Ajker Patrika

বিএনপি ও আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে মসজিদের ১১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, সড়ক অবরোধ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ মে ২০২৫, ১৯: ৪০
মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কৃষক দল ও যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে সড়ক অবরোধ বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী ও মুসল্লিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কৃষক দল ও যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে সড়ক অবরোধ বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী ও মুসল্লিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাইবান্ধায় মসজিদের জায়গা বিক্রি করার কথা বলে নেওয়া ১১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কৃষক দলের নেতা রুহুল আমিন ওরফে আল আমিন ও যুবলীগ নেতা মোমিন মিয়ার বিরুদ্ধে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার কলেজ রোড তিনগাছ তলাসংলগ্ন এলাকায় আল্-আকসা জামে মসজিদের সামনে গাইবান্ধা-নাকাইহাট সড়ক অবরোধ করে এই কর্মসূচি পালন করেন এলাকাবাসী ও মুসল্লিরা।

অভিযুক্ত রুহুল আমিন জেলা কৃষক দলের সদস্য ও ওই মসজিদের সাবেক সভাপতি। অপর অভিযুক্ত মোমিন গাইবান্ধা জেলা যুবলীগের অন্যতম সদস্য ও মসজিদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

বিক্ষোভে এলাকাবাসী ও ক্ষুব্ধ মুসল্লিরা বলেন, রুহুল আমিন মসজিদের জায়গা বিক্রি করার কথা বলে ১১ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু টাকা নিলেও দীর্ঘদিনেও তিনি জমি দলিল করে দেননি। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সালিস বৈঠক হলেও তিনি বিএনপির প্রভাব দেখিয়ে কোনো তোয়াক্কা করেননি। কৃষক দল নেতা ও যুবলীগ নেতা যোগসাজশে মসজিদের এসব টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

মসজিদের সাবেক ক্যাশিয়ার ও ব্যবসায়ী মাসুম বলেন, ‘মসজিদের জায়গা বিক্রি করতে চাইলে আমরা রুহুল আমিন ওরফে আল আমিনকে ১১ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা দিই। এই টাকা আমাদের এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন দানশীল ব্যক্তির দানের টাকা। কিন্তু আল আমিন টাকা নিয়ে আজও জায়গা দলিল করে দেননি। তিনি ৫ শতক জায়গার বাকি ৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকাও নিচ্ছেন না। আমাদের দেওয়া ১১ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা ফেরতও দিচ্ছেন না।’

মাসুম অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘আমরা জমি ও টাকার কথা বলতে গেলে হুমকি দেওয়া হয়। মামলার ভয় দেখানো হয়। আমরা এসবের প্রতিকার চাই। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কৃষক দল ও যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে সড়ক অবরোধ বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী ও মুসল্লিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কৃষক দল ও যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে সড়ক অবরোধ বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী ও মুসল্লিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মসজিদের মুসল্লি সুমন বলেন, ‘অনেক কষ্টে মসজিদের জায়গার জন্য ১১ লাখ টাকা দিয়েছি। কিন্তু রুহুল আমিন ও মোমিন যোগসাজশ করে টাকাটা আত্মসাৎ করেছেন। আমরা এসব নিয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। থানার মিটিংয়ে রুহুল আমিন বিএনপির নেতা-কর্মী নিয়ে গিয়ে দুই মাসের সময় নিয়েছিলেন। সময় পার হয়ে গেলেও টাকাও দিচ্ছেন না, জমিও মসজিদের নামে দলিল করে দিচ্ছেন না। অবিলম্বে মসজিদের নামে জমি দলিলের দাবি করাসহ অভিযুক্ত কৃষক দল নেতা রুহুল আমিন ও যুবলীগ নেতা মোমিনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

এর আগে বিক্ষোভের শুরুতে অভিযুক্ত রুহুল আমিনের বউ আক্রমণাত্মক হয়ে এসে কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে তিনি সটকে পড়েন। জানতে চাইলে অভিযুক্ত রুহুল আমিন বলেন, পাঁচ শ–এক হাজার করে মসজিদের ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়েছি। সেই টাকার স্ট্যাম্পও করে দিয়েছি মসজিদ কমিটিকে। আমাকে স্ট্যাম্পও ফেরত দিচ্ছে না, তাই আমিও দলিল করে দিচ্ছি না।’

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘আড়াই মাস আগে ওই মসজিদ কমিটির লোকজন এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন। পরে তাদের উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে বিষয়টি দ্রুত নিজেদের মধ্য মীমাংসা করবে, এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এখন যদি মসজিদের বিষয় নিয়েও এমন করে, এখানে আমি কী করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিজের প্রস্রাব পান করে ‘আশিকি’ অভিনেত্রী অনু আগারওয়াল বললেন, ‘আহা অমৃত’

মে. জে. ফজলুরের সেভেন সিস্টার্স দখলের মন্তব্য সমর্থন করে না সরকার: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

গায়ে কেরোসিন ঢেলে কলেজছাত্রীর আত্মহনন, পলাতক ইমাম গ্রেপ্তার

ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত