাণকাজের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) এবং পিএসসির অনুমোদন ছাড়াই অসম্পূর্ণ দরপত্র (আংশিক কাজ) আহ্বান করে ১ কোটি ৬ লাখ টাকার কার্যাদেশ দেওয়া হয়।
প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে তিন কিস্তিতে ক্যাশ চেকের মাধ্যমে মোট ৮৪ লাখ ২৪ হাজার টাকার বিল দেওয়া হয়। উপস্থাপিত নথিপত্রে এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালকের অনুমোদনের কোনো প্রমাণ নেই। এ বিষয়টিকে দুর্নীতি বলেছে দুদক।
সংশ্লিষ্টরা যা বলছেন
দুর্নীতি-অনিয়মের এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকত আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে কাজ করছি। বিষয়টি যেহেতু দুদক দেখছে, আমরা তাদের অনুসন্ধানকে সহায়তা করছি। অনেক ক্ষেত্রে নিয়মনীতির চরম লঙ্ঘন করা হয়েছে। প্রকল্পটি ৯৭ কোটি টাকার। একে সংশোধন করে ১৭৮ কোটি টাকা করার একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, যা মন্ত্রণালয় আটকে দেয়। এ ক্ষেত্রে ঠিকাদারকে নিয়ম ভেঙে কাজের চেয়ে অতিরিক্ত ১৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদার কাজই সম্পন্ন করেননি।’
এই অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাবিব অ্যান্ড কোং-এর আব্দুস সালামকে বারবার ফোন করা হলেও তাঁর নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।
সাবেক উপাচার্য এ কে এম নূর-উন-নবী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ সম্পর্কে আমার কোনো বক্তব্য নেই। কাজে কোনো অনিয়ম বা ব্যত্যয় ঘটেনি। এ বিষয়ে তদন্ত হয়েছে, তদন্ত রিপোর্ট আছে।’
প্রকল্পের কাজে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) নুজহাত ইয়াসমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। দুদকের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেলে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে নজরদারি সংস্থা ট্র্যান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কেনাকাটায় দুর্নীতি একটা সাধারণ বিষয় হয়ে গেছে। এসব দুর্নীতির সঙ্গে যাঁরা সম্পৃক্ত তাঁদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া যায় না বলেই সরকারি ক্রয়ে দুর্নীতি ক্রমেই বাড়ছে। তদন্তকারী সংস্থাগুলোকে এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে নেওয়া ‘বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্প’ অনিয়মের কারণে ভেস্তে যেতে বসেছে। প্রকল্প পরিচালক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে এম নূর-উন-নবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাবিব অ্যান্ড কোংসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কাজ অসম্পূর্ণ রেখে প্রায় ৭৪ কোটি টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় মোট তিনটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্প তিনটি হচ্ছে শেখ হাসিনা ছাত্রী হল, ড. ওয়াজেদ মিয়া রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ও স্বাধীনতা স্মারক। এ জন্য মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ৭৪ কোটি ১০ লাখ ১৮ হাজার ৭৫৯ টাকা। ২০১৬-১৭ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পগুলোর কাজ ২০১৮ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ৬ বছর পর এখনো তা শেষ হয়নি।
তিনটি প্রকল্পেই ডিপিপির (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রস্তাবে ৪৭ কোটি ৫২ লাখ ৫৫ হাজার ৮০৬ টাকা ব্যয়ে ৯ হাজার বর্গমিটার আয়তনের দশতলা শেখ হাসিনা ছাত্রী হল নির্মাণের কথা। ড. ওয়াজেদ মিয়া রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সাড়ে ১৭ হাজার বর্গমিটার আয়তনের দশতলা ভবন নির্মাণের ব্যয় ধরা হয় ২৫ কোটি ২৭ লাখ ৬২ হাজার ৯৫৩ টাকা। স্বাধীনতা স্মারক নির্মাণের অনুমোদিত ব্যয় ছিল প্রায় দেড় কোটি টাকা। প্রকল্পের সূত্র বলছে, প্রকল্প বাস্তবায়নে বিভিন্ন শর্তের গুরুতর ব্যত্যয় ঘটেছে। অননুমোদিতভাবে নকশার পরিবর্তন-পরিবর্ধন করা হয়েছে।
ওয়াজেদ মিয়া ইনস্টিটিউট প্রকল্পে একটি দশতলা ভবন তৈরির কথা থাকলেও অনুমোদন ছাড়াই তিনটি পৃথক ভবনের আংশিক কাজ করা হয়।
এর একটি পাঁচতলা ও অন্য দুটি দোতলা। এই তিনটি ভবনের শুধু পিলারসহ বাইরের কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের একটি দশতলা ভবনের জায়গায় এ পর্যন্ত শুধু ভিতের ওপর পাঁচতলা পর্যন্ত পিলারের কাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, এই ‘বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পের’ তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম অননুমোদিত অতিরিক্ত কাজ বাস্তবায়ন করান। তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক হিসেবে উপাচার্য অধ্যাপক এ কে এম নূর-উন-নবী ক্ষমতার অপব্যবহার করে কাজ সম্পন্ন না করেই প্রাক্কলিত ব্যয়ের পুরো টাকা তুলে নেন।
দরপত্রে দ্বিগুণ মূল্য
দুদকের অনুসন্ধানে পাওয়া যায়, প্রকল্পের কাজ শুরুর দিকে গণপূর্ত বিভাগের রেট অনুসারে ম্যাট ফাউন্ডেশনের কংক্রিটের মূল্য প্রতি ঘনমিটার ১০ হাজার ৯৭০ টাকা থাকলেও তা দ্বিগুণ বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা দরে চুক্তি করা হয়েছে। দুটি ভবনের প্যাকেজেই অস্বাভাবিক হারে মূল্য দাখিল করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকারি ক্রয় নীতিমালা (পিপিআর) ২০০৮-এর বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। উভয় ভবনের চুক্তিমূল্যে টাইলস, মোজাইক ইত্যাদিতে অস্বাভাবিক কম মূল্য (২ টাকা) এবং ভবনের কংক্রিট ও ম্যাট ফাউন্ডেশনের কংক্রিটের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক হারে উচ্চমূল্য ধরা হয়েছে। ডিপিপিতে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও দুটি বিভাগের আসবাবপত্র কেনার জন্য ১টি উন্মুক্ত টেন্ডার (ওটিএম) পদ্ধতির পরিবর্তে তিনটি পৃথক আরএফকিউ পদ্ধতির (রিকোয়েস্ট ফর কোটেশন) টেন্ডারের মাধ্যমে একই প্রতিষ্ঠানকে মোট ১৫ লাখ টাকার কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে।
দরপত্র প্রভাবিত করার অভিযোগ
দুদক সূত্র জানায়, শেখ হাসিনা ছাত্রী হল ও ড. ওয়াজেদ মিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট উভয় প্রকল্পের ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই তুলনামূলক বিবরণীতে কথিত গাণিতিক ভুল দেখিয়ে প্রথম সর্বনিম্ন দরদাতা পরিবর্তন করা হয়েছে। পিপিআর ২০০৮-এর বিধি ১১ অনুযায়ী, এমন গাণিতিক ভুল ধরা পড়লে তা সংশোধন করে দ্রুত সংশ্লিষ্ট দরদাতাদের লিখিতভাবে জানাতে হবে। এ নিয়ম মানা হয়নি।
চুক্তির ঊর্ধ্বসীমা উপেক্ষা ও অনিয়ম
আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ আইন ২০১৫-এর ৩৩ ধারা অনুযায়ী, ৩০ কোটি টাকার ওপরের অর্থমূল্যের চুক্তি করার ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনুমোদন প্রয়োজন। তবে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন-সংক্রান্ত কোনো নথি পাওয়া যায়নি বলে দুদকের তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন প্রকল্প পরিচালক এ কে এম নূর-উন-নবীই। ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়সাপেক্ষ স্বাধীনতা স্মারক নির্মাণকাজের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) এবং পিএসসির অনুমোদন ছাড়াই অসম্পূর্ণ দরপত্র (আংশিক কাজ) আহ্বান করে ১ কোটি ৬ লাখ টাকার কার্যাদেশ দেওয়া হয়।
প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে তিন কিস্তিতে ক্যাশ চেকের মাধ্যমে মোট ৮৪ লাখ ২৪ হাজার টাকার বিল দেওয়া হয়। উপস্থাপিত নথিপত্রে এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালকের অনুমোদনের কোনো প্রমাণ নেই। এ বিষয়টিকে দুর্নীতি বলেছে দুদক।
সংশ্লিষ্টরা যা বলছেন
দুর্নীতি-অনিয়মের এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকত আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে কাজ করছি। বিষয়টি যেহেতু দুদক দেখছে, আমরা তাদের অনুসন্ধানকে সহায়তা করছি। অনেক ক্ষেত্রে নিয়মনীতির চরম লঙ্ঘন করা হয়েছে। প্রকল্পটি ৯৭ কোটি টাকার। একে সংশোধন করে ১৭৮ কোটি টাকা করার একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, যা মন্ত্রণালয় আটকে দেয়। এ ক্ষেত্রে ঠিকাদারকে নিয়ম ভেঙে কাজের চেয়ে অতিরিক্ত ১৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদার কাজই সম্পন্ন করেননি।’
এই অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাবিব অ্যান্ড কোং-এর আব্দুস সালামকে বারবার ফোন করা হলেও তাঁর নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।
সাবেক উপাচার্য এ কে এম নূর-উন-নবী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ সম্পর্কে আমার কোনো বক্তব্য নেই। কাজে কোনো অনিয়ম বা ব্যত্যয় ঘটেনি। এ বিষয়ে তদন্ত হয়েছে, তদন্ত রিপোর্ট আছে।’
প্রকল্পের কাজে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) নুজহাত ইয়াসমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। দুদকের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেলে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে নজরদারি সংস্থা ট্র্যান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কেনাকাটায় দুর্নীতি একটা সাধারণ বিষয় হয়ে গেছে। এসব দুর্নীতির সঙ্গে যাঁরা সম্পৃক্ত তাঁদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া যায় না বলেই সরকারি ক্রয়ে দুর্নীতি ক্রমেই বাড়ছে। তদন্তকারী সংস্থাগুলোকে এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।

কক্সবাজারের টেকনাফে আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. ইউনুসের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের রঙিখালি সড়কের মাথার ব্রিজের নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত মো. ইউনুস (৫৫) টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের চান্দলীপাড়া
১৬ মিনিট আগে
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মহালছড়িতে ফায়ার সার্ভিস না থাকায় সেনাবাহিনী ও স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। পরে খাগড়াছড়ি থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। এ সময় আগুনে রফিক স্টোর, ফরিদ স্টোর, প্রতিভা
১ ঘণ্টা আগে
মাদারীপুর ১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কামাল জামান মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত রাখার ঘটনায় তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছেন। মনোনয়ন পুনর্বহালের দাবিতে আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে শিবচর পৌর এলাকার ৭১ সড়কে অবস্থান নেন কামাল জামান মোল্লার সমর্থকেরা।
২ ঘণ্টা আগে
আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিয়ে এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। শুনেছি, ইতিমধ্যে টাকাপয়সার লেনদেনও হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। তার ওপর পার্শ্ববর্তী দেশগুলো আওয়ামী লীগকে নিয়ে নির্বাচন করার জন্য চাপ দিচ্ছে।’
২ ঘণ্টা আগেটেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফে আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. ইউনুসের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের রঙিখালি সড়কের মাথার ব্রিজের নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত মো. ইউনুস (৫৫) টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের চান্দলীপাড়া এলাকার হাছন আলীর ছেলে। তিনি সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইসমাইল বলেন, ‘সকালে লেদা বাজার যাওয়ার পথে রঙিখালি ব্রিজের নিচে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে জানা যায়, মরদেহটি সাবেক ইউপি সদস্য ইউনুস মেম্বারের।’
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

কক্সবাজারের টেকনাফে আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. ইউনুসের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের রঙিখালি সড়কের মাথার ব্রিজের নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত মো. ইউনুস (৫৫) টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের চান্দলীপাড়া এলাকার হাছন আলীর ছেলে। তিনি সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইসমাইল বলেন, ‘সকালে লেদা বাজার যাওয়ার পথে রঙিখালি ব্রিজের নিচে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে জানা যায়, মরদেহটি সাবেক ইউপি সদস্য ইউনুস মেম্বারের।’
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে নেওয়া ‘বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্প’ অনিয়মের কারণে ভেস্তে যেতে বসেছে। প্রকল্প পরিচালক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে এম নূর-উন-নবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাবিব
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মহালছড়িতে ফায়ার সার্ভিস না থাকায় সেনাবাহিনী ও স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। পরে খাগড়াছড়ি থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। এ সময় আগুনে রফিক স্টোর, ফরিদ স্টোর, প্রতিভা
১ ঘণ্টা আগে
মাদারীপুর ১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কামাল জামান মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত রাখার ঘটনায় তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছেন। মনোনয়ন পুনর্বহালের দাবিতে আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে শিবচর পৌর এলাকার ৭১ সড়কে অবস্থান নেন কামাল জামান মোল্লার সমর্থকেরা।
২ ঘণ্টা আগে
আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিয়ে এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। শুনেছি, ইতিমধ্যে টাকাপয়সার লেনদেনও হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। তার ওপর পার্শ্ববর্তী দেশগুলো আওয়ামী লীগকে নিয়ে নির্বাচন করার জন্য চাপ দিচ্ছে।’
২ ঘণ্টা আগেখাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

খাগড়াছড়ির মহালছড়ি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২০টি দোকান পুড়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা, বজ্রপাত থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মহালছড়িতে ফায়ার সার্ভিস না থাকায় সেনাবাহিনী ও স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। পরে খাগড়াছড়ি থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। এ সময় আগুনে রফিক স্টোর, ফরিদ স্টোর, প্রতিভা লাইব্রেরিসহ ২০টি দোকান পুড়ে যায়। দোকানগুলোর মধ্যে বেশির ভাগ মুদি ও কাপড়ের দোকান। এর মধ্যে দুটি চায়ের দোকান ও একটি স্বর্ণালংকারের দোকানও রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা।

অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আজ বুধবার সকালে মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রায়হান ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শন করেন এবং ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন।
খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক জাকের হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মুষলধারে বৃষ্টি ও বজ্রপাতের কারণে বাজারে বিদ্যুৎ-সরবরাহ বন্ধ ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, বজ্রপাত থেকে আগুন লাগতে পারে। তিনি জানান, আশপাশে পানির উৎস না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। সব কটি দোকান আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা তদন্ত করে জানা যাবে।

খাগড়াছড়ির মহালছড়ি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২০টি দোকান পুড়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা, বজ্রপাত থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মহালছড়িতে ফায়ার সার্ভিস না থাকায় সেনাবাহিনী ও স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। পরে খাগড়াছড়ি থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। এ সময় আগুনে রফিক স্টোর, ফরিদ স্টোর, প্রতিভা লাইব্রেরিসহ ২০টি দোকান পুড়ে যায়। দোকানগুলোর মধ্যে বেশির ভাগ মুদি ও কাপড়ের দোকান। এর মধ্যে দুটি চায়ের দোকান ও একটি স্বর্ণালংকারের দোকানও রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা।

অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আজ বুধবার সকালে মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রায়হান ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শন করেন এবং ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন।
খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক জাকের হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মুষলধারে বৃষ্টি ও বজ্রপাতের কারণে বাজারে বিদ্যুৎ-সরবরাহ বন্ধ ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, বজ্রপাত থেকে আগুন লাগতে পারে। তিনি জানান, আশপাশে পানির উৎস না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। সব কটি দোকান আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা তদন্ত করে জানা যাবে।

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে নেওয়া ‘বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্প’ অনিয়মের কারণে ভেস্তে যেতে বসেছে। প্রকল্প পরিচালক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে এম নূর-উন-নবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাবিব
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
কক্সবাজারের টেকনাফে আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. ইউনুসের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের রঙিখালি সড়কের মাথার ব্রিজের নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত মো. ইউনুস (৫৫) টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের চান্দলীপাড়া
১৬ মিনিট আগে
মাদারীপুর ১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কামাল জামান মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত রাখার ঘটনায় তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছেন। মনোনয়ন পুনর্বহালের দাবিতে আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে শিবচর পৌর এলাকার ৭১ সড়কে অবস্থান নেন কামাল জামান মোল্লার সমর্থকেরা।
২ ঘণ্টা আগে
আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিয়ে এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। শুনেছি, ইতিমধ্যে টাকাপয়সার লেনদেনও হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। তার ওপর পার্শ্ববর্তী দেশগুলো আওয়ামী লীগকে নিয়ে নির্বাচন করার জন্য চাপ দিচ্ছে।’
২ ঘণ্টা আগেশিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি

মাদারীপুর-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কামাল জামান মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত রাখার ঘটনায় তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছেন। মনোনয়ন পুনর্বহালের দাবিতে আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে শিবচর পৌর এলাকার ৭১ সড়কে অবস্থান নেন কামাল জামান মোল্লার সমর্থকেরা।
জানা গেছে, গত সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সারা দেশের ২৩৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে। এর মধ্যে মাদারীপুর-১ আসনে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয় কামাল জামান মোল্লার নাম। এর প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা-ভাঙ্গা মহাসড়ক অবরোধ করেন মনোনয়ন না পাওয়া সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী লাভলুর সমর্থকেরা। পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দলীয় দপ্তর থেকে জানানো হয়, অনিবার্য কারণে মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসনের মনোনয়ন স্থগিত রাখা হয়েছে। বিএনপির দপ্তর সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এদিকে মনোনয়ন স্থগিত করার প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার সকাল থেকে শিবচর সদরের ৭১ সড়কে বিক্ষোভ করছেন কামাল জামান মোল্লার সমর্থকেরা। তাঁরা মনোনয়ন পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। এ সময় বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মনোনয়ন স্থগিতের প্রতিবাদ জানান তাঁরা। প্রতিবাদে নারী-পুরুষসহ অসংখ্য সমর্থক অংশ নিয়েছে।
জামান মোল্লার সমর্থিত একাধিক নেতা-কর্মী বলেন, ‘জামান মোল্লা একজন জননন্দিত নেতা। শিবচরে তাঁর প্রচুর সমর্থক রয়েছে। তিনি বিএনপিকে টিকিয়ে রেখেছেন। তাঁর মনোনয়ন স্থগিত মেনে নেওয়া হবে না। মনোনয়ন পুনর্বহাল করতে হবে।’

মাদারীপুর-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কামাল জামান মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত রাখার ঘটনায় তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছেন। মনোনয়ন পুনর্বহালের দাবিতে আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে শিবচর পৌর এলাকার ৭১ সড়কে অবস্থান নেন কামাল জামান মোল্লার সমর্থকেরা।
জানা গেছে, গত সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সারা দেশের ২৩৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে। এর মধ্যে মাদারীপুর-১ আসনে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয় কামাল জামান মোল্লার নাম। এর প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা-ভাঙ্গা মহাসড়ক অবরোধ করেন মনোনয়ন না পাওয়া সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী লাভলুর সমর্থকেরা। পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দলীয় দপ্তর থেকে জানানো হয়, অনিবার্য কারণে মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসনের মনোনয়ন স্থগিত রাখা হয়েছে। বিএনপির দপ্তর সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এদিকে মনোনয়ন স্থগিত করার প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার সকাল থেকে শিবচর সদরের ৭১ সড়কে বিক্ষোভ করছেন কামাল জামান মোল্লার সমর্থকেরা। তাঁরা মনোনয়ন পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। এ সময় বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মনোনয়ন স্থগিতের প্রতিবাদ জানান তাঁরা। প্রতিবাদে নারী-পুরুষসহ অসংখ্য সমর্থক অংশ নিয়েছে।
জামান মোল্লার সমর্থিত একাধিক নেতা-কর্মী বলেন, ‘জামান মোল্লা একজন জননন্দিত নেতা। শিবচরে তাঁর প্রচুর সমর্থক রয়েছে। তিনি বিএনপিকে টিকিয়ে রেখেছেন। তাঁর মনোনয়ন স্থগিত মেনে নেওয়া হবে না। মনোনয়ন পুনর্বহাল করতে হবে।’

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে নেওয়া ‘বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্প’ অনিয়মের কারণে ভেস্তে যেতে বসেছে। প্রকল্প পরিচালক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে এম নূর-উন-নবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাবিব
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
কক্সবাজারের টেকনাফে আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. ইউনুসের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের রঙিখালি সড়কের মাথার ব্রিজের নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত মো. ইউনুস (৫৫) টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের চান্দলীপাড়া
১৬ মিনিট আগে
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মহালছড়িতে ফায়ার সার্ভিস না থাকায় সেনাবাহিনী ও স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। পরে খাগড়াছড়ি থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। এ সময় আগুনে রফিক স্টোর, ফরিদ স্টোর, প্রতিভা
১ ঘণ্টা আগে
আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিয়ে এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। শুনেছি, ইতিমধ্যে টাকাপয়সার লেনদেনও হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। তার ওপর পার্শ্ববর্তী দেশগুলো আওয়ামী লীগকে নিয়ে নির্বাচন করার জন্য চাপ দিচ্ছে।’
২ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালী প্রতিনিধি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় পার্টি এখন চার ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন একটি অংশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। এমনকি তাদের মধ্যে টাকাপয়সার লেনদেনও হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে পটুয়াখালী সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ধরান্দী আবাসন মাঠে এক নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিয়ে এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। শুনেছি, ইতিমধ্যে টাকাপয়সার লেনদেনও হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। তার ওপর পার্শ্ববর্তী দেশগুলো আওয়ামী লীগকে নিয়ে নির্বাচন করার জন্য চাপ দিচ্ছে।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘এই নির্বাচন যতটা সহজ মনে হচ্ছে, বাস্তবে ততটা সহজ নয়। জনাব তারেক রহমানও একাধিকবার বলেছেন—এই নির্বাচনের পেছনে রয়েছে বিভিন্ন চাপ, পার্শ্ববর্তী দেশের, আওয়ামী লীগের, জাতীয় পার্টির এমনকি গোপনে গোয়েন্দা সংস্থারও।’
দলীয় কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, এখন শুধু মঞ্চে বক্তৃতা দিয়ে হবে না, ঘরে ঘরে যেতে হবে। মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হবে—কেন ভোট হবে, কাকে ভোট দেবে, কেন দেবে, তা জনগণকে বোঝাতে হবে।
ভোটের পরিবেশ নিয়ে আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা এমন এক অবস্থায় পৌঁছেছি, যেখানে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট প্রায় ইতিহাস হয়ে গেছে। গত ১৫ বছরে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। রাতে ভোট হয়েছে, দিনের ভোট কেড়ে নেওয়া হয়েছে। প্রকৃত নির্বাচন না হয়ে ‘সিলেকশন’ হয়েছে। এতে অযোগ্য ও অদক্ষ লোক সংসদে গেছে, পবিত্র সংসদকে অপবিত্র করা হয়েছে।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আহমেদ বায়জিদ পান্না। সভাপতিত্ব করেন কমলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মৃধা।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় পার্টি এখন চার ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন একটি অংশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। এমনকি তাদের মধ্যে টাকাপয়সার লেনদেনও হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে পটুয়াখালী সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ধরান্দী আবাসন মাঠে এক নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিয়ে এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। শুনেছি, ইতিমধ্যে টাকাপয়সার লেনদেনও হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। তার ওপর পার্শ্ববর্তী দেশগুলো আওয়ামী লীগকে নিয়ে নির্বাচন করার জন্য চাপ দিচ্ছে।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘এই নির্বাচন যতটা সহজ মনে হচ্ছে, বাস্তবে ততটা সহজ নয়। জনাব তারেক রহমানও একাধিকবার বলেছেন—এই নির্বাচনের পেছনে রয়েছে বিভিন্ন চাপ, পার্শ্ববর্তী দেশের, আওয়ামী লীগের, জাতীয় পার্টির এমনকি গোপনে গোয়েন্দা সংস্থারও।’
দলীয় কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, এখন শুধু মঞ্চে বক্তৃতা দিয়ে হবে না, ঘরে ঘরে যেতে হবে। মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হবে—কেন ভোট হবে, কাকে ভোট দেবে, কেন দেবে, তা জনগণকে বোঝাতে হবে।
ভোটের পরিবেশ নিয়ে আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা এমন এক অবস্থায় পৌঁছেছি, যেখানে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট প্রায় ইতিহাস হয়ে গেছে। গত ১৫ বছরে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। রাতে ভোট হয়েছে, দিনের ভোট কেড়ে নেওয়া হয়েছে। প্রকৃত নির্বাচন না হয়ে ‘সিলেকশন’ হয়েছে। এতে অযোগ্য ও অদক্ষ লোক সংসদে গেছে, পবিত্র সংসদকে অপবিত্র করা হয়েছে।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আহমেদ বায়জিদ পান্না। সভাপতিত্ব করেন কমলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মৃধা।

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে নেওয়া ‘বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্প’ অনিয়মের কারণে ভেস্তে যেতে বসেছে। প্রকল্প পরিচালক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে এম নূর-উন-নবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাবিব
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
কক্সবাজারের টেকনাফে আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. ইউনুসের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের রঙিখালি সড়কের মাথার ব্রিজের নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত মো. ইউনুস (৫৫) টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের চান্দলীপাড়া
১৬ মিনিট আগে
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মহালছড়িতে ফায়ার সার্ভিস না থাকায় সেনাবাহিনী ও স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। পরে খাগড়াছড়ি থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। এ সময় আগুনে রফিক স্টোর, ফরিদ স্টোর, প্রতিভা
১ ঘণ্টা আগে
মাদারীপুর ১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কামাল জামান মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত রাখার ঘটনায় তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছেন। মনোনয়ন পুনর্বহালের দাবিতে আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে শিবচর পৌর এলাকার ৭১ সড়কে অবস্থান নেন কামাল জামান মোল্লার সমর্থকেরা।
২ ঘণ্টা আগে