Ajker Patrika

আন্দোলনের মাধ্যমে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য করা হবে-মির্জা ফখরুল

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আন্দোলনের মাধ্যমে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য করা হবে-মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ সরকারকে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য করা হবে। আজ শনিবার (১৪ মে) দিনাজপুর জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিলে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন ফখরুল। 

এ দেশের মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেভাবে বিএনপি ১৯৯০ সালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র উদ্ধার করেছিল সেভাবে আবার ২০২২,২০২৩ সালের মধ্যে তারেক জিয়ার নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে; যে বাংলাদেশে নিপীড়ন থাকবে না, নির্যাতন থাকবে না, গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকবে আমাদেরকে সেই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।’ 

তরুণদের জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘অবিলম্বে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে। সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে সত্যিকারার্থে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারকে এ দাবি মেনে নিতে বাধ্য করা হবে।’ 
 
আজ শনিবার দুপুরে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রেজিনা ইসলামের সভাপতিত্বে দীর্ঘ এক যুগ পর দিনাজপুর জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক-বার্ষিক কাউন্সিল সম্মেলনে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সম্মেলনের শুরুতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ। 

জেলা বিএনপি নেতা হাসানুজ্জামান উজ্জলের উপস্থাপনায় কাউন্সিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা: এজেডএম জাহিদ হোসেন, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবীব দুলু, জেলা বিএনপি নেতা সাবেক এমপি এজেডএম রেজওয়ানুল হক, আখতারুজ্জামান মিয়াসহ অনেকে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রংপুর বিভাগীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম। 

পরে জেলার নতুন নেতা বেছে নেওয়ার লক্ষ্যে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। উপজেলা ও পৌরসভার ২০টি ইউনিটের ১ হাজার ৯১৯ জন কাউন্সিলর গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব বেছে নিতে ভোট দেন। সভাপতি পদে চারজন ও সাধারণ সম্পাদক পদে দুজনসহ মোট সাতটি পদে ১৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। 

উল্লেখ্য, সবশেষ ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত জেলা বিএনপির সম্মেলনে ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির সভাপতি হয়েছিলেন লুৎফর রহমান মিন্টু ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মুকুর চৌধুরী। পরে কমিটি ভেঙে দিয়ে ২০১৬ সালে রেজওয়ানুল হককে আহ্বায়ক ও লুৎফর রহমানকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ১২৯ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত